34.5 C
Dhaka, BD
মঙ্গলবার, মে ১৩, ২০২৫

শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল আইএসআই

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের ওই পরিকল্পনা বানচাল করে দেয়া হয়। ঢাকা থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘ইকোনোমিক টাইমস’ এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে ইকোনোমিক টাইমসে মঙ্গলবারে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘বাংলাদেশ সরকার তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগীদের নিয়ে ওই হত্যা পরিকল্পনা বানচাল করে দেয়। পরিকল্পনাটি করেছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।’ হত্যাকাণ্ড পরিচালনার জন্য তারা বিপুল অস্ত্রও সরবরাহ করে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ‘আইএসআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাভিদ মোক্তার ওই হত্যা পরিকল্পনার প্রধানের ভূমিকা পালন করেন। জেনারেল নাভিদ ছাড়াও আইএসআইয়ের বেশকিছু এজেন্ট ওই হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কিছু সদস্য নাকি এ পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন। তবে পাকিস্তান সমর্থিত মৌলবাদী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হত্যা পরিকল্পনায় ছিল কিনা- তা জানা যায়নি।’

এক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গ্রিসের পতাকাবাহী একটি জাহাজে করে একে-৪৭, কারবিন বন্দুক ও গ্রেনেড নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বন্দরে প্রবেশের পরিকল্পনা করা হয়। তবে ওই জাহাজটি মাঝপথে ডুবে যায়। ২০০৪ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন দল ক্ষমতায় থাকাকালীন যেভাবে ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র দেশে নিয়ে আসে, একইভাবে এসব অস্ত্র আনার ব্যবস্থা করা হয়।’

আরেকটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার মাধ্যমে একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পনা করেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। জাহাজ থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকায় বোমা বিস্ফোরণেরও পরিকল্পনা ছিল তাদের।’

ইকোনোমিক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাস ওই হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিল।’

এর আগে ইকোনোমিক টাইমস বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ‘পাকিস্তান সমর্থিত বিএনপি ও মৌলবাদী দল জামায়াতে ইসলামীকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আর এসব পরিকল্পনার মূলহোতা হলেন তারেক রহমান।’

রাজবাড়ীতে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গণধর্ষণে , গ্রেফতার ৫

রাজবাড়ীতে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে সদরের মহাদেবপুর এলাকায় মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী সুজন। পরে সুজন ও তার সহযোগীরা মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় সকালে সদর থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার।

এরপরই জেলার মহাদেবপুর, ড্রাই আইস ফ্যাক্টরি এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুজন, আকাশ, বাবুসহ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অসহায় নবীর হোসেনের পরিবার , দেখার কেউ নেই ।

একটি অসহায় পরিবারের চলছে চরম দুর্দিন । যেন দেখার মত কেউ নেই।

সরজমিনে জানা যায় ,সুন্দরগঞ্জ  উপজেলার রামজীবন ইউনিয়ন বাজারপাড়া গ্রামের মৃত নছর উদ্দীনের পুত্র নবীর হোসেনের বসতভিটার মাত্র ১০ শতক জমিতে বসবাস করছেন সপরিবার কে  নিয়ে ।

তিনি নিজেই থাকেন বসতবাড়ির দক্ষিণ দুয়ারী ১২ হাত দৈর্ঘ্য খড়ের ঘরে। পশ্চিম দুয়ারী ৬-৭ হাত দৈর্ঘ্য ছোট্ট খড়ের ঘর  রান্না ঘরেই রাখেন তার মূল্যবান সম্পদ ২টি গাভী ও ২টি বাছুর। তার স্ত্রী রেজিয়া খাতুন।

পুত্রের মধ্যে বড় ছেলে মোঃরিয়াজুল হক তার সাড়ে ৩ বছরের পুত্র মোঃআলিফ নূর ও স্ত্রী মোছাঃআলেমা খাতুনসহ থাকেন বাড়ির পূর্ব- দুয়ারী ৬ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ৭-৮ হাতের একমাত্র টিনের চালা ঘরে।

ছোট্ট ছেলে রবিউল ইসলাম তার আড়াই বছরের একমাএ পুত্র ও স্ত্রী মোছাঃআলেয়া আক্তার আলোকে নিয়ে বগুড়া শহরের বকশীবাজারের একটি ভাড়া বাসায় অতি দুঃখ-কষ্টে অনাহারে দিনাতিপাত করেন। রবিউল শহরের একটি হোটেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন আর তার স্ত্রী অন্যের দর্জির দোকানে বাচ্চাদের জামা-কাপড়ের সেলাইয়ের কাজ করেন।

নবীর হোসেন দিনমজুরী কাজ করেন। নবীর হোসেনের পুত্র রিয়াজুল হক বিএসএস (সম্মান) ও তার স্ত্রী আলেমা খাতুন বিএ পাশ হলেও কোথাও কোন কাজ পাননি। রিয়াজুল হক প্রাইভেট পড়ানোর অর্থ  থেকে সংসার খরচ চালান। তাঁর পিতা নবীর হোসেন বয়ঃবৃদ্ধ হওয়ায় দিনমজুরীতে তেমন কিছু আয় করতে না পারায় সংসার চলে কখনো খেয়ে কিংবা কখনো না খেয়ে ।

বসবাসের জায়গাটুকু থাকলেও নেই বসবাসের উপযোগী ঘর-দরজা। নেই দু’বেলা দু’মুঠো পেট ভর্তি খাবারের নিশ্চয়তা । বয়সের ভারে নূঁইয়ে পড়া রিয়াজুল ও রবিউলের পিতা নবীর হোসেন ও মা রেজিয়া খাতুন জানান, তাঁদের ভাগ্যে ‘জমি আছে ঘর নাই’। এমন প্রকল্পের অধীনে ঘর- দরজা তো দূরের কথা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বয়স্কভাতা, ভিজিডি বা এমন কোন ধরণের সহায়তা তাঁদের ভাগ্যে জোটেনি এখনো পর্যন্ত ।

ধামরাইয়ে অপহরনের তিনদিন পরে শিশু মনিরের লাশ উদ্বার আটক দুই ।

ঢাকার ধামরাইয়ে অপহরণের তিন দিন পর শিশু মনিরের (৫) লাশ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।

এই ঘটনাই দুই অপহরণ কারীকে আটক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার(২৯জানুয়ারী)সকাল ১০ঘটিকার সময় ধামরাই ভাড়ারিয়া ছোট আশুলিয়া গ্রাম থেকে অপহরণের তিনদিন পরে শিশু মনিরের গলিত ও বিকৃত লাশ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।

নিহত শিশু মনির হোসেনের বাড়ী ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ছোট আশুলিয়া গ্রামের মোঃ সোনামিয়া (কালা) ছেলে।এব্যাপারে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।১। মানসুর (৩৫)পিং-আাব্দুল হামিদ, সাং-কুল্লা ইউনিয়ন।২।মাজেদুল (২৫) পিং-আবুল হোসেন,সাং-ছোট আশুলিয়া। এই মামলার ৩নং আসামি রাব্বি(২৭), পিতা-মিশু এখন পলাতক রয়েছে। এলাকাবাসি সুত্রে জানাযায় গত শনিবার বিকালে শিশু মনির মাজেদুলের মদি দোকানের সামনে খেলা করতে ছিল এই সময় শিশু মনিরের বাবা সোনামিয়া নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার সময় শিশু মনিরকে ডেকে বাড়ীতে যাইতে বলে।

পরে শিশু মনির সেখানে খেলা করতে থাকে। এর কিছু সময় পর সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ শেষে শিশু মনিরের বাবা বাড়ীতে ফিরে এসে মনিরকে ডাকতে থাকে কিন্তু মনিরকে সেই সময় থেকে আর পাওয়া যায় না। তখন তারা সারা রাত খোজ করার পর ও যখন মনিরকে পাওয়া যায়না । তখন মনিরের বাবা সোনামিয়া থানায় এতে একটি জিডি করে। পরে পুলিশ সেই সময় থেকে শিশু মনিরকে খুজতে থাকে বিভিন্ন ভাবে।

এই ব্যাপারে শিশু মনিরের চাচাতো দাদা মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, শনিবার বিকালে মনির অপহরণ হয়। অপহরণের মুলহোতা মাজেদুল ইসলাম । মাজেদুল শনিবার বিকাল শিশু মনিরকে অপহরণ করে মুখ বেধে প্রথমে তার বাড়ীতে লুকিয়ে রাখে। পরে মাজদুল মনিরের বাবার কাছে দশলক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সেই মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সেটা বন্ধ পাওয়া যায়। তার পর ধামরাই থানা পুলিশকে ঘটনা জানালে তারা আজ সকালে ছোট আশুলিয়া গ্রামের মোঃ মিশুর বাড়ীর ঘোয়াল ঘরের পিছন থেকে মাটিতে চাপা দেওয়া শিশু মনিরের লাশটি উদ্ধার করে ।

এই ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, । তারা অনেক খুজা খুজি করে কোথাও না পেয়ে থানায় এসে একটি জিডি দায়ের করে। পরে তদন্ত ওসি মোঃ কামাল হোসেনের নেতিৃত্বে সোমবার রাতে মাজেদুল ইসলামকে ও মানছুরকে আটক করে। আটককৃত মাজেদুল ও মানছুর মামাতো ভাই কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ঘটনার সর্ম্পকে সব বলে দেয় এবং শিশু মনিরকে কোথায় মাটিচাপা দিয়েছে সেটা তারা বলে দিলে আজ সকালে তাদের নিয়ে মিশুর বাড়ীর ঘোয়াল ঘরের পিছন থেকে মাটি চাপা দেওয়া মনিরের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

তবে এই ঘটনায় মাজেদুল,মানছুর ও রাব্বি হোসেন জড়িত ।এই ঘটনার মুল আসামি ৩ জনের দুই জন পুলিশ হেফাজতে আছে।এব্যাপারে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিস্কুটে নেশাজাতীয় দ্রব্যের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত থাকায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এরপরে অপহরণকারীরা শিশুটির লাশ ছোট আশুলিয়া গ্রামের মিশুর বাড়ীর গোয়াল ঘরের পাশে মাটিতে গর্ত করে চাপা দেয়।

তবে লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলেই বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ।

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার তুলে দিলেন রাসিক মেয়র লিটন ।

কেউ বাক প্রতিবন্ধী, কেউ দৃষ্টি, আবার কেউ শ্রবণ প্রতিবন্ধী । স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নিজেদের মধ্যে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে হয়েছেন বিজয়ী।

এসব বিজয়ী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়রের হাত থেকে পুরস্কার পেয়ে আনন্দিত এসব শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার বিকেলে নগরীর ষষ্ঠীতলা এলাকাস্থ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের স্কুল পিএইচটি সেন্টারে এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মেয়র।

অনুষ্ঠানে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বতর্মান সরকারের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। তাই এসব শিক্ষার্থীদের জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এ সময় মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী পিএইচটি সেন্টারের তেমন উন্নয়ন হয়নি। আগামীতে যাতে এখানে আরো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়, তাদের যতœ নেয়া হয়, এবং প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন করা যায়-এসব বিষয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের হাতে আলোচনা করবো।

রাজশাহী পিএইচটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাসিনা মমতাজ, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাশেদুল কবির, পিএইচটি ব্যবস্থপনা ও মনিটরিং কমিটির সদস্য শিরিন সুফিয়া খানম, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিব বাদল, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজ প্রমুখ।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সমুন ও ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

সুন্দরগঞ্জে পুলিশ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা ।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার আয়োজনে পুলিশ সেবা সপ্তাহ- ২০১৯ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘জনতাই পুলিশ-পুলিশই জনতা’-এই ব্রতকে সামনে রেখে সোমবার সকালে সুন্দরগঞ্জ পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে
শোভাযাত্রাটি থানা প্রাঙ্গণে এসে সমাপ্তি হয়।

এসময় থানা অফিসার ইনচার্জ- এসএম আব্দুস সোবহান সকল জনসাধারণকে পুলিশকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। এতে থানার নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক- তাজুল ইসলামসহ থানার সকল এসআই, এএসআইগণ উপস্থিথ ছিলেন।

যানজট কমাতে রং পরিবর্তন করে অটো চলবে রাজশাহীতে, রাসিক মেয়র লিটন ।

একদিন লাল রং এর অটো , পরের দিন সবুজ রং এর অটো , চলবে বলে জানিয়েছে রাসিক মেয়র লিটন । রাজশাহী নগরীর যানজট কমাতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র এ,এইচ,এম খায়রুজ্জামান লিটন ।

সোমবার বেলা ১১টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘পুলিশ সেবা সপ্তাহ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মেয়র।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আরও বলেন, নগরীতে প্রায় ৩০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলছে । এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, বাড়ছে দুর্ভোগ । তাই আরএমপি ও সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ট্রাফিক ব্যবস্থার ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ।

রাসিক মেয়র লিটন বলেন , মালিকদের সাথে বসে অটোগুলোকে লাল ও সবুজ রঙের করা হবে। লাল রঙের অটো চলবে একদিন, পরের দিন চলবে সবুজ রঙেরগুলো। তবে রাজশাহীকে ঘিরে শিল্প কলকারখানা গড়ে ওঠলে সিটি সার্ভিস বাস চালু হতে পারে বলেও জানান তিনি।

পুলিশ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আরএমপি কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
এদিকে, আরএমপি কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের তালিকায় যুক্ত হবে । তাই সেই লক্ষ্য রেখে ঢেলে সাজানো হচ্ছে পুলিশ বাহিনীকে। পুলিশ দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের সহায়তায় যাতে পুলিশ সদস্যরা খুব সহজেই এগিয়ে যান এজন্য মানসিক ও প্রযুক্তিগতভাবে তাদের দক্ষ করে তোলা হচ্ছে।

সুন্দরগঞ্জে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা শিশু নিকেতন এন্ড মডেল হাই স্কুলের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিদায় অনুষ্ঠান, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

২৮জানুয়ারি সোমবার দুপুরবেলা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জনাব,মোঃ আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর ইন্জিঃকলেজের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম আল-আমিন।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিদায়ী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন, রংপুর ইন্জিঃ কলেজের অধ্যক্ষ জনাব,নিরোধ বরন নাথ, RIT রংপুর কলেজের অধ্যক্ষ জনাব,হান্নান সরকার, বামনডাঙ্গা শিশু নিকেতন এন্ড মডেল হাই স্কুলের পরিচালক জনাব,মোঃ ইনজামাম আযম,বামনডাঙ্গা শিশু নিকেতন এন্ড মডেল হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক জনাব, মোঃ ফারুক হোসেন,বামনডাঙ্গা আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জনাব,আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল, বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই জনাব,মোঃ জহুরুল ইসলাম, ও জাহিদুল ইসলাম,সুজন প্রামানিক,সহ উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।উক্ত বিদায় অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোঃ সাকিব, মোছাঃ মৌ সহ আরও অনেকে।

প্রাথামিক শাখার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে পুরুস্কৃত হন জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,এবং শ্রেষ্ঠ সমন্বয়ক ও পরিচালক হিসেবে পুরুস্কৃত হন রেজাউল করিম রেজা ।

বিদায়ী পরিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার উপকরণ স্কেল, কলম, ক্লিপবোর্ড, জ্যামিতি  বক্স সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেন স্কুলের শিক্ষক ও অতিথিবৃন্দ । অতিথি ও শিক্ষকমন্ডলীরা এস.এস.সি পরিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল ও সকলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দোয়া ও মঙ্গল কামনা করেন।

ধামরাইয়ে তিতাস বেকারীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে খাদ্যদ্রব্য ।

ঢাকার ধামরাইয়ে তিতাস বেকারীতে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে নানা রকমের খাদ্যদ্রব্য। এই সব বেকারীতে তৈরি করা হচ্ছে বিস্কুট,কেক,পাউরুটি,চানাচুরসহ বিভিন্ন ধরণের খাবার ও শিশু খাদ্য।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় ধামরাই উপজেলা পৌর-সভায় তিতাস নামক একটি বেকারীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে নানা ধরনের খাদ্যদ্রব্য। তিতাস বেকারীটি ধামরাই পৌর-সভার লাকুড়াপাড়ার দক্ষিণ পাশে আব্দুস সোবাহান মডেল স্কুলের সামনে রাস্তার পুর্ব পাশে অবস্থিত। এই বেকারীতে গিয়ে দেখাগেল কারিগরদের কাজের অবস্থা,তাদের শরীরের মধ্যে কোন ইনিফরম নেই যার কারণে তাদের শরীর থেকে ঘামবেয়ে চুয়ে চুয়ে পরছে প্রস্তুতকৃত ময়দার উপর।

একটু পরেই দেখাগেল সেই ময়দা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন হাতের বেকার পণ্য। যেমন বিস্কুট,কেক, পাউরুটি,তৈরি করার বিশাল চুল্লির আশপাশে রয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তপ। এছাড়া স্যাঁত সেতের মেঝের মধ্যে রাখা হয়েছে তৈরি খাবার পণ্য যা মাছিতে ভরে রয়েছে।এর পর আবার মেঝেতে রাখা একটি ড্রাম সেখানে রয়েছে দীর্ঘদিনের পোড়া তৈল এবং মেঝেতে পড়ে আছে ডিমের খোসা তাতে দেখা যায় মশামাছির উপদ্রব, শুধু তাই নয় খাদ্যদ্রব্য প্রস্ততের সময় তার সাথে মেশানো হচ্ছে কৃত্রিম রং যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।

এছাড়া এমোনিয়াম নামে একটি বোকপাউডার খোলা ময়দা ও চিনির সাথে মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বেকারী পণ্য এবং বেকারীর কারিগরদের হাতে থাকে না কোন গ্লাভস ও ঢাকা থাকে না মাথার চুল ফলে খাদ্যদ্রব্য সাথে চলে যায় মাথার চুল হাতের ময়লা। যা খেয়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ অনেক মানুষই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।তাই এলাকাবাসির দাবি এই সব বেকারী গুলি বন্ধ করে দেওয়া।
এই ব্যাপারে তিতাস বেকারীর মোঃ অলিউল্লাহ (১৫) নামে এক কর্মচারী বলেন, আমি হেলপারের কাজ করি, এই রংয়ের নাম কি তা আমি বলতে পারব না এটা আমার মালিক বলেতে পারবে।
অপর একজন কর্মচারী মোঃ বেলায়াত হোসেন বলেন, আমরা শুধু বেকারীর খাদ্যদ্রব তৈরি করি এছাড়া আর কিছু বলতে পারব না । ড্রামের ভিতর কালো তৈলের কথা বললে সে বলে আমাদের এই গুলি দিয়ে কাজ করতে বলছে আমরা কি করব । আমরা তো হুকুমের গোলাম ।

এই ব্যাপারে তিতাস বেকারীর মালিক মোঃ আবু তাহের বলেন, আমার বেকারী কি ভাবে চলবে সেটা আমি দেখব। তখন মালিককে বিএসটিআই অনুমোদন আছে কি না সেটা দেখানোর কথা বললে মালিক তাহের তখন সে রেগে গিয়ে বলে আপনি কে যে আপনাকে বি এস টি আই দেখাতে হবে আমি আপনাকে বিএসটিআই দেখাব না আপনি যা পারেন তা করেন।

এই ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম বলেন,অচিরেই বেকারীগুলিতে ভ্রুম্যমান আদালত পরিচালানা করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

কোটা বহালের দাবিতে রাবির প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ ।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকুরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

কর্মসূচি চলাকালে সড়কে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া বাকি সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় মোটর সাইকেল ও সাইকেল চালকদের নেমে হেঁটে পার হতে দেখা যায়। বিনোদপুর এলাকার উমেদ আলী নামের একজন ভ্যানচালক তার ভ্যান নিয়ে সমাবেশের পাশ দিয়ে অতিক্রম করতে গেলে বিক্ষোভকারীরা ভ্যানচালকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ভ্যানটি উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেন।

সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা ৩০ শতাংশ কোটা বহাল চাই, রাজাকারদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, আর নয় ৭৫, এবার হবে ৭১ বলে স্লোগান দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ আহ্বায়ক কমিটির উপদেষ্টা তারিকুল হাসান বলেন, ‘আমার বাবার বুকে বুলেট বিদ্ধ হওয়ার বিনিময়ে আমরা এই দেশ পেয়েছি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে শিবির ক্যাডাররা দেশে একটি অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ফুঁসলিয়ে তারা তাদের কু-উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্র কোনদিন সফল হতে দেওয়া হবে না।’

বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক অমর কুমার রায় বলেন, ‘বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য আমাদের কারো বাবা, কারো চাচা কিংবা দাদা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। আমরা তাদের বংশধর। অথচ বর্তমানে আমরাই উপেক্ষিত হচ্ছি।’
রাজশাহীর হামিদপুর-নওদাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ চৌধুরী সমাবেশে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করেছি, রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। কিন্তু আজ আমাদের সন্তান-সন্ততিদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের অধিকার রক্ষা করুন।’

কর্মসূচি থেকে ছয়টি দাবি জানানো হয়। আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদের অধীবেশনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না আসলে বৃহৎ কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

তাদের দাবিগুলো হলো- রাজাকরসহ স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের বংশধরদের সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে চাকুরিচ্যুত ও নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্য ঘোষণা করা, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অবমাননাকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবিধানিক সংস্কৃতি ও পারিবারিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধের চেতনা বিরোধী সকল প্রকার অপপ্রচার বন্ধ করা এবং সরকারি চাকুরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্মের বয়সসীমা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আনুপাতিকহারে বৃদ্ধি করা।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেট...