30 C
Dhaka, BD
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের দায়িত্ব নেবে না আওয়ামী লীগ – খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ।

দলের নামে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ড করলে তার দায়িত্ব আওয়ামী লীগ নেবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

দিনাজপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বুধবার (২৩ জানুয়ারি) জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই আওয়ামী লীগকে মানুষ ভোট দিয়েছে, কোন মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য নয়। এখানে কোন মালিকানা থাকবে না।

এখানে বাংলাদেশের মানুষকে সেবা করার জন্য আওয়ামী লীগকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। কোন ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা চাই না। দিনাজপুরে কোনো ধরনের মাস্তানতন্ত্র ও সন্ত্রাসতন্ত্র থাকবে না। এরকম কিছু করলে তার দায়িত্ব সরকার নেবে না।’

সুন্দরগঞ্জে একটি সড়কসহ ফুটব্রীজের জন্য জন দুর্ভোগ চরমে

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত একটি সংযোগ সড়কসহ ফুটব্রীজের জন্য প্রত্যহ হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। বিগত নব্বই দশকে নির্মিত ঐ ফুটব্রীজসহ সংযোগ সড়কের আজও কোনরূপ উন্নয়ন হয়নি।

সরজমিনে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মন্দির তথা সুন্দরগঞ্জবাজার থেকে তারাপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রাম হয়ে কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, উলিপুর, লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, রংপুর সদর, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকার্থে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের নিকটস্থ গোয়ালেরঘাট নামক জলাশয়ের উপর ফুটব্রীজটি সরু (চিকন) বা প্রস্থ স্বল্পতার ফলে একটি রিক্সাভ্যান পারাপারের সময় পায়ে হাটা মানুষকে দু’পাশে অপেক্ষা করতে হয়। সারাক্ষণ ব্যস্ততম জন গুরুত্বপূর্ণ ও দূরুত্ব কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ব্যবসা- বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, হাট- বাজারসহ নানান প্রয়োজনে যোগাযোগের উন্নয়নশীলতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বা পরিকল্পনানুযায়ী ব্রীজসহ সংযোগ সড়কটির নির্মাণ জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

এ সড়কটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ, তারাপুর, চর-তারাপুর, খোর্দ্দারচর, বেকরীরচর, লাটশালারচর, কাশিমবাজার, মধ্যবেলকা, কিশামত সদর, জিগাবাড়ির চর, মাঝবাড়ির চর, চর-চরিতাবাড়ি, চর-হরিপুর, কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর ও চীলমারী উপজেলার চর-বজরা, নাগড়াকুড়া, বজরা, তবকপুর, গুনাইগাছা, লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, রংপুর সদর, পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলা তথা গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার বিশেষ অংশের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ববহণকারী জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রত্যহ কয়েক লাখ মানুষের পদ-চারণা লক্ষ্যনীয়। কিন্তু, সড়কটি এখনো কাঁচা আর ফুটব্রীজটি অত্যন্ত সরু (চিকন)। দৈর্ঘ অনুপাতে প্রস্থ একেবারেই কম হওয়ায় একটি রিক্সাভ্যান বা একঘোড়াগাড়ি ব্রীজের উপর উঠলে বাইসাকেল, মোটরসাইকেল এমনকি পায়ে হাটা মানুষকেও ব্রীজের দু’পাশের কোন স্থানে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় ব্রীজের উপরে ওঠা রিক্সা-ভ্যান, ঘোড়াগাড়ি বা চলন্ত মোটরসাইকেলটি পার হয়ে যাওয়া পর্যন্ত।

এছাড়া, ফুটব্রীজটি পুরাতন হওয়ায় চলন্ত মোটরসাইকেল উঠলেই কাপুনি বা কম্পনের সৃষ্টি হয়। এই ফুটব্রীজ ও মেঠো পথটির দিন দিন যেমন গুরুত্ব বাড়ছে। তেমনি বৃদ্ধি পাচ্ছে জন দুর্ভোগ। এসব মানুষের ভোগান্তি লাঘবে পরিকল্পনানুযায়ী ফুটব্রীজের বদলে আধুনিক ও উন্নত মানের ব্রীজসহ সংযোগ সড়কটি নির্মাণের জন্য প্রত্যহ ভোগান্তির শিকার লাখ লাখ মানুষের পক্ষে জোরদাবী জানিয়ে , তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান- আমিনুল ইসলাম বলেন- “মহান মুক্তিযুদ্ধের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, উন্নয়নের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট ৪ জেলার সম্পূর্ণরূপে ৬/৭টি উপজেলাসহ আংশিকভাবে অন্যান্য স্থানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যোগাযোগের ক্ষেত্রে লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে অতীব জরুরী ভিত্তিতে এই ফুটব্রীজ ও কাঁচা সড়কের বদলে পরিকল্পনা মাফিক ব্রীজ ও সড়কটি নির্মাণ করা হোক”।

যে দেশ বিজ্ঞানে এগিয়ে থাকে সে দেশ তত উন্নত

একটি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনের জন্য বিজ্ঞানচর্চা বাড়াতে হবে। বিজ্ঞান শিক্ষাকে বাদ দিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা যাবে না বলে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি । তিনি আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ৯ম বাংলাদেশ রসায়ন অলিম্পিয়াড-২০১৮ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন । শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে দেশ বিজ্ঞানে যত এগিয়ে থাকে সে দেশ তত উন্নত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার বিজ্ঞান শিক্ষাকে উৎসাহিত করছে। বিজ্ঞান শিক্ষা উন্নয়নের ক্ষেত্রে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করবে।

এসময়ে মন্ত্রী আরও বলেন, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি শিক্ষায় মেয়েরা কম আসে। বিভিন্ন সুযোগের অভাবে এটি ঘটছে। সুযোগ দিলে বিজ্ঞান শিক্ষায়ও মেয়েরা ভাল করবে। নারীদের বিজ্ঞান চর্চায় এগিয়ে আসার আহব্বান জানান।

স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের নিয়ে রসায়ন অলিম্পিয়াডে এবার ১৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, এ উদ্যোগ বাংলাদেশে রসায়ন পঠন-পাঠনে যেমন ভূমিকা রাখবে, তেমনি একটি জ্ঞানভিত্তিক চৌকষ জাতি গঠনে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আফতাব আলী শেখ, ৯ম বাংলাদেশ রসায়ন অলিম্পিয়াড-২০১৮ এর আহ্বায়ক ড. মো. ওয়াহাব খান, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা আব্দুস সামাদ এবং মেঘনা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার কাজী মো. মহিউদ্দিনসহ আরো অনেকে।

এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটছে বলে জানিয়েছেন তাঁর ছোট ভাই জিএম কাদের।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী আফিসে এরশাদের সুস্থতা কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে এ কথা জানান জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

এসময় জিএম কাদের বলেন, এরশাদের শারীরিক উন্নতি ঘটছে এবং হাসপাতালে হাঁটাহাঁটি করেছেন। কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার কর্ম দিয়েই মানুষের হৃদয় জয় করেছেন।

দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম জয়ের উদ্যোগে পল্লীবন্ধুর সুস্থতা কামনায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

দীর্ঘদিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে গত ২০ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ওইদিন দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে (এসকিউফোরফোরনাইন) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) উপনির্বাচন ও উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৯টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে, উত্তর সিটি করপোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনে আমরা অংশ নিচ্ছি না। কারণ আমরা মনে করি- একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রহসনের মধ্য দিয়ে হয়েছে। তাই এই সরকার ও ইসির অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। ইতোমধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এটা আমাদের পার্টির সিদ্ধান্ত। আমরা কোনো উপ নির্বাচনেও যাচ্ছি না।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন দলের নেতারা। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে চলে এ বৈঠক। এরও আগে মাগরিবের নামাজ বাদ এক দোয়া মাহফিল শেষে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিএনপির আইনজীবী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ডিএনসিসি নির্বাচন ছাড়াও বৈঠকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, দল পুনর্গঠনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপিতে অংশ নিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ইস্যুতে রাজনৈতিক পদক্ষেপের বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে।

১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা

এবার এক পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বন্দ্ব নিরসনের পর তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষ মিলে ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা আয়োজন করবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।

তাবলিগের দুই পক্ষ এক হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে তাবলিগ নেতাদের নিয়ে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, তাবলিগের শূরা সদস্য মাওলানা জুবায়ের, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তাবলিগে বিশৃঙ্খলা চলছে। এটাকে প্রশমিত করার জন্য সবাই মিলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে সব পর্যায়ের সবাইকে নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে দুই গ্রুপকে একসঙ্গে বসাতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘সেখানে আমরা একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি যে, এবার বিশ্ব ইজতেমা একসঙ্গে এক জায়গায় এবং উভয় গ্রুপ মিলেই করবে।’

কিছু কর্মপদ্ধতি ও ইজতেমার তারিখ নির্ধারণের জন্য আজকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুপক্ষ মিলে তারিখ ঠিক করেছে, সরকারের পক্ষ থেকে কিছু চাপিয়ে দেয়া হয়নি। আমরা বলেছি এ কাজটি একতাবদ্ধভাবে করতে হবে যেন দেশবাসী খুশি হয়। ওনারা রাজি হন।’

‘দুই পক্ষ দুটি ডেট ঠিক করছিলেন। একদল বলেছিলেন ৮ তারিখ (৮, ৯, ১০ ফেব্রুয়ারি), আরেক দল বলেছিল ২২ (২২, ২৩, ২৪ ফেব্রুয়ারি)। তখন মীমাংসার পথ হিসেবে আমরা প্রপোজ করেছি, এমন না হয় এক পক্ষ বলবে ওনাদের কথামত তারিখটা ঠিক হলো। আমরা দু’টার মাঝামঝি একটা তারিখ রাখলাম ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি। এই তিনদিন একসঙ্গে টঙ্গীর ময়দানে অন্যান্য বছরের মতো বিশ্ব ইজতেম সুন্দরভাবে পালিত হবে’ বলেন শেখ আব্দুল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববাসীর কাছে আবেদন করব, আপনারা জেনে খুশি হবেন বাংলাদেশে তাবলিগ জামাত নিয়ে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। গোলামাল-গোলযোগ নেই, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা নেই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সুশৃঙ্খলভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়োজিত রেখে ইজতেমা সুন্দরভাবে করার একটা প্রয়াস নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের কারণেই আমরা এটি করতে সক্ষম হয়েছি’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।

ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সুবিধার্থে বিগত বছরগুলোতে দু’পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হয়েছে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার একবারেই হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যাতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার করা হবে।’

ঐক্যবদ্ধভাবে ইজতেমা করার জন্য দু’পক্ষের কিছু শর্ত ছিল, সেগুলো নিষ্পত্তি হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যদি কোনটা মিটমাট না হত তাহলে ঐক্যবদ্ধ হল কীভাবে। ওনাদের সব প্রশ্নের সন্তোষজনক সমাধান করতে পারছি বলেই তাদের আমরা সন্তুষ্ট করতে পেরেছি। এক হয়ে (ইজতেমা) করতেছে মানেই আমরা তাদের অল্প হলেও সন্তুষ্ট করতে পেরেছি। একদিনে সবটুকু হয় না।’

‘লেট আস হোপ ফর দ্য বেস্ট। ভবিষ্যতে আরও সময় পাব সেই সময়ে চেষ্টা করব যেটুকু বাকি আছে সবটুকু সমাধান করে চিরদিনের জন্য দ্বন্দ্ব দূর করব।’

তাবলিগ জামাতের দিল্লির আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য নিয়ে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের তাবলিগ জামাত। আলেমরা সাদবিরোধী ও সাদপন্থী দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এক গ্রুপে রয়েছেন সাদ কান্ধলভিপন্থী বাংলাদেশ তাবলিগের শূরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। অপর গ্রুপে রয়েছেন মাওলানা সাদবিরোধী কওমীপন্থী শূরা সদস্য মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।

এ বিভক্তি চরম আকার ধারণ করে গত বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার সময় মাওলানা সাদের বাংলাদেশে আসার পর। বিরোধীদের বাধার মুখে ইজতেমায় অংশ না নিয়েই মাওলানা সাদকে ওই সময় বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছিল।

গত ১ ডিসেম্বর ইজতেমা মাঠে দুই পক্ষের হতাহতের ঘটনাও ঘটে। টঙ্গীতে তুরাগ নদীর তীরে বিশ্বের মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় সম্মেলন ‘বিশ্ব ইজতেমা’র আয়োজনও করেছিল তাবলিগ জামাত। তবে নির্বাচনের আগে সরকার দুই পক্ষের সঙ্গে সভা করে ইজতেমা স্থগিত করে। সরকারের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল, নির্বাচন শেষে দুপক্ষের সঙ্গে বসে অভিন্ন ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সভায় দুপক্ষের বিবাদ নিরসন হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

১৩ বছরের কিশোরী রওশন ডেইজিকে বিয়ে করেছিলেন এরশাদ ।

বাংলাদেশের রাজনীতির বহুল আলোচিত চরিত্র এরশাদ। আনপ্রেডিক্টেবল, পল্ট্রিবাজ, ভেল্কিবাজ নানান নামে তিনি দেশের রাজনীতিতে পরিচিত। ’১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জাপার সমর্থনে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর সরকার গঠন করে। এর কিছুদিন পর কারাগার থেকে মুক্তি পান এরশাদ। অতপর তার রাজনীতি ভেল্কিবাজী নিয়ে বছরের পর বছর চলছে আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্কের ঝড়।

বর্তমানে জাপা চেয়ারম্যান ও নবগঠিত একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এইচএম এরশাদ গুরুতর অসুস্থ। তার শরীর বেশ ভেঙে পড়েছে। প্রচ- দুর্বল হয়ে পড়েছেন তিনি। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তার উঠতে-বসতে ও হাঁটাচলায় সমস্যা হলেও গত দুইদিন ধরে তার নড়াচড়া করার সামর্থ্যও কমে এসেছে। পরিমাণমতো খেতেও পারছেন না। এরশাদ এককথায় বিছানায় পড়ে গেছেন।

দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ এরশাদের পাশে থাকা দূরের কথা ৬২ বছরের দাম্পত্য জীবনের সঙ্গী স্ত্রী রওশন গুলশানের বাসা থেকে কয়েক মিনিটের পথ বারীধারায় গিয়ে স্বামী এরশাদকে দেখার প্রয়োজন বোধ করেননি।

১৯৫৬ সালে বেগম রওশন এরশাদ ডেইজিকে বিয়ে করেছিলেন ২৬ বছর বয়সী সেনা কর্মকর্তা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (তথ্যাসূত্র উইকিপিডিয়া)। পাঠক আপনি জেনে অবাক হবেন হয়তো। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ এবং রওশন এরশাদের একটি ডাক নাম আছে যা অনেকেরই অজানা। এরশাদের ডাক নাম পেয়ারা ও রওশনের ডাক নাম ডেইজি।

এরশাদ যখন রওশনকে বিয়ে করেন তখন তার (রওশন এরশাদ) বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর (তথ্যাসূত্র উইকিপিডিয়া)। বিয়ের পর সেনা কর্মকর্তা স্বামী এরশাদকে চাকরিতে এখানে সেখানে থাকতে হয়। আর পড়াশুনার জন্য স্ত্রী রওশন এরশাদ ডেইজিকে এক বছর থাকতে হয় বাবার বাড়ি ময়মনসিংহে।

এরশাদ নিজের আত্মজীবনীতে লিখেছেন, বিয়ের পর সংসার করার জন্য এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। রওশন ওদের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছিল। চাকরির জন্য আমি আজ এখানে কাল ওখানে। সে সময় দূরে থাকা স্বামীরা স্ত্রীদেরকাছে চিঠি পাঠাতো। আমিও তার ব্যতিক্রম ছিলাম না। বহু চিঠি লিখেছি; চিঠির প্রথমে রওশনকে অনেকভাবে ‘সম্বোধন’ করতাম।

পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি বিয়ের পর দূরে থাকা স্ত্রীকে প্রচুর চিঠি লিখতেন। চিঠিতে তিনি স্ত্রীকে সম্বোধন করতেন ‘হৃদয়ের রানী’ ‘হৃদয়ের ধন’ ‘ওগো মোর জীবন সাথী’ ‘খুশি বউ’ ‘খুশি পাগলী’ ‘সোনা বউ’ ‘খুকু বউ’ ‘ওগো দুষ্টু মেয়ে’ ‘নটি গার্ল’ ‘বিরহিনী’ ইত্যাদি অবিধায়।

স্ত্রীর ডাকনাম ডেইজী হওয়ায় ভালবেসে ডাকতেন ডেজু, ডেজুমনি, ডেজুরানী। চিঠির শেষে নিজের পরিচয় লিখতেন ‘পেয়ারা পাগল সাথী’ ‘বড্ড একাকী একজন’ ‘প্রেম-পূজারি’ ‘বিরহী’ ইত্যাদি। ৬২ বছরের সংসার জীবন। স্ত্রীকে নিয়ে বিশ্বের বহুদেশ ঘুরেছেন। ৯ বছর দেশ শাসন করেছেন।

স্ত্রীকে রাজনীতিতে এনে এমপি, মন্ত্রী এমনকি জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতাও বানিয়েছেন। সেই স্ত্রী এখন অসুস্থ স্বামীর খোঁজ নেন না। গুরুত্বর অসুস্থ স্বামীকে দেখতে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না। স্বাম-স্ত্রীর সেই স্বর্ণালী দিনগুলো এখন যেন হয়ে গেছে তামাটে।

উল্লেখ, এইচ এম এরশাদ ও বেগম রওশন এরশাদ দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে আলাদা ভাবে বসবাস করছেন। রওশন এরশাদ গুলশানে আর এরশাদ থাকেন বারীধারার দূতাবাস রোডের ১০ নম্বর প্রেসিডেন্ট পার্কে। বিদিশার সঙ্গে বিয়ের পর এরশাদ গুলশানের বাসা চেড়ে প্রেসিডেন্ট পার্কে চলে যান। বিদিশার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও এরশাদ ও রওশন এক ছাদের নীচে আসেননি। তবে রাজনীতিটা এখনো এক দলেই করছেন।

কারাগারে থেকেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরীকে চিঠি লিখে রওশন এরশাদকে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য করেন। পর্যায়ক্রমে স্ত্রীকে কয়েকবার এমপি, মন্ত্রী, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা করেন। বিদিশাকে বিয়ে করার কারণে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের পর তারা পৃথক বসবাস শুরু করেন।

স্বামী-স্ত্রীর রাজনীতি নিয়ে বিরোধের সুত্রপাত ঘটে ২০০৭ সালে। ২২ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনকে ইস্যু করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ রাজনৈতিক বিরোধ রুপ নেয়। এরশাদ আন্দোলনরত আওয়ামী লীগের পক্ষ্যে অবস্থান নিয়ে মহাজোট আর রওশন এরশাদ বিএনপির ইচ্ছানুযায়ী প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ইয়াজউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে লাঙ্গলের প্রার্থী দেন।

দেশের টলটলায়মান রাজনীতির মধ্যে সে সময় জাতীয় পার্টি থেকে স্বামী এরশাদকে বহিস্কার করে রওশন এরশাদ নিজে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও গোলাম মসিহ (বর্তমানে সউদীকে কর্মরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত) মহাসচিব করেন।

এরশাদও অনেকটা বাধ্য হয়ে ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেন। পরবর্তীতে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ ও গাইবান্ধা থেকে তিনটি আসনে প্রার্থী হয়ে রওশন পরাজিত হন। এরশাদ রংপুরের চেড়ে দেয়া আসনে উপনির্বাচনে স্ত্রী রওশনকে এমপি করেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের কাহিনী সবার জানা। এরশাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বামীকে হাসপাতালে রেখে রওশন এরশাদ নির্বাচনে অংশ নেন এবং জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা হন। গুরুমারা শিষ্যের মতোই সংসদে নিজের অধীনে স্বামী এরশাদকে রাজনীতি করতে বাধ্য করেন।

গত কয়েক বছরে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধী বহুবার পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে। মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের পদত্যাগ করা না করা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কয়েকবার ঝগড়া হয়। যা জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দল জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের বি-টীমে রুপান্তর ঘটানো হয়। জাতীয় পার্টি এখন কার্যত গল্পের গণিমিয়া। নিজস্ব কোনো রাজনীতি নেই; আওয়ামী লীগ যা বলে তাই তাদের করতে হয়।

এরশাদ অনেকদিন থেকে অসুস্থ। গত এক বছরে বেশ কয়েকবার সিংগাপুর গেছেন চিকিৎসা নিতে। কয়েক মাস থেকে বাসায় থাকার চেয়ে হাসপাতালেই তিনি বেশি নিরাপদবোধ করেন। তারপরও স্ত্রীর মন গলেনি।

স্বামী-স্ত্রীর সবশেষ বিরোধ বাধে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ভাই জিএম কাদেরকে দলের কো চেয়ারম্যান করায়। এই সিদ্ধান্তে স্বামী এরশাদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রওশন। ভাঙ্গনের মুখে পড়ে দল। শেষ পর্যন্ত রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়।

স¤প্রতি এরশাদ তার অবর্তমানে দলের চেয়ারম্যান পদ জিএম কাদেরের নামে ‘উইল’ করে দেন। গত ১৮ জানুয়ারীও এক বার্তায় জিএম কাদেরকে তার অবর্তমানে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাচ্ছেন এরশাদ।

গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা গেছে এরশাদ পরিবারের সব সদস্যই এরশাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। আত্মীয়-স্বজন ও দলের নেতাকর্মীরা খোঁজখবর নিচ্ছেন। কিন্তু রওশন এরশাদ অসুস্থ স্বামী এরশাদকে দেখতে যাননি।

কিশোরগঞ্জ-১: মনোনয়ন নিলেন সৈয়দ আশরাফের ছোট ভাই সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করায় কিশোরগঞ্জ-১ আসন পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট ভাই সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানম-ির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলামের পক্ষে ফরম সংগ্রহ করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী তোফাজ্জল হোসেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু শপথ নেয়ার আগেই তিনি মারা যান। তাই এ আসনে উপনির্বাচন নয়, পুনঃনির্বাচন হবে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শপথগ্রহণ করেননি, তাই এটিকে সাধারণ নির্বাচন হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গত ৩ জানুয়ারি ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

আপত্তিকর ছবি তুলে চাঁদা আদায়, নারীসহ গ্রেফতার ৬

বরিশালে এক এনজিওকর্মীর আপত্তিকর ছবি তুলে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে নারীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) নগরীর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ কমিশনার। এসময় তিনি জানান, গত ২০ জানুয়ারি নগরীর রূপাতলী এলাকায় তারেক খান নামে এক এনজিওকর্মীর নিজ বাসা থেকে পরিকল্পিতভাবে নগরীর কাউনিয়ার একটি বাসায় তাকে তুলে আনে একটি চাঁদাবাজ চক্র।

এসময় কয়েকজন নারীর সঙ্গে জোরপূর্বক আপত্তিকর ছবি তুলে তারেকের স্বজনদের কাছে ফোনে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। বিষয়টি তারেকের পরিবার থানায় জানালে কাউনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গত মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে তারেককে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে।

প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহের একদিন (বৃহস্পতিবার) পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার চর্চাকে অব্যাহত রাখতে নতুন কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন কর্মসূচি অনুসারে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহের একদিন (বৃহস্পতিবার) পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে সারা বছরজুড়ে চলবে এই কর্মসূচি।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ-সংক্রান্ত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে চূড়ান্ত আদেশ জারি করা হবে।

বৈঠক শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন ,উন্নত শিক্ষার জন্য সুন্দর পরিবেশ,শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতন করে গড়ে তোলা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে এই কর্মসূচি পরিচালিত হবে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

তিনি জানান,কর্মসূচি শুরু করতে ঝাড়ু, বালতি বা অন্যান্য সরঞ্জাম এ সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ পুরনো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস এলাকা পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত থাকে না বলে বার বার অভিযোগ উঠলেও গুরুত্ব দেয় না বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। এর আগেও রাজধানীর কয়েকটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপরিষ্কার টয়লেট থাকার অভিযোগ ওঠে।

সর্বশেষ আপডেট...