26 C
Dhaka, BD
বুধবার, মে ৮, ২০২৪

বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা শপথ না নিলে তারা জনগণের রায়কে অবজ্ঞা করবেন । সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা শপথ না নিলে তারা জনগণের রায়কে অবজ্ঞা করবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এরআগে গতকাল মঙ্গলবার জনগণের রায় মেনে নিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী নেতাদের শপথ নেয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় শপথ পাঠ করাবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শপথ গ্রহণের জন্য ২৯৮ আসনে নির্বাচিতদের গেজেট সংসদ সচিবালয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত প্রার্থীরা শপথ নাও নিতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্রে আভাস মিলেছে।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের কমিশন সচিবালয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের ৩০ দিনের মধ্যে সংসদ অধিবেশন বসবে। অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নেয়ার সুযোগ রয়েছে। এরমধ্যে কেউ যদি শপথ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ওই আসন শূন্য হবে।

এরশাদের অবর্তমানে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবর্তমানে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় দলটি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে দলটির ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান হিসেবে বর্তমান কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে দায়িত্ব দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সেই নির্দেশনা মেনে চলে তাকে সহযোগিতা করারও নির্দেশনা দেন এরশাদ।

বিজয়ীদের শপথ অনুষ্ঠানের দিন বিএনপি তাদের প্রার্থীদের গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক .

রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৯৯ আসনে যারা প্রার্থী ছিলেন, তাদের নিয়ে ইসিতে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেওয়ার পর বিএনপি মহাসচিবের এই নির্দেশনা গেল।

এই নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাত্র সাতজন বিজয়ী হন, বিপরীতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট জেতে ২৮৮ আসনে।

ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের হারানো হয়েছে দাবি করে এই ভোট বাতিলের দাবি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তুললেও সিইসি কে এম নূরুল হুদা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের “নতুন এমপিদের শপথ বৃহস্পতিবার” শপথ অনুষ্ঠানের কথা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু মঙ্গলবার জানানোর পর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একই দিন ধানের শীষের প্রার্থীদের ঢাকায় ডাকার কথা জানান।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রার্থীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে ভোটে অনিয়ম-কারচুপির প্রমাণ, প্রতিটি কেন্দ্রের ‘অস্বাভাবিক’ ভোটের হিসাব, গ্রেপ্তার এজেন্ট ও নেতা-কর্মীদের তালিকা, সহিংসতায় আহত ও নিহতদের তালিকাসহ ৮টি বিষয়ে তথ্যসহ একটি প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে। ভোট কারচুপির ভিডিও থাকলে তাও প্রতিবেদনের সঙ্গে দিতে বলা হয়েছে।

এই নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গী দলের ২৯৮ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এর বাইরে একটি আসনে এলডিপির অলি আহমদ দলীয় প্রতীকে এবং জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন। পরে আদালতের আদেশে দেড় ডজনের মতো আসনে বিএনপির প্রার্থীরা বাদ পড়ে।

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান কামাল। ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে বলে দাবি করেন ফখরুল।

বিএনপির বিজয়ী প্রার্থীরা শপথ নেবেন না বলেও ইঙ্গিত মিলেছে দলটির নেতাদের কথায়। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।

সোমবার ঐক্যফ্রন্টের এক বৈঠকের পর কামাল জানান, পুনঃনির্বাচনের দাবিতে শিগগিরই তাদের জোটের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেবেন।

সংসদ সচিবালয়ে নতুন এমপিদের শপথ পড়ানোর প্রস্তুতি ।

একাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নবনির্বাচিতদের নাম-ঠিকানাসহ গেজেট তৈরি করে প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, নতুন এমপিদের শপথ পড়ানোর প্রস্তুতি ইতোমধ্যে তারা নিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের গেজেট হাতে পেলে সময় চূড়ান্ত করা হবে।

গেজেট প্রকাশ হয়ে গেলে আগামী বৃহস্পতিবারই নতুন জনপ্রতিনিধিরা শপথ নেবেন বলে ইতোমধ্যে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে গত রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়, গোলযোগের কারণে একটি আসন স্থগিত রেখে সেই রাতেই ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এর মধ্যে ২৫৯টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। আর জোটগতভাবে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮টি। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

এর বিপরীতে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হয়েছে। তাদের ধানের শীষের প্রার্থীরা মাত্র সাতটি আসনে জয়ী হতে পেরেছে।

ভোটে বাধা দেওয়া, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে ঐক্যফ্রন্ট ফলাফল বাতিল করে পুনঃভোটের দাবি তুললেও নির্বাচন কমিশন তা নাকচ করে দিয়েছে।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের পর শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইসি সচিবালয় থেকে স্পিকারকে চিঠি দেওয়া হবে।

# সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

# এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে।

# প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে বা স্পিকারকে অবহিত না করলে সদস্য পদ খারিজ হবে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। তাতে বিজয়ীরা ৯ জানুয়ারি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন।

সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো শপথের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখার কর্মকর্তা নাজমুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। গেজেট পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী বাকি কাজ হবে।”

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবনের নিচতলায় ‘শপথ কক্ষে’ নবনির্বাচিতদের শপথ পড়াবেন। তার আগে তিনি নিজে নিজে আইনসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। এবারও তিনি রংপুর-৬ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।

রেওয়াজ অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগের সদস্যরাই প্রথমে শপথ নেবেন। এরপর ক্রমানুসারে শপথ নেবেন অন্যরা। শপথ শেষে নতুন সংসদ সদস্যরা সংসদ সচিবের কার্যালয়ের স্বাক্ষর খাতায় সই করবেন এবং একসঙ্গে তাদের ছবি তোলা হবে।

জনগণ বিএনপির রাজনীতিকে চিরতরে বিদায় জানিয়েছে : খাদ্যমন্ত্রী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিজয়কে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিজয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আমিনবাজারে মফিদ ই আম স্কুল অ্যান্ড কলেজে তাকে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষকরা।

তিনি বলেন, সত্তরের নির্বাচনের মত জনগণ এবার উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তাদের রায় দিয়েছেন।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, তারা নির্বাচনে প্রচারণার সুযোগ পেয়েও প্রচারণা চালায়নি।

এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ এদেশে বিএনপির রাজনীতিকে চিরতরে বিদায় জানিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ধামরাই বিনা মূল্যে বই বিতরন উৎসব ২০১৯

আজকে ঢাকা জেলার ধামরাই ১ জানুয়ারী ২০১৯ বিনা মূল্যে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে হার্ডিঞ্জ স্কুল ও কলেজ বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বায়রার সভাপতি বিগত ৩০ তারিখে নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী মাননীয় সংসদ সদস্য ঢাকা ২০ আলহাজ্ব বেনজীর আহমেদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধামরাই পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধামরাই পৌর মেয়র জনাব আলহাজ¦ গোলাম কবির মোল্লা।সভাপতিত্ব করেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহি অফিসার আবুল কালাম আজাদ,আর ও উপস্থিত ছিলেন ধামরাই থানা অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা, ধামরাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নায়ার সুলতানা ।

নতুন বছরের প্রথম দিনে ছাত্রছাত্রীরা বই পেয়ে আনন্দিত উল্লাসিত।

প্রধান অতিথী আলহাজ¦ বেনজির আহমেদ আজকের এই বই উৎসব উপলক্ষে তার বক্ত্যবে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যেদিন থেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে সেদিন থেকে এদেশের প্রত্যেকটি ছাত্র ছাত্রী লেখাপড়ার সুযোগ করে দেন।এবং প্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রী যেন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতি উন্নয়ন করতে পারে।

আমাদের বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সে জন্য উনি জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রত্যেকটা ছাত্রছাত্রীকে সারা বাংলাদেশ ৩৫ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ করেন এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় ।আমরা যখন ছোট ছিলাম আমরা নতুন বই পেতাম দুই তিন মাস পর নতুন বই নিয়ে পড়ালেখার সুযোগ পাই নাই আজকে নতুন প্রজন্ম তোমরা বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পেয়ে পড়ালেখা করার সুযোগ পেয়েছ। এ সম্বভ হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য ।

আজকের এই নতুন প্রজন্ম তোমরা এই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন ত্র দেশের সকল মানুষ যেন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারে। সে কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য উনি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন এর একটি অংশ হচ্ছে সবাইকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গড়ে সবার মাঝে তুলে ধরা।

আজকে শুধু বই বিতরণে নয় মেয়েদেরকে বিনামূল্য পড়ালেখার সুযোগ করে দিয়েছেন বর্তমান সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা। কেউ যেন অশিক্ষিত না থাকে সেজন্য তিনি বাংলাদেশে শিক্ষার আলো যেন ঘরে ঘরে পৌঁছায় সে জন্য উনি সব ধরনের ব্যবস্থা করেছেন এবং বাংলাদেশের মানুষ যেন উন্নয়নশীল দেশে বসবাস করতে পারে সে জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়ন জাতি করতে হলে শিক্ষিত জাতির প্রয়োজন সে জন্য শিক্ষার সুযোগ থেকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিবছর বিনামূল্যে বই বিতরণ করে থাকেন।

বেনজির আহমেদ ছাত্র ছাত্রী উদ্দেশে বলেন তোমরা মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করবে দেশ ও জাতির উন্নয়নে আগামী দিনে ত্র দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিযে নেয়ার দায়িত্ব তোমাদের সে কথা মাথায় রেখে তোমরা মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করবে আমি তোমাদের মঙ্গল কামনা করি তোমরা লেখাপড়া করে জাতির ভবিষ্যৎ করবে পিতা-মাতার মুখ উজ্জ্বল করবে। সর্বশেষ তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি)

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করেই এবার প্রায় ৫০০ উপজেলায় নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমদিকে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

২০১৪ সালের মতো এবারও ধাপে ধাপে এ নির্বাচন হবে। ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬ ধাপে ৪৮৭টিরও বেশি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে হবে একশোর কাছাকাছি উপজেলার নির্বাচন। এ ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে চলতি মাসের শেষ অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।

২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন আইনত নির্দলীয় হলেও আইন সংশোধনের ফলে এবার এ নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। এ কারণে রাজনৈতিক দলগুলোকে উপজেলা পরিষদের প্রার্থী মনোনয়নের কাজ সহসাই শুরু করতে হবে।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ জুলাই মাসে শেষ হচ্ছে, ওইসব উপজেলার নির্বাচন ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। জুলাইয়ের পরে যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে, সেগুলোর নির্বাচন পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে। আইন অনুযায়ী মেয়াদপূর্তির আগের ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পরই ১৯ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত মোট ছয় ধাপে ওই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

নারী প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৯ জন বিজয়ী হয়েছেন ২২ জন।

শেখ হাসিনা, রওশন এরশাদ, সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাহারা খাতুন, ডা. দীপু মনি, মন্নুজান সুফিয়ান

বাংলাদেশের ইতিহাসে সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী নির্বাচিত হয়েছেন। এবার নারী প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৯ জন, যা এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনের মধ্যে সর্বোচ্চ। তাদের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন ২২ জন।

বিজয়ী নারীদের মধ্যে ১৯ জনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (গোপালগঞ্জ-৩), সাজেদা চৌধুরী (ফরিদপুর-২), কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী (শেরপুর-২), স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী (রংপুর-৬), সাহারা খাতুন (ঢাকা-১৮), ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), বেগম মন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা-৩), সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (মুন্সীগঞ্জ-২), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর-৫), ইসমত আরা সাদেক (যশোর-৬), শাহীন আক্তার (কক্সবাজার-৪), মমতাজ বেগম (মানিকগঞ্জ-২), হাবিবুন নাহার (বাগেরহাট-৩), সেলিমা আহমাদ মেরী (কুমিল্লা-২), বেগম রেবেকা মোমিন (নেত্রকোনা-৪), জয়া সেনগুপ্ত (সুনামগঞ্জ-২), হাবুব আরা গিনি (গাইবান্ধা-২) ও আয়েশা ফেরদাউস (নোয়াখালী-৬)।

এছাড়া জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ (ময়মনসিংহ-৪) ও সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্না (বরিশাল-৬)। আর জাসদের (ইনু) শিরীন আখতার নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছে ফেনী-২ আসন থেকে।

নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের সম্ভাবনা রোববার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইতিমধ্যেই নির্বাচনে জয়ী সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু করেছে সংসদ সচিবালয়। একই সঙ্গে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনের বিষয়টি নিশ্চিত করে গ্রেজেট প্রকাশের কাজও শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথ পড়াতে হবে।

সূত্র জানায়, দু’একদিনের মধ্যেই নির্বাচিত সদস্যদের গেজেট জারি করবে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে এর প্রস্তুতিও শুরু করেছে তারা। গেজেট প্রকাশের পরপরই স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথ পড়াবেন।

ইতিমধ্যে শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার প্রস্তুতিও শুরু করেছে সংসদ সচিবালয়। স্পিকার মঙ্গলবার রংপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পরপরই তার তত্ত্বাবধানে পুরো প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে।

শপথ পড়ানোর বিষয়ে সংবিধানে ১৪৮ এর ২(ক) ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ব্যক্তি যে কোনো কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি’।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এ নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

২৯ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিপুলসংখ্যক আসন নিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

যদিও আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সংসদের মেয়াদ রয়েছে। শপথ অনুষ্ঠিত হওয়ার ৩৪০ দিনের মধ্যে সংসদ বসার বিধান রয়েছে সংবিধানে।

এ প্রসঙ্গে সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (২) এর (১) দফায় বলা হয়েছে, ‘সংসদ-সদস্যদের যে কোনো সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হইবার ৩০ দিনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠানের জন্য সংসদ আহ্বান করা হইবে’।

এ বিষয়টি মাথায় রেখে আগামী ৬ জানুয়ারি রোববার শপথ অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার গেজেট প্রকাশিত হতে পারে।

রোববার দেশের ২৯৯টি আসনে একযোগে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৭টি আসন। ২২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাতীয় পার্টি। বিএনপি ৫টি আসন এবং অন্যান্যরা ১৩টি আসনে জয়লাভ করেছে।

এখন এই নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেট আকারে প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

ঢাকা-১৯ আসনে ডাঃ এনামুর রহমানকে ফুলের শুভেচ্ছা জানাতে নেতাকর্মীদের ঢল।

একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসন সাভারে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী নৌকা প্রর্তীক নিয়ে ডাঃ এনামুর রহমান বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এ উপলক্ষ্যে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্থানীয় দলের নেতাকর্মীরা।
সোমবার দুপুরে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাভার আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে জরো হতে থাকে।

এসময় আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ, যুব লীগ, সহ সকল সহযোগি অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ব্যবসায়ী ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ জন সাধারনের ঢল নামে।
পরে দলের নেতাকর্মীদের জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু  স্লোগান দিয়ে আনন্দ উল্লাস করেন।
পরে দলের সকল নেতাকর্মীরা একে একে ঢাকা-১৯ আসনের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডাঃ এনামুর রহমানকে ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।

সর্বশেষ আপডেট...