25 C
Dhaka, BD
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১০, ২০২৫

১৯ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডাঃ দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন বাবু

ঢাকা জেলা ১৯ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডাঃ দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন বাবু
৪৮তম মহান বিজয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান । সাথে ছিলো অসখ্য নেতা কমি।

৪৮তম মহান বিজয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে রোববার (১৬ ডিসেম্বর) ভোর ছয়টার দিকেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। ৬টা ৩৪ মিনিটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিন বাহিনীর চৌকশ দল বীর শহীদদের প্রতি সশস্ত্র সালাম জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান হিসেবে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান।

শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার। প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ।

রাজনৈতিক সহিংসতা ও অশ্লীল কার্যকলাপ এড়াতে বন্ধ হলো ৩টি পার্ক ।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সহিংসতা ও অশ্লীল কার্যকলাপ এড়াতে এবং অনুমোদনহীনভাবে বিনোদন পার্ক পরিচালনা করায় ঠাকুরগাঁও শহরের তিনটি বিনোদন পার্ক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের কল্পনা পার্ক, চিটাগাং পার্ক ও স্বপ্নজগৎ নামে তিনটি বিনোদন পার্ক পরিদর্শন করে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্কগুলো বন্ধের নির্দেশনা দেন।
ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিনোদন পার্কগুলোর অশ্লীল কার্যকলাপ বন্ধ করতে, অনুমোদন না থাকায় দ্রুত অনুমোদন নিতে ও নির্বাচনকালীন সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতা এড়াতে সদরের তিনটি বিনোদন পার্কের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি পার্কগুলো তাদের কার্যক্রম চালু রাখে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পার্কগুলো পরিদর্শনকালে ঠাকুরগাঁও সদর থানার আইন-শৃঙাখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আজ মহান বিজয় দিবস

আজ মহান বিজয় দিবস। অনেক যুদ্ধ,অনেক সংগ্রামের দ্বারা অর্জিত বাঙালি জাতির মুক্তির স্বীকৃতি আমাদের আজকের “বিজয় দিবস”।১৯৭১ সালের আজকের দিনে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি হানাদার মুক্ত হয়েছিল। বাঙালি জাতি প্রথমবারের মত পেয়েছিল মুক্তির স্বাদ। এটা আমাদের নিকট অনেক বর প্রাপ্তি।১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বিকেলে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন তাঁর মন্ত্রমুগ্ধকর ভাষণে। সেই ময়দানেই একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লে. জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি আত্মসমর্পণ দলিলে সই করেছিলেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রায় ৯১ হাজার ৬৩৪ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল বাংলাদেশ বাহিনীর কাছে। তখন উত্সবে মেতে উঠেছিল বাঙালি জাতি।
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস আজ। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তে রাঙিয়ে রাতের অন্ধকার ভেদ করে বাংলার দামাল ছেলেরা কেড়ে এনেছিল ফুটন্ত সকাল। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন এটি। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখ-ের নাম জানান দেওয়ার দিন। জাতির আনন্দদিন এই জাতীয় দিবস। ৪৭ বছরেও সেই আনন্দের এতটুকু কমতি নেই। কারণ দিনটি হলো বাংলাদেশের এগিয়ে চলার অনন্ত উত্স। অন্ধকার দুরে ঠেলে আলোর দিকে এগিয়ে চলার প্রেরণা।
১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে ১৬ ডিসেম্বরকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ সাজানো হবে জাতীয় পতাকায়। রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় থাকবে আলোকসজ্জা। দেশবাসী অসীম শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রাণ উত্সর্গকারী শহীদদের, নির্যাতিত মা-বোনদের। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষের ঢল নামবে। সারা দেশেই মানুষ অংশ নেবে বিজয় দিবস উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে।
১৬ই ডিসেম্বর ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা ঘটে। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারেঅনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন দেশটির প্রধান মাননীয় রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী। এই কুচকাওয়াজ দেখার জন্য প্রচুরসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে থাকে

এমন কাজ করেই ইউটিউবে ৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার!

রান্না নিয়ে ইউটিউবে চ্যানেলের অভাব নেই। কিন্তু দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরির রেসিপি-ই রয়েছে বা কয়টি চ্যানেলে?

প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে ২০১৬ সালে ইউটিউব চ্যানেল খোলেন ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের দুই বন্ধু লক্ষ্মণ কারে ও শ্রীনাথ রেড্ডি।

খুব সহজ উপায়ে কিছু রান্না করে পেট ভরানোর রেসিপির ভিডিও দিয়ে শুরু করেন ‘কান্ট্রি ফুড’ নামে এই চ্যানেল।কয়েক মাস পর লক্ষ্মণ কারে ও শ্রীনাথ রেড্ডি প্রথম বার আপলোড করেন মস্তনাম্মার একটি ভিডিও। বর্তমানে তাঁর বয়স প্রায় ১০৭ বছর। কিন্তু এখনও তিনি নিজে হাতে রান্না করেন নানা দেশীয় খাবার।

গ্রামের খেতের মাঝে বসেই মস্তনাম্মা এক্সপেরিমেন্ট করেন খাবারের নানা সরঞ্জাম দিয়ে। কখনও তরমুজের মধ্যে চিকেন, কখনও বা টমেটোর ভিতরে অমলেট কারি। আবার কখনও একেবার সাদামাটা বেগুনের তরকারি, বাঁধাকপির তরকারি। পিৎজা, ব্রেড ওমলেট, সামুচাও রয়েছে মস্তনাম্মার রান্নার তালিকায়। ফ্রায়েড চিলি চিকেন বা চিকেন ড্রামস্টিকের পাশাপাশি, মাছ বা চিকেন বা কাঁঠালের বিরিয়ানিও তৈরি করেছেন মস্তনাম্মা।

রান্নার আগে প্রয়োজনীয় সব উপকরণ তাঁর হাতের কাছে গুছিয়ে দেন মস্তনাম্মার পরিবারের লোকজন। তারপর তিনি আসরে নামেন বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মণ কারে। যিনি আবার মস্তনাম্মার নাতিও বটে।

‘কান্ট্রি ফুড’ চ্যানেলের দুই পার্টনার লক্ষ্মণ কারে ও শ্রীনাথ রেড্ডি জানান, মস্তনাম্মার রেসিপি ভিডিও আপলোড হওয়ার পরে তাঁদের চ্যানেলের সাবস্ক্রিপশন বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। একা মস্তনাম্মারই নাকি সেই সংখ্যা নিয়ে গিয়েছেন ৩ লাখে। মস্তনাম্মার নানা ডিশের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় ডিশটি হলো ব্রিঞ্জল কারি।

দাঁত পরিষ্কার ছাড়াও টুথপেস্ট আরো যেসব কাজে লাগে

টুথপেস্টের কাজ এবং ব্যবহার সবারই জানা। দাঁত পরিষ্কারের কাজে টুথপেস্টের চেয়ে বেশি ব্যবহৃত অন্য কোনো উপাদান নেই। কিন্তু এই টুথপেস্ট শুধু দাঁত পরিষ্কারের কাজেই নয়, ব্যবহার করা যায় আরো অনেক কাজে। চলুন জেনে নেই

ব্রাশে পেস্ট লাগাতে গিয়ে অনেক সময় পেস্ট সিঙ্কে পড়ে যায়। এমন হলে সঙ্গে সঙ্গে পানি ঢেলে দেবেন না। একটা স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে ঘষে পুরো সিঙ্কটা ভালো করে পরিষ্কার করুন। পানির দাগ থেকে আরম্ভ করে সব ময়লা দূর হয়ে যাবে।

স্নিকার্স বা সাদা কেডসে যে রবারের ট্রিম থাকে, সে জায়গাটা কয়েকবার ব্যবহার করার পর থেকেই রং হারাতে আরম্ভ করে। একটা কাপড়ে এক দলা টুথপেস্ট নিয়ে এই ট্রিমে ভালো করে ঘষুন, তারপর ভেজা ন্যাকড়ায় মুছে দেখুন জুতো কেমন ঝকমকিয়ে ওঠে!

পেঁয়াজ, রসুন কুচি করলে বা মাছ পরিষ্কার করলে হাতে নাছোড় গন্ধ জড়িয়ে যায়, খুব কড়া সাবান ব্যবহার না করলে তা যেতে চায় না। হাতে একটু টুথপেস্ট নিন, সঙ্গে চিপে দিন কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। ভালো করে রগড়ে নিয়ে এক মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, যাবতীয় দুর্গন্ধ নিমেষে দূর হয়েছে, সেই সঙ্গে মুছে গিয়েছে।

রান্নাঘরে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে কড়া বা গরম টোস্টারে হাতের ছোঁয়া লেগে পুড়ে গিয়েছে? সঙ্গে সঙ্গে টুথপেস্ট লাগান, জ্বালা কমবে।

গাড়ির হেডলাইট, শিশুর বোতল, ফ্লাক্স ইত্যাদি পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করুন টুথপেস্ট আর পানির মিশ্রণ।

জেনে নিন গর্ভপাত প্রতিরোধের উপায়

গর্ভপাতের কারণে শুধু হবু মায়েরই নয়, নষ্ট হয় একটি পরিবারেরও অনেক স্বপ্ন। নতুন অতিথিকে ঘিরে অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা গড়ে ওঠে যা গর্ভপাতের কারণে আলোর মুখ দেখতে পায় না। তাই গর্ভপাত প্রতিরোধে মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়। এই নিয়মগুলো মেনে চললে গর্ভপাত প্রতিরোধ করা সম্ভব .

গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এসময় যেকোনো মাকে একটু সাবধানে থাকতে হবে। ভারী কাজ করা ও সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। পূর্বে কোনো রোগের ইতিহাস থাকলে ডাক্তারকে জানাতে হবে। পূর্বে একাধিকবার গর্ভপাত হয়ে থাকলে পুনরায় গর্ভধারণের আগে ফিজিক্যাল চেকআপ করিয়ে নিন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। পূর্বের গর্ভপাতের কারণ জানতে চেষ্টা করুন। পরবর্তীতে যাতে একই কারণের পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া দীর্ঘ ভ্রমণ করা যাবে না।

প্রচুর পানি পান করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলিক এসিড, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। এটি বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি হওয়ার প্রবণতাকে কমিয়ে দেয় এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া ধূমপান, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যেমন চা, কফি বা চকলেট এবং মানসিক চাপের সাথে গর্ভপাতের সর্ম্পক রয়েছে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

গর্ভাবস্থায় বেশি সতর্ক থাকতে হয় ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে। কারণ অনেক ওষুধ এমন আছে যার ফলে গর্ভের সন্তানের সরাসরি ক্ষতি সাধিত হয়। শিশু বিকলাঙ্গ, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হতে পারে। অনেক সময় ওষুধ সেবনের ফলে মৃত সন্তানের জন্মও হতে পারে। তাই ওষুধ সেবনের আগে সতর্ক থাকতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না।

গর্ভকালীন সময়ে হরমোনজনিত কারণে বা পারিপার্শিক কারণেও মা অনেক সময় বিষণ্ণ বোধ করেন। এর সাথে যদি থাকে পূর্বের গর্ভপাত বা মৃত সন্তান প্রসবের ইতিহাস তাহলে তো কথাই নেই, অনাগত সন্তানের সুরক্ষার দুঃশ্চিন্তায় ঘটে যেতে পারে যেকোনো দুর্ঘটনা। তাই এসময় পরিবারের সকল সদস্যদের উচিত মাকে সবসময় সাহস দেয়া এবং মায়ের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। মায়ের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পূর্ণ বিশ্রামের ব্যাবস্থা করা।

সাভারে গণ সংযোগ ও পথসভা করেছেন, খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাভারে পথ সভা ও গণ সংযোগ করেছেন ঢাকা ২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত হেবীওয়েট প্রার্থী খাদ্য মন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
শনিবার বিকেলে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে হেমায়েতপুর বাস ষ্টান্ড এলাকায় সাভার উপজেলা আ’মী লীগের যুগ্ন সাধার সম্পাদক মোঃ মঞ্জরুল আলম রাজীবের সভাপতিত্বে পথ সভা করেন খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

এসময় তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি হাজী আব্দুল কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় দুই সহ¯্রাধীক যুব লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হাতি বহর নিয়ে পথ সভায় যোগদান করেন।
এসময় খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাধারন ভোটারদের কাছে বর্তমান সরকারের গত দশ বছরে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের কথা তুলে ধরে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নরে ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট চান তিনি।
এর আগে মাননীয় মন্ত্রী তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ও পাড়া মহল্লায় গণ সংযোগ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাভার উপজেলা আ’ লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ মঞ্জুরুল আলম রাজীব, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফখরুল আলম সমর,ঢাকা জেলা উত্তরের ¯ে^চ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ সায়েম মোল্লা, সাভার উপজেলা ¯ে^চ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ লিয়াকত হোসেন, ইউপি সদস্য হাজী মোঃ আইয়ুব আলী, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের যুব লীগের সভাপতি হাজী মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, সাভার উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মোঃ আতিক হোসেন, পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান অভি, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন ¯ে^চ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি শেখ মোঃ আলতাফ হোসেন, উপজেলা ¯ে^চ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জুয়েলসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন

ফুলকপির পাকোড়া তৈরি করবেন যেভাবে

শীতকালীন সবজি ফুলকপি দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু পাকোড়া। বিকেলের নাস্তায় এটি হতে পারে আদর্শ একটি খাবার। সেজন্য খুব একটা কষ্টও করতে হবে না আপনাকে। খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন মজাদার ফুলকপির পাকোড়া

উপকরণ:১টি ফুলকপি, চালের গুঁড়া বা বেসন বা কর্নফ্লাওয়ার ৫-৬ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনিয়াগুঁড়া ১ চা-চামচ, ব্রেড ক্রাম্ব বা বিস্কুটের গুঁড়া পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো।

প্রণালি:ফুলকপি হাত দিয়ে টুকরা করে নিন। তারপর পানি আর লবণ দিয়ে সেদ্ধ করুন। খুব বেশি সিদ্ধ করবেন না, আধা সিদ্ধ থাকবে। এখন একটা চালনিতে ফুলকপির টুকরাগুলো ঢেলে পানি ঝরতে দিন। একটা পাত্রে সব মসলা আর চালের গুঁড়া দিয়ে পানি মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। ফুলকপিগুলো চালের মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে মেখে বিস্কুটের গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে নিন। ননস্টিক প্যানে তেল দিয়ে ভালো করে গরম করে ডুবো তেলে ফুলকপি ভাজুন। বাদামি রং হলে তুলে নিন।

দাঁতের ইনফেকশন থেকে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক

দাঁতের বিষয়ে অনেক মানুষেই সচেতন নন। দাঁতের রোগের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্বন্ধেও জানেন না বেশিরভাগ মানুষ। চিকিৎসকদের মতে, দাঁতের ইনফেকশন কিংবা ব্যথাকে কখনোই হালকাভাবে না নেয়া উচিত নয়। কারণ গবেষণা বলছে- দাঁতে জীবাণুর সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হলে তা থেকে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ডায়বেটিস বা ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে দেখা দিতে পারে জটিল সমস্যা।

ডায়বেটিস :

দাঁতে ইনফেকশন আর ডায়বেটিসের যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। ডায়বেটিস রোগীদের দাঁতের ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে একজন সুস্থ মানুষের চেয়ে শতকরা সাড়ে তিন ভাগ বেশি। তেমনি এর উল্টোটাও হয়ে থাকে। তাছাড়া ডায়বেটিস রোগীদের দাঁতের সংক্রমণ হলে তাদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় :

দাঁতে ইনফেকশন বা পেরিওডেন্টাইটিস রোগ যদি জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। একথা বেশ স্পষ্টভাবেই জানান জার্মানির দন্তবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ক্রিস্টফ ড্যরফার।

আক্রান্ত হতে পারে ফুসফুস :

দাঁতে বাসা বাঁধা জীবাণু নিঃশ্বাসের মধ্য দিয়ে ফুসফুসেকে আক্রান্ত করতে পারে। তবে এটা সাধারণত হয়ে থাকে যাঁরা বেশি সময় ধরে বিছানায় শুয়ে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে হাসপাতালের বিছানায় বেশিদিন শুয়ে থাকলে এমনটা হতে পারে।

Teeth

হার্টে সমস্যা হতে পারে :

দাঁতের ইনফেকশন বা পেরিওডেন্টাইটিস এবং হৃদরোগ দু’টো একে-অপরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত। এ বিষয়ে করা বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে জানান বিশেষজ্ঞ ড্যরফার।

মুখ :

পেরিওডেন্টাইটিস বা দাঁতের ইনফেকশন রোগ দীর্ঘস্থায়ী হলে দাঁতের চোয়ালের হাড়ের ক্ষয় হয় এবং তখন দাঁত নড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত দাঁতটিকে হারাতেও হয়।

জীবাণু ঢোকার রাস্তা :

মুখের ভেতর নানা ধরনের ৭০০টি জীবাণুর বাস, যা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় অনেক বেশি। এ সব জীবাণু ঢোক গেলা এবং নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে। তাছাড়া রক্ত চলাচলে মধ্য দিয়েও জীবাণু মুখে ঢুকতে পারে। অর্থাৎ দাঁতে জীবাণু ঢোকার প্রবেশ পথ অনেক। তাই সকলেরই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

একথা সত্য যে দাঁতের কোনো সমস্যা হলে অনেকেই প্রথমদিকে তেমন গুরুত্ব দেন না। আবার অনেক ক্ষেত্রে ব্যথা উপশমের জন্য ‘পেইন কিলারের’ আশ্রয় নিয়ে থাকেন অনেকে। অথচ দাঁতের সমস্যা সম্পর্কে আগে থেকে জানা থাকলে সমস্যার শুরুতেই সমাধান সম্ভব, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

শরীরের যে কোনো অঙ্গের মতো দাঁতের যত্নও অত্যন্ত জরুরি। তাই দাঁতকে ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে নিয়মিত যত্ন ছাড়াও ডাক্তারি চেকআপ প্রয়োজন। তাছাড়া দাঁতে ইনফেকশন থাকা অবস্থায় কোনো রোগীর চোখ, কান, মস্তিষ্ক বা হার্টের মতো অঙ্গে অপারেশন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সর্বশেষ আপডেট...