ঢাকাসহ সাত জেলায় লকডাউন-খোলা রয়েছে গার্মেন্টস

Loading

নতুন করে করোনা ঢাকাতে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া রোধে সাত জেলায় কঠোর লকডাউনের স্ধিান্ত নিয়েছে মন্ত্রী পরিষদ।

জেলাগুলো হলো মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ। আগামী কাল মঙ্গলবার ২২ জুন থেকে থেকে বুধবার ৩০ জুন পর্যন্ত এ ঘোষণা কার্যকর হওয়ার কথা। তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বলছে, এই ঘোষণা তৈরি পোশাক শিল্প এলাকায় কার্যকর হবে না। তৈরি পোশাক শিল্প কারখানা খোলা থাকবে।

সাত জেলার মধ্যে দুই জেলা গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ প্রধান গার্মেন্ট শিল্প এলাকা। এছাড়া নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ জেলাতে তৈরি পোশাক শিল্প, টেক্সটাইল শিল্প সহ নানা ধরণের শিল্প কারখানা রয়েছে। তাহলে এ শিল্প এলাকা কী বন্ধ থাকবে–এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ-এর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল একটি দৈনিককে বলেন, না, তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে না। তৈরি পোশাক শিল্প এলাকা এ ঘোষণার আওতামুক্ত থাকবে।

বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ টিমের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো খোলা থাকবে। এ বার্তা আমরা আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছে অফিসাল ভাবে কিছুক্ষনের মধ্যে পৌছে দেওয়া হবে। তারা কারখানা খোলা রাখবেন।

মহিউদ্দিন বলেন, আগে থেকেই তৈরি পোশাক শিল্পে করোনা কোন এ্যাফেক্ট করতে পারেনি। আমরাও যথাযথ প্রতিরোধ মুলক ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ব্যবস্থা এখনো কার্যকর আছে। ফলে নতুন কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ করতে হবে না।

রাজধানী ঢাকার বাইরে এবারই প্রথম করোনা মহামারী আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী বৃহত্তর খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী জেলাতে মহামারী আকার ধারণ করেছে। হাসপাতালগুলো রোগী ভর্তি করে কুলাতে পারছে না। আগে রাজধানী ঢাকাতে আক্রান্ত হলেও এবার গ্রামে মহামারী আকার ধারণ করেছে। এবং এই ভয়ঙ্কর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত-মৃত্যুতে বেহাল ভারতীয় সীমান্তবর্তী এ সব এলাকা।

করোনার এই ধরণ যাতে রাজধানী ঢাকাতে নতুন করে আক্রান্ত না করে সে বিবেচনা থেকে রাজধানীর চার পাশে জেলাগুলোতে সাত দিন সব ধরণের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছে মূলত রাজধানীকে বাঁচানোর জন্য মন্ত্রী পরিষদের এ উদ্যোগ ছিল। রাজধানীর চার পাশে জেলাগুলোতে গার্মেন্টস কারখানা চললে এবং গাড়ী চলাচল করলে কার্যত সরকারের এ উদ্যোগ ভেস্তে যাবে।