নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশ পরিচয়দানকারী একজন পকেট থেকে ইয়াবার প্যাকেট টেবিলে রেখে নাজমুলকে বলেন, তিনি ইয়াবা ব্যবসা করেন। উপায় না দেখে তিনি ৫৫ হাজার টাকা রাজধানীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (২১ জুন) রাতে সূত্রাপুর থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পল্টন থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- উপপরিদর্শক রহমত উল্লাহ ও সহকারী উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। এছাড়া ঘটনায় জড়িত ফরহাদ হোসেন ও হাসিব হাসান নামে দুই ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে, ওই দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।
পুলিশ জানায়, ১৪ জুন রাতে নাজমুল হক নামের এক ব্যক্তির শান্তিনগরের বাসায় দুই ব্যক্তি গিয়ে ডিবি পুলিশ সদস্য পরিচয় দেন। তারা বাসার আলমারি, বিছানাসহ বিভিন্ন জায়গা তছনছ করেন। তাদের একজন পকেট থেকে ইয়াবার প্যাকেট টেবিলে রেখে নাজমুলকে বলেন, তিনি ইয়াবা ব্যবসা করেন। উপায় না দেখে তিনি ৫৫ হাজার টাকা দেন।
টাকা পাওয়ার পর ডিবি পরিচয়দানকারী একজন নাজমুলের মোবাইল থেকে ফরহাদ নামের এক ব্যক্তিকে বাসায় ডেকে আনেন। ফরহাদ তার পূর্বপরিচিত। পুলিশ পরিচয়দানকারীরা বলেন, ফরহাদের মোটরসাইকেল তারা নিয়ে যাবেন। এক লাখ টাকা দিয়ে সেটি ফিরিয়ে আনতে হবে। পরে তারা চলে যান।
ঘটনার দুদিন পর ফরহাদ তার সঙ্গে হাসিব হাসান নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে তার বাসায় আসেন। তারা টাকা দিতে চাপ দেন। টাকা না পেলে ডিবি পুলিশ মোটরসাইকেল ফেরত দেবে না বলেও জানান। পরে নাজমুল জানতে পারেন, টাকা আদায় করতে ফরহাদ ও হাসিব হাসান মিলে পুলিশ সদস্য পরিচয়দানকারী দুজনকে নিয়ে নাটক সাজিয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার পল্টন থানায় মামলা করেন নাজমুল। মামলা দায়েরের পর ফরহাদ ও হাসিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ডিবি পরিচয়দানকারী ওই দুই পুলিশ সদস্যের পরিচয় জানায়। পরে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার আবুল হাসান তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কথা বলা সম্ভব নয় বলে গণমাধ্যমকে জানান।