ঝালকাঠির গ্রাম্য হাট থেকে রাক্ষুশে পিরানহা মাছ জব্দ করলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা

Loading

সৈয়দ রুবেল ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির গ্রামের হাট বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে সরকার কতৃক নিষিদ্ধ রাক্ষুশে পিরানহা মাছ।২৮/১২/২০১৯ইং তারিখ শনিবার উপজেলার নবগ্রাম হাটের দিন নবগ্রাম হাটেই প্রকাশ্যে কখনো সামুদ্রিক চান্দা, কখনো চাষের চান্দা মাছ বলে বিক্রি করা হচ্ছিল রাক্ষুশে পিরানহা নামের এই মাছ।

নবগ্রাম হাটে এই পিরানহা মাছ বিক্রির সময় স্থানীয় জনসাধারন জেলা মৎস কর্মকর্তাকে জানালে উপজেলা মৎস কর্মকরতা শহীদুল ইসলাম ও উপজেলা ক্ষেত্র সহকারী নাজমুল ইসলাম এসে নবগ্রাম বাজার কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান ভুলুকে সাথে নিয়ে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছগুলো নষ্ট করে ফেলে।

এ বিষয় উপজেলা মৎস কর্মকর্তা শহীদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানায়,এই দুপুরে নবগ্রাম হাটে সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত পিরানহা মাছ বিক্রি করা হচ্ছে এই সংবাদের ভিত্তিতে আমি ও আমার দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী নাজমুল ইসলামকে সাথে নিয়ে যাই এবং সেখানে গিয়ে জানতে পারি বাজার কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান ভুলু। সভাপতি ভুলু ভাইকে সাথে নিয়ে মাছগুলো নষ্ট করে বাজার সংলগ্ন নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। পরে বাজারে পিরানহা মাছ বিক্রেতা সুশান্ত সহ মাছ ব্যবসায়ীদের একত্রিত করে পিরানহা মাছ ও আফ্রিকান মাগুর বিক্রি সম্পূ্র্ন নিষদ্ধ তাই এ মাছ কেউ বিক্রি করবেন না বলে জনসম্মুখে তাদেরকে সচেতন করা হয়।

এ বিষয় পিরানহা মাছ বিক্রেতা সুশান্তের কাছে জানতে চাওয়া তিনি জানান, এ মাছ অবৈধ তারপরও ঝালকাঠির বড় বাজারের মাছের অারৎদার খানজাহান আলী মৎস আড়তের মালিক মাসুদ ভাইয়ের কাছে মাছ কিনতে গেলে অন্যান্য মাছের সাথে আমাকে একপ্রকার জোড় করে পিরানহা মাছ গুলো দিয়েছে।

এ বিষয় মাসুদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সুশান্তের কাছে পিরানহা মাছ বিক্রির সত্যতা শিকার করেন।

মাছ ব্যবসায়ী মাসুদের কাছে পিরানহা মাছ কোথা থেকে সংগ্রহ করছেন এ বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ঢাকা থেকে মোশারফ নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর যিনি যাত্রাবাড়ী, সোয়ারীঘাট ও কাওরান বাজার এলাকায় মাছ দিয়ে থাকেন। আমি তার কাছ থেকে মাছ কেনায় সে অন্য মাছের সাথে এ পিরানহা মাছ পাঠিয়ে দেয়। এরপর মোশারফের সাথে কথা বলার জন্য মাসুদের কাছ থেকে তার মোবাইল নাম্বর সংগ্রহ করে মোশারফকে ফোন দিলে তার ফোনের সংযোগটি বন্ধ পাওয়া যায়।

দেশীয় প্রজাতির মাছ তথা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরুপ হওয়ায় সরকার ২০০৮ সাল থেকে পিরানহা মাছের পোনা উৎপাদন, চাষ, বংশবৃদ্ধি করন, ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ন ভাবে নিষিদ্ধ করেছেন। আর সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ এ পিরানহা মাছ কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ীর মাধ্যমেই গ্রামের হাট বাজারে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে নিষিদ্ধ এই পিরানহা মাছ।