সাঈদ বিন ইসলাম জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ( জাবি ) বঙ্গবন্ধু ছাত্র ফাউন্ডেশন এর ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ১৩ জুলাই ( শনিবার ) রাত ৮ টায় রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট মশিউর মালেক এই কমিটি ঘোষণা করেন।
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাঈদ বিন ইসলামকে ( ৪৬, তম আবর্তন ) আহ্বায়ক করে বঙ্গবন্ধু ছাত্র ফাউন্ডেশন এর ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন ৩ জন,এরা হলেন ফুয়াদ হাসান ( সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম, ৪৬), শাহ আইনুল হক ( প্রত্নতত্ত্ব ,৪৬), ইফতেখার তৌকির ( প্রত্নতত্ত্ব ,৪৬)।
সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন, ইমন মাহমুদ ( ইংরেজি ), মুহাম্মদ সবুজ শিকদার (প্রত্নতত্ত্ব), শাহীন আলম (উদ্ভিদ বিজ্ঞান), শাহ পরান ( গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা ), সাদিকুল শুভ ( ভূতাত্ত্বিক ), খায়রুল কবির নোবেল ( লোকপ্রশাসন), কায়েদ নেওয়াজ চৌধুরী (লোকপ্রশাসন), নূর মোহাম্মদ (লোকপ্রশাসন), মেহমুদ হাসান মুন্না (গণিত), রাজু নুনিয়া, (মাইক্রোবায়োলজি), নূর মোহাম্মদ প্রিন্স ( দর্শন ), বিকাশ মল্লিক (গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা), সজিব হাসান সাজ (সরকার ও রাজনীতি), ইমাম হোসেন (নৃবিজ্ঞান), আবদুল্লাহ আল জুবায়ের (প্রত্নতত্ত্ব ), আব্দুর রহমান সরকার ( পাবলিক হেলথ ও ইনফরমেটিক্স )।
উল্লেখ্য, সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটির সকলে ৪৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।
বঙ্গবন্ধু ছাত্র ফাউন্ডেশন , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সাঈদ বিন ইসলাম বলেন, “ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমাদের সকলকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে, আশা করি আমরা সকলে একসাথে হাতে হাত রেখে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বাস্তবায়ন ও জনকল্যাণে কাজ করতে পারবো।”
সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফুয়াদ হাসান বলেন, “ এই দেশের মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের কোন বিকল্প নেই, তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে”।
সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আইনুল হক বলেন, “ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং সেই আদর্শ বুকে নিয়ে জনকল্যাণে কাজ করতে হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০০২ সালে ২৫ শে জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন এডভোকেট মশিউর মালেক।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর প্রধান উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংগঠনটির বর্তমান নির্বাহী সভাপতি হলেন এডভোকেট মশিউর মালেক, সভাপতি হলেন, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ.কে আব্দুল মোমেন ও সাধারণ সম্পাদক হলেন, নূরুল ইসলাম ঠান্ডু।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বঙ্গবন্ধু ছাত্র ফাউন্ডেশন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর ছাত্র সংগঠন । শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু ছাত্র ফাউন্ডেশন গঠিত হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলামের স্ত্রী সাদেকুন নাহার ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পেয়ে ওই রোগীকে দেখতে ফল নিয়ে তার বাসায় গেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।
আজ শনিবার (১৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ওই আইনজীবীর বাসায় যান তিনি। এ সময় মেয়র আইনজীবীর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট তানজিম আল ইসলাম জানান, মেয়রের আগমন উপলক্ষে আজ (শনিবার) সকাল থেকেই খিলগাঁওয়ের একতা সড়কে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাস্তা পরিষ্কার শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১ টায় মেয়র সাঈদ খোকন আইনজীবীর বাসার সামনে পৌঁছান। এরপর তিনি সরাসরি তানজিমের বাসায় ফল নিয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় সাদেকুন নাহারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাদেকুন নাহার অসুস্থতার অভিজ্ঞতার কথা মেয়রকে জানান। এই এলাকায় আর বেশিদিন থাকবেন না বলেও মেয়রকে জানান তিনি। এ সময় অ্যাডভোকেট তানজিম মেয়রকে মশা নিধনে সব বিভাগের সমন্বয়ের পরামর্শ দেন। সাঈদ খোকন প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন।
আইনজীবীর বাসা থেকে বেরিয়ে মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি। নগর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে। সব শক্তি দিয়ে ডেঙ্গু মোকাবিলার জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সম্মানিত নাগরিকদের আহ্বান জানাচ্ছি—আপনারা সতর্ক থাকবেন। নাগরিকের সতর্কতা এবং কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে ডেঙ্গুমুক্ত শহর উপহার দিতে পারবো বলে আশা করি। নাগরিকদের বলবো—ভয়ের কিছু নেই, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই; আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
মেয়র আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ এসেছে। বিষয়টির আইনি প্রক্রিয়ার ব্যাপার রয়েছে। এটি আইন বিভাগের বিষয়। যে নাগরিক ক্ষুব্ধ হয়েছেন, মেয়র হিসেবে তার সঙ্গে থাকা, দেখা করা আমার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। দায়িত্ববোধ থেকে চলে এসেছি। আমার বোনকে দেখে এসেছি। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছি, তাকে আশ্বস্ত করেছি, সবাই মিলে অচিরেই ডেঙ্গুমুক্ত শহর গড়ে তুলবো।’
এ সময় অ্যাডভোকেট তানজিম বলেন, ‘মেয়র এসেছেন তার নৈতিক দায়িত্বের জায়গা থেকে। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাই। ৫০ লাখ টাকার বিষয়টি ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখলে হবে না, প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে দেখতে হবে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম লিগ্যাল নোটিশ পাঠান দক্ষিণ সিটি মেয়রকে। নোটিশে ওই আইনজীবী উল্লেখ করেন, ‘২৯ জুন আমার স্ত্রী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর পাঁচ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ হন। যেহেতু এডিস মশা নিধনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পুরোপুরি ব্যর্থ, তাই এর দায়ভার তাদের (মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নিতে হবে। এ কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এই নোটিশ পাঠানো হলো।’
ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি আগামী তিন দিনের মধ্যে খিলগাঁও এক নম্বর ওয়ার্ডে মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন ওই আইনজীবী। এসব দাবি না মানলে যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল বারপোতা সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমান ভারতীয় বাজি ও স্যান্ডেল আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা।
শনিবার সীমান্তের বারপোতা পাকারাস্তা উপর হতে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা ২৪ হাজার ৭শ ৬৮ পিস ভারতীয় বুড়িমার(বোমা)বাজি ও স্যান্ডেল আটক করেছে। যার মূল্য প্রায় ১৩ লাখ টাকা। এ সময় কোন পাচারকারীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি সদস্যরা।
৪৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সেলিম রেজা জানান.গোপন সংবাদে জানতে পারি চোরাচালানীরা ভারত থেকে বিপুল পরিমান ভারতীয় বুড়িমার বাজি ও স্যান্ডেল এনে বারপোতা গ্রামের একটি পাকারাস্তার উপর অপেক্ষা করছে। এমন সংবাদে রঘুনাথপুর বিওপি’র একটি বিশেষ দল অধিনায়কের পরিকল্পনা অনুযায়ী নায়েক মোঃ জাহিদুল ইসলাম, নায়েক জিবরুল, ল্যানস নায়েক শহিদুল ইসলাম, ল্যানস নায়েক এনামুল,সিপাহী শরিফ ও ইব্রাহিম সেখানে অভিযান চালিয়ে ২৪ হাজার ৭শ ৬৮ পিস ভারতীয় বুড়িমার বাজি ও ১৮ জোড়া স্যান্ডেল আটক করেন। অপর দিকে আমড়াখালি বিজিবি চেকপোস্টের সদস্যরা শনিবার বিকালে চেকপোস্ট চেক পয়েন্ট ভারতীয় ইমিটেশন,জামারপুতি ও গোল্ডেন সুতা আটক করেছে যার মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা।
আটক মালামালের মোট ১৬ লাখ টাকার সিজার মুল্য ধরে বেনাপোল কাস্টম হাউজে জমা দেওয়া হয়েছে।
শিশামশুজ্জোহা বিদ্যুৎ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শিবগঞ্জে গোয়েন্দা পুলিশ ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ ওয়াসিম(২৩) নামে এক যুবককে আটক করেছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুর সোয়া একটায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের বাবুপুর চালকি পাড়া গ্রামে সততা ইটভাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ দূর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের হাবিুবুর রহমানের ছেলে ওয়াসিম(২৩)কে হানেনাতে আটক করে। পরে ওয়াসিমের বিরুদ্ধে আইননুগ ব্যবস্থা গ্রাহন করা হবে বলে জানা গেছে।
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: দেশের দক্ষিন-পশ্চিম জেলা শহর যশোরের বেনাপোলকে উন্নয়নের দ¦ার প্রান্তে পৌছে দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা দেওয়া “বেনাপোল এক্সপ্রেস” নামের ট্রেনটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে জানালেন রেলওয়ে মহা পরিচালক মোঃ শামসুজ্জামান।
তিনি আজ শনিবার(১৩/০৭/২০১৯ইং)তারিখ সকাল ১০ টায় বেনাপোল স্টেশনে সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন। বেনাপোল টু ঢাকাগামী “বেনাপোল এক্সপ্রেস” নামের এই ট্রেনটি আগামী ১৭ই জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্ভোধন করবেন। সপ্তাহে ৬ দিন নন ষ্টপ এ ট্রেনটি বেনাপোল টু ঢাকা চলাচল করবে। ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী শোভন চেয়ার-৫৬৪ টাকা,এসি চেয়ার ১০১৩ টাকা(ভ্যাটসহ)এসি-সীট-১২১৩ টাকা,এসি ¯িøপার-১৮৬৯(ভ্যাট এবং বেডিং চার্জসহ)নির্ধারন করা হয়েছে।
রেলওয়ে মহ-পরিচালক ট্রেনটি চালুর ব্যাপারে বেনাপোলের স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,ব্যবসায়ী এবং গন্যমান্য ব্যাক্তীবর্গের সাথে সৌজন্য মুলক মত বিনিময় করেন। মহা-পরিচালকের সাথে উপস্থিত ছিলেন,রেলওয়ে চীফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার,ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার আনোয়ার হোসেন,জেনারেল ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম,চীফ সিগন্যাল এন্ড টেলিকম অফিসার অসীম কুমার তালুকদার,স্টেশন মাস্টার মোঃ সাইদুজ্জামান সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহ উদ্দীন আহম্মেদ,শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু,শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল, আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ নুরুজ্জামান,ভাইচ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান,শার্শা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন,যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল,যুবলীগ সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ.পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক এনামুল হক মুকুল,সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ নাসীর উদ্দীন,বেনাপোল সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজল, প্রেসক্লাব বেনাপোলের সভাপতি আলহাজ¦ মহাসিন মিলন,সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোলের সভাপতি মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,সাধারন সম্পাদক আয়ুব হোসেন পক্ষী,সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন,প্রচার সম্পাদক রাসেল ইসলাম,সহ-প্রচার সম্পাদক সেলিম রেজা তাজ,সদস্য মুক্তার হোসেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সর্দ্দার,সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন রাসেল,সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মন্টু,বাস্তহারালীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
এনামুল ইসলাম রাজশাহী প্রতিনিধি ঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বিভিন্ন অফিস পরিদর্শন করেছেন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আকস্মিকভাবে বিভিন্ন প্রশাসনিক অফিস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি প্রতিটি কক্ষে প্রবেশ করেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির খোঁজ-খবর নেন এবং অনুপস্থিতির তালিকা তৈরী করেন। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন রেজিস্ট্্রার (ভার:) এস এম আব্দুল লতিফসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
পরিদর্শনকালে ভাইস চ্যান্সেলর ড. রাশিদ আসকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিকীকরণের পথে এগিয়ে চলেছে। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। এজন্য প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সততা, দক্ষতা এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। তিনি সকলকে চাকুরী বিধি মেনে চলার আহবান জানান।
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধিঃ যশোরের বেনাপোল চেকপোষ্টে ইমিগ্রেশনের সুষ্টু ব্যবস্থাপনা ও পাসপোর্টযাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ায় শত শত পাসপোর্টযাত্রী দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ইমিগ্রেশনে স্বচ্ছতা ও বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ করায় যার কাজ সে করবে এধরনের কড়া পদক্ষেপ নেওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে বেনাপোল চেকপোষ্টে এলাকায় দেখা যায় পাসপোর্টযাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। কেউ ব্যাংকে লাইন দিয়ে ভ্রমন ট্র্যাক্স নিচ্ছে । কেউ ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করার জন্য আছে লাইনে দাঁড়িয়ে। এর ভিতর আষাড়ে বৃষ্টি। ছোট ছেলে মেয়ে ও রোগিদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে তাদের সাথে থাকা অভিভাবকরা। স্মরন কালের সীমাহীন দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে পাসপের্টযাত্রীদের বেনাপোল চেকপোষ্টে। এসব যাত্রীদের নিকট থেকে বিশ্রাম ও রৌদ বৃষ্টি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য চেকপোষ্টে আছে একটি আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল। সেখানে প্রবেশ করতে নেওয়া হচ্ছে প্রতিটি যাত্রীর নিকট থেকে ৪৫ টাকা। অথচ রিসিট দেওয়া হচ্ছে ৪১.৭৫ টাকা। সেখানে বৃষ্টি নামলেও প্রবেশ করতে দেয়নি পোর্টের নিয়োজিত আনছার, আমর্ড পুলিশ,ও পিমা নামে একটি নিরাপত্তা গ্রæপের নিরাপত্তা প্রহরী।
স্থানীয়রা জানান, এর আগে মাঝে মধ্যে বেনাপোল চেকপোস্টে পাসপোর্টযাত্রীদের দীর্ঘ সারী হয়েছে কয়েক বার। কিন্তু সম্প্রতি একটানা এধরনের লাইন হওয়ায় বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পাসপোর্টযাত্রীরা। তারা বলেন, ঢাকা সহ দেশের দুর দুরান্ত থেকে পরিবহনে আসা যাত্রীরা সব থেকে বেশী ভোগান্তিতে পড়ছে। কারন সারারাত জেগে থেকে সকালে বেনাপোল এসে ভ্রমন ট্র্যাক্স ও ইমিগ্রেশন কাস্টমস এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে বর্তমানে প্রায় কয়েক ঘন্টা অতিবাহিত করতে হচ্ছে।
খুলনা থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী নিলীমা শীল ( পাসপের্ট নং বিএফ ০৬১৬৭১৫) অভিযোগ করে বলেন বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের ট্যাক্স ৪৫ টাকা দিলেও তারা ভিতরে বৃষ্টি নামলে প্রবেশ করতে দেয়নি। এধরনের অভিযোগ আরো একাধিক যাত্রীর।
আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে অর্থ দিয়ে কিছু যাত্রী ভিতরে প্রবেশ করেছে এরকম প্রশ্নে ইমিগ্রেশন সুত্র জানায়, আমরাও বিষয়টি শুনেছি আজ প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে কিছু অনিয়ম হয়েছে। সেখানে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে কোন আনছার সদস্য যাত্রীদের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে আগে প্রবেশ করাতে না পারে।ইমিগ্রেশন পুলিশ সার্বোক্ষনিক যাত্রীদের টার্মিনালের সামনে কাউকে টাকা দিয়ে যাতে ভিতরে প্রবেশ না করে তার জন্য সতর্ক করছে।
ইমিগ্রেশন ওসি তদন্ত মাসুম বিল্লাহ বলেন, সঠিক ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ইমিগ্রেশনে কাজ চলছে। কোন প্রকার অনিয়ম হচ্ছে না। যার বই সে হাতে নিয়ে কাজ করছে ইমিগ্রেশনে। পাসপোর্ট যাত্রীদের কোন হয়রানি নেই। দ্রæত সকল যাত্রীদের কাজ করার কাজ চলছে বিরোতীহীন ভাবে। এখানে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে যা ঢাকা থেকে কি হচ্ছে সব কিছু দেখতে পারবে। অপর একটি সুত্র দাবি করে বলেন, ইমিগ্রেশনের জনবলও সংকট। এখানে ২৪ জন এসআই থাকার কথা সেখানে আছে ১৮ জন, এবং ৯ জন এ এসআই এর জায়গায় আছে মাত্র ৩ জন। এছাড়া সম্প্রতি পাসপোর্ট যাত্রীর সংখ্য পুর্বের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন(ধামরাই প্রতিনিধি) : ঢাকার ধামরাইয়ে আজ (১২ জুলাই) বিকেল ৫.৩০ মিনিটে বাংলার গৌরবময় এই সুপ্রাচীন ও প্রায় চার শত বছরের পুরোনো হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দেশের সর্ববৃহৎ রথ উৎসবের উল্টো রথযাত্র অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
ধামরাই যশোমাধব মন্দির পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি অজিত চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা উত্তর ক্রাইম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুর রহমান,ধামরাই উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন,
ধামরাই পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ধামরাই পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম, ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
গত ৪ জুলাই বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে রথ উৎসবের শুরু হয়েছিল,আজ ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। মেলায় নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে,মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে পুলিশ র্যাব গোয়েন্দা বাহিনী সহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছেন। আজ ঠিক উল্টো রথেও একই ব্যবস্থা গ্রহন করার হয় বলে জানালেন ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা ।
প্রতি বছরের মতো এবারো পুরো অনুষ্ঠানাটি পরিচালনা করেছেন ধামরাই মাধব মন্দির ও রথ মেলা কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন।
ভারতের পুরি ও মাহেশের রথের পরেই উপ মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধামরাইয়ের এই রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে রথ উৎসবের শরু থেকেই সাধারন মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রতি দিন হাজার হাজার ভক্ত আগত দর্শকদের ভীড়ে মেলাঙ্গন জমজমাট, রথ মেলাকে কেন্দ্র করে মেলাঙ্গন জুড়ে বসছে সহস্রাধিক বিভিন্ন শ্রেণীর ষ্টল।
আজ ৯ দিন পর আজ ১২ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্টো রথযাত্রার এ উৎসব। পূর্বের ন্যায় মাধব ও তার সহচরদের রথে চড়িয়ে পুনরায় ভক্তরা টেনে এনেছে পূর্বের স্থান ধামরাই পৌর এলাকার কায়েতপাড়াস্থ রথখোলায়। এখান থেকে মূর্তি গুলি চলে যাবে পুরোনো মাধবের নিজ আলয় মন্দিরে।
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আযহা। আর মাত্র কিছুদিন পরেই কুরবানি ঈদ। এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কুরবানি করা। ঈদ-উল আযহা সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন যশোরের শার্শা উপজেলার কামার শিল্পের কারিগররা। কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন সব ধারালো সামগ্রী। তবে এসব তৈরিতে এখনো আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। পুরানো সেকালের নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো সামগ্রী তৈরির কাজ। তবে দ্রব্য মূল্যের দাম কিছুটা বেশি এবং ঈদের এখনও বেশ কিছুদিন বাকি থাকায় জমে উঠেনি দা, কাচি, হাসুয়া, কোপা, ছুরি চাপাতির বেচাকেনা। ফলে এই মুহুর্ত্বে অলস সময় পার করছে ব্যবসায়ীরা।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম হচ্ছে ঈদুল আযহা। আর এই ঈদে মুসলিম ধর্মের অনুসারীরা আল্লাহকে রাজি খুশি করতে পশু জবাই করে থাকে। এই পশু জবাইয়ের জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি। মাংস কাটা এবং কুরবানির পশু জবাই করার বিভিন্ন ধাপে ছুরি, দা, চাপাতি এসব ব্যবহার করা হয়। ঈদের বাকি আরও বেশ কিছুদিন। তাই পশু কুরবানিকে কেন্দ্র করে কামার পল্লীগুলো অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করছে।
দগদগে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সার্গেদের পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামার পল্লীগুলো। প্রস্তুত করছেন জবাই সামগ্রী। ঈদে শত শত গরু, খাসি, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি পশু কুরবানি করা হয়ে থাকে। এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার চূড়ান্ত প্রস্তুত পর্যন্ত দা-বঁটি, ছুরি, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ার আবশ্যকীয় হয়ে যায়। ঈদের আগেই পশু জবাই করার ছুরি, চামড়া ছাড়ানোর ছুরি, চাপাতি, পস্টিক ম্যাট, চাটাই, গাছের গুঁড়িসহ সবকিছু প্রস্তুতি রাখতে হয়।
দেশি চাপাতিগুলো কেজি হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতি কেজি ওজনের চাপাতির দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া বিদেশি চাপাতির দাম ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা জানান, সারাবছর বেচাকেনা কিছুটা কম থাকে। কোনোরকম দিন যায়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। কুরবানির ঈদের আগে এক সপ্তাহ ভালো বেচাকেনা হয়। ওই সময় দামও ভালো পাওয়া যায়। লোহার তৈরি ছোট ছুরি ৬০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জবাই ছুরি মিলছে ৫০০-৬০০ টাকায়।
বিভিন্ন সাইজের চাপাতি ৬০০-৮০০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। দা-বঁটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখনো পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়নি। ঈদের গরুর বাজার এখনো ভালোভাবে শুরু না হওয়াকেই কারণ হিসেবে উলে¬খ করেন। আগে মানুষ গরু কিনবে পরে ছুরি-চাপাতিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কিনবে। তবে কবে থেকে পুরোদমে বেচা কেনা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়।
তবে এবছর অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার বেচাকেনা ভালো হবে বলে আশা করেন তারা। ঈদের বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি। আরও পরে শুরু হবে। তবে আমরা এখন বানিয়ে রাখতেছি পরে শুধু বিক্রি করব। সারা বছর কাজ না থাকলেও কুরবানির ঈদের এ সময়টা বারবারই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের।
কামাররা জানায়, এ পেশায় অধিক শ্রম, জীবিকা নির্বাহে কষ্ট হলেও শুধু বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পেশাটিকে তারা এখনও আঁকড়ে ধরে আছেন। বিভিন্ন সময় এসবের চাহিদা কম থাকলেও কুরবানির পশুর জন্য বেশি প্রয়োজন হওয়ায় সকলেই এখন ছুটছেন কামারদের কাছে। আর এতেই এক মাসে পেশাটি জমজমাট হয়ে উঠেছে। কামাররা এই ঈদ মওসুম ছাড়া কাস্তে, হাঁসুয়া, পাসুন, বাঁশিলা, কুড়ালও তৈরি করে থাকেন।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, কুরবানির ঈদের আরও বেশ কিছুদিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছেন। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, কাটারির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা। লোহার পাশাপাশি স্টিলের ছুরি চাকুও বিক্রি হয় অনেকাংশে।
সাঈদ বিন ইসলাম জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিনের বিরুদ্ধে রিক্সাচালক, কর্মচারী মারধর ও এক সংবাদ উপস্থাপিকাকে উত্যক্ত, মাদক গ্রহণ, করা সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ থাকলেও এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, একাধিক অভিযোগের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মো. শরিফ মিয়াকে মারধরের বিচার চাইলে তিনি সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উক্ত ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেন। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রায় চার মাস অতিবাহিত হলেও ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে একাধিক অভিযোগ এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচারের কথা থাকলেও সুদীপ্ত শাহীনকে স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এখন পর্যন্ত কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তা বলতে পারব না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদিপ্ত শাহীনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের বিষয়টি সত্য। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী শিগগিরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এর আগে তদন্ত চলাকালীন এক কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলেও সুদীপ্ত শাহীনকে অব্যাহতি না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। এ বিষয়ে কথা বলতে পরবর্তীতে দেখা করার জন্য বলেন।
নিরাপত্তা কর্মকর্তার লাগামহীন আচরণ ও বিচারকার্যে বিলম্বের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে সুষ্পষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। মৌখিক অভিযোগ না করে কেউ লিখিতভাবে জানালে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এছাড়া পূর্বের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে গেলে বাংলা ভিশনের সংবাদ উপস্থাপিকা রাফিয়া জাহান সাবরিনকে উত্যক্ত করা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণ, বহিরাগতদের কাছে চাঁদাবাজি, রিক্সাচালকেদের মারধর ও রিক্সা ভাংচুরের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও কর্তা ব্যক্তিদের সাথে সুসম্পর্কের জোরে সে এ ধরণের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।