মোহনপুরে পুকুরের জমিকে কেন্দ্র করে আক্রশমূলক হামলায় আহত ওহাব মৃত্যু শয্যায়
সৌমেন মন্ডল ,রাজশাহী প্রতিনিধি ঃ রাজশাহীর মোহনপুরে পুকুরে জমি ছুরিকাঘাতে চারজন আহতের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মোহনপুর গ্রামের মৃত কছিমুদ্দিনের ছেলে ওহাব আলী (৪৮), ছেলে রাইসুল ইসলাম (১৬) ও নছিমুদ্দিনের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩২) এবং আহাদ।
চিকিংসায় আহতদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হলেও মৃত্যু শয্যায় ওহাব আলী। গত ৩ অক্টোবর রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওহাব আলীকে এবং ৩১ শে অক্টোবর তাকে হাসপাতাল থেকে তাকে ছুটি দেওয়া হয়। তবে তার শরীর কোন উন্নতি হয়নি। এখন বাড়িতে শুয়ে শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের দুই ছেলে হারুন ও আব্দুল রশিদ এবং মহব্বতপুর গ্রামের মৃত সাবের আলী ছেলে রবিউল ইসলাম মল্লিকপুর মৌজায়একটি জলাশয় লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন মাছ চাষ করে আসছিলেন এবং লিজকৃত জলাশয়ের পাশে ওহাব আলীর নিজস্ব জমিতে মাছ চাষ করেন কিন্তু লিজকৃত জমির মালিকেরা ক্ষমতার বলে ওহাব আলীকে নিজস্ব জমিতে মাছ চাষ করতে নিষেধ করেন এবং প্রান নাশের হুমকি দেন।
গত ৩ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় মহব্বতপুর বাজারে রবিউল ইসলাম কথা বলবে বলে পার্শে ওহাব আলীকে ডাক দেন। ওহাব আলী তার সাথে কথা বলতে গেলে পার্শে থেকে এসেই হারুন ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতারি ভাবে আঘাত করতে থাকে এবং রশিদ হাতুরি দিয়ে এলোপাতারি পিটাতে থাকেন। এই সময় উদ্ধার করতে আসলে ওহাব আলীর ছেলে রাইসুল ইসলাম, নছিমুদ্দিনের ছেলে মনিরুল ইসলামকে ছুরি আঘাতে আহত করেন এবং মহব্বতপুর গ্রামের আহাদ নামের এক ব্যক্তিও গুরুত্বর আহত হন।
উল্লেখ্য এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১ নং আসামী আব্দুল হামিদের ছেলে হারুন, ২ নং আসামী আব্দুর রশিদ এবং ৩ নং আসামী সাবের আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম। গত মঙ্গলবার রাজশাহী আদালতে জামিনের জন্য ২ ও ৩ নং আসামী হাজির হলে আদালত জামিন নামুঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান এবং মামলার ১ নং আসামী হারুন পলাতক রয়েছেন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনা আমার জানা নেই, কয়েক দিন আগে আমি এই থানায় নতুন যোগদান করেছি। তবে বিষয় টি তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।