রহস্যজনক ভাবে আটকে আছে জাবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শাহীনের বিচার ।

Loading

সাঈদ বিন ইসলাম জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিনের বিরুদ্ধে রিক্সাচালক, কর্মচারী মারধর ও এক সংবাদ উপস্থাপিকাকে উত্যক্ত, মাদক গ্রহণ, করা সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ থাকলেও এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, একাধিক অভিযোগের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মো. শরিফ মিয়াকে মারধরের বিচার চাইলে তিনি সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উক্ত ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেন। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর প্রায় চার মাস অতিবাহিত হলেও ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে একাধিক অভিযোগ এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচারের কথা থাকলেও সুদীপ্ত শাহীনকে স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এখন পর্যন্ত কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তা বলতে পারব না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদিপ্ত শাহীনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের বিষয়টি সত্য। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী শিগগিরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এর আগে তদন্ত চলাকালীন এক কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলেও সুদীপ্ত শাহীনকে অব্যাহতি না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। এ বিষয়ে কথা বলতে পরবর্তীতে দেখা করার জন্য বলেন।
নিরাপত্তা কর্মকর্তার লাগামহীন আচরণ ও বিচারকার্যে বিলম্বের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে সুষ্পষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। মৌখিক অভিযোগ না করে কেউ লিখিতভাবে জানালে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এছাড়া পূর্বের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে গেলে বাংলা ভিশনের সংবাদ উপস্থাপিকা রাফিয়া জাহান সাবরিনকে উত্যক্ত করা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণ, বহিরাগতদের কাছে চাঁদাবাজি, রিক্সাচালকেদের মারধর ও রিক্সা ভাংচুরের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও কর্তা ব্যক্তিদের সাথে সুসম্পর্কের জোরে সে এ ধরণের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।