সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে চলছে অবৈধ হকার বানিজ্য

Loading

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী কাঁচাবাজার ও দোকান বসানো হয়েছে। এতে মানুষের চলাচলে ভোগান্তির পাশাপাশি মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বাসস্ট্যান্ডটির ঢাকাগামী লেনে অস্থায়ী কাঁচাবাজার, ফলের দোকান, চটপটি দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৫০টি ভ্রাম্যমাণ দোকান বসানো হয়।

দোকানদাররা বলছেন, নিয়মিত চাঁদা দেওয়ার বিনিময়ে ব্যবসা করছেন তারা। প্রতিদিন প্রতিটি দোকান থেকে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, এ চাঁদার ভাগ পাচ্ছেন স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা।

চাঁদা উত্তোলন ও বণ্টনে নিয়োজিতদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এই এলাকা থেকে প্রতিদিন অর্ধলক্ষ টাকা চাঁদা তোলা হয়। এ ক্ষেত্রে সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করা হয়, চাঁদাকে বলা হয় ‘জিপি’। স্থানীয়রা জানান, সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বাজার এবং নানা পণ্যের দোকান বসানোর কারণে তাদের চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে।

ফুটপাত দখল করে এসব অস্থায়ী দোকান বসানোর কারণে পথচারীরা ফুটপাত রেখে মহাসড়ক দিয়ে চলতে বাধ্য হন।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন দোকানদারের সঙ্গে। তারা জানান, সাভার পৌর কৃষকলীগের সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর আয়নাল হক গেদুর ছত্রছায়ায় তারা দোকান বসিয়েছেন। এজন্য প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয় তাদের।

এদিকে মহাসড়কে হকার উচ্ছেদে সাভারের নতুন এমপির হুশিয়ারির পরেও এমন দখলদারির কারনে বিক্ষুব্ধ এ সড়কে চলাচলকারী পথচারীরা।

আল-আমিন এক পথচারী জানান,‘নির্বাচনের পর কিছুদিন ফাঁকা থাকতেও আবারো মহাসড়কে দিন দিন অবৈধ দখল বাড়ছে। সেই সাথে আমাদের ভোগান্তিও বাড়ছে। অন্যদিকে রাস্তা সরু হওয়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

পোশাক শ্রমিক মাফুজা জানান, কারখানা ছুটির পর এ রাস্তায় যানযটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় পথচারীদের। তাই ফুটপাত দখলমুক্ত করার আহবান জানান তিনি।

তবে অভিযুক্ত কৃষকলীগ নেতা আয়নাল হক গেদু বলেন, কিছু দোকান ওখানে বসানো হয়েছে। ওই দোকানের টাকা দিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নৈশপ্রহরীর টাকা দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. বাবুল জানান, মহাসড়কে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।