27 C
Dhaka, BD
রবিবার, জুলাই ২৭, ২০২৫

সাভারের হেমায়েতপুরে এশিয়ান টিভির ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তী পালন।

সাভারের হেমায়েতপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এশিয়ান টিভির ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। ছয় পেরিয়ে সাতে পদার্পণ-সবার সাথে এশিয়ান টেলিভিশন। টিভির শুভ এই জন্ম দিন উপলক্ষ্যে সিংগাপুর-খ্যাত হেমায়েতপুর দর্শক ফোরাম আনন্দ র‌্যালী,কেক কাটা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

র‌্যালীটি হেমায়েপুরের লালন টাওয়ার থেকে শুরু হয়ে বিজয় চত্বর ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনবান্ধব জন নেতা ফখরুল আলম সমর। পরে কেক কাটা ও দোয়ামাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় সাংবাদিক ও কলামিষ্ট শামসুল হক বাবু ,এশিয়ান টিভির সাংবাদিক আহসান উল্লাহ, নিজাম আহমেদ মেম্বার, শেখ মো: আলতাফ হোসেন,মোহনা টিভির প্রতিনিধি জিয়া উদ্দিন,সাংবাদিক পার্থচক্রবর্তী, এশিয়ান টিভির দর্শক ফোরামের সদস্য সহ স্থানীয় সব শ্রেণী পেশার মানুষ।

এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ এর দীর্ঘায়ু কামনা ,দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এশিয়ান টিভি সব মানুষের সুখ-দু:খের কথা বলবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সাভারবাসী।

রাজশাহীতে এশিয়ান টিভি ৬ষ্ঠ জন্মদিন পালন

আজ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল এশিয়ান টিভির ৬ষ্ঠ বর্ষপূতি
একই সঙ্গে এশিয়ান রেডিও-৯০.৮ এফএমেরও জন্মদিন পালিত হচ্ছে অাজ।
এ উপলক্ষে শুক্রবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর পদ্মা কফিবারে রাজশাহীর এশিয়ান টিভির সাংবাদিকদের নিয়ে
এক জমকালো অনুষ্ঠানের অায়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ফুল দিয়ে সাদরে গ্রহন করা হয় রাজশাহী
অাওমীলীগের সাধারন সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার
ইফতেখার অালম, সিনিয়র সহকারী ডিবি কমিশনার বজলুর করিমকে। পরে এশিয়ান টিভির লোগো সম্মোলিত এক
বিশাল অাকারের কেক কেটে সবাই মিলে অানন্দ উল্লাস করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,
রাজশাহী অাওমীলীগের সাধারন সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ
কমিশনার ইফতেখার অালম, সিনিয়র সহকারী ডিবি কমিশনার বজলুর করিম
এশিয়ান টিভির স্টার্ফ রির্পোটার অাখতার রহমান,এশিয়ান টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি মোঃ আবু কাওসার
মাখন, ক্যামেরাপারসন মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক সুজাউদ্দীন ছোটন,
বাংলা ভিশন টেলিভিশনের ষ্টার্ফ রির্পোটার অাদিত্য দাদা,দৈনিক রাজবার্তা প্রত্রিকার নিজেস্ব প্রতিবেদক
সোমেন মন্ডল, জয়যাত্রা টিলিভিশনের মোঃ সামসুল ইসলাম, এটি এন বাংলার ক্যামেরাপারসান এমডি মুরাদ,
দৈনিক প্রভাতী খবরের সাংবাদিক অাল – অামিন, বিডি নিউজের সাংবাদিক সাবিত রনি, দৈনিক রাজশাহীর
অালো- সাংবাদিক ফরিদ অাহমেদ অাবির, দৈনিক উপচার ফায়সাল টকি, রায়হান অালম ও বোয়ালিয়া থানার
কর্মকর্তাবৃন্দ।

এশিয়ান টিভি ও রেডিওকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়েছিলেন। নানা অঙ্গনের তারকা ও গুণী
ব্যক্তিত্বরা। দর্শকদের বিনোদনে মাতিয়ে রাখতে এশিয়ান টিভি পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে বিভিন্ন
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোটার আখতার রহমান ও রাজশাহী প্রতিনিধি মোঃ অাবু
কাওসার মাখন ছয় বছরে পা রাখার পেছনে সহযোগিতা-সমর্থনের জন্য এশিয়ান টিভি ও রেডিওর দর্শক-
শ্রোতা, বিজ্ঞাপনদাতা ও ক্যাবল অপারেটরদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ।

ধামরাইয়ের তামা কাঁসা শিল্প এখন বিলুপ্তের পথে

ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন শিল্প তামা কাসা । আমাদের দেশের মানুষদের মাঝে এই তামা শিল্পের পুরো কার্যক্রম খুব বেশি আলোচিত না হলেও প্রতিবছর ধামরাইয়ের এই তামা পল্লী ঘুড়ে যায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাস্কর্য প্রেমীরা। এখানে তামার ভাস্কর্য নির্মানের ইতিহাসটা পাল রাজত্বের পরে ১২ শতকের দিকে এই শিল্প হারিয়ে যেতে থাকে।
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের বাইবেল নামে খ্যাত আকম যাকারিয়া-র বাংলার প্রত্নসম্পদ বইয়েও এই নিদর্শনটি অনুল্লেখিত। শুধু তাই নয়, ১৯১৩ সালের পর ২০০৭ সালে শাওন আকন্দের লেখা “ধামরাই জনপদের কাঁসা-পিতল শিল্প” বইটিতেই প্রথম এই স্তম্ভ নিয়ে কোনো আলোচনা করা হলো।

১৯৭০-র দশক পর্যন্ত সত্যিকারেরর এন্টিক-ই কেনাবেচা হতো ধামরাইয়ে। এন্টিক যখন শেষ হয়ে যেতে থাকলো, তখন, এন্টিকের মতো ভাস্কর্য তৈরি করে বিক্রি করার আগ্রহ থেকে ১৯৮০-র দশকে প্রথম এখানে কাঁসা-পিতলের ভাস্কর্য নির্মাণ করা শুরু হয়। যে পদ্ধতিতে ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়, বাংলাদেশে তা নতুন হলেও পৃথিবীর ইতিহাসে তা নতুন নয়। বরং কয়েক হাজার বছরের পুরনো। এভাবেই শাওন আকন্দ ধামরাইয়ের কাসা-পিতল শিল্পের ধাতব জগতে প্রবেশের আগে আমাদেরকে ধামরাই অঞ্চলের এ যাবত কালের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ইতিহাস রচনা করেন।ধামরাইয়ের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে বর্তমানে কাজ করছেন সুকান্ত বনিক। তার নিরলস শ্রম আর মেধার বদৌলতেই ধামরাইয়ে এখনো টিকে আছে এই তামা শিল্প।দুর্লভ ও নান্দনিক ভাস্কর্য তৈরি করেছেন সুকান্ত।

এসব ভাস্কর্য তৈরি পদ্ধতিও অবাক করার মতো। মোম দিয়ে তৈরি পদ্ধতি অবলম্বন করেই এসব ভাস্কর্য তৈরি করা হয়। যে বিশেষ ভাস্কর্যটি তৈরি করা হবে তার একটা অবয়ব তৈরি করা হয় মোম দিয়ে। এরপর তাতে নানান নকশা ও সুক্ষ কারুকাজগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়। এরপর মোমের সেই মূর্তির উপরে চড়িয়ে দেয়া হয় তিন স্তরের মাটির প্রলেপ। এরপর তা পোড়ানো হয়। ফলে ভেতর থেকে মোমের মূর্তিটি গলে বেরিয়ে আসে। থেকে যায় শুধু মাটির ছাচে মোমের মুর্তির প্রতিবিম্ব। এরপর সেই মাটির ছাচে গলে যাওয়া তামা ঢুকিয়ে তৈরি করা হয় এই ভাস্কর্যগুলো। যেকোনো অবয়ব ফুটিয়ে তোলা সম্ভব এই ভাস্কর্যগুলোতে।বর্তমানে এই ভাস্কর্যগুলোর প্রধান ক্রেতা হলো বিদেশি ভাস্কর্য ব্যবসায়ীরা। মাত্র ৮শ ডলারে কেনা মুর্তিগুলোকে বিদেশীরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত দাম চড়িয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করছে। অথচ আমাদের দেশে এর তেমন কোনো প্রচারই নেই।

এই শিল্পকে ভর করে এখনো দেশের হাজার হাজার কাঁসা শিল্পী বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কাঁসা শিল্পীরা জানান, তারা ঢাকার বকশীবাজার থেকে ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে কাঁচামাল কিনে নানা সামগ্রী তৈরি করে তা বিক্রি করেন মাত্র ২৭০ টাকায়। তবে পাইকাররা তাদের কাছ থেকে কম দামে কিনলেও বেশি দামে তা বিক্রি করেন।

সুন্দরগঞ্জে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর জবানবন্দী গ্রহন

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত স্বামী আতোয়ার রহমানের জবানবন্দী রেকর্ড করেছে বিজ্ঞ আদালত।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ আমলী আদালতের বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ১’শ ৬৪ ধারার বিধানমতে আসামী আতোয়ার রহমানের জবানবন্দী রেকর্ড করেন।

কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক- এনায়েত কবীর জানান, গত ৭ জানুয়ারী সকালে উপজেলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের সতীরজান গ্রামের চরপাড়া মসজিদ সংলগ্ন নিজের শয়নঘর থেকে ২ সন্তানের জননী আনোয়ারা বেগমের (৩৬) ফাঁসিতে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

একই সঙ্গে প্রতিপক্ষকে ফাসানোর উদ্দেশ্যে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী আতোয়ার রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। এব্যাপারে নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে আতোয়ার রহমানকে একমাত্র আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেন। আসমী আতোয়ার রহমান সতীরজান গ্রামের রিয়াজল হকের পুত্র।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক- বেলাল হোসেন জানান, বুধবার আসামী আতোয়ার রহমানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করেছেন বিজ্ঞ আদালত।

টিআইবির রিপোর্টে সরকার ও ইসির আঁতে ঘা লেগেছে: রিজভী

টিআইবির রিপোর্টে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম প্রকাশ পাওয়ায়, সরকার তা মেনে নিতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আবারো বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার দাবি জানান রিজভী।

রিজিভী বলেন, ‘টিআইবি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের আঁতে ঘা লেগেছে। টিআইবির রিপোর্টে ভোট ডাকাতির মহাসত্য প্রকাশ হওয়াতে সরকারের মন্ত্রীরা ও নির্বাচন কমিশন মুখ লুকাতে পারছে না। সে জন্য আর্তচিৎকার করে সত্য লুকানোর চেষ্টা করলেও কোনো লাভ নেই। মানুষ যা জানার নির্বাচনের আগের দিন রাত থেকেই জেনেছে।’

এসময় তিনি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বলেন, ‘সাজানো ও অসত্য মামলায় খালেদা জিয়াকে ঘনঘন আদালতে উপস্থিত করা হচ্ছে। সরকারের কারসাজিতেই তার জীবন গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে বিশেষায়িত হাসপাতালে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।’

রিজভী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিভিন্ন সংগঠন এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্বের নানা গণতান্ত্রিক দেশ বলছে, এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। তদন্ত দাবি করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ক্ষমতা চিরদিনের জন্য আঁকড়ে ধরে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে ভোটারদের ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’

শনিবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন স্থগিত ।

আগামী শনিবার সারাদেশে শিশুদের যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল, তা হচ্ছে না।

আজ বৃহস্পতিবার জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অনিবার্য কারণ বশত আগামী ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন স্থগিত করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনের পরিবর্তিত তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।”

বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি স্থগিতের কোনো কারণ জানানো হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্যাপসুলের টেকশ্চারে সমস্যা থাকায় শনিবারের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “কয়েক জায়গায় খুলে দেখা গেছে, ক্যাপসুলগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি লেগে আছে। তবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওষুধের মানের কোনো সমস্যা ছিল না।”

নতুন ক্যাপসুল এনে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে খাওয়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে এই কর্মকর্তা জানান।

ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
এই কারণে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, ভিটামিন ‘এ’ এর অভাব পূরণে বছরে দুই বার সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।

আগের ঘোষণা অনুযায়ী, শনিবার সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুই কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল।

এই কর্মসূাচিতে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুদের ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা।

ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ এবং রক্তশূন্যতাও হতে পারে।

সাভারে সিংগাইর ব্রীজ সংলগ্ন, রিভারভিউ রেষ্টুরেন্ট এর শুভ উদ্বোধন।

সাভারে রিভারভিউ নামে একটি রেষ্টুরেন্ট এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে সিংগাইর ব্রীজের পাশে রিভারভিউ নামে রেষ্টুরেন্ট টির ফিতা কেটে উদ্বোধন করা হয়।
এসময় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফখরুল আলম সমর, বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য হাজী মোঃ আইয়ুব আলী।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি হাজী আব্দুল কাইয়ুম ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
রিভারভিউ রেস্টুরেস্ট এর প্রোপ্রাইটর মোঃ পলাশ হোসেন বলেন, এলাকায় বসোবাসরত মানুষদের কাছা কাছি কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় বহুবছর ধরে তেঁথুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর সিংগাইর সড়কের ভাষা শহীদ রফিক সেতুতে ্ঈদের ছুটিতে, বা, বিশেষ বিশেষ দিনে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিনোদন প্রেমীরা আত্বীয় স্বজন পারিবারের সদস্যদের কে নিয়ে বেরাতে আসেন।

এছারাও এ এলাকার সুন্দর্য্য চারিদিকে সবুজের সমারহ প্রাকৃতিক মুক্ত বাতাস আর একটু নিরিবিলি পাওয়ার প্রত্যায় প্রতিদিনই এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিনোদন প্রেমীরা এসে ভির করছে। কিন্ত এখানে বিনোদন প্রেমীদের খাবারের কোনো ভাল রেস্টুরেন্ট না থাকায় , তাদের কথা ভেবে আমার এই ক্ষদ্র বিনিয়োগ করে তৈরী করেছি রিভিারভিউ রেস্টুরেন্ট। যাতে বসে একটু শ্বস্তিতে বসে বিনোদন প্রেমীরা পরিবার পরিজন নিয়ে ভাল মানের খাবার খেতে পারে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ছুটি ৭৫ দিন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি (একাডেমিক ক্যালেন্ডার) অনুমোদন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রধান শিক্ষকের সংরক্ষিত তিন দিনসহ মোট ৭৫ দিন ছুটি রেখে ১৫ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে। শিক্ষাপঞ্জিতে ক্লাস-পরীক্ষা ও ফল প্রকাশের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।

একাডেমিক ক্যালেন্ডারে বলা হয়েছে, শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর। প্রথম কর্মদিবস অর্থাৎ ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক দিবস হিসেবে উদযাপিত হবে। ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল (৮ দিন) প্রথম সাময়িক পরীক্ষা এবং পহেলা আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা, ২০ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (সম্ভাব্য) এবং ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা (১ম থেকে ৪র্থ পর্যন্ত) অনুষ্ঠিত হবে।

একাডেমিক ক্যালেন্ডারে বলা হয়েছে, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে পরীক্ষার সময়সূচি মোতাবেক বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করবে। বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, নিজ নিজ বিদ্যালয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ছাড়া) নিজেরাই প্রণয়ন করবে। কোনো অবস্থাতেই বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র কিনে পরীক্ষা নেয়া যাবে না। পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনো বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পূর্বানুমতি নিতে হবে।

উল্লেখযোগ্য ছুটির মধ্যে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ, রমজান, বুদ্ধ পূর্ণিমা, জুমাতুল বিদা, শবে-বরাত ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৫ মে থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ৩৫ দিন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ থেকে ১৪ আগস্ট পাঁচদিন; জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট একদিন; দুর্গাপূজা তিনদিন, প্রবারণা পূর্ণিমা ও শ্রী শ্রী লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে ১৩ অক্টোবর একদিন এবং শীতকালীন অবকাশ ও যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন বা বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর ছয়দিন ধার্য করা হয়েছে।

একাডেমিক ক্যালেন্ডারে আরও বলা হয়েছে, সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ছাড়া বছরে মোট ছুটি ৭৫ দিন। সরকার যেসব দিনকে সাধারণ ছুটি (পাবলিক হলিডে) এবং নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি বলে ঘোষণা করা হবে সেসব দিন উক্ত ৭৫ দিনের অন্তর্ভুক্ত হবে।

বিদ্যালয় কার্যক্রমের সময়সূচি হিসেবে বলা হয়েছে, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা ৩০ পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার ২টা ৩০ মিনিট) পর্যন্ত বিদ্যালয় খোলা রাখা হবে। ক্লাস কার্যক্রম সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে ৪ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার ২টা ৩০ মিনিট) পর্যন্ত চলবে। প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সকাল ৯টা ৩০ থেকে ১২ পর্যন্ত (২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট) চলবে।

অন্যদিকে, এক শিফট বিদ্যালয়ে ১ম ও ২য় শ্রেণির ক্ষেত্রে সকাল ৯টা থেকে ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির জন্য সকাল ৯টা ১৫ থেকে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১৫ মিনিট অর্থাৎ ১৫ মিনিট শিক্ষকরা সমাবেত হয়ে সমাবেশ করবেন। আর দুই শিফট বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ১ম ও ২য় শ্রেণির জন্য সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে ১২টা ১৫ মিনিট ও ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির জন্য দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট থেকে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এ স্তরের ক্ষেত্রে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ১২টা ১৫ আর্থাৎ ১৫ মিনিট সমাবেশ করতে বলা হয়েছে।

দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্মঘণ্টা হিসেবে ১ম ও ২য় শ্রেণির এক শিফট বিদ্যালয়ের জন্য ৯২১ ঘণ্টা, দুই শিফট বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৬০০ ঘণ্টা, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির এক শিফট বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ১ হাজার ২৩১ ঘণ্টা ও দুই শিফট বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৭৯১ ঘণ্টা ধার্য করা হয়েছে।

জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস যথা- ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ আগস্ট ও ১৬ ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট দিবসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপন করতে হবে।

প্রায় দুই মাস আলাদা থাকার পর অবশেষে এক হলেন কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি ও নাজিমুজ্জামাদ জায়েদ।

প্রায় দুই মাস আলাদা থাকার পর অবশেষে সব অভিমান ভুলে এক হয়েছেন তারা। সম্প্রতি ন্যান্সি স্বামীর সঙ্গে তোলা একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে লিখেছেন ‘নিন্দুকের মুখে ছাই’।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) ন্যান্সি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সংসার জীবনে কমবেশি ভুল বোঝাবুঝি হয়। সব সংসারেই এটা হয়ে থাকে। আমাদের যে সমস্যা ছিল তা সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার মতো কিছু না। অভিমান করে আমরা আলাদা থেকেছি।’

তিনি বলেন, আমাদের বন্ধুত্ব অটুট ছিলো, আছে। দূরে থাকলেও আমাদের দুজনের মধ্যে মনের দূরত্ব হয়নি। অবশেষে সব রাগ-অভিমান ভুলে এক হয়েছি আমরা।

ডাল দিয়ে শুটকি রান্নার সহজ একটি পদ্ধতি।

চট্টগ্রামের মানুষ ছাড়াও আজকাল শুটকি খেতে পছন্দ করেন এমন মানুষের অভাব নেই। পিঁয়াজ-রসুন দিয়ে মাখামাখা ভুনা করা ছাড়াও শুটকি রান্নার আরো অনেক পদ্ধতি আছে। আসুন জেনে নিই ডাল দিয়ে শুটকি রান্নার সহজ একটি পদ্ধতি।

উপকরণ:
মসুর ডাল ১/২ কাপ
শুটকি মাছ ৪-৫টা (লইট্যা শুঁটকি)
মাঝারি পিঁয়াজ ১টা স্লাইস করা
রসুন কুচি ১ চা চামচ
রসুন বাটা ১/২ চা চামচ
কাঁচা মরিচ কুচি ২ চা চামচ
টমেটো কুচি ১টা
হলুদ সামান্য
লবণ স্বাদ অনুযায়ী
সরষের তেল পরিমাণ মতো
ধনেপাতা কুচি

যেভাবে বানাবেন:
মসুর ডাল পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন আধঘণ্টা।
লইট্যা শুটকি ভাল করে কেটে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন আধঘণ্টা। তারপর পানি ফেলে দিয়ে ভাল করে ধুয়ে লবণ, হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখবেন।
এবার কড়াইতে তেল গরম করে হালকা করে মাছগুলো ভেজে নেবেন।
মসুর ডালটা সিদ্ধ করে নিন, কিন্তু খেয়াল রাখবেন যেন গলে না যায়, গোটা-গোটা থাকে।
এবার কড়াইতে তেল গরম করে রসুনকুচি দিন, তারপর স্লাইস পেঁয়াজটা দিয়ে ব্রাউন করে ভেজে নিয়ে রসুনবাটা দিন। সামান্য কষিয়ে নিয়ে টমেটো কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে কষিয়ে সামান্য হলুদ ও লবণ দিয়ে কষে নিন। ভাজা মাছগুলো দিয়ে আরো কষুন। এইসময় সামান্য পানি দেবেন।
এবার সিদ্ধ করা মুসুর ডালটা দিয়ে দেবেন পানিসহ। তারপর ফুটে উঠে একটু ঘন হলে নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন।
এরপর সামান্য কাঁচা সরষের তেল দিয়ে পরিবেশন করুন।

সর্বশেষ আপডেট...