28 C
Dhaka, BD
শনিবার, জুন ২১, ২০২৫

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে তাকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও চিকিৎসার পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে আরও কিছুদিন সিঙ্গাপুরে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আবু নাসের টিপু ।

তিনি জানান, বিকেলে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসক। কাদেরের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে পরে দেশে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

গত ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরে কার্ডিও থোরাসিক সার্জন, ডা. সিবাস্টিন কুমার সামির নেতৃত্বে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। ২৬ মার্চ তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র-আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

যশোরের ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক

যশোর জধন ৬ ক্যাম্পের সদস্যরা বুধবার ভোরে বাঘারপাড়া ও শংকরপুর এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৮৫ বোতল ফেনসিডিল সহ সরোয়ার (৫৫)ও শাহানুর রহমান রবি(৪৫)নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।

আটক সরোয়ার বাঘারপাড়া থানার বোয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা তাকে ৩৩ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করেন এবং শাহানুর রহমান রবি যশোর কতোয়ালী থানার শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা তাকে ১৫২ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করেন।

এ সময় আটকদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল,৪টি সিম কার্ড ও ১টি মেমোরি কার্ড উদ্ধার করেন।

যশোর জধন ৬ ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ সুরাত আলম জানান.গোপন সংবাদে জানতে পারি যশোরের বাঘারপাড়া বোয়ালিয়া বাজার এলাকায় সরোয়ার নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘ দিন যাবত ফেনসিডিল এর ব্যবসা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে জধন এর একটি টিম সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩৩ বোতল ফেনসিডিল সহ সরোয়ার কে হাতেনাতে আটক করা হয়।

অপর দিকে যশোর শংকরপুর এলাকার শাহানুর রহমান রবি নামে এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে ১৫২ বোতল ফেনসিডিল সহ হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।

আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে যশোর সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

দীর্ঘ এক বছর যাবত বেতন পাচ্ছেন না রাজশাহীর নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা ।

মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে এক বছরের বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজশাহী আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ারের তিনটি কেন্দ্রে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় গেটে তালা দেয়া। এ বিষয়ে জানতে কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন-সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমাদের এক বছর যাবত বেতন বন্ধ এবং ২০১৮ সালের দুইটি ঈদ বোনাসও দেওয়া হয়নি নিরুপাই হয়ে আমরা কর্মবিরতির পথ বেছে নিয়েছি।

বন্ধ সেন্টারগুলো হলো পঞ্চবটি, কাজলা, ডাশমারি এবং কালকের ভেতর আরও দুইটি সেন্টার মেহেরচন্ডি, বুথপাড়া বেতন না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে থাকবে। তিনি জানান এখানে পাঁচটি সেন্টারে মোট আমরা ৪৫জন কর্মরত আছি। তিনি আরও বলেন আমার মানবেতর জীবনযাপন করছি তিন বছরের আমার একটি ছেলে আছে তার জন্য দুধ কিনবো সেই টাকা আমার কাছে নেই। কর্মরত বেলাল হোসেন জানান প্রতিবেশির কাছে ধার করে সংসার চালাচ্ছি।

কেউ এখন আর ধার দিতে চাইনা। আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এভাবে আর কিছুদিন গেলে মাথাগোজার ঠাই শেষ সম্বলটুকু আমার বাড়ি সেটা বিক্রি করতে হবে। কর্মরত পলাশি দত্ত বলেন আমার বিয়ের সময় মায়ের বাসা থেকে কিছু গয়না পেয়েছিলাম সেগুলো বিক্রি করেছি। বিক্রি করার মতো আর কিছু নাই। আমার ছেলেমেয়ের পড়াশুনা বন্ধের পথে স্কুলে বেতন দিতে পারছিনা। অনেক ধারও হয়েগেছে কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ারে সেবা নিতে আসা অনেকে সেবাবঞ্চিত হয়ে ঘুরে যাচ্ছে। পঞ্চবটি এলাকার চেনবানু বলেন সকাল থেকে আমার পেট ব্যাথা এখানে একটু চিকিৎসা নিতে এসে দেখি তালা মারা এখন কোথায় যাবো। সদ্য প্রসুতি আমেনা বেগম জানান ডাক্তার আমাকে প্রায়ই চেকআপ করতে বলেছে কিন্তু এসে দেখি বন্ধ কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। এ বিষয়ে জানতে পাঁচটি সেন্টরের দ্বায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার আপেল মাহমুদ বলেন আমরা চেষ্টায় আছি এটা যত দ্রæত সম্ভব হেডকোয়াটারে কথা বলে সমাধানের।

শার্শায় অস্ত্র গুলিসহ আটক -১

যশোরের শার্শায় অভিযান চালিয়ে একটি ওয়ান শুটার গান ও এক রাউন্ড গুলিসহ লিটন হোসেন (৩৮)নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করেছে শার্শা থানা পুলিশ।

বুধবার সকালে উপজেলার চটকাপোতা সানরাইজ নামের একটি ইটের ভাটার সামনে থেকে এ অস্ত্র ও গুলিসহ তাকে আটক করা হয়। আটক লিটন হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার গয়ড়া গ্রামের মৃত আনছার আলী মোড়লের ছেলে।

পুলিশ জানায়,গোপন সংবাদের মাধ্যামে জানতে পারি একজন ব্যবসায়ী অস্ত্র নিয়ে শার্শার চটকাপোতার সানরাইজ নামে একটি ইটের ভাটার সামনে অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই বাবুল আক্তার সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে লিটন হোসেনকে আটক করে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে একটি ওয়ান শুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে শার্শা থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে।

বেনাপোলে ঠিকাদারের অবহেলায় মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত-১

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের সামনে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় মোস্তফা মাহমুদ (সুমন) (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার সময় বেনাপোল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুমন শার্শা উপজেলার উত্তর বুরুজ বাগান গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে।

জানা যায়, রাত সাড়ে ৯টা সময় আকর্ষিক ঝড় ও শীলা বৃষ্টির মধ্যে সুমন বেনাপোল থেকে মোটর সাইকেল যোগে দ্রত বাড়ি ফেরার পথে ফায়ার সার্ভিসের সামনে রাস্তায় নির্মানাধীন কালভার্টের পাশে আটকে থাকা বাঁশের সাথে ধাক্কা লাগে। এ সময় বাঁশের একটি মুখ সুমনের বুকের এক পাশ দিয়ে ঢুকে যায় এবং গুরুতর আহত হয়ে পড়ে থাকে। পরে রাস্তায় চলাচল কারী লোকের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাধারন জনগন অভিযোগ করে বলেন এখানে বড় গর্ত করা হয়েছে অথচ যানবাহন অথবা অন্যান্য বাহন যাতায়াত করার সময়সর্তকতা করার জন্য এখানে কোন লাল কাপড় বা গর্ত স্থানটি বাঁশ দিয়ে ঘেরা দেয়া ছিল না, এজন্য অকালে একটা মানুষের জীবন চলে গেলো, এর জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদার সহ তার প্রতিষ্ঠান।এদের কে আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় নিয়ে আসলে ভবিষ্যতে এরকম ভাবে অকালে কোন মায়ের কোল খালি হবে না।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: নাজমুন নাহার রানী জানান, দূর্ঘটনায় আহত সুমন নামে একজনকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রাথমিক ভাবে পরিক্ষা করে দেখা যায় হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

মাদক নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধে শার্শায় বিজিবি’র মতবিনিময় সভা

যশোরের শার্শায় মাদক নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধে বিজিবি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শালকোনা বিজিবি ক্যাম্পে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কাশিপুর কোম্পানি সদর ক্যাম্পের সুবেদার গোলাম সরোয়ার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, যশোর ৪৯বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সেলিম রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ৪৯বিজিবি টুআইসি মেজর নজরুল ইসলাম।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,শাড়াতলা সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসানুজ্জামান লাল, ডিহি ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আলী, প্যানেল চেয়ারম্যান আমির হোসেন রানা প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, লক্ষণপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম,ডিহি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম, মোমিনুর রহমান, তরিকুল ইসলাম।

এ সময় বিজিবি সদস্য, শিক্ষক, বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথি মাদকের সুফল-কুফল সীমান্তে অবৈধ পারাপার, মাদক, নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধে বিজিবি কে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার চাঁদলাই মিরের বাগানে অভিযান চালিয়ে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা পৌর এলাকার নাখরাজপাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ রানা(৪২) ও শিবতলা এলাকার পশুপতির ছেলে অরুন(৪৫)।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোঃ আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ জানান,গোপন সংবাদের ভিওিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬ টার সময় চাঁদলাই মিরের বাগানে আব্দুর রকিবের বাড়ি থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।এঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন শেষে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

শিবগঞ্জের মাসুদপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুইজন চোরাচালানী নিহত ও ১৪ জন গুলিবিদ্ধ

চাঁপইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জের মাসুদপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুইজন চোরাচালানী নিহত ও মামুন সহ ১৪জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়ে গোপনে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এলকাবাসী ও নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়ননের মাসুদপুর সীমান্তর ৪/৫ ১এস নং পিলার এলাকা দিয়ে একদল চোরাচালানী ফেনসিডিল আনতে ভারতের শোভাপুর ক্যাম্প এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করলে ভারতের শোভাপুর ক্যাম্পের বিএসএফরা টের পেয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই দুই জন নিহত হয়।

নিহতরা হলো মনাকষা ইউনিয়নাধীন তারাপুর মড়লপাড়া গ্রামের কালু মন্ডলের ছেলে হিল্লোল ওরফে মিলন(২৭) ও একই ইউনিয়নের আলহাজ আফসার আলির ছেলে সেনারুল ইসলাম সেনা(৩২)।নিহতদের মধ্যে মিলনের লাশ ঝড়– ডিলারের আম বাগানে পড়ে আছে। সেনারুল ইসলামের লাশের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে এলাকাবাসী জানান। তবে অন্য একটি গোপন সুত্রে জানা গেছে সেনারুলের লাশ বিনোদপুর খাসের হাট এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আছে এবং এ সংবাদ লিখা পর্যন্ত লাশ গ্রহন করতে খাসের হাট যাচ্ছেন বলে এলাকার ইব্রাহিম জানান। আহতদের মধ্যে একই ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মর্তৃজার ছেলে মামুন(২৪) গুলিবিদ্ধ হয়ে গোপনে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে মনাকষা ইউপির ৮নং ওয়ার্ড সদস্য সমীর উদ্দিন ও ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিল সেনারুল ও মিলনের নিহতের সংবাদ নিশ্চিত করে বলেন এরা ফেনসিডিল ব্যাবসার সাথে জড়িত ছিল।তারা আরো বলেন ভোররাতে কয়েকরাউন্ড গুলির শব্দ শুনা গেছে।অন্যদিকে মিলনের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে তার দুই ভাই সুমন ও শামীম ও অজ্ঞাত আরো একজনকে মাসুদপুর বিওপির বিজিবির সদস্যরা ফেনসিডিল ব্যবসায়ী হিসাবে আটক করেছে ।এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল সাজ্জাদ সারওয়ার জানান, ঘটনাটি শুনেছি।আমরা খোঁজ নিয়ে পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানাবো যে নিহতরা গত রাতে মাসুদপুর বিওপির বিজিবির হাতে আটক তিনজন ফেনসিডিল ব্যবসায়ীদের আত্মীয় কিনা ।

যশোরের বেনাপোলে পুলিশের অভিযানে ফেন্সিডিলসহ পাচারকারী আটক

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশের অভিযানে ২৪ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ পাচারকারী আটক।

মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে পোর্ট থানার জরুরী অফিসার এসআই এইচ এম লতিফ, এএসআই শাহীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভবারবেড় গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২৪ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ জাহিদুল ইসলাম(১৮) নামে এক মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে। আটক জাহিদুল ইসলাম ভবারবেড় পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত মজিদ মোল্লার ছেলে।

পোর্ট থানার এসআই এইচ এম লতিফ আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি রাসেল ইসলামকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভবারবেড় গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক পাচারকারীকে আটক করি।আটক মাদক পাচারকারীকে মাদক আইনে মামলা দিয়ে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

নওগাঁয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে রমরমা বদলী বাণিজ্য

নওগাঁয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বদলী বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তীতে বদলী করার নিয়ম থাকলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বদলী করা হয়েছে। অপরদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বদলীকৃত আবেদন স্বাক্ষর করতে মিষ্টি খাওয়ার নামে শিক্ষকদের গুনতে হচ্ছে টাকা। অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন উপজেলার বদলী সংক্রান্ত দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের মাধ্যমে এ টাকা যাচ্ছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পকেটে। শিক্ষকরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে।

জানা গেছে, প্রতি বছরের জানুয়ারী থেকে মার্চ মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়মিত বদলী হয়ে থাকে। এ বছরের গত ৩১ মার্চ নিয়মিত বদলী হয়ে গেল। আর এ বদলীতে নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ব্যাপক বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ‘২নং শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ সহকারী শিক্ষক আব্দুল মতিন। বাড়ি একই উপজেলার বারাতল গ্রামে। তিনি রাজস্ব খাতে ১৬/০৬/২০০৩ ইং তারিখে উপজেলার ‘ব্যাশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ যোগদান করেন। সেখানে ২ বছর অবস্থান করে ‘ভরট্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ বদলি হন। এরপর ৩/৪/২০১২ ইং তারিখ থেকে এখন অবধি ‘২নং শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ চাকরি করছেন।
গত ২/০১/১৯ ইং তারিখে উপজেলার ‘মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ যাওয়ার জন্য আবেদন করলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেটি গ্রহণ করেননি। অথচ ২০০৭ সালে চাকরিতে যোগদান করা জুনিয়র শিক্ষক মাকসুদা খানমকে সেখানে বদলী করা হয়েছে।

এরপর সুযোগমত বদলগাছি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হবে বলে আব্দুল মতিনকে আশ্বস্থ করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। সেখানে তিনটি পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য পদের বিপরীতে ১৫/০১/১৯ ইং তারিখে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশ নিয়ে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেন তিনি। আর এ শূন্য পদের বিপরীতে ফয়জাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষক অনিল কুমার এবং জিধিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সানিয়া মির্জাকে আবেদনের প্রেক্ষিতে মার্চ মাসে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। কিন্তু আব্দুল মতিনকে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হবে দিচ্ছি দিবো বলে কাল ক্ষেপন করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

অপরদিকে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অপর একটি শূন্য পদের বিপরীতে গত ২৮/০৩/১৯ ইং তারিখে গোবরচাপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নুরুন নাহার নামে এক শিক্ষক বদলির জন্য আবেদন করলে স্থানীয়রা আপত্তি জানালে সেটি ফেরত দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তিতে আবারও তিনি আবেদন করলে সেটি গ্রহণ করেন শিক্ষা কর্মকর্তা। ২/০৩/২০০৩ ইং তারিখে নুরুন নাহার প্রকল্প থেকে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর ২০০৭ সালে রাজস্বে আসে।

মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষক আব্দুল মতিন বার বার শিক্ষা কর্মকর্তাকে তাগাদা দিলে তার কাছ থেকে শিক্ষা কর্মকর্তার ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃত জানালে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে নুরুন নাহারকে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদীল করা হয়।

২০০৯ সালে সহকারী শিক্ষক পদে নাহিদা সুলতানা নিয়োগ পেয়ে তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া জন্য এবছর শিক্ষা অফিসে আবেদন করেন। কিন্তু তার আবেদন মঞ্জুর না করে ২০১১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত কয়াভবানিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক উম্মে আতিয়াকে কোলা স্কুলে বদলী করা হয়।

গয়েশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাহমুদা খাতুন বদলির আবেদন করেছিলেন ‘২নং শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ শুন্য পদে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তাকে ওই স্কুলে বদলি না করে রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার ‘বনগাঁ চক-রহমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ শিক্ষক মিতালী কিসকুকে শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ নিয়ে আসার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। মিতালী কিসকু রবিবার (৩১ মার্চ) স্কুলে যোগদান করেছেন।

বদলগাছী উপজেলার ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক আব্দুল মতিন বলেন, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিত্বে বদলী করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বার বার তাগাদা দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করেন। বিষয়টি আমার পরিচিত এক ভাইকে জানানো হলে উল্টো শিক্ষা কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আমাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করেন। তিনি আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দিয়ে চাকরি খেয়ে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন বলে অভিযোগ করেন।

বিলাশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আফতাব হোসেন বলেন, আমি রাজনীতি পরিবারের সন্তান এবং নিজেও রাজনীতি করি। নিয়নপুর স্কুলের জায়গা দখল করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক দোকান করার প্রতিবাদে শিক্ষা অফিসে একটা দরখাস্ত দিয়। সেকারণে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান স্যার আমাকে অফিসে ডেকে রাজনীতি করতে নিষেধ করেন এবং উল্টো চাকুরি খেয়ে নেয়া ও মামলা করার হুমকি দেন। এসব বিষয় নিয়ে স্যার বিভাগীয় অফিসে আমার নামে অভিযোগ দিয়েছে। এ কারণে আমাকে গত মাসের ২৩ মার্চ নিয়নপুর স্কুল থেকে বিলাশবাড়ী স্কুলে বাড়ি থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু আমি বদলির জন্য কোন আবেদন করিনি। অনেকে আবেদন করেও বদলি হতে পারছেন না।

বদলগাছী উপজেলায় জ্যেষ্ঠতার বিচার না করে বিধি বর্হিভ‚ত ভাবে শিক্ষকদের বদলী করা হয়েছে। এ চিত্র বদলগাছীসহ জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার।

গত রবিবার (৩১ মার্চ) বদলির ছিল শেষ দিন। জেলা শিক্ষা অফিসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষকদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। তারা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সুপারিশ নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসে এসেছিলেন। অফিসের অফিস সহায়কের কাছে বদলির আবেদনপত্র জমা দিয়ে স্মারক নাম্বার নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আবেদনে স্মারক নাম্বার বসানোর পর শিক্ষকদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিচ্ছেন।

মান্দা উপজেলার এক শিক্ষিকার স্বামী গোলাম মোস্তফা বলেন, তার স্ত্রী খালেদা খানম উপজেলার ভারশোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ওই স্কুল থেকে কালীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির জন্য কাগজপত্র নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসে এসেছিলাম। তার আবেদনপত্রে স্মারক নাম্বার বসানোর পর অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলাম পরিচিত হওয়ায় কিছু টাকা মিষ্টি খেতে দিয়েছেন। তবে অনান্যদের কাছ থেকে ৪/৫ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকরা খুশি হয়ে মিষ্টি খাওয়ার জন্য কিছু টাকা দিয়েছেন। আমি কারো কাছ থেকে জোর করে টাকা নিয়নি। এবিষয়ে তো কারো কোন অভিযোগও নাই।

বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিত্বে শিক্ষকদের বদলি করা হয়েছে। প্রকল্প থেকে যেসব শিক্ষক আসছেন তারা যোগদানের পর থেকে জ্যেষ্ঠতা বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া ‘মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ বদলির জন্য আব্দুল মতিন আবেদন করেননি। আব্দুল মতিনকে হুমকি দেয়া হয়নি। তবে আমার যতটুকু ক্ষমতা ততটুকু বলা হয়েছে। ঘুষ দাবী করার বিষয়টি ভিত্তীহিন বলে দাবী করেন তিনি। এছাড়া বিভাগীয় অফিসের সুপারিশের ভিত্তিত্বে জেলার বাহির থেকে এক শিক্ষককে শেরপুর স্কুলে যোগদান করানো হয়েছে।

নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার কাজ শুধু আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করা। আমি সে দায়িত্ব পালন করে আবেদনপত্র ছেড়ে দিয়েছি। এছাড়া ভুক্তভোগী কোন শিক্ষকের নিকট থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি নিয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেননি।

সর্বশেষ আপডেট...