30 C
Dhaka, BD
শনিবার, জুন ২১, ২০২৫

জাবিতে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর জামাতাকে তুলে নিয়ে ‘ছিনতাই, মারধর ও মুক্তিপণ’ দাবি করার অভিযোগে পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রবিবার বিকালে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া ঘটনাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি অধিকতর তদন্তের জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বহিষ্কৃত পাঁচ শিক্ষার্থী কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অন্যদিকে অপরাধের বিষয়টি তাদের পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান।

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সঞ্জয় ঘোষ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের মোহাম্মদ আল রাজি, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের রায়হান পাটোয়ারী, দর্শন বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের মোকাররম শিবলু ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শাহ মোস্তাক সৈকত। সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
এদিকে আগের এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত বছর রায়হান পাটোয়ারীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গত শনিবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী আলমগীর হোসেনের জামাতা মোহাম্মদ মনির সরদার কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। বিশমাইল এলাকায় পৌঁছার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী তাকে ধরে বোট্যানিকাল গার্ডেন এলাকার ঝোঁপে নিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। এ সময় তাকে দিয়ে বাড়িতে ফোন করে ১ লাখ টাকা দাবি করে ছিনতাইকারীরা। মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাইয়ে বাধা দিলে তাদের

সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। তাকে মাদক চোরাকারবারি হিসেবে ধরিয়ে দেবে বলেও ভয় দেখায় তারা।
খবর পেয়ে আলমগীর হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী ঘটনাস্থলে যান। তারা তিনজনকে ধরতে পারলেও দুইজন পালিয়ে যায়। পরে পালিয়ে যাওয়া দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়।

ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেস হোসেন এগিয়ে,একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন স্থগিত।

ঢাকার ধামরাইয়ে রবিবার (৩১ মার্চ) পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ধামরাইয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়। সারাদিন ভোট গ্রহনের মাধ্যামে ১৪৮ কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৭ টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহন শেষ হলো । বাকী একটি কেন্দ্র তথা বাইসাকান্দা ইউনিয়নের কান্দাপটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট স্থগিতকরা হয়েছে।

কান্দাপটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দিতে সহায়তা করায় ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আবুল বাসার বাদশাকে আটক করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রনব কুমার। ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন ৪ জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নৌকা প্রতীকের মিজানুর রহমান মিজান।

স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেন (আনারস প্রতীক)। ঢাকা জেলা জাতীয় পাট্রির সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন খান মিলন লঙ্গাল প্রতীক। জাসদের আনোয়ার হোসেন মন্নু।ধামরাই উপজেলা মোট ভোটার ৩,২০,৩২২ জন।মোট ভোট কেন্দ্র ১৪৮ টি। মোট ভোট কাষ্ট হয়েছে ৮০ হাজার ৬৬৯ টি। বাকী একটি কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছে ১ হাজার ৮৯১ জন।১৪৭টি কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেস হোসেন ভোট পেয়েছেন ৪০ হাজার ৫৬৬টি । নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান পেয়েছেন ৩৯ হাজার ১টি। ১ হাজার ৫৬৫ ভোট বেশী পেয়ে মোহাদ্দেস হোসেন তার প্রতিদ্ধনদ্ধী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজানের চেয়ে এগিয়ে আছেন। জাতীয় পাট্রির দেলোয়ার হোসেন ল্ঙ্গাল প্রতীকে ৮৩৪ ভোট পেয়েছেন। মশাল প্রতীক নিয়ে শেখ আনোয়ার হোসেন মুন্নু পেয়েছেন ১২১ ভোট । এর আগে ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ।১৪৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৭টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ।

পরবর্তীতে ওই কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান সহকারী রিটার্নিং অফিসার আবুল কালাম আজাদ। বাকী একটি কেন্দ্রের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে ধামরাই উপজেলা পরিষদে কে হতে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান।

নওগাঁয় বহুতল একটি ভবনে আগুন ।

নওগাঁ শহরের ডাবপট্টি এলাকার একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (০১/০৪/১৯) বিকেল ৩টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সূত্র।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শহরের ডাবপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী মজনু রহমানের পাঁচতলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকেল ৩টার দিকে সদর উপজেলার ওই বহুতল ভবনের চারতলা থেকে হঠাৎ ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যেই পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নওগাঁর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসে। এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান ও পৌরসভার মেয়র নাজমুল হক সনি।

নওগাঁ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সবকিছু ঠিক আছে।

বিখ্যাত নারী মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অধ্যাপক ড.জেবুন্নেছা

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি মহাযজ্ঞ। এই যজ্ঞের কুশীলব ছিলেন এই ভূখণ্ডের ভেতরের মানুষ, দেশান্তরি মানুষ। আবার যাঁরা অনেক দূরে ছিলেন, তাঁরাও নতুন দেশের জন্মযন্ত্রণা অনুভব করেছেন। পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে অনেকের পক্ষেই যুদ্ধে যাওয়া সম্ভব হয়নি, হূদয়ে-মননে তারাও স্বাধীনতাকে ধারণ করেছেন।

স্বাধীনতার মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনেকটাই হয়ে পড়েছিল ভূলুণ্ঠিত। রাষ্ট্রের প্ররোচনায়ই নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছিল, বাঙালির আত্মত্যাগের মর্যাদাকে করা হচ্ছিল অবমাননা; উন্নয়নের নামে ইতিহাসের অমোঘ সত্যকেও করা হচ্ছিল অস্বীকার।

এ রকম একটা সময়েই বাংলাদেশের অনেক খ্যাতিমান লেখক ও গবেষক মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করেছেন,তুলে ধরেছেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্মৃতি ও আদর্শ। বর্তমানে অনেক বিখ্যাত লেখক ও গবেষক মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করছেন,যারা অন্ধকারে থাকা মুক্তিযুদ্ধের নানান বিষয় আলোতে এনেছেন।

তাদেরই একজন হলেন ড. জেবুন্নেছা, ইতিমধ্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ এবং অন্ধকারে থাকা মুক্তিযুদ্ধের নানা বিষয় আলোতে আনতে মুক্তিযুদ্ধের উপর গবেষণায় ইতিমধ্যে সাড়া জাগিয়েছেন । প্রাচ্যের ড্যান্ডি’ নামে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ জেলার শীতলক্ষ্যার তীর ঘেঁষে ‘সাহিত্য পল্লী’ নলুয়া । সেই পল্লীতে ০৭ ফেব্রæয়ারী,১৯৮০,২৩ মাঘ,১৩৮৬,১৯ রবিউল আউয়াল ১৪০০ হিজরী সনে সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে করিম ভিলা,সাত্যিাংগন,৭২ নলুয়া সড়কে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জেবউননেছা। তাঁর পিতা নারায়ণগঞ্জের ষাট দশকের বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার, চত্বর সাহিত্য স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত এবং নারায়ণগঞ্জের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত ও ১৩ টি গ্রন্থের প্রণেতা আলহাজ্ব মুঃ জালাল উদ্দিন নলুয়া। মাতা ‘অলংকার’ কাব্যগ্রন্থ ও ‘বেলা শেষের তারা’,ভালোবাসার তানপুরা’র লেখক এবং ‘এম.এ কুদ্দুস শ্রেষ্ঠ মা, ২০১৩’ পদকপ্রাপ্ত আলহাজ্ব লুৎফা জালাল।

জেবউননেছার কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ যেন সকালের ঝলমলে রোদের মত। এম.এস.এস পরীক্ষায় উত্তীর্ন হবার ২১ দিনের মধ্যে তিনি ইএনডিপি’তে জেন্ডার প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে তাঁর কর্মময় জীবন শুরু করেন। তারপর আর থেমে থাকেননি। একে একে চাকুরী পরিবর্তন করে নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি বাড়িয়েছেন । যথাক্রমে তিনি বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। অতঃপর তিনি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনে সহকারী পরিচালক ( প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১০ সনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি সহযোগী অধ্যাপক ,তিনি যতগুলো প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন। সকল স্থানে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ছিলেন। তিনি বিয়াম মডেল কলেজ এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রিয় শিক্ষক ছিলেন। তাইতো তাঁর বিদায় বেলায় ছাত্র-ছাত্রীরা কেঁেদ বুক ভাসিয়েছেন কেঁদেছেন তিনি ও । তিনি ও ছাত্র ছাত্রীদের প্রচন্ড রকমের ভালোবাসেন। তাইতো তাঁর রচিত ভ্রমণ কাহিনী ‘লক্ষ্যা থেকে পিয়াসী’ গ্রন্থের এক পর্যায়ে তিনি লিখেন ‘ছাত্রছাত্রীরা আমার প্রাণ,আমার হৃদয়। স্বীকার করছি তাদের খুব শাসন করি। কঠিন বকাঝকা দেই। কিন্তু অকপটে এটা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে, তাদেরকে আমি কতটা ভালোবাসি। হৃদয়স্থানে তাদের জন্য যে ভালোবাসা আছে। তা দেখা যায়না, যায়না স্পর্শ করা।’ এতটুকু বুঝতে বাকী নেই যে,জেবউননেছা কতটা মমতাময়ী শিক্ষক। বর্তমানে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিভাগের প্রথম নারী সভাপতি।

ড.জেবুন্নেছার জন্ম যদিও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রায় দশ বছর পরে। তবে ইতিমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও অজানা অনেকগুলো বিষয় আলোতে এনেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের এই শিক্ষক।

দেশের নানা প্রান্ত থেকে মুক্তিযুদ্ধের সমৃদ্ধ ঘটনা ও ইতিহাস সংগ্রহ ও গবেষণার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের বিষয়গুলোও তিনি বেশ গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রকাশিতব্য ‘এনসাইক্লোপেডিয়া অব বাংলাদেশ ওয়ার অব লিবারেশনে’র মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকথা এন্ট্রি লেখক হিসেবে লিখেছেন এই নারী গবেষক।

২০০৯ সনে তাঁর সম্পাদিত প্রথম গ্রন্থ ‘মুক্তিযুদ্ধ: বুদ্ধিজীবির দৃষ্টিকোণ ও অভিজ্ঞতা’ গ্রন্থের মুখবন্ধের এক পর্যায়ে তিনি লিখেন, ‘পারিবারিকভাবে বাবার কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে ভালোবাসতে হয় দেশকে। কিভাবে শ্রদ্ধা করতে হয় মুক্তিযোদ্ধাকে। আশি দশকের শেষের দিকে আমার বাবা কবি ও নাট্যকার মুঃ জালাল উদ্দিন নলুয়া রচিত ‘টাকার পাহাড় চাই’ নাটকের একটি সংলাপ ছিল ‘জন্মদাতা, কর্মদাতা, শিক্ষাদাতার মতোই আমি ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি দেশের মুক্তিদাতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের’। এই সংলাপটি তাঁর মনের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা সৃষ্টি করেছিল।’ তবে ১৯৯৫ সনের দিকে নিজ এলাকা নারায়ণগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।শিশু শিল্পী হিসেবে ছোটবেলা থেকেই মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কবিতা এবং নাটক পরিবেশন করে বেশ কিছু পুরস্কার কুঁড়িয়েছেন।

তাঁর রচিত গবেষণাগ্রন্থ ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ নামক গ্রন্থটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর রচিত ‘মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা’ প্রবন্ধ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘অগ্রপথিক’ মার্চ, ২০১৪ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। ‘একাত্তুরের যাত্রী’ নামক সংগঠন থেকে প্রকাশিত ‘একাত্তুরের নারী’ ম্যাগাজিনে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নারীদের নিয়ে লেখা ‘তোমাদেরকে জানাই সালাম’ লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নানা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

জাতীয় গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘টক শো’তে অংশগ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন সংগঠন থেকে আমন্ত্রিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বক্তব্য এবং সেমিনারে লেখা পাঠ করেন। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে আয়োজিত সেমিনারে ‘মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা’ নামক গবেষণাভিত্তিক লেখা পাঠ করেন। জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় তাঁর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একাধিক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নেটওয়ার্ক শিক্ষক হিসেবে গত ১০ বছর যাবৎ দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেবার জন্য শিক্ষার্থীবৃন্দদের নিয়ে তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ পরিদর্শন করেন। তিনি প্রতিবছর ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও অভিযাত্রী আয়োজিত “অদম্য পদযাত্রা”য় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের “সমন্বয়ক” হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সত্যিকারের কাহিনী নিয়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং ডকুমেন্টারী ফ্লিম করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি জানান, ধানমন্ডি সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের ‘টর্চার সেল’ মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ প্রকল্পে অন্তভূর্ক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে একনেকের অর্থায়নে একটি শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে।

১৯৭১ সালে ঢাকার ধানমন্ডি সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের নির্যাতনে ঘটনাটি তিনিই প্রথম আবিস্কার করেন। এর প্রেক্ষিতে বিষয়টি সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরবর্তীতে একনেকে ওই প্রকল্পটি উঠে।

ড. জেবউননেছার প্রকাশিত গ্রন্থ-‘আলোকিত নারীদের স্মৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ’ নামক গ্রন্থটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচী’র অন্তর্ভূক্ত। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরের রংপুর হাউসে অবস্থিত দু’জন শহীদ জালাল উদ্দিন হায়দার রানা এবং তৌফিক সাত্তার চুন্নার কবরকে শহীদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্য কাজ করছেন।
তিনি খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের স্মৃতিকথা সম্বলিত ‘সূর্য সন্তানদের ৭১ এর স্মৃতি’ নামক গ্রন্থ সম্পাদনা করেন। তিনি ১৯৫২ এর সত্যিকারের ইতিহাস নিয়ে মুঃ জালাল উদ্দিন নলুয়া রচিত ‘বাংলা আমার বাংলা’ নামক একুশভিত্তিক নাটক সম্পাদনা করেন। উক্ত দুটি গ্রন্থ স্বনামধন্য প্রকাশনী “অনন্যা প্রকাশনী” থেকে প্রকাশিত হয়েছে।তিনি মুঃ জালাল উদ্দিন নলুয়া রচিত ‘বঙ্গবন্ধু একুশ নির্বাচিত কবিতা’ নামক কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি তরুণ মুক্তিযুদ্ধ গবেষক হিসেবে বিনোদনধারা পারফরম্যান্স এ্যাওয়াড, বিশেষ সম্মাননা-২০১৪,আমরা কুঁড়ি পদক-২০১৪, বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পুরষ্কার -২০১৩ এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক পরিষদ (বাসাপ এ্যাওয়ার্ড)-২০১৩ অর্জন করেন।

ধামরাইয়ে নৌকা প্রতীকে জালভোটের সহায়তা করায় প্রিজাইডিং অফিসার গ্রেফতার।

ঢাকার ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীকে জালভোট প্রদানে সহায়তা করায় সাটুরিয়া উপজেলার নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ও ধামরাইয়ের আমছিমুর সেছিপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ আবুল বাশারকে গ্রেফতার করে কর্তব্যরত আইন শৃংখলা বাহিনী।

আজ রবিবার(৩১মার্চ) বেলা ৩ঘটিকার সময় ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের কান্দাপটল ভোট কেন্দ্রে এই জালভোটের সহায়তা করার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এলাকাবাসি সুত্রে জানাযায় বেলা ৩ঘটিকার সময় নৌকার প্রতীকে সীলমারার সময় বাহির থেকে ও এজেন্টের মাধ্যমে জানতে পেরে কর্তব্যরত আইন শৃংখলা বাহিনী প্রিজাইডিং অফিসার আবুল বাশারকে গ্রেফতার করে।

বেতনের দাবিতে রাজশাহী জুট মিল শ্রমিকদের বিক্ষোভ

রাজশাহীর কাটাখালীতে অবস্থিত জুট মিলে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করে শ্রমিকরা।

আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে মিলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল নিয়ে তারা মেইন গেটে গিয়ে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। ১০ মিনিট তারা মহাসড়কে অবস্থান করে।

বিক্ষোভে জুট মিলের প্রায় ৮০০ শ্রমিক অংশ নেন। পরে মিল চত্তরে গিয়ে পথসভা করে দ্রুত বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের দাবি জানান শ্রমিকরা। এ সময় এক এপ্রিলের মধ্যে বকেয়া বেতন-ভাতা দেয়া না হলে ২ এপ্রিল থেকে ৭২ ঘন্টার ধর্মঘট ডাকার আল্টিমেটাম দেন তারা।
শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, গত জানুয়ারি মাস থেকে জুট মিলে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। এছাড়াও মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন ও উৎসব ভাতা প্রদানসহ ৯ দফা দাবি রয়েছে তাদের।

দাবি মানা না হলে ধর্মঘটের কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে শ্রমিকরা বলে জানান তিনি।

আত্রাইয়ে ইউএনও বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনায় গরুর মাংস দিয়ে রান্না খাবার দেওয়ার অভিযোগ

নওগাঁর আত্রাইয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে গরুর মাংস দিয়ে রান্না করা খাবার দেওয়া সহ স্থানীয় বণিক সমিতির কাছ থেকে পর্যাপ্ত চাঁদার টাকা না পেয়ে তা ফেরত দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে চলছে নানা গুঞ্জন। মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলাবাসীর মধ্যে একধরনের মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত বলে মনে করেন মুক্তিযোদ্ধা ও সচেতনরা।

জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা, সার ডিলার, সোনার দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে। জাতীয় দিবসের দিনে অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও স্থানীয়দের জন্য গরুর মাংস দিয়ে দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। জাতীয় এধরনের অনুষ্ঠানে কেন গরুর মাংস দিয়ে খাবার করা হয়েছে তা নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন। মুক্তিযোদ্ধা ও উপজেলাবাসীর মধ্যে একধরনের মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা বুদ্ধেশর বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে যা হয়নি তা এবার হয়েছে। এযাবতকাল জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে কখনো গরুর মাংস দেয়া হয়নি। কিন্তু এবার গরু রান্না করা হয়। হিন্দু যারা আছেন তাদের জন্য অবশ্য আলাদা করা হয়েছে। যেখানে ভাতের সাথে মুরগি ও ডিম ছিল। তবে সে খাবারটি গরুর মাংসের পাত্রেই রান্না করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
মুক্তিযোদ্ধা নৃরেন্দ্রনাথ দাস বলেন, একাজ টি করা মোটেও ঠিক হয়নি। আগে বললে তো আমরা প্যাকেট নিতাম না। জাতীয় অনুষ্ঠানে সব ধরনের জাতী থাকবে। আর সেখানে গরুর গোস্ত মোটেও কাম্য নয়। আমরা মুক্তিযোদ্ধা একসাথে এক খাবার খেতে চেয়েছিলাম সেটা হলো না।

উপজেলার পাচুঁপুর ইউনিয়ন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী রুহুল ইসলাম বলেন, আমাদের মতামতকে ইউএনও স্যার কখনোই প্রাধান্য দেননি। তিনি নিজে যা ইচ্ছে তাই করে চলেছেন। আমরা হিন্দু-মুসলমান মুক্তিযোদ্ধা যারা আছি সবাই একসাথে এক রান্না খাব। কম খরচে আমরা মুরগি খেতে চেয়েছিলাম। প্রতিবছর মুরগি দিয়ে আমরা অনুষ্ঠান করি। কিন্তু সেটা এবার হয়নি। মুসলমান হয়েও অনেকে তো গরু খাইনা। এসব অনুষ্ঠানে গরুর গোস্ত দিয়ে রান্না করা মোটেও ঠিক হয়নি। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেই ক্ষুদ্ধ। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের জন্য ৩০ হাজার টাকা দিয়েছি। আমার উপজেলায় ২২৩ জন মুক্তিযোদ্ধা আছি। এর মধ্যে কয়েকজন মারা গেছে। নিহতদের স্ত্রীসহ ২৩০ জনের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এবার কোন ধরনের আলোচনা হয়নি। আর এসব কারনে বৃস্পতিবার প্রহেলা বৈশাখের প্রস্তুতি সভা আমরা বয়কট করেছি।

আত্রাই উপজেলা বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোরশেদ আলম পারভেজ বলেন, প্রতিবছরই জাতীয় অনুষ্ঠানে আমরা কিছুটা সহযোগীতা করে থাকি। এবারও সহযোগীতা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এবার আমাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। হয়ত ইউএনও স্যারের চাহিদা একটু বেশি ছিল। কিন্তু আমরা তা না বুঝে কম দিয়েছি। আর একারণে আমাদের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। তবে আমরা চাপের মধ্যে আছি।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ছানাউল ইসলাম বলেন, সরকারি কোন বরাদ্দ এখনো আসেনি বা পাইনি। আমরা সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠান শেষ করেছি। গরুর মাংস খেয়ে অনেকেই আনন্দিত। হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা রান্না করা হয়েছিল। আমার জানামতে কেউ ব্যাথিত হয়নি। এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগও করেনি। তবে চাঁদার টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননা ।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উলাশী কিন্ডার গার্টেনে পুরস্কার বিতরন ও আলোচনা সভা ।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উলাশী কিন্ডার গার্টেনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে শনিবার ৩০শে মার্চ বিকাল ৩টার সময় উলাশী কিন্ডার গার্টেন প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠান করা হয়েছে। উলাশী কিন্ডার গার্টেনের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন শিল্পীরা অংশ গ্রহণ করেন।

বিভিন্ন ধরনের দেশীয় খেলাধুলায় ও মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথী উলাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আয়নাল হক,বিশেষ অতিথী ইউপি মেম্বার তরিকুল ইসলাম মিলন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম, ইউপি সদস্য অহিদুজ্জামান মুরাদ, সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোলের সভাপতি সাহিদুল ইসলাম শাহিন,সেক্রেটারী আয়ুুব হোসেন পক্ষী, মুনছুর আলী, প্রধান শিক্ষক উলাশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মজনুর রহমান আহŸায়ক স্বাধীনতা দিবস উযযাপন কমিটি।সোহারাব হোসেন যশোর জেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন,উলাশী নতুন কুঁড়ি এডাস স্কুলের সভাপতি আজিজুল হক।অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন উলাশী কিন্ডার গার্টেনের প্রধান শিক্ষক জাহিদ হাসান।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জাকির হোসেন লালটু প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি উলাশী কিন্ডার গার্টেন, অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিলেন সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোল।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সীমান্ত প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সহঃ সাংগঠনিক তামিম হোসেন সবুজ দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সেন্টু,প্রচার সম্পাদক রাসেল ইসলাম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন, সদস্য লোকমান হোসেন রাসেল, সবুজ মাহমুদ, মাসুদ রানা,মুক্তার হোসেন সহ অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী বৃন্দ।

পরিশেষে উলাশী কিন্ডার গার্টেনের বিভিন্ন দাবী-দাওয়া প্রধান অতিথী চেয়ারম্যান আয়নাল হক পূরনের আশ্বাস দেন।

জাবিতে এরশাদের ‘জাতীয় ছাত্র সমাজ’এর আত্মপ্রকাশ

পল্লী বন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় কার্যবিধি অনুসারে “জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা”র আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।
এতে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪২তম ব্যাচের মাসউদী হাসান মামুনকে আহ্বায়ক এবং ইতিহাস বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শহীদ হাসান সৈকতকে সদস্য সচিব মনোনীত করে কমিটি প্রণয়ন করা হয়েছে।

এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- মাহমুদুল হাসান মুজাহিদ, শাহাদাত হোসেন শামীম, জুয়েল আহমেদ, আবু হাসান, রোদিয়া হোসেন, নাহিদ আহমেদ সবুজ, ইব্রাহিম খলিল আপন, রায়হান আহমেদ, সবুজ সরকার শুভ, মোঃ এরশাদুল হক, মোঃ তানজীব।
এর আগে গত ২৭ মার্চ জাতীয় ছাত্র সমাজের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই কমিটি অনুমোদন দেন জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মোড়ল জিয়াউর রহমান ও সদস্য সচিব ইয়াসিন মিসবাহ্।

এদিকে আজ শনিবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ছাত্র সমাজ জাবি শাখার আহ্বায়ক মাসউদী হাসান মামুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘শিক্ষা শান্তি উন্নয়ন প্রগতি- এই শ্লোগানকে ধারণ করে কেন্দ্রীয় নির্দেশে আত্মপ্রকাশ করেছে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাবি শাখা।

‘অস্ত্র ছেড়ে কলম ধর, সুশৃঙ্খল জীব গড়’ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এই বাণীকে বাস্তব রূপদানে অমাদের চেষ্টা থাকবে নিরন্তর। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও সমঝোতার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে এই ছাত্র সংগঠনটি।

আমাদের রাজনীতি হবে শিক্ষার্থীদের সমতা বিধান। সন্ত্রাস, হল দখল, অস্ত্রবাজী, ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি অগণতান্ত্রিক ও অসহনশীল ছাত্র রাজনীতির ভয়াল গ্রাস থেকে বেরিয়ে এসে সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চাই আমাদের বর্তমান লক্ষ্য।’

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বহুদিনের প্রতিফলিত সমস্যাগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরে তার কার্যকর সমাধানের মাধ্যমে এগিয়ে চলবে আমসাদের সংগঠন। সাধারণ শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোর আন্তরিক সহযোগীতা পেলে, অনতিবিলম্বে আমরা প্রকৃত ছাত্র রাজনীতির সুশ্রী অবয়ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।

ভবিতব্য জাকসু নির্বাচনে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিশ্বস্ততার অবস্থান অটুট রাখতে পারব বলে আশাবাদী।’

শিশু নিপার সু-চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরনে ৫দফা দাবীতে শার্শার সাংবাদিকদের আল্টিমেটাম

যশোরের শার্শায় সড়ক দূর্ঘটনায় পা হারানো শিশু মিফতাহুল জান্নাত নিপার সু- চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরনসহ ৫ দফা দাবীতে অনশনের আল্টিমেটাম দিয়েছে শার্শা-বেনাপোলের সকল সাংবাদিকবৃন্দ।

শনিবার সকাল সকাল সাড়ে ১১টায় শার্শা উপজেলা পরিষদ চত্তরে এক আলোচনা সভায় আগামী ৭ তারিখে এ অনশনের ঘোষনা দেওয়া হয়। আগামী ৭তারিখের আগে প্রশাসনের দেওয়া প্রতিশ্রতি পূরণ করতে ব্যার্থ হলে শার্শা-বেনাপোলের সকল সাংবাদিক ৭এপ্রিল রবিবার সকালে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে উক্ত ৫দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করবে।

যশোরের শার্শার নাভারনে জিপের চাপায় পা হারানো মেধাবী স্কুল ছাত্রী নিপাকে প্রশাসন থেকে উল্লেখ্যযোগ্য সহযোগিতা করা হচ্ছে না।প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার চিকিৎসা খরচসহ সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও ভুক্তভোগী পরিবারটিকে উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে কোন আর্থিক সহযোগিতা করা হচ্ছে না। আর চালকেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ আটক করতে পারেনি। দূর্ঘটনায় পা হারানো নিপা একজন সাংবাদিক পরিবারের সন্তান।

আশ্বাস মিললেও চিকিৎসা খরচসহ প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা পাচ্ছে না নিপা। ঘটনার দিন জেলা প্রশাসক নিজে ও নাভারনে শিক্ষার্থীদের এক মানববন্ধনে শার্শা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল চিকিৎসাসহ ও আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। কিন্তু ঘটনার ১০দিন পার হলেও তারা সেই অর্থে আর্থিক সহযোগিতা পাননি। জেলা প্রশাসন থেকে মাত্র দশ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে দেড় ১ লাখ টাকা। কৃত্রিম পা লাগিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (২০ মার্চ) জিপ গাড়ির চাপায় নাভারণ বুরুজ বাগান মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী মিফতাহুল জান্নাত নিপার শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় তার সাথে থাকা স্মৃতি ও রিপা নামে আরো দুই স্কুল ছাত্রী আহত হয়।

সর্বশেষ আপডেট...