মুকুলের তুলনাই গুটি কম আমের,চিন্তাই আমচাষীরা

Loading

সৌমেন মন্ডল, রাজশাহী ব্যুরোঃ গাছের মুকুল দেখে কৃষকের মনে আশে প্রশান্তি।জোরসর শুরু করে পরিচর্যা।দিন দিন প্রতিটা গাছে মুকুলে ছেয়ে যায় সমস্ত গাছে ডাল।চারিদিকে মৌমৌ গন্ধে মুখরিত চারপাশ।

আম চাষীদের মুখে হাসি ফুটে তাদের মতে বাম্পার ফলন হবে এবার আমে।কিন্তু দিন গড়াতে থাকে মুকুল ফুটে গুটি বের হতে শুরু করলেই দেখা দদেয় সমস্যা।মুকুল দেখে আনন্দে আটখানা হএয়া কৃষকটার এখন চিন্তার শেষ নেয়।

এমন টায় বলছিলেন রাজশাহী বাঘার কয়েক জন আম চাষী।

সরজমিনে গিয়ে প্রতিবেদক আম চাষিদের সাথে কথা বলে তারা জানান শুরুতে আমের মুকুল দেখে মনে হচ্ছিল এবার রেকর্ড করা আম হবে বাঘায়।যে পরিমান মুকুল এসেছিল তার অর্ধেক গুটি আসলেই অধিক লাভ হবে। ঝড়বৃষ্টি আসবে প্রকৃতির নিূমে কিন্তু তার পরও পর্যাপ্ত আম থাকবে। কিন্তু যখন মুকুল ফুটে গুটি বের হতে দেখা যাচ্ছে তখন সকল স্বপ্নের অবসান হচ্ছে খরচ উঠার ভয় রয়ে গেছে।

বলিহার গ্রামের বিষিষ্ট আমচাষি মো শরিফুল হাজি বলেন মুকুল এসেছিল সত্যি কিন্তু এখন গুটি নাই মুকুলে।গাছের অনেক মুকুল আছে যেখানে আপনি একটি গুটিও পাবেন না।একটি নারা তিলে দেখতে পাবেন শুধু আমের মুকুলের শিষ টা আছে কোন গুটি নেয়।

এখন চিন্তা আম তৈরি করতে যে পরিমান খরচ সেই টাকা উঠবেকি না।আম তৈরিতে এখন অনেক খরচ গাছের পোকা মারার জন্য অনেক দামের কিটনাশক কিনতে হয় এবং একের অধিকবার তা প্রয়োগ করতে হয়।

শ্রীরাম পাড়া গ্রামের নিরেন সাহা বলেন কিবলবো বাপু মুকুল তো আসছিল কিন্তু গুটি কই গুটিই তো নায় সংসার চলবে কেমন করে সেই চিন্তা।মুকুল দেখে তো খুশিই হয়েছিলাম কিন্তু গুটি দেখেতো চিন্তাই পরে গেছি গতবারের তুলনাই এবার অর্ধেক আম হবে আমার বাগানে।

চকআমতপুর গ্রামের মনির আলী বলেন গুটি কম ঠিক আছে তবে ফজলি, ল্যংড়া এই গুলোতে গুটি ঠিক আছে শুধু লক্ষনভোগ এর গুটি সব হারিয়ে গেছে।

যে সব গাছের আগে মুকুল বের হয়েছিল সেগুলানে গুটি আছে দেরিতে মুকুল আসা গাছেই একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে।