বিবস্ত্র করে নারী নির্যাতন: গ্রেফতার আরো ১

Loading

স্টাফরিপোটারঃ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে নারী নির্যাতন ও ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় মামলার এজহারভুক্ত আসামি রাজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ঢাকা ও নোয়াখালীতে এ পর্যন্ত মামলার এজহারভুক্ত চারজনসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হল। এর মধ্যে দুজনকে গতকাল তিনদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৫ অক্টোবর) রাত দুইটার দিকে রাজুকে ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া, এ ঘটনায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে সোহাগকে (৪২) গ্রেফতার করা হয়েছে।

নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার এখলাছপুর এলাকা থেকে ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়। তবে সোহাগ এজাহারভুক্ত আসামি নন।

গ্রেফতার এই দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ আদালতে হাজির করা হতে পারে বলেও জানায় পুলিশ।

এর আগে সোমবার সকালে মামলার ১নং আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে ও স্থানীয় দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং লিডার ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে র‌্যাব-১১। আটক বাদল (২২) একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মধ্যম একলাশপুর গ্রামের মোহর আলী মুন্সিবাড়ির রহমত উল্যার ছেলে, দেলোয়ার একই গ্রামের কামাল উদ্দিন ব্যাপারী বাড়ির সাইদুল হকের ছেলে। এ ছাড়া একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিদন ভূঁইয়াবাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মো. রহীম (২০) ও একই এলাকার মোহর আলী মুন্সিবাড়ির মৃত আবদুর রহীমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহকে (৪১) গ্রেফতার করে পুলিশ।

এদিকে নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে সোমবার রাতে ৭-৮ জন অজ্ঞাতনামাসহ নয়জনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি আইনে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন। এর আগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একই থানায় ওই ব্যক্তিদের আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়।

প্রসঙ্গত গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর আগের স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে তার ঘরে ঢোকেন। বিষয়টি দেখে ফেলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। রাত ১০টার দিকে দেলোয়ার তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে পরপুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজ ও তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।