26.3 C
Dhaka, BD
বুধবার, মে ১৪, ২০২৫

প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) পদক পাচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিবি পুলিশের-এসআই আব্দুল্লাহ জাহিদ

প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক পাচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিবি পুলিশের এসআই আব্দুল্লাহ জাহিদ ।

যার রয়েছে গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস । বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবোজ্জল ইতিহাসকে সমুন্নত রাখতে যেসকল পুলিশ কর্মকর্তারা নিজের সর্বচেষ্টা নিয়োগ করেছেন, এসআই আব্দুল্লাহ জাহিদ তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন । জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যিনি অভিযান পরিচালনা করেছেন একাধিকবার । নিজের মেধা ও বিচক্ষণতা দিয়ে সমাধান করেছেন একাধিক মামলার জট ।

তার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে লাভ করেন IGP’s Exemplary Good Services Badge Grade-A. এর পর তিনি চলে আসেন আমের শহর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা বিভাগের আই. সি. টি. শাখায় । এখানেও তিনি স্বাক্ষর রাখেন তাঁর বিচক্ষনতার। সততা ও নিষ্ঠায় তিনি এখানেও অল্পদিনে ভরসার নাম হয়ে ওঠেন । তারই সর্বোচ্চ স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি এবার ঘোষিত হলেন পুলিশের সর্বোচ্চ পদক “প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল” এ ।

এটি একটি বিরল সম্মাননা । আব্দুল্লাহ জাহিদের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা থানার আগুনিয়াতাইড় গ্রামে। তিনি লেখাপড়া করেছেন স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনাতলা সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় থেকে । সেখানে শুধু তিনি একজন কৃতি শিক্ষার্থী হিসেবেই নয় । এরপর তিনি সৈয়দ আহমদ মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এ । সেখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে । সংসার জীবনে তিনি দু সন্তানের জনক। তাঁর এ অর্জন সোনাতলাবাসীর জন্য গৌরবের ।

তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি একজন আইকন । তরুণ প্রজন্ম কে বিপথগামী হতে রক্ষা করতেও তিনি কাজ করেন নীরবে ।

বিডি পুলিশ হেল্পলাইন অ্যাপটি ব্যবহার করুন সেবা নিন ।

বিডি পুলিশ হেল্পলাইন’ নামে একটি অ্যাপ রয়েছে।

এই অ্যাপ ব্যবহার করে যে কেউ অভিযোগ ও অপরাধের তথ্য দিলে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে শুরু করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পর্যন্ত তা পৌঁছে যাবে। ১৩ অক্টোবর, ২০১৬ সালে অ্যাপটি চালু করা হয়।

অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এছাড়াও অ্যাপটি আইওএস সংস্করণও ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। গুগল প্লে-স্টোরের এই লিংক থেকে ‘বিডি পুলিশ হেল্পলাইন’ ডাউনলোড করতে পারবেন।

স্মার্টফোনের মাধ্যমে অ্যাপটি ব্যবহার করে অপরাধ ও অপরাধী সম্পর্কে যে কেউ তথ্য জানাতে পারবেন। এছাড়াও সরাসরি ব্যবহারকারীর এলাকার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ এবং সাহায্য চেয়ে অনুরোধ পাঠাতে পারবেন। তথ্য প্রদানকারী কোনো ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত এই অ্যাপের মাধ্যমে যেকোনো ছবি, ভিডিও ও অডিও পাঠাতে পারবেন। অ্যাপটির উল্লেখযোগ্য দিক হলো এটি জনগণ ও পুলিশের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করবে। প্রয়োজনে পুলিশ তথ্য প্রদানকারী বা সেবা প্রত্যাশী ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। একই সঙ্গে তথ্য প্রদানকারী তার বার্তার ওপর গৃহীত ব্যবস্থা দেখতে পারবেন। ব্যবহারকারীরা বেনামে অথবা নির্দিষ্ট নাম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেও অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন।

যেভাবে কাজ করে ‘বিডি পুলিশ হেল্পলাইন’ অ্যাপঃ

এই অ্যাপে কোনো তথ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে এলে (মেট্রোপলিটন ছাড়া) এ তথ্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার, পুলিশ সুপার (এসপি), উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আসবে।

একইভাবে মেট্রোপলিটন এলাকায় এই অ্যাপ ব্যবহার করে কোনো অভিযোগ করা হলে অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট ওসি, জোনাল এসি, উপকমিশনার (ডিসি), পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আসবে। এতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অভিযোগের বিষয়টি তদারকি করতে পারছেন এবং অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, সেটিও সংশ্লিষ্ট ওসি এই অ্যাপের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছেন। ফলে অভিযোগকারী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অভিযোগের ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে পারছেন। এতে পুলিশের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে।

ফেসবুকে এসএসসির প্রশ্ন ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল-শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি

পরীক্ষা শুরুর পর ফেসবুকে এসএসসির প্রশ্ন ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল ।

পরীক্ষার শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলা দ্বিতীয়পত্রের নৈর্ব্যক্তিকের প্রশ্ন পোস্ট করে চক্রটি ।

এ নিয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। তবে, এসব বিষয়ে কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপুমনি। একই সঙ্গে তিনি জানান, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছাপা ও বিতরণের ভুলক্রটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) এসএসসির বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার শুরুর ১০ মিনিটের মাথায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি চক্র নৈর্ব্যক্তিকের প্রশ্ন পোস্ট করে । পরীক্ষা শেষে ফেসবুকের প্রশ্নের সাথে হলে দেয়া প্রশ্নের হুবহু মিল থাকায় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা যায় ।

সকালে রাজধানীর সরকারি মাদ্রাসা ই আলিয়া পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপুমনি বলেছেন, সারা দেশে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধ করা সম্ভব ।

শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রশ্নফাঁসের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি । এটা দ্বারা আমরা সঠিক শিক্ষাগ্রহণ করতে পারছি না ।

এদিকে সকালে রাজধানীর সরকারি মাদ্রাসা ই আলিয়া পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, সারা দেশে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধ করা সম্ভব। নজরদারি সব জায়গায় আছে। তাতে আমরা বিশ্বাস করি প্রশ্নফাঁস বা নকল সব কিছু বন্ধ করতে পারবো। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিত প্রয়োজন ।

যশোরের শার্শায় ভ্রাম্যমান নার্সারির উদ্যোগে বিনামুল্যে গাছের চারা বিতরণ

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: নির্মল বায়ুু বাড়ায় আয়ু, দুষিত বায়ুু কমায় আয়ু, জীবনের জন্য বন ও পরিবেশ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে শার্শা উপজেলায় ভ্রাম্যমান নার্সারির উদ্যোগে উদ্ভাবক ও পরিবেশ গবেষক বাংলাদেশ (শার্শার) কৃতি সন্তান মিজানুর রহমানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শার্শা উপজেলা কলেজে বৃক্ষ নীধন রোধে পরিবেশ রক্ষায় মানববন্ধন পালন করা সহ ছাত্র -ছাত্রী,সাধারণ জনগণ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে বিনামূল্যে ফলজ, বনজ ও ঔষধি চারা গাছ বিতরণ করা হয়েছে।

রবিবার ৩রা ফেব্রæয়ারী সকাল সাড়ে ১১ টার সময় যশোরের শার্শা উপজেলা কলেজ প্রাঙ্গনে এই চারা গাছ বিতরন করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলার নির্বাহী অফিসার পূলক কুমার মÐল, বিশেষ অতিথী শার্শা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া ফেরেদৗস, শার্শার ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সোহারার হোসেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কল্যান ট্রাস্ট শার্শা উপজেলা শাখা আসাদুজ্জামান, রিপোর্টাস ক্লাব শার্শা উপজেলার সাধারন সম্পাদক এম.এ. রহিম, সভাপতি ইউনানী কবিরাজী হোমিও চিকিৎসক এসোঃ শার্শার ডা.ওবায়দুল কাদির, সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন কবিরাজ আবু হানিফ হিলারসহ প্রমুখ ।

অনুষ্ঠানে সাড়ে ৩শ’ ফলজ, বনজ, ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

থাইল্যান্ড থেকে উড়োজাহাজে ভারতে আসা বিমান যাত্রীর ব্যাগে চিতার বাচ্চা ।

শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) যাত্রীটি ব্যাংকক থেকে এক ফ্লাইটে করে চেন্নাই এয়ারপোর্টে পৌঁছান।

এয়ারপোর্টে কাস্টমস অফিসাররা ব্যাগ থেকে অদ্ভুত আওয়াজ পেলে তাদের সন্দেহ হয়। তারা ব্যাগ চেক করে এক মাস বয়সী একটি চিতার বাচ্চা দেখতে পান।

যাত্রীটি কোন আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের সাথে জড়িত কিনা তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানানো হয়।

এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত চিতার বাচ্চাটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও শারীরিকভাবে দুর্বল ছিল এবং অদ্ভুত রকমের আওয়াজ করছিল।

ভুল আসামি , নিরপরাধ জাহালমকে আজই মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট ।

ভুল আসামি , নিরপরাধ জাহালমকে আজই মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট ।

দুদকের ৩৩ মামলায় প্রকৃত অভিযুক্তের জায়গায় ভুল করে জেল খাটা নিরপরাধ জাহালমকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) ডিআইজি প্রিজন্সকে এই নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে হওয়া ২৬টি মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে দুদক।

আদালতের নির্দেশে তিন বছর জেলে রাখার ঘটনায় দুদক মহাপরিচালক (তদন্ত) সহ ৪ জন হাইকোর্টে হাজির হন সকালে। এই চারজন হলেন দুদকের মহাপরিচালক, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্র ও আইন সচিবের দুজন কর্মকর্তা।

গত সোমবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের স্বপ্রণোদিত হয়ে দুদকের কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

এই ঘটনায় ভুল আসামি জাহালামকে কেনো মুক্তি দেয়া হবেনা তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

বেনাপোল পোর্ট থানায় সাজা প্রাপ্ত আসামী আটক .

যশোরের বেনাপোলে ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে আটক করেছে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ।

রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বেনাপোল সাদিপুর গ্রাম থেকে আব্দুল করিমকে আটক করে। আটক আব্দুল করিম সাদিপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই কাজী এহসানুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে (এএসআই) রিপন দাস ও (এএসআই) আলমগীর হোসেন বেনাপোল সাদিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আব্দুল করিমকে আটক করতে সক্ষম হয়। তিনি আরো বলেন সে গোপনে এলাকায় ফিরে অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে আমরা তাকে আটক করি।

আটক আব্দুল করিমকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।

ধামরাইয়ে ফেন্ডস ২০০০ ডট কম, কমিটির উদ্যোগে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান।

ঢাকার ধামরাইয়ে কননে শীতকে উপেক্ষাকরে সকালে লন্ডন প্রবাসীর অর্থয়ানে প্রায় তিনশত লোককে ফেন্ডস ডটকম কমিটির উদ্যোগে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।

শুক্রবার (০১ ফ্রেরুয়ারী) সকাল ৮ঘটিকার সময় চারিপাড়া বারবারিয়া যুবক সমিতির খেলার মাঠে এই চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
এই সময় আব্দুল আওয়াল,মামুন সিকদার ও মোখলেছুর রহমানের পরিচালনায় গ্রাম্য সাধারণ মানুষের ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো হয় এবং ওজন ও প্রেসার মাপানো হয়। পরে প্রত্যেক রোগিকে বিনা মুল্যে ঔষুধ দেওয়া হয়।

এতে চারিপাড়া বারবারিয়া হাতকোড়া গ্রামের লন্ডন প্রবাসী মোঃ রবিউল আওয়ালের অর্থয়ানে এই বিনা মুল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করায় এই মহতি উদ্যোগকে এলাকাবাসি ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানিয়েছেন। এই ছাড়া ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তির সাথে নাম মিলিয়ে লন্ডনপ্রবাসী রবিউল আওয়াল তার নিজ উদ্যোগে গ্রামের বন্ধুদের সাথে নিয়ে এই কমিটি করেন।

এই চিকিৎসার কারণে গ্রামের সাধারণ মানুষের আর ঢাকায় যেতে হয় না। যার কারণে এলাকার মানুষ এই চিকিৎসা জন্য আনন্দিত।

ঠাকুরগাঁওয়ে র‌্যাফেল ড্র’র ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ ।

ঠাকুরগাঁওয়ে র‌্যাফেল ড্র’র ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ গ্রামের অলিগলি, শহর, হাট-বাজারগুলোতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ‘মাথাই নষ্ট মামা। প্রতিদিন কয়েকটি দামি মোটরসাইকেলসহ কয়েক লাখ টাকার পুরস্কার। ভাগ্যে থাকলে আপনিও পেয়ে যেতে পারেন লোভনীয় পুরস্কার। ’র‌্যাফল ড্র’র টিকিট বিক্রির জন্য এভাবে মাইকিং করা হচ্ছে।

র‌্যাফেল ড্র’র প্রতারণা চলছে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। মানুষকে পুরস্কার জেতার স্বপ্ন দেখাচ্ছে আনন্দমেলার আয়োজকেরা। নিম্ন আয়ের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের এই ফাঁদে পা দিচ্ছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের বহমতোল এলাকায় গত ১৫ জানুয়ারি থেকে চলছে আনন্দমেলা। ২৩ জানুয়ারি থেকে ওই মেলায় শুরু হয়েছে র‌্যাফল ড্র। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘দৈনিক সবুজ বাংলা র‌্যাফল ড্র’।

মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙিয়ে মেলার আয়োজক স্থানীয় একদল তরুণ। আয়োজকেরা দিনের বেলা মূল্যবান ও আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মাইকিং করছে। রাতের বেলা ড্রয়ে কিছু না জুটলেও দমছে না তারা।

ভাগ্য জয়ের আশায় আবারও টিকিট কিনছে মানুষ। এভাবে যত টিকিট বিক্রি হচ্ছে, তত পকেট ভারী হচ্ছে আয়োজকদের। এতে পকেট খালি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এখানে হাউজির নামে জুয়া খেলা শুরু করার চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। মেলায় হাউজির জন্য বানানো হয়েছে প্যান্ডেলও।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস সোবহান বলেন, মেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

জেলা প্রশাসন বলছে, তারা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের বহমতোল এলাকায় ২২ জানুয়ারি হতে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৮ দিনের জন্য শুধু গ্রামীণ শিল্পসামগ্রী মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের র‌্যাফল ড্র বা হাউজির অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, সাধারণত মেলায় হাউজি-র‌্যাফল ড্রয়ের অনুমতি দেওয়া হয় না। লাহিড়ীহাট মেলায়ও দেওয়া হয়নি। এরপরও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার মেলা চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, মেলায় চার-পাঁচটি দোকান বসানো হয়েছে। বিনোদনের জন্য বসানো হয়েছে সোনালী অপরো নামে একটি যাত্রার প্যান্ডেল। পাশে রয়েছে ‘৩টি’ ভ্যারাইটিজ সার্কাসের প্যান্ডেল। যেগুলোতে নিয়মিত দেখানো হচ্ছে অশ্লীল নৃত্য। তবে মেলায় র‌্যাফল ড্র আর হাউজিই মূল আকর্ষণ।

স্থানীয় লোকজন বলেন, র‌্যাফল ড্রয়ের প্রতিটি টিকিটের দাম ২০ টাকা। টিকিট বিক্রি করতে প্রতিদিন সকালে মেলা চত্বর থেকে ১৫০টিরও বেশি ইজিবাইক ছুটছে উপজেলা সদরসহ আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। প্রতিদিন অন্তত ৫০ থেকে ৬০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়। সে হিসাবে প্রতিদিন ৭ থেকে ১১ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। রাত সাড়ে ১০টায় শুরু হয় র‌্যাফল ড্র। র‌্যাফেল ড্র সরাসরি স্থানীয় ক্যাবল টিভিতে সম্প্রচার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, র‌্যাফল ড্র’র দামি পুরস্কার হিসেবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তিনটি মোটরসাইকেল দেওয়া হয়। ওই তিনটি মোটরসাইকেলের দাম পড়ে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা। অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে আছে বাইসাইকেল, শাড়ি, লুঙ্গি, মুঠোফোন, বৈদ্যুতিক পাখা প্রভৃতি। এসব কিনতে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। সে হিসাবে মেলার র‌্যাফল ড্র’র পেছনে আয়োজকদের খরচ সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা। সে অনুযায়ী সব খরচ বাদে আয়োজকদের প্রতিদিন ৩-৪ লাখ টাকা লাভ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চৌরাস্তা বাজারে ইজিবাইকে করে র‌্যাফল ড্র’র টিকিট বিক্রি করছিলেন রশিদুল ইসলাম। তিনি তালিকা দেখিয়ে বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) পুরস্কার হিসেবে থাকবে দামি দামি পুরস্কারসহ ৩টি মোটরসাইকেল।

গত বুধবার প্রথম পুরস্কার ১টি মোটরসাইকেল ও শেষে ১টি মোটরসাইকেলসহ ৪৫টি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরস্কারের সংখ্যা বাড়বে। প্রতিদিন তিনি ইজিবাইকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে আড়াই থেকে চার হাজার টিকিট বিক্রি করেন।

কালমেঘ হাট এলাকায় ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান সাইদুর রহমান। বৃহস্পতিবার মেলা প্রাঙ্গণের সামনে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মেলায় র‌্যাফেল ড্র শুরুর দিন থেকে প্রতিদিন ১০টা করে টিকিট কিনেছু। প্রতিদিন তিনটা মোটরসাইকেলসহ ৪৫টা পুরস্কার দিলেও মোর ভাগ্যে কিচ্ছু জুটিলনি। এ পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ টাকার টিকিট কিনছু। ’

গত বৃহস্পতিবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ইজিবাইক থেকে টিকিট কিনছিল পাড়িয়া এলাকার স্কুলশিক্ষার্থী আব্দুল্লাহি সাফি। সাফি জানায় ‘প্রতিদিন পরিবারের সকলে ১টি করে মোট ৫টি টিকিট কিনছি, তবে পুরস্কার পাইনি’।

বাদামবাড়ী হাট এলাকার বাসিন্দাশরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পুরস্কারের লোভে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরা তাদের আয়ের বড় অংশ লটারির টিকিট কিনে শেষ করছে। এমনকি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত বাড়ি থেকে চুরি করে টাকা নিয়ে সেই টাকায় লটারি কিনছে। ’

উল্লেখ, মেলা ও র‌্যাফেল ড্র কেন্দ্রে করে ইতোমধ্যে পাড়িয়া বাজারে সাধারণ মানুষ ও মেলা কমিটির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এতে হামিদুর রহমান নামের একজন লোকের পা ভেঙেছে এবং তার ছেলে লাল চান গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গী হাপসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি বলে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাব্বেরুল হক।

সিঙ্গাপুর থেকে স্বামীর পাঠানো ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাত – শিবগঞ্জ সেলিমাবাদের মেয়ে হিরা .

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক প্রবাসীর কাছ থেকে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত ওই স্কুল শিক্ষিকা হলেন- শিবগঞ্জ পৌর এলাকার সেলিমাবাদ গ্রামের আবদুর রহিমের মেয়ে মোসা. হিরা খাতুন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা।

এ নিয়ে ভূক্তভোগীর মা মোসা. জায়েদা বেগম বাদি হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদির কৌসুলী অ্যাডভোকেট ড. তসিকুল ইসলাম।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে- শিবগঞ্জ উপজেলার কালুপুর এলাকার আসাদুর রহমানের ছেলে কামরুজ্জামান প্রায় ১৩ বছর ধরে সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। প্রবাসে চাকুরি করার সুবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোসা. হিরা খাতুন তার নিজ স্বামী ও এক সন্তানের কথা গোপন রেখে কুমারি পরিচয় দিয়ে প্রবাসী কামরুজ্জামানের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক শুরু করেন। তবে প্রবাসী কামরুজ্জামান ওই স্কুল শিক্ষিকার স্বামী ও সন্তানের বিষয়টি জানতেন না।

এক পর্যায়ে ওই স্কুল শিক্ষিকা হিরা খাতুন প্রবাসী কামরুজ্জামানকে ২০০৬ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর হিরা খাতুনকে রেখে কাজের সন্ধানে আবার সিঙ্গাপুরে চলে যান কামরুজ্জামান। এরপর প্রবাসী কামরুজ্জামানের কাছ থেকে দফায় দফায় প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ও তিনশত গ্রাম ওজনের স্বর্ণলংকার হাতিয়ে নিয়ে কামরুজ্জামানের পরিবারের কাছে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তালাকনামা পাঠিয়ে দেয় ওই স্কুল শিক্ষিকা হিরা খাতুন।

পরে ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সমাধানের লক্ষে একটি শালিস বৈঠকে ওই স্কুল শিক্ষিকা কামরুজ্জামানের কাছে প্রায় ৪৫ লাখ ও তিনশত গ্রাম ওজনের স্বর্ণলংকার হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন হিরা খাতুন।

পরে স্কুল শিক্ষিকার বাসায় ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ও তিনশত গ্রাম ওজনের স্বর্ণলংকার চাইতে গেলে হত্যার হুমকি প্রদান করেন স্কুল শিক্ষিকা হিরা খাতুন।

এ দিকে ভূক্তভোগী কামরুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- বিয়ের পর থেকেই হিরা খাতুন আমাদের যৌথ পরিবারের সঙ্গে থাকতে চাইতেন না। এরপরও হিরা খাতুনের কথামত পিতার বাড়ি ত্যাগ করে তিনি ভাড়া বাসায় উঠেন। বিয়ের কিছুদিন পর হিরা খাতুনকে রেখে তিনি আবার কাজের সন্ধানে সিঙ্গাপুরে চলে যান।

গত ২০১০ সালে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে হিরা খাতুনকে সহকারি শিক্ষক পদে চাকুরির জন্য সহায়তা প্রদান করেন। পরে হিরা খাতুনের ব্যাংক একাউন্টে দফায় দফায় প্রায় ৪৫ লাখ টাকা প্রদান করেন।

তিনি আরও বলেন, আমি এখন বড় নি:স্ব হয়ে পড়েছি। সিঙ্গাপুরের কষ্টার্জিত সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে হিরা খাতুন আমাকে পথে বসিয়েছে। তালাকনামা দেয়ার বিষয়ে ভূক্তভোগী কামরুজ্জামান বলেন, ওই একই স্কুলের শিক্ষক আবদুল হান্নানের সঙ্গে হিরা খাতুন পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে ভূক্তভোগী কামরুজ্জামানের মা মোসা. জায়েদা বেগম বাদি হয়ে টাকা আত্মসাত, প্রতারণা ও ভয়ভীতির অভিযোগ এনে হিরা খাতুন ও তার ভাই-বোন এবং বাবাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আমলী আদালতে মামলা (সিআর ৩০/২০১৯) দায়ের করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকা মোসা. হিরা খাতুনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সর্বশেষ আপডেট...