26 C
Dhaka, BD
রবিবার, জুন ৮, ২০২৫

ভবিষ্যতে আমরা লাঙ্গল নৌকায় তুলে নেব : শেখ হাসিনা

ভবিষ্যতে লাঙ্গল নৌকায় তুলে নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) কামরাঙ্গীরচর হাসপাতাল মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা-৬ আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশীদকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে আমরা দিয়েছি (মনোনয়ন) অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদকে। যদিও তিনি ছাত্রলীগ করেছিলেন, এখন করেন জাতীয় পার্টি। চলে গেছেন এরশাদ সাহেবের সাথে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবেই লাঙ্গল মার্কা নিয়ে তিনি এখন নির্বাচন করছেন। ছিলেন নৌকা মার্কায়, গেছেন লাঙ্গল মার্কায়। কোনো অসুবিধা নাই, ভবিষ্যতে আমরা লাঙ্গল নৌকায় তুলে নেব। তবে এখন লাঙ্গল মার্কায় ঢাকা-৬ আসনে কাজী ফিরোজ রশীদের জন্য আমরা ভোট চাচ্ছি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে জনসভা সঞ্চালন করেন সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত ৮টি সংসদীয় আসনে মহাজোট ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৮টি আসনের প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন।

অন্যান্য প্রার্থীদের মাঝে ঢাকা-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী নসরুল হামিদ বিপু ও ঢাকা-১০ আসনের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নির্বাচনী প্রচারণায় থাকায় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন না।

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকার মানুষ যাতে নাগরিক সেবাটা ভালোভাবে পায়, যেহেতু জনসংখ্যা বেড়ে গেছে এবং প্রত্যেকেটা ইউনিয়নকে আমরা এই মহানগরের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দিয়েছি। ১৭টি ইউনিয়ন, ঢাকাকে আমরা উত্তর এবং দক্ষিণ -এভাবে ভাগ করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যেকোনো মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে। আপনাদের কাছে আমরা ভোট চাই। আমাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করব, ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী পালন করব। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ। আর ২১০০ সালে এই বাংলাদেশ বিশ্বে একটা সম্মানীত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে, বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হবে। সেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই।

উপস্থিত জনতার কাছে শেখ হাসিনা জানতে চান, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন তো? এ সময় উপস্থিত জনতা হাত তুলে সমর্থন জানান।

সেক্স ভিডিও নিয়ে বিপাকে পড়েন দেশের ১২ তারকা

স্ক্যান্ডালের মতো ভয়াবহ বদনাম থেকে এড়াতে পারেননি বাংলাদেশের বিনোদন জগতের কোনো কোনো তারকা। সেক্স স্ক্যান্ডালের কারণে ধস নেমেছে তাদের ক্যারিয়ারে। এর মধ্যে বেশি আলোচিত হন ১২ নায়িকা-গায়িকা।

ইভা রহমান: সঙ্গীতশিল্পী ইভা রহমানের নামে একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ভিডিও-চিত্র ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। এতে দেখা যায়, একটি হোটেল কক্ষে এক বিদেশীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে আছেন ইভা রহমানের মতো দেখতে এক নারী। পরে এটি গুজব বলে প্রতিষ্ঠিত হয়।

তিন্নি: একটি সেক্স স্ক্যান্ডাল নিয়ে মডেল অভিনেতা তিন্নি-হিল্লোল দেশজুড়ে সমালোচিত। একটি হোটেল কক্ষে তরুণ-তরুণীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজ দুজনের নামে ছেড়ে দেয়া হয় বাজারে। এই ভিডিওটির সত্যতা মেলেনি।

প্রভা: ২০১০ সালের সবচেয়ে আলোচিত নাম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। প্রভার বয়ফ্রেন্ড রাজীব একটি ভিডিও ফুটেজ বাজারে ছাড়েন। এরপর এই অভিনেত্রী ক্যারিয়ার থেকে সরে পড়তে বাধ্য হন। রাজীব ও প্রভার বিয়ে পারিবারিকভাবেই চূড়ান্ত হয়েছিল। এর মাঝে প্রভা পালিয়ে অপূর্বকে বিয়ে করেন। প্রতিহিংসার বশে রাজীব প্রভার একান্ত কিছু ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন।

চৈতি: ২০১১ সালে মডেল ও উপস্থাপিকা চৈতির একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ হয়। নির্মাতা এনামুল কবির নির্ঝরের সাথে এই ভিডিওতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় চৈতিকে। এরপর অনেক দিন মিডিয়ায় দেখা যায়নি এই তারকাকে।

মেহজাবিন: বছরকয়েক আগে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে মেহজাবিনের নামে এক পর্নো ক্লিপ। মেহজাবিন জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে শত্রুতা করে কে বা কারা এই অপপ্রচার চালিয়েছে।

সারিকা: ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ওয়েব সাইটে সারিকার নামে একটি পর্নো ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রকাশিত ভিডিওর নারী চরিত্রটি সারিকার নয় বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানান।

আনিকা কবির শখ: জনপ্রিয় মডেল আনিকা কবির শখের নামে একটি ভিডিও ফুটেজ বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে। ভিডিওতে বিবসনা নারীটি শখ ছিল না বলে জানা গেছে।

বিদ্যা সিনহা মীম: গত বছর এক বিদেশি ক্রিকেটারের সাথে লাক্স সুপারস্টার জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীমের আপত্তিকর দৃশ্যের ফুটেজ প্রকাশ হয়। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে এটা আসলেই তারকা বিদ্যা সিনহা মীম কিনা তা নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেন।

পড়শী: হালের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী পড়শীও রেহাই পায়নি এই সাইবার ক্রাইম থেকে। পড়শীর নাম ব্যবহার করে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। যদিও ভিডিওর মেয়েটি যে পড়শীই তা নিশ্চিত হতে পারেনি কেউ।

বিন্দু: নাট্যকার-সাংবাদিক অরুণ চৌধুরীকে জড়িয়ে একটি ভিডিও স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ে। আর এর সাথে যুক্ত হয় জনপ্রিয় টেলিভিশন তারকা বিন্দুর নাম। পরে জানা যায়, ভিডিও-চিত্রের তরুণী অভিনেত্রী বিন্দু ছিলেন না।

মিলা: ইন্টারনেটে ‘মিলা’ নামে একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ৩৩ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওটিতে মাতাল অবস্থায় থাকা তরুণীর চিত্র রয়েছে। এ ঘটনার কয়েকমাস পর মিলা মুখ খোলেন। তিনি দাবি করেন, প্রকাশিত ভিডিওচিত্রের মেয়েটি তিনি নন।

নোভা: মডেল অভিনেত্রী নোভাকে ক্যারিয়ারের উঠতি সময়ে বিপাকে ফেলে দেয় একটি ভিডিও ফুটেজ। ২০১০ সালে তার নামে একটি অর্ধ বিবসনা ফুটেজ ছড়িয়ে পরে। তবে ফুটেজটি নোভার কিনা তার সত্যতা মেলেনি।

সেনাবাহিনী সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে : সিইসি

সেনাবাহিনী নামায় ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নূরুল হুদা।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন সিইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে সেনাবাহিনী।

এর আগে এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে মাঠে নেমেছেন সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) সদস্যরা। আজ থেকে আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

আইএসপিআর-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে আইন ও শান্তি-শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতে (২৪ ডিসেম্বর) থেকে আগামী ২ জানুয়ারি, ২০১৯ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী স্ব স্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নির্বাচন কমিশন বা অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা, মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট (Nodal Point) ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে। উপকূলীয় ১৮টি উপজেলা ও সীমান্তবর্তী ৮৭টি উপজেলা ছাড়া অন্য সব এলাকায় (৩৮৯টি উপজেলায়) সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় ১৮টি উপজেলায় নৌবাহিনী এবং সীমান্তবর্তী ৮৭টি উপজেলায় বিজিবি (অন্যান্য দায়িত্বপূর্ণ এলাকার পাশাপাশি) কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, জরুরি প্রয়োজনে বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানকে নির্বাচনি কাজে সহায়তার জন্য প্রস্তুত রাখা হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী বা নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা মহাসড়গুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জয়েন্ট কো-অপারেশন সেল (Joint Co-ordination Cell) স্থাপন করা হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ, প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের ৬টি আসনের (২১. রংপুর-৩, ১০০. খুলনা-২, ১০৬. সাতক্ষীরা-২, ১৭৯. ঢাকা-৬, ১৮৬. ঢাকা-১৩ এবং ২৮৬. চট্টগ্রাম-৯) ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে দুই পর্যায়ে ইভিএমের ওপর সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করা হয়েছে এবং তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের জনসচেতনতা ও প্রচারণা কার্যক্রমে ইভিএম-এর ওপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যতা কারিগরি দক্ষ (Technical Expert) হিসেবে অংশগ্রহণ করছে।

উল্লেখিত ৬টি নির্বাচনি আসনে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া, এসব আসনের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের ইভিএম সংক্রান্ত কারিগরি সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য প্রস্তুত থাকবে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সোমবার দেশে ফিরছেন না।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ শেষে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশে ফেরার কথা ছিল। রোববার এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রথমে এমনটিই জানানো হয়। কিন্তু রাতে জালালী স্বাক্ষরিত আরেকটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরশাদ সোমবার ফিরছেন না।

এতে বলা হয়, এরশাদের মেডিকেল চেকাআপ শেষ না হওয়ায় তিনি সোমবার দেশে ফিরছেন না। পরবর্তীতে এরশাদের দেশে ফেরার তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে।

যদিও আগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, এরশাদের মেডিকেল চেকআপ শেষ হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার সঙ্গে সিঙ্গাপুর যান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু,এরশাদের এপিএস মো.মনজুরুল ইসলাম ও সাবেক রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহাব।

গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্যাপুর) আসনের নির্বাচন ২৭ জানুয়ারি

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী মারা যাওয়ার কারণে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্যাপুর) আসনের নির্বাচন ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২ জানুয়ারি (রোববার)।

রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করেন।

প্রতিদিন ১টি এলাচ দূর করতে পারে ৮টি স্বাস্থ্য সমস্যা

খাবার খেতে বসলে মুখে এলাচ চলে গেলে মুখের স্বাদটাই মাটি হয়ে যায় অনেকের। মনে মনে ভাবতে থাকেন এলাচ খাবারে না দিলেই কি নয়? কিন্তু সত্যিই এই এলাচ রান্নাতে না ব্যবহার করলেই নয়। কারণ রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানো এলাচের অন্যতম কাজ। কিন্তু আপনি জানেন কি রান্না ছাড়াও আপনি এলাচ খেলে তা আপনার ৮ টি শারীরিক সমস্যা দূরে রাখবে? অনেকেই হয়তো বিষয়টি জানেন না। কিন্তু প্রতিদিন মাত্র ১ টি এলাচ খাওয়ার অভ্যাস করেই দেখুন না, নানা রকম সমস্যার সমাধান পাবেন।

১) এলাচ এবং আদা সমগোত্রীয়। আদার মতোই পেটের নানা সমস্যা এবং হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এলাচ অনেক কার্যকরী। বুক জ্বালাপোড়া, বমি ভাব, পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটির হাত থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিন।

২) দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে এলাচের জুড়ি নেই। এলাচের ডিউরেটিক উপাদান দেহের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কারে সহায়তা করে।

৩) রক্তনালীতে রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এলাচের রক্ত পাতলা করার দারুণ গুনটি এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।

৪) এলাচের ডিউরেটিক উপাদান উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম। দেহের বাড়তি ফ্লুইড দূর করে এলাচ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।

৫) মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চুষতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

অলি-গলি, রাজপথে পোস্টার-ব্যানার টাঙাতে শুরু করেছেন প্রার্থীদের সমর্থকরা।

প্রার্থীদের পোস্টার ব্যনারে ছেয়ে যেতে শুরু করেছে ঢাকার সংসদীয় আসনগুলো। বিভিন্ন অলি-গলি, রাজপথে পোস্টার-ব্যানার টাঙাতে শুরু করেছেন প্রার্থীদের সমর্থকরা। প্রচারণা শুরুর দিনেই রাতভর উৎসবমুখর পরিবেশে চলে এ কর্মযজ্ঞ।

প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করে ঢাকার বিভিন্ন আসনে। প্রার্থীর পক্ষে রাস্তায় রাস্তায় পোস্টার লাগাতে শুরু করেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ। তার ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। সে হিসেবে হাতে সময় আছে ১৭ দিন। তাই একদমই সময় নষ্ট করতে চান না ভোট প্রত্যাশীরা।

যদিও বিধিমালা অনুযায়ী এবার পোস্টার হতে হবে সাদা কালো। তবে তা নির্বাচনী উৎসবকে রঙহীন করতে পারেনি। পোস্টার লাগাতে আনন্দের কমতি দেখা যায়নি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।

রাজধানীর ২০টি আসনের বেশিরভাগ এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের পোস্টার লাগাতে দেখা গেছে। জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের পোস্টারও চোখে পড়েছে। এবার ঢাকার ২০টি আসনে মোট ভোটার ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৫৮৮।

ঢাকা ২০ ধামরাই আ.লীগ পার্থী আলহাজ্ব বেনজির আহমেদের ব্যাপক ভাবে গন সংযোগ।

ঢাকা-২০, ধামরাই আসনের আ.লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব বেনজির আহমেদ ব্যাপক ভাবে গণ সংযোগ,সভা ও উঠান বৈঠক করে যাচ্ছেন। ধামরাই উপজেলা ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌর সভার কোন না কোন স্থানে গণ সংযোগ ও উঠান বৈঠক করছেন। তিনি ধামরাইয়ের সাবেক এমপি ছিলেন।বর্তমানে ঢাকা জেলা আ.লীগের সভাপতি ও বায়রার সভাপতি।ধামরাই প্রতিটি ত্রলাকায় আ.লীগ কর্মীরা উৎসাহ উদ্দীপনা মধ্য দিয়ে ফুলরে নৌকার প্রতীক দিয়ে বরণ করে নেয় তাদের প্রিয় নেতাকে।বিভিন্ন  গণসংযোগ বক্তব্যে বেনজির আহমদ বলেন, আমি নির্বাচিত হলে আধুনিক ধামরাই উপজেলা হিসেবে রপান্তর করা হবে। আমার  সময়ে ধামরাই উন্নয়ন হয়েছে। এবার আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসলে ধামরাই আরো উন্নয়ন হবে। আ.লীগ সরকার উন্নয়ন সরকার। তাই নৌকার মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন অ.’লীগকে। এতে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে।এদিকে ধামরাই পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবীরের নেতৃত্বে প্রতিদিনি ব্যাপক গণ সংযোগ চালাচ্ছে ধামরাই পৌর এলাকা সহ বিভিন্ন স্থানে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ এখন সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। অব্যহত রাখতে ধামরাইয়ে তরুন ভোটারদের মাঝে নৌকায় ভোট দিতে ব্যাপক উদ্দীপনা বিরাজ করছে।ধামরাইয়ের বিএনপি প্রার্থী তমিজ উদ্দিনের। উপজেলার চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে সাংসদ হওয়ার নানা স্বপ্ন নিয়ে এগিয়েছেন। পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন, বরাদ্ধ প্রতীক ধানের শীষ। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগের বিষয়টি তিনি সঠিক নিয়মে পালন না করার আইনি জটিলতায় নির্বাচনি মাঠে অংশ গ্রহনের সুযোগ হারালেন। তাই দর্শক হয়ে গ্যালারীতেই থাকতে হচ্ছে আপতত।

২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের দখলে আসে এই আসনটি। ২০১৪ সালেও থেকে যায় আওয়ামীলীগের হাতে। তবে এবার জাতীয় একাদশ নির্বাচনে বিএনপি আসনটি পুনদ্ধারের স্বপ্ন। তবে শুরু তেই হোঁচট খেয়ে নির্বাচনের মাঠ ছাড়তে হলো বিএনপিকে। আইনি জটিলতায় স্বপ্ন ভঙ্গ হলো ঐক্যফ্রন্টের মনোনিত বিএনপির প্রার্থী তমিজ উদ্দিনের। উচ্চ আদালতের রায়ে জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহনের সুযোগ রইলো না তার। ফলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী আগের তুলনায় অনেকটাই শক্ত অবস্থান রয়েছে। এখন বিএনপি সমর্থন বা অবস্থান কি হবে? এটা নিয়ে ভাবছে আওয়ামীলীগ। পাশাপাশি অন্যান্য দলের প্রার্থী এই সুযোগটি কাজে লাগতে কাছে টানার প্রচেষ্টায় বিএনপি সমর্থকের।এখন ধামরাই আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। নিরবতা বিরাজ করছে ধামরইয়ে বিএনপির মুল কার্যালয়টিতে। বেশীর ভাগ সময়েই অফিস কক্ষটি বন্ধ বা তালাবদ্ধ দেখা যায়।এছাড়াও ঢাকা -২০ আসনে আরো তিন জন প্রার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে আছেন জাতীয় পাট্রির লাঙ্গল মাকা নিয়ে সাবেক এমপি খান মোহাম্মদ ইস্রাফিল খোকন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির তারা মার্কা নিয়ে প্রার্থী হিসেবে আছেন এম এ মান্নান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী হাত পাখা মার্কা নিয়ে আছেন আব্দুল মান্নান।ভোটের মাঠে স্থানীয়রা জনগণের মাঝে ভোট দেয়ার উত্তেজনা বিরাজ করছে, তাদের বক্তব্য যোগ্য ব্যাক্তি আর ধামরাইয়ের উন্নয়ন করবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দিবেন তারা।

নির্বাচন সামনে রেখে মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ বলেন, আওয়ামীলীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর বিশ্বাস রেখে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস নেতা কর্মীরা যে ভাবে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরছেন। ধামরাই বাসি আমাকে বিপুল ভোটে জয় লাভ করিয়ে এই আসনটি মাননীয় শেখ হাসিনাকে উপহার দিবে।

ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা বন্ধের দাবি

ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিংগিয়া শাহপাড়া গ্রামে আগুনে পুড়ে দেওয়া একটি হিন্দু পরিবারের বাড়ি পরিদর্শন শেষে এ দাবি জানায় কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারাণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি। নির্মল চ্যাটার্জি অভিযোগ করে বলেন, সারা বাংলাদেশে ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অনেক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঠাকুরগাঁওয়ের এই হিন্দু পরিবারের বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যারা এই হিন্দু পরিবারের বাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষদের পুড়িয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনার কোন আপোষ নেই। তিনি আরও বলেন, ২০০১ ও ২০১৪ সালে বিএনপি অনেক নির্যাতন নিপীড়ন করেছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর। মা ও মেয়েকে একসঙ্গে ধর্ষণ পর্যন্ত করেছে তারা। বাংলাদেশ এখন আর সেই অবস্থায় নেই; বিএনপির মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসবে না। হিন্দু সম্প্রদায়ের আপনারা যারা আছেন, আপনারা কোন ভয় পাবেন না। নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, ঠাকুরগাঁও শান্তিপ্রিয় জায়গা। এখানে হিন্দু-মুসলমান সহ অন্য ধর্মের মানুষরা একসঙ্গে বসবাস করছে। এখানে কোন অশান্তি নেই। এই শান্তিপ্রিয় জায়গায় ভোর বেলা এসে দুস্কৃতকারীরা হিন্দু পরিবারের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখলাম এখানে নিজ পর্যন্ত মানে মাটি পর্যন্ত পুড়ে গেছে। যাই হোক আপনারা কেউ ভয় পাবেন না। ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা বন্ধের দাবি জানান তিনি। এসময় কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি অ্যাড. ইন্দ্রনাথ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক সুবাশিষ বিশ্বাস সাধন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব দে, ঠাকুরগাঁও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক অসোক কুমার দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, হিন্দু বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে; আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার ভোরে কৃষ্ণ ঘোষের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ওই পরিবারের ঘরবাড়ি সহ বাড়ির আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং শুক্রবার রাতেই কৃষ্ণ ঘোষ বাদি হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি (তদন্ত) চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, মামলায় সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান লিটন সহ ৯ জনের নাম উলে­খ করা হয় এবং অজ্ঞাত আরও ১২ জনকে আসামী করা হয়। মামলার বরাত দিয়ে ওসি (তদন্ত) চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নে এজাহার নামীয় আসামীরা বেশ কিছুদিন ধরে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়কে আতঙ্কগ্রস্থ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের তান্ডব চালিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাকিতায় শুক্রবার ভোরে ওই ইউনিয়নের সিংগিয়া শাহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ ঘোষের বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় আসামীরা। এতে ৮টি ঘর, ধান, হাঁস-মুরগী, ছাগল সহ ঘরে থাকা মালামাল পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে প্রায় ১১ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ঢাকা-২ আসনে নৌকার পক্ষে আইয়ুব মেম্বারের ব্যাপক গণসংযোগ।

আসন্ন একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা-০২ আসনের তেঁতুঝোড়া ইউনিয়নে আইয়ুব মেম্বারের নের্তৃত্বে ব্যাপক গণসংযোগ ও নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় আয়োজিত পথসভা থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ফিরিস্থি তুলে ধরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন আওয়ামীলীগের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চার নং ওয়ার্ড সদস্য হাজী মোঃ আইয়ুব আলী।
দিন-রাত এক করে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নৌকার পক্ষে প্রচারনা করতে গিয়ে দম ফেলারও ফুসরত নেই তার। নির্বাচনে শতভাগ জয়ের লক্ষ নিয়ে তিনি প্রতিদিনই বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ পথসভা করে যাচ্ছেন। ঢাকা-০২ আসনের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়র অধিকাংশ এলাকা এরইমধ্যে চষে বেড়িয়েছেন এই ত্যাগী নেতা।
নির্বাচনী পথসভায় আরও বক্তব্য রাখে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাজী মোঃ আব্দুল কাইয়ুম। তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিগত দিনে আমরা আপনাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আগামীতেও এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট প্রদান করতে হবে। সব ভয়-বাধা উপেক্ষা করে আপনারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করবেন। যে কোন ধরনের নিরাপত্তা এবং সহযোগীতার জন্য আমরা আপনাদের পাশে আছি। নৌকাকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আপনাদের সব ধরনের সহযোগীতা প্রদান করা হবে।
পথসভা শেষে ইউনিয়নের ঋষিপাড়া, খাত্রা পাড়া, তেঁতুলঝোড়া, ভরারী, রাজাঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল ও গাড়ি বহর নিয়ে ঘুরে ঘুরে ভোট প্রার্থনা করেন।

সর্বশেষ আপডেট...