সাভারে সামিয়া রহমান (২১) নামের এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগে স্বামী সাদমান সাকিব হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ। রাতে তাকে আটক
করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
নিহত ওই গৃহবধুর মামা আশিকুর রহমান বলেন, রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় স্বামীর বাড়িতে গৃহবধু
সামিয়া রহমানকে ওড়না পেচিয়ে হত্যা করে লাশ ঘরে ঝুলিয়ে রাখে স্বামী সাদমান সাকিব হৃদয়।
পরে প্রতিবেশীরা ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ।
এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন,কিভাবে ওই গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
আশরাফ হোসেন পল্টু, মাগুরা প্রতিনিধি:বৃহস্প্রতিবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার মদনপুর গ্রামের রিয়াজ জোয়াদ্দার (১০) নামে এক স্কুল ছাত্রের বিষাক্ত সাপের কামড়ে করুণ মৃত্যু হয়েছে।
সে হোগলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ও মদনপুর গ্রামের মিজানুর রহমান জোয়াদ্দার এর পুত্র।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত রিয়াজের বাড়ি মদনপুর গ্রামে হলেও সে নানা বাড়ি হোগলডাঙ্গা গ্রামে থেকে লেখা-পড়া করত। বৃহস্পতিবার সে যথারীতি স্কুলে ক্লাসও করেছে এবং সন্ধ্যার পর পরিবারের সবার সাথে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত অনুমান ৮টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় রিয়াজের বাম হাতে সাপে কামড় দিলে সে চিৎকার দিয়ে কেঁদে ওঠে। পরে পরিবারের লোকজন দ্রুত ছুটে এসে হাতে সাপের কামড়ের চিহ্ন ও সাপটি দেখতে পায়।
ঘটনার পরপরই স্কুল ছাত্র রিয়াজকে বাঁচানোর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ওঝা-কবিরাজ এবং পরে তাকে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের নিয়ে যাওয়া হলেও কাল সাপের কবল থেকে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বাসুরা বিলে অভিযান চালিয়ে কারেন জাল ও চায়না জাল জব্দ করেছেন উপজেলা মৎসা কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে (১১ আগষ্ট) ঢালজোড়া ইউনিয়নে বাসুরা বিলে অভিযান চালিয়ে ৭২টি চায়না জাল ২ হাজার মিটার অবৈধ চায়না জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।অবৈধ এ জালের আনুমানিক মূল্য প্রায় চার লাখ টাকা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ, উপজেলা ক্ষেত্র সম্পসারণ কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদ,অফিস সহকারী জুয়েল রানা, কালিয়াকৈর থানার (উপ পরিদর্শক ) আনোয়ার হোসেন সহ প্রশাসন ও মৎস্য অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ জানান, সকাল থেকে দুপুরে পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। এবং সেই জাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপিসহ কিছু দল ও প্রতিষ্ঠান জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র ও এলইডি প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে ও প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া সূচনা বক্তব্য রাখেন।
ড. হাছান বলেন, ‘দেশে একটি মহল সবসময় বিভ্রান্তি ছড়ায়। পদ্মা সেতু থেকে যখন বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিল তখন টিআইবি, সিপিডি এরা লাফিয়ে লাফিয়ে অনেক বক্তব্য দিয়েছে। বিএনপিও লাফিয়ে লাফিয়ে বক্তব্য রাখছিল, আর বিএনপির সাথে সিপিডি, টিআইবি এরাও লাফাচ্ছিল। আজকে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। আমাদের দেশে ডিজেলের মূল্য ১১৪ টাকা, কোলকাতায় সেটি ১১৬ টাকা অর্থাৎ কোলকাতার চেয়ে এখনো এখানে কম আছে। এই মূল্যবৃদ্ধির পরও বিপিসিকে প্রতি লিটার ডিজেলে ৮ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু ব্যক্তি যারা নিজেকে বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচয় দেয় আমিও তাদেরকে বুদ্ধিজীবী হিসেবেই গণ্য করি; কিন্তু সময়ে সময়ে তাদের বুদ্ধি লোপ পায়, সময়ে সময়ে বিশেষ উদ্দেশ্যে তাদের বুদ্ধি ব্যবহৃত হয়। তারা গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে কথাবার্তা বলছেন এটি জনগণকে বিভ্রান্ত করার শামিল। আমি আশা করব তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার এই অপচেষ্টা থেকে বেরিয়ে আসবেন। যখন বিশ্ববাজারে স্থিতিশীলভাবে জ্বালানি তেলের মূল্য কমবে তখন সরকার আবার মূল্য সমন্বয় করবে।’
বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে জঘন্যতম একটি হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুণর্গঠন করে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৫৪ শতাংশ অর্থাৎ সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেই সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আমরা ৮ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু ৯ শতাংশ আমরা এখনো ছুঁতে পারিনি।
সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন করার, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের এবং রেডিও, টেলিভিশনসহ সব ক্ষেত্রে পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা হয়েছিল। তখন থেকে জাতি এক জায়গায় ঘুরপাক খেয়েছিল দীর্ঘ ২০ বছর। সেই অচলাবস্থা ভেঙেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৯৯৬ সালে আবার সরকার গঠন করার মধ্য দিয়ে। আর ২০০৮ সালে সরকার গঠন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সাড়ে ১৩ বছরে যেভাবে এগিয়ে গেছে আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে একটি গর্বিত রাষ্ট্র।
বিএনপি তাদের আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে- এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মনে করি বিএনপি আসলে বাস্তব পরিস্থিতিটা বুঝতে পেরেছে। কারণ ঈদের পরে, শীতের পরে, পরীক্ষার পরে, বর্ষার পরে আন্দোলনের কথা বলে বলে নিজেদেরকে হাস্যকর বানিয়েছে। তাদের আন্দোলনে তাদের কর্মীরাও সাড়া দেয় না। এটি বুঝতে পেরেই তারা নতুন ঘোষণা দিয়েছে বলে আমি মনে করি।
আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি সহিংসতা, আগুন সন্ত্রাস শুরু করে তাহলে তাদের রাজপথে মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সভায় এ সব কথা বলেন তিনি। শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য এ জরুরি সভার আহ্বান করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিরোধীদল হিসেবে যদি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে সরকার বাধা দেবে কেন? যদি সহিংসতার উপাদান যুক্ত, আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামে তাহলে সরকার কি বসে থাকবে, আঙুল চুষবে। খেলা হবে, মাঠে খেলা হবে। মোকাবিলা হবে, রাজপথে মোকাবিলা হবে।
বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সুযোগ নিয়ে সরকারকে সহযোগিতা না করে সরকার উৎখাতের চক্রান্ত চলছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেকেই মনে করেন, হয় তো আমরা রাজপথ ভুলে গেছি, ভুলি নাই। আমরাও আছি অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন। আওয়ামী লীগ যখন মাঠে নামবে তখন আন্দোলনের স্বপ্ন কর্পূরের মতো উড়ে যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দুনিয়ায় এখন এক অস্থির সময় অতিক্রান্ত হচ্ছে। একটা খারাপ সময়ে মুখোমুখি, একটা চ্যালেঞ্জিং টাইমস আমরা অতিক্রম করছি। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব আমাদের ওপর পড়তে শুরু করেছে। সারা দুনিয়ার সংকট। কোথাও এ নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে শুনলাম না। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের বিষয় আলাদা। অন্য কোথাও এনিয়ে আন্দোলন নেই। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যতিক্রম। সরকারের দোষ, যত দোষ নন্দ ঘোষ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার করোনায় ভারসাম্যমূলক অবস্থান নিয়ে দেশের অর্থনীতি সচল রাখায় সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। আজ সেই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সরকার উৎখাতের চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। বৈশ্বিক সংকট উত্তরণে সহযোগিতা না করে তারা সরকার উৎখাতে মঞ্চ করছে, আরও কত কী করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম করলে আমাদের দেশেও কমানো হবে। তারপরও বিএনপি ও তাদের দোসরা মাঠে নামছে, সরকারের বিরুদ্ধে বিষদগার করছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শোকের মাসে সাধারণত আমরা রাজপথের কর্মসূচি দেই না। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, অপপ্রচার, মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আমাদের এর প্রতিবাদ করতে হবে, জনগণকে সচেতন করতে হবে। চক্রান্ত মোকাবিলা করা হবে। যার যা কিছু ফ্রি স্টাইল বাংলাদেশে আমরা হতে দেব না।
জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ১৪ দলের শরিক কোনো কোনো দলের আন্দোলন প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা তাদের বিষয়, এটা গণতান্ত্রিক অধিকার তাদের। তাদের সঙ্গে জোট হয়েছিলো নির্বাচনী জোট। সেখানে আদর্শের কোনো বিষয় নেই। এটা কৌশলগত জোট। তা না হলে জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট কেন।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশসহ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে করা মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক আরেফিন আহমেদ হ্যাপি এই আদেশ দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর নুরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাদী ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে ফেসবুক লাইভে আসেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। সেখানে তিনি নির্বাচন কমিশন, সরকার ও সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে সাধারণ মানুষকে উসকে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। মন্তব্যকালে তিনি নির্বাচন কমিশনকে ‘বেহুদা কমিশন’ এবং মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিরোধী’ ও ছাত্রলীগ নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ ছাড়াও মামলার বাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের নাম উল্লেখ করেও অশালীন মন্তব্য করেন।
এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বাদী হয়ে একই বছরের ২০ ডিসেম্বর আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সে সময় আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেন। পরে পুলিশ মামলাটি দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় তদন্ত শেষে গত দুই মাস আগে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মামলাটি সম্পর্কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল সময় সংবাদকে বলেন, ‘পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। আজ মামলাটির শুনানি হয়। শুনানিতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর) আদালতের বিচারক আরেফিন আহমেদ হ্যাপি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।’
আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে যদি তিনি (ভিপি নুর) হাজির না হন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে বলেন জানান এই আইনজীবী।
এদিকে মামলার আদেশ সম্পর্কে মামলার বাদী রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, ‘আমি আদালতের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আশা করি, আদালতের কাছে তার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার পাব।
রাজধানীর পান্থপথের একটি আবাসিক হোটেল থেকে জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিক (২৭) নামের এক নারী চিকিৎসকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মূলহোতা মো. রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বুধবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পান্থপথের ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট নামের আবাসিক হোটেল থেকে সদ্য এমবিবিএস পাস করা চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জান্নাতুল এমবিবিএস পাস করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্ত্রী ও গাইনি বিষয়ে একটি কোর্সে অধ্যয়নরত ছিলেন।
ঘটনার পর পুলিশ জানায়, ওই আবাসিক হোটেলটিতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রেজাউল করিম রেজা নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে উঠেছিলেন জান্নাতুল। এরপর সুযোগ বুঝে স্বামী পরিচয়ধারী কথিত বয়ফ্রেন্ড রেজাউল তাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান।
পুলিশ বলছে, জান্নাতুলের সঙ্গে রেজার প্রেমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিন। বিষয়টি জানতো জান্নাতুলের পরিবার। এর আগেও তারা দুজন একাধিকবার দেখা করেছে এবং বাইরে ঘুরতেও গিয়েছিল। একসময় মেয়ের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন রেজা। তবে তার চরিত্রগত সমস্যার কারণে বিয়েতে রাজি ছিল না নারী চিকিৎসকের পরিবার। তবুও তারা দুজনে মেলামেশা চালিয়ে যায়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, গ্রাম-গঞ্জের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। প্রত্যেকে খেতে পারছে। প্রতিটি মানুষের গায়ে জামা-কাপড় আছে। গ্রামের প্রায় সব রাস্তাঘাট পাকা হয়ে গেছে। প্রত্যেক গ্রামে প্রাইমারি স্কুল করা হয়েছে, ঘর না থাকলে ঘর করে দেয়া হচ্ছে। আমি মনে করি না, আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি।
বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘নিত্যপণ্য ও জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি: জনজীবনে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী তাজুল বলেন, করোনা মহাসংকটের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক। এ সংকট মোকাবিলায় দেশের মানুষকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐকবদ্ধ্য থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলমান। এই যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বেই এখন টালমাটাল অবস্থা। অর্থনীতি, সামাজিক অবস্থা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সবকিছু নিয়েই মানুষ আতঙ্কিত। এখন আবার তাইওয়ান-চায়ান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সেটির প্রভাব কিন্তু সারাবিশ্বে পড়বে। পৃথিবীতে কি হতে যাচ্ছে ভবিষ্যত বাণী করা কঠিন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের অনেক দেশ প্রয়োজনের বড় অংশ গ্যাসসহ ফুয়েলের ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। ফুয়েল উৎপাদনে প্রথম হচ্ছে ভেনিজুয়েলা, এরপর সৌদি আরব এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধের কারণে এসব দেশ তেল সরবরাহ করতে না পারায় সারাবিশ্বেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশেও এর বাইরে নয়।
মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ কষ্টে থাকুক এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনোই চান না। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে হাসি ফোটানোর জন্য। সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে ভুর্তকি দেয়া যায় না। ভুর্তকি দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সরকার কাকে ভুর্তকি দেবে?ধনীকে না গরিবকে? সবখানে ভর্তুকি দিলে অন্য খাতগুলো শৃঙ্খলা হারাবে। ভর্তুকি কোথায় দিতে হবে সরকার সেটি অ্যানালাইসিস করে তারপর দেয়।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, অনেক উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করছে। আমাদের দেশের অবস্থা এতো খারাপ হলে তারা তো আমাদের সহযোগিতা করতো না। একটি গ্রুপ বলে বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কা হবে। কেন হবে? শ্রীলঙ্কা কী করেছে আর আমরা কী করছি? ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন।
তিনি বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য করোনা মহাসংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছিল। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে পূর্ব থেকেই করোনার টিকা ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জানতেন টিকার ক্রাইসিস দেখা দেবে। বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে করোনা মোকাবিলায় পঞ্চম স্থান অর্জনে করেছে, এশিয়াতে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে।
হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স কক্ষে বুধবার (১০ আগস্ট) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজন ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না।
এ ছাড়াও সভায় বিভিন্ন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক শেখ সাদী।
তিনি তার বক্তব্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন তথ্য ও কার্যক্রম তুলে ধরেন।রাণীশংকৈল উপজেলাসহ জেলায় এ অধিদপ্তরের অভিযান চলমান আছে মর্মে তিনি জানান। ইউএনও তার বক্তব্যে সরকারী কর্মকর্তাদের অভিযানের পাশাপাশি ভোক্তাদেরকেও সঠিকভাবে পণ্যদ্রব্য ব্যবহার
করার পরামর্শ দেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম, প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক
আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
মাদারীপুরে বিয়েতে দাবিতে তিন দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক প্রেমিকা। প্রেমিক তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন। এরই মধ্যে প্রেমিকের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে।
এতে নিজের অবস্থান থেকে কিছুতেই সরে আসবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন ওই প্রেমিকা। ওই প্রেমিকার নাম হ্যাপি আক্তার এবং প্রেমিকের নাম আমিনুল হাওলাদার। হ্যাপি আক্তার রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী, আমিনুল ইসলাম ইতালিপ্রবাসী।
জানা যায়, ২০১৩ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া হ্যাপীর সঙ্গে পরিচয় হয় কলেজপড়ুয়া আমিনুল হাওলাদারের। এরপর তাদের মধ্যে প্রেম হয়। ২০১৬ সালে হ্যাপীর পরিবার অন্য জায়গায় জোর করে বিয়ে দিলেও এক মাসের মাথায় আমিনুলের জন্য ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর প্রেমের সম্পর্ক আরও গভীর হতে থাকে। পরে আমিনুল ওই বছরই ইতালি চলে গেলে হ্যাপীর প্রয়োজনীয় খরচ বহনের দায়িত্ব নেন আমিনুল। ব্যাংকের মাধ্যমে টাকাও পাঠাতেন। এ সময় দুটি পরিবারের মাঝে গড়ে ওঠে সখ্য। কিন্তু চলতি মাসের ২ তারিখ দেশে এলে আমিনুলের অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে পরিবার। এই খবরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে হ্যাপী আক্তার। এর সুষ্ঠু সমাধান চান এলাকাবাসী। এদিকে কোনো অবস্থায়ই হ্যাপীকে মেনে নিতে নারাজ আমিনুলের পরিবার।
অভিযুক্ত আমিনুলের ভাবি লতা আক্তার বলেন, ‘কারো সঙ্গে প্রেম করলে তার অনেক প্রমাণ থাকে। কিন্তু হ্যাপী-আমিনুলের প্রেমের গল্পে কোনো প্রমাণ নেই। আমরা হ্যাপীকে মেনে নিতে পারব না। আমিনুলের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছে।’
ভুক্তভোগী হ্যাপী আক্তার বলেন, ‘আমি বাড়িতে অবস্থান করার পর গা ঢাকা দিয়েছে আমিনুল। আগামী শুক্রবার (১২ আগস্ট) আমিনুলের অন্যত্র বিয়ে হওয়ার কথা। আমার সঙ্গে ১০ বছর প্রেম করেছে, আমি ওর সঙ্গেই সংসার করতে চাই।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জানান, ‘মেয়েটি টানা ১০ বছর প্রেম করলেও আমিনুলের পরিবার অস্বীকার করে যাচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আর অভিযোগ পেলে দ্রুততম সময়ে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।’