হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে জায়গা নিয়ে দ্বন্ধের জেরে মঙ্গলবার ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতি মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও স্মারক লিপি প্রদান করেন। মানববন্ধনে উপজেলার প্রায় চার শতাধিক শিক্ষক অংশ গ্রহণ করেন।
এ উপলক্ষে এদিন সকালে উপজেলা পরিষদ মূল ফটকের সামনে ৩ ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় শিক্ষক সমিতির আহবায়ক গোপেন্দ্রনার্থ বর্মনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হক, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ন আহবায়ক আহম্মেদ হোসেন বিপ্লব, সাবেক যুগ্ন আহবায়ক বিশিষ্ঠ্য সাংবাদিক আনিসুর রহমান বাকি, জাতীয় পাটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের,আ’লীগ নেতা প্রভাষক প্রশান্ত বসাক, প্রেস ক্লাব সভাপতি ফারুক আহম্মদ, প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, মহিলা আ’লীগ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, পৌর আ’লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার, বীরমুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান,প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন, ফরিদা ইয়াসমিন, ফারজানা আক্তারি, আনিসুর রহমান, কুশমত আলী, আব্দুল মান্নান, ইয়াকুব আলী, আহসান হাবিব, খলিলুর রহমান, আহত সহকারি শিক্ষক মকবুল হোসেন ও আজিজার রহমান প্রমুখ।
১৯৮২ সালে স্থাপিত ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব। গত রবিবার ২০ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সংলগ্ন শিক্ষক সমিতি পুরনো ঘর মেরামত করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ শিক্ষক আহত হয়। এতে শিক্ষক সমিতির যুগ্ন আহবায়ক আহসান হাবীব বাদী হয়ে মফিজুল ইসলাম ও উসমান গণিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
থানা পুলিশ মামলা নিতে গরিমসি করায় ও অবৈধ দখলদার মফিজুলকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের গায়ে হাত দেওয়া বিষয়টির সঠিক সমাধান না হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। শেষে শিক্ষক সমিতির আহবায়ক গোপেন্দ্রনার্থ বর্মন স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবরে দাখিল করা হয়।
এ প্রসঙ্গে থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, অভিযোগটি আমি পেয়েছি, এবিষয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং ৬৩৭।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, শিক্ষকদের একটি স্মারকলিপি আমি পেয়েছি।
তাছাড়া ওসিকে আমি মামলা নেওয়ার জন্য বলেছি, শিক্ষকদের গায়ে তারা হাত দিবে কেন? এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়।