ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করে যেসব পানীয়
লাইফ স্টাইল ডেস্ক: শীত এলে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদির কারণে কাবু হয়ে পড়েন অনেকেই। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগে কিছুটা। আর সেই সুযোগেই বাসা বাঁধতে পারে এসব অসুখ। তাই বাড়াতে হবে সতর্কতা। এমনকিছু পানীয় রয়েছে যা পান করলে এই শীতেও থাকা যাবে ঠান্ডাজনিত সমস্যা থেকে দূরে।
গোল মরিচ শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। গোল মরিচ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। এটি গলা বসে যাওয়া, নাক বন্ধ ইত্যাদি সমস্যা থেকে আরাম যেমন দেয়, তেমনই ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতারও জোগান দেয়। শীতে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন গোল মরিচ। প্রতিদিন মরিচ চা খেলে শীতে সুস্থ থাকবে শরীর। ভালো ফল পেতে এতে কিছুটা মধু মেশাতে পারেন।
দারুচিনি শুধু রান্নার স্বাদ বাড়াতেই ব্যবহার করা হয় এমন নয়, ঠান্ডার সমস্যা প্রতিরোধেও এটি দারুণ কার্যকরী। দারুচিনি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎসও এই দারুচিনি। গরম পানিতে কয়েক টুকরো দারুচিনি ফেলে তা ফুটিয়ে পান করুন প্রতি দিন। কফের সমস্যা হলে তা দূর করতে সাহায্য করবে এই পানীয়। সাইনাস ও মাইগ্রেনের সমস্যাও কমিয়ে আরাম দেয় এই পানীয়।
আদায় থাকা জিঞ্জারল, জিঞ্জারন প্রভৃতি উপাদান অ্যান্টিইনফ্লেমটরি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ঠান্ডা লাগা থেকে বাঁচতে আদা বেশ কার্যকরী। এক কাপ পানিতে আদা কুচি ফেলে তা ফুটিয়ে নিন। এতে যোগ করুন লেবুর রস ও মধু। লেবু ও মধু দুই-ই প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। নিয়ম করে খালি পেটে এই পানীয় খেলে শীতের অসুখের হাত থেকে তো বাঁচবেনই, এ ছাড়া শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর হবে।
সারাদিন ক্লান্তিহীন থাকতে যা করবেন
লাইফ স্টাইল ডেস্ক: অফিস এবং বাসা মিলিয়ে নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় আমাদের। আর সারাদিনের এত কাজের ভিড়ে ক্লান্তি আসতেই পারে। কিন্তু কাজ ফাঁকি দিয়ে বসে থাকলেও তো চলবে না। তাই খুঁজে নিতে হবে সারাদিন ক্লান্তিহীন থাকার উপায়। ঘুম থেকে ওঠার সময় যত দেরি হয়, সূর্যের আলোও কড়া হতে থাকে। শরীরের ত্বক ও মস্তিষ্ক কড়া আলোয় খানিক নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই একটু ভোর ভোর ওঠা শরীর ও মন, উভয়ের জন্যই ভালো। তবে একান্তই ভোরে না উঠতে পারলে, ঘুম থেকে উঠে প্রাতঃকৃত্যের পরই এমন কিছু কাজ সেরে ফেলতে পারেন, যা আপনার সারা দিনের কাজের গতিকে সচল রাখবে, ভুলের মাত্রা কমাবে ও আপনাকে কার্যক্ষম করে রাখবে সারাটা দিনই।
সহজে ক্লান্তি এড়াতে তাই কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করুন দিনের শুরুতেই-
সকালে উঠেই মোবাইলে সোশ্যাল সাইট, অফিস মেইল, হোয়াটস অ্যাপে অফিস গ্রুপ সবকিছুর নোটিফিকেশন দেখার কাজ সারতে শুরু করেন অনেকেই। এতে কাজের চাপ চলে আসে দিনের শুরুতেই। আর এই অভ্যাসই দিনের পর দিন ক্লান্তি বাড়াচ্ছে, অবসাদ ডেকে আনছে।
সকাল সকাল অফিস আসার তাড়া থাকলে একটু ভোরের দিকে উঠুন। প্রয়োজনীয় জৈবিক কাজ সারার পর আধ ঘণ্টা
সময় হাতে রাখুন। শরীরচর্চা সারুন আগে।
এরপর বরং সারা দিনের কাজে কী কী আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তার একটা তালিকা করে নিন। তালিকায় উপরের দিকে রাখুন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের নাম। তালিকা শেষ করুন সবচেয়ে কম গুরুত্বের কাজ দিয়ে। এই সময় যতটা পারেন একা ও নিঃশব্দে থাকার চেষ্টা করুন।
দেখে নিন আগের দিনের কোনো কাজ বাকি থেকে গিয়েছে কি না। তা আজ শেষ করতে পারলে সেরে নেয়ার পরিকল্পনা করুন।
ফোনের সব ক’টি নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন। অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হওয়ার পর খুলুন নোটিফিকেশন। তার পরেই দেখুন অফিসের মেইল।
কোনো কারণে অফিসের প্রয়োজনে ভোরেই মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপ খুলতে হলে সেই কাজটুকু সেরেই সরে আসুন মোবাইল থেকে।
সারাদিনের কাজকে আরও সুন্দর, নির্ভুল করে তুলতে ও দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কার্যক্ষম থাকতে সকাল থেকে মোবাইলের হাতছানি এড়িয়ে আজ থেকেই অভ্যাস করুন এই সব কৌশল।
অ্যালার্জির সমস্যা? আপনার জন্যই এই পানীয়
অ্যালার্জির সমস্যা বাড়াবাড়ি পর্যায়ের হলে চিকিৎসকরা অ্যালার্জি উদ্রেককারী উপাদানগুলি থেকে দূরে থাকার এবং প্রয়োজনে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু অ্যালার্জির ওষুধের সবচেয়ে বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো ঘুম এবং তন্দ্রাচ্ছন্নতা। তবে ঘরোয়া উপায়ে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ভাবেও এই অ্যালার্জির সমস্যা নিরাময় সম্ভব। চলুন জেনে নেয়া যাক ঘরোয়া উপায়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ভেষজ পানীয় তৈরির পদ্ধতি এবং এর কার্যকারিতা।
পানীয় তৈরির উপকরণ: ২টি আপেল, ২টি গাজর আর ১টি বড় বিট।
পানীয় তৈরির পদ্ধতি: প্রতিটি উপকরণ ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন। ব্লেন্ডারে বা জুসারে সবকটি উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ড করে রস ছেঁকে নিন বা জুসারে জুস তৈরি করে নিন। চাইলে না ছেঁকেও খেতে পারেন। কারণ, এই সবজি ও ফলের আঁশও খুব উপকারী। ব্যস, প্রতিদিন ১ গ্লাস পান করে নিন। দেখবেন অ্যালার্জির সমস্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
যেভাবে কাজ করে:
*আপেলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি এবং সি, যা আমাদের শরীরের পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং হজমসংক্রান্ত নানা সমস্যা দূরে রাখে।
*বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটেইন, এনজাইম এবং ভিটামিন এ, যা গলব্লাডার ও লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়ক।
*গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গাজরের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান লিভার এবং পরিপাকতন্ত্রকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। এই মিশ্রণ নিয়মিত সেবনের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে অ্যালার্জির মতো ছোটখাটো সমস্যা নিজে থেকেই অনেকটাই কমে যায়।
মাছের ফর্মালিন দূর করার সহজ উপায়
পুষ্টির আশায় মাছ কিনে আনছেন বাজার থেকে। কিন্তু সেই মাছেই হয়তো মিশে আছে ক্ষতিকর ফরমালিন। মাছ তাজা রাখতে এই অসাধু উপায় বেছে নেন অনেক ব্যবসায়ী। আর এই ক্ষতিকর ফরমালিন বিষ হয়ে প্রবেশ করে আমাদের শরীরে। তাই মাছে ফরমালিন মেশানো বন্ধ করতে না পারলেও মাছ থেকে এটি দূর করতে পারবেন খুব সহজ উপায়ে। চলুন জেনে নেই
একটি মাছে যে পরিমাণ ফর্মালিন মেশানো তাতে একদিনেই হয়তো অনেকটা ক্ষতি হয় না, কিন্তু অনেকদিন পর ওই মাছ খেলে বিপদ আসতে বাধ্য। তাই দেখে নিন কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে সরিয়ে ফেলবেন।
মাছ কিনে আনার পরে তা খুব ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। এরপর প্রায় একঘণ্টা মাছটিকে ভিজিয়ে রাখুন সেই পানিতেই। ঠান্ডা পানির প্রভাবে মাছের শরীরের ফর্মালিন বেশ খানিকটা বেরিয়ে যায়।
এরপর লবণপানিতে কিছুক্ষণের জন্য ভিজিয়ে রাখুন মাছ। লবণ মাছের শরীরের ক্ষতিকর রাসায়নিককে সহজেই বের করে আনে।
এই দুই প্রক্রিয়া অবলম্বন করলেই ফর্মালিন অনেকটাই সরে যায়। তবে আরও ভালো ফল পেতে প্রথমেই চাল ধোয়া পানি দিয়ে ধুয়ে নিন মাছ। এরপর সাধারণ পানিতে ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এতে সহজেই ফর্মালিন বের হয়ে যাবে।
আসল স্বর্ণ চিনবেন যেভাবে
শীত আসি আসি করছে। আর এই শীতকেই বলা হয় বিয়ের মৌসুম। কারণ বছরের এই সময়টাতেই সবচেয়ে বেশি বিয়ে হয়। নতুন বউয়ের গয়না তো বটেই, বিয়ের অতিথিরাও অনেকসময় উপহার হিসেবে স্বর্ণের গয়না কিনে থাকেন। ব্র্যান্ড থেকে স্বর্ণের গয়না কেনা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না।
কেবল বিয়েই নয়, বিভিন্ন উপলক্ষে মানুষ ক্রয় করে থাকে। তাই এই দ্রব্যটি কেনার আগে আপনাকে সচেতন হতে হবে। স্বর্ণ যাচাইয়ের অনেক রকম নিয়ম আছে। কিন্তু তার মধ্যেও সবচেয়ে সহজ কিছু ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে সহজে ঠকে যাবেন না। তাই কেনার সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল করলেই বোঝা সম্ভব স্বর্ণ আসল না নকল-
সাদা চিনামাটির প্লেট নিন। সোনার গয়না তাতে ঘষলে কোন রং দেখাচ্ছে? যদি হালকা সোনালি রং দেখায়, তা হলে নিশ্চিন্ত থাকুন, এ সোনা খাঁটি। যদি রং কালচে হয়, তাহলে তা নকল সোনা।
সোনার পদক পাওয়া খেলোয়াড়রা অনেক সময় সেই মেডেলে কামড় দেন। এটা বর্তমানে ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ হয়ে উঠলেও এর আসল কারণ কিন্তু সোনার খাঁটিত্ব বিচার। কেনা সোনায় হালকা করে কামড় দিয়ে রাখুন অল্প কিছুক্ষণ। যদি সোনা আসল হয় তার উপর কামড়ের দাগ পড়বে।
পাত্রে কিছুটা পানি নিয়ে কিনে আনা সোনা সেই পানিতে ফেলে দিন। যদি সোনা ভাসে, তবে জানবেন তা নকল। আসল সোনা সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যাবে।
টুথপেস্ট দিয়ে রূপচর্চা করবেন যেভাবে
ত্বকের যত্ন কত কী-ই তো কাজে লাগে, টুথপেস্টের কথা ভেবেছেন কি কখনো? ভাবছেন এ আবার কেমন কথা, টুথপেস্ট দিয়ে তো দাঁত মাজতে হয়! কিন্তু দাঁত মাজার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও টুথপেস্ট সমান কার্যকরী একথা আমাদের অনেকেরই অজানা। চলুন জেনে নেই ত্বকের যত্নে টুথপেস্টের কার্যকরী ব্যবহার-
ব্রণ তাড়াতে টুথপেস্ট দারুণ কার্যকরী। বিশেষ করে ব্যথাযুক্ত ব্রণের ক্ষেত্রে। রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণের উপর টুথপেস্টের প্রলেপ লাগিয়ে ঘুমাতে যান। সকালে উঠে দেখবেন ব্রণর ফোলাভাব অনেক কমে গিয়েছে আর ব্যথাও অনেক কম।
আমাদের ত্বকের রোমকূপ নানাকারণেই বন্ধ হতে পারে। বিশেষ করে মেকআপ, ধুলো-ময়লা, দূষণ ইত্যাদির কারণে এটি হতে পারে। ফলে দেখা দেয় ব্ল্যাক হেডস। ব্ল্যাক হেডসের পূর্ববর্তী অবস্থা হলো হোয়াইট হেডস। এতে লোপকূপের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। য সব জায়গায় এই হোয়াইট হেডস রয়েছে যেমন, নাক, কপাল, চিবুক- সেসব জায়গায় পুরু করে টুথপেস্টের প্রলেপ লাগান। শুকিয়ে গেলে খুঁটে খুঁটে তুলে ফেলুন। এরপর ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পরিবর্তন আপনিই বুঝতে পারবেন।
শুধু বয়সের কারণেই নয়, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব, অনিদ্রা ইত্যাদি কারণেও অকালে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। পানিতে টুথপেস্ট মিশিয়ে পাতলা করে নিন। এবার মুখ, গলায়, ঘাড়ে এটির প্রলেপ লাগান। না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পেস্ট শুকিয়ে গেলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এভাবে টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। বলিরেখার সমস্যা দূর হবে।
সুন্দর ত্বকের জন্য মসুর ডালের ৫ ফেসমাস্ক
মসুর ডালে রয়েছে প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বোহাইড্রেড, ডায়াটারি ফাইবার, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, সি, ই, কে এবং থিয়েমিন। যা নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকারে লেগে থাকে। এটি ত্বকের ক্ষতিকর উপাদানদের বের করে দিয়ে ত্বককে সুন্দর করে তোলে। নিয়মিত মসুর ডাল দিয়ে তৈরি নানারকম ফেসমাস্ক ব্যবহার করলে ত্বকে প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়।
৫০ গ্রাম মসুর ডাল সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে পানিটা ছেঁকে নিয়ে ডালটা বেটে নিন। এরপর ডালের পেস্টটির সঙ্গে ১ চামচ কাঁচা দুধ এবং পরিমাণমতো বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। এবার পেস্টটি ভালো করে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।
এক চামচ বাটা মসুর ডালের সঙ্গে ২ চামচ দুধ, অল্প পরিমাণে হলুদ এবং ৩ ফোঁটা নারিকেল তেল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এরপর মিশ্রণটি সারা মুখে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের মলিনভাব সহজেই দূর হবে।
যাদের মুখে অবাঞ্ছিত লোমের পরিমাণ বেশি থাকে তারা এমন সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে ১ চামচ মসুর ডালের পেস্টের সঙ্গে ১ চামচ চালের গুঁড়া মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। সঙ্গে যোগ করতে হবে ১ চামচ দুধ এবং বাদাম তেল। সবকটি উপাদান মেশানোর পর মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
পরিমাণমত মসুর ডালের পেস্টের সঙ্গে সমপরিমাণ গাঁদা ফুল মিশিয়ে ভালো করে বেটে নিয়ে এই পেস্টটি বানাতে হবে। তারপর সেটি ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। ড্রাই স্কিনের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ব্রণের প্রকোপ কমাতে এবং ত্বককে নরম তুলতুলে করে তুলতেও এই ফেসমাস্কটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
১ চা চামচ মসুর ডালের পাউডারের সঙ্গে সমপরিমাণ বেসন এবং দই মেশাতে হবে। সঙ্গে যোগ করতে পারেন অল্প করে হলুদও। এবার সবকটি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। কিছু সময় অপেক্ষা করার পর মুখ ধুয়ে নিতে হবে। ত্বক উজ্জ্বল হবেই!
সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজন বিউটি স্লিপ
ঘুম শুধু আমাদের ক্লান্তি কাটাতেই নয়, ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তার প্রভাব পড়ে আমাদের সামগ্রিক সুস্থতার উপরে। এর প্রথম ছাপটা বোঝা যায় আমাদের ত্বকের উপর। উপর থেকে যত যত্নই করুন, যদি আপনার ঘুম না হয় তা হলে ত্বক অকালে বুড়িয়ে যেতে বাধ্য। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, তারুণ্যে ভরা ত্বক পেতে সাহায্য করে ঘুম। তাইতো ঘুমকে বিউটি স্লিপ বলা হয়।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাতে ত্বকের প্রদাহ বাড়ে এবং ব্রণ, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকে প্রদাহ বাড়লে কোলাজেন ভেঙে যায়, ত্বক নিষ্প্রাণ ও নিষ্প্রভ দেখায়।
অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। ফলে কথায় কথায় অসুস্থতা দেখা দিতে পারে যেমন, তেমনি সোরিয়াসিস, এগজিমার মতো চর্মরোগের সমস্যাও দেখা দেয়। নিয়ন্ত্রণহীন সোরিয়াসিস থেকে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে।
নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে জলের ভারসাম্য এলোমেলো হয়ে যায়, ফলে চোখের নিচে ফোলাভাব দেখা দেয়, ত্বকে কুঞ্চন ও বলিরেখা দেখা দিতে পারে। গভীর ঘুমের সময় ত্বক নিজেই নিজেকে সারিয়ে তোলে, কাজেই ঘুম কম হলে সেই ব্যাপারটাও ব্যহত হয়। তাই যাদের ঘুম হয় না, তাদের ত্বক তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায়।
গাঢ় ঘুমের জন্য করণীয়:
রাতের খাবার বেশি দেরি করে খাবেন না। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত চার ঘণ্টা আগে খেয়ে নিন যাতে ঠিকমতো হজম হতে পারে।
শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখুন। সারাদিনে যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করুন। তবে রাতের দিকে বেশি পানি পান করবেন না।
শোয়ার ঘর যেন আরামদায়ক হয়। ঘর অন্ধকার করে দিন, বাইরের আওয়াজ যেন ঢুকতে না পারে।
ঘুমের সময় স্মার্টফোন, ট্যাবলেট হাতের কাছে রাখবেন না।
বিছানায় পরিষ্কার করে কাচা সুতির চাদর পাতুন।
চড়া গন্ধের ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন না। তাতে ত্বকে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।
আ’লীগ নেতার ঘোষণা: একাই ভোট সিল মেরে নেব
নির্বাচনের দিন একাই ব্যালট পেপারে সিল মেরে মেরে ভোট নেবেন তিনি। এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, যুবলীগ, ছাত্রলীগ কাউকে লাগবে না। তিনি একাই যথেষ্ট।
কক্সবাজারের টেকনাফে একটি নির্বাচনী জনসভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাবিব ওরফে হাবিব মেম্বারের এমন ঘোষণার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেন এবং চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করে বলেন, ‘আমি আলি হোসেন হাজীর সন্তান। আমাদের পরিবারই যথেষ্ট, কাউকে লাগবে না।
সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের শাহপরীরদ্বীপ সাংগঠনিক ইউনিয়ন আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে তার এ বক্তব্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
তারা মনে করছেন মো. হাবিবের এ ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্জিত। হাবিবের এ বক্তব্যের সাথে তারা একমত নন।
তারা মনে করেন, তিনি সভায় উপস্থিত এমপি বদির কাছে শাহপরীরদ্বীপে তার নিজের ও পরিবারের গুরুত্ব তুলে ধরতে গিয়ে
এমন বিতর্কিত বক্তব্য প্রদান করেছেন।
শাহপরীরদ্বীপ সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলার আওয়ামী লীগ সদস্য সোনা আলী তার আয়োজনে অনুষ্ঠিত জনসভায় হাবিব মেম্বারের এরূপ বিতর্কিত বক্তব্য প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এটি দুঃখজনক।’ তিনি জানান, হাবিব শাহপরীরদ্বীপ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হলেও মূলত তিনি চট্টগ্রাম শহরে বাস করেন।
শাহপরীরদ্বীপ ছাত্রলীগ আহ্বায়ক সাদেকুল আমিন জানান, হাবি মেম্বারের বক্তব্য একান্তই তার নিজস্ব। এটি বক্তব্যে দলের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ফলে মানুষ আবারও নৌকায় ভোট দেবে বলে মনে করেন তিনি।
এ বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে মো. হাবিবের মুঠোফোনে (০১৮৭৮৬৭৯৯৩২) কয়েক বার কল করা হয়। কিন্তু মোবাইল ফোনের সুইচ অফ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।