সাভার প্রতিনিধি : জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে গণ অধিকার পরিষদ। আজ শুক্রবার(৫ নভেম্বর ) সকাল সাড়ে ১০ টায় সাভার নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় পরিষদ।
শ্রদ্ধা নিবেদন করে সারা দেশে গণ অধিকার পরিষদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড.রেজা কিবরিয়া ও সদস্য সচিব নুরুলহক নুর। রেজা-নুরের নেতৃত্বে প্রায় সহস্রাধিক নেতা-কর্মী এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। তারা আসার আগে থেকেই নাদিম হাসান ও আসাদুল ইসলাম মুকুলের নেতৃত্বে অবস্থান নেয় ঢাকা জেলা উত্তরের ছাত্র অধিকার পরিষদ,যুব অধিকার পরিষদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড.রেজা কিবরিয়া বলেন,মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে আজ থেকে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি।স্বাধীনতার ৫০ বছরেও জনগণ তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যেই এই দল। জনগণের দৈনন্দিন জীবন যাতে আরও সহজ, নিরাপদ এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, এ জন্য আমরা কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, ৪৭ থেকে ৫২,৭১,৯০ সহ এ জাতির বিভিন্ন সংকট থেকে উত্তরণে তরুণরাই অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলো।গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বর্তমানেও তরুণ প্রজন্ম সেই ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। বর্তমান সরকার মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও তারা আইয়ুব খানের চেয়েও খারাপভাবে মানুষের উপর অত্যাচার করছে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুলহক নুর বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাম্য,মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে গড়ে তুলতে পারিনি,এটা আমাদের দুভার্গ্য। বর্তমান বিনা ভোটের সরকার ভোটাধিকার হরণ করে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করে স্বৈরতান্ত্রিকভাবে দেশ চালাচ্ছে। যা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের পরিপন্থী।তাই মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বির্নিমান ও গণ মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য গণ অধিকার পরিষদ কাজ করবে। ত্যাগ ছাড়া কোন কিছু অর্জন করা যায় না,ইতিহাস রচিত হয় না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারসহ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।’
এ সময়ে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুলহক নুর বলেন, ‘জনগণের প্রতি জনবিচ্ছিন্ন সরকারের দায়বদ্ধতা নেই বলেই এভাবে ২/৩ টাকা নয়, হঠাৎ করে তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। গত ৬ মাসে দ্রব্যমূল্যের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা গত ৫০ বছরে বাড়েনি। এভাবে দেশ চলতে পারে না, এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। তার উপরে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের উপর আরো খড়গ নেমে আসবে।’
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জনগণকে রাজপথে নামারও আহ্বান জানান ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুলহক নুর।