32.1 C
Dhaka, BD
শনিবার, আগস্ট ১৬, ২০২৫

সাভারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বড়দিন পালিত

সারা দেশের ন্যায় ঢাকার সাভারে নানা আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশে খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সাভারের রাজাশন ধরেন্ডায় খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কেন্দ্রীয় মিশনে আনন্দ-আনন্দ-উৎসব ও প্রাার্থনার মধ্য দিয়ে তাঁরা দিনটি উযাপন করেন।
সকালে সাভারের রাজাশন এলাকায় ধরেন্ডা ক্যাথলিক চার্চে খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা শুভ বড় দিন উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা উৎসব পালন করে। এসময় বড় দিন উপলক্ষ্যে খ্রীষ্টানভক্তরা গীর্জায় আরাধনা করেন।
প্রভুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের উৎসবের দিন শুভ বড়দিন পালিত হয়েছে। এদিন যীশু তাদের আলোর পথ দেখিয়েছেন, জ্ঞানের পথ দেখিয়েছেন। ঈশ্বর যেমন আমাদেরকে দয়া করেন আমরাও যেন পরস্পরকে দয়া প্রদর্শন করি। এই মহান ব্রত নিয়ে এবারের বড় দিনের উৎসব পালিত হয়েছে।

বড়দিন উপলক্ষ্যে ধরেন্ডা গির্জা সাজে নতুন রূপে। এছাড়া পূণ্যময় শুভ বড়দিন উপলক্ষ্যে কীর্তন প্রদর্শনীর আয়োজন করে ধরেন্ডা মিশন তরুন সংঘ। অনুষ্ঠিত কীর্তন প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ১৯ আসনের সংসদ ডা.এনামুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এনামুর রহমান বড়দিন উপলক্ষ্যে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষরা আওয়ামীলীগ সরকারের সময় সুন্দরভাবে যে যার ধর্ম পালন করতে পারছেন। তাই আগামী নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে শেখ হাসিনা সরকারকে নিরঙ্কুস বিজয় উপহার দিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র সেলিম মিয়া,ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক মাসুদ খাঁন রানাসহ আরো অনেকে।

সারা দেশে গনমাধ্যম কর্মীদের গাড়ী ভাংচুর

গতকাল রাতে ১১টার দিকে দোহার-নবাবগঞ্জের গনমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে একদল দুষ্কৃতী গনমাধ্যম কর্মীদের ১১টি গাড়ি ভাঙচুর করে পালিয়ে যায় ।
এছাড়াও ঢাকা সহ ভিবিন্ন জেলায় গনমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে ।

সাভারে তুরাগ নদীর অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে, অবৈধ দখল ও জলাশয় ভরাট করে তৈরী করা হচ্ছে প্লট এবং বিভিন্ন স্থাপনা

সাভারের তুরাগ নদীর অস্তিত এখন হুমকির মুখে, চলছে বেপরোয়া দখল, বালি ফেলে ভরাট ও প্লট তৈরীর জন্য ইট বালি দিয়ে পাকা বাউন্ডারী নির্মানের কাজ।
তুরাগ নদীর জলাশয়গুলো ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। তৈরি করা হয়েছে পাকা দেয়াল ও নানা ধরনের স্থাপনা।
সাভার ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সংযোগ সড়ক ভাকুর্তা ইউনিয়নের তুরাগ ভাঙ্গা ব্রীজ থেকে মুগড়া কান্দা প্রর্যন্ত সড়কের পাশ দিয়ে তুরাগ নদীর তীর ঘেষে সরকারী খাল অবৈধ্য ভাবে দখল করে ড্রেজার দিয়ে বালি ফেলে ভরাট করা হয়েছে।
এখন চলছে ইট বালি দিয়ে পাকা বাউন্ডারী করে প্লট নির্মানের কাজ।
তৈরী করা হয়েছে পাকা দেয়াল ও কয়েকটি স্থাপনা । প্রতিটি স্থাপনার ভিতরে সামনের দিকে রয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তুরাগ নদীর সরকারী খাল দখল করে গড়ে উঠেছেন জনব ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াক্সসব নামে একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটির সামনের দিকে রয়েছে ছোট্ট একটি মসজিদ, পিছনে বিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াক্সসব। মসজিদের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় নুংরা অপরিছন্ন ব্যাবস্থা, ফ্লোরে ছরিয়ে ছিটিয়ে রেয়েছেন, যায়নামাজ, চাটাই, লোহার পাইপ, রড সিমেন্টসহ নির্মানের বিভিন্ন জিনিস পত্র।
দেখে মনে হচ্ছে মসজিদ টি তৈরীর পর থেকে কোনো নামাজ হয়নি।
তুরাগ ব্রীজ পার হয়েই প্রথমে মাটি ফেলে ভরাট করে খালের উপর দিয়ে একটি রাস্তা নির্মান করা হয়েছে।

এর পর মুগড়া কান্দার দিকে দুই শো’ গজ এগিয়ে গিয়ে দেখা যায় খাল ভরাট করে গড়ে উঠেছে জনব ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াক্সসব নামে একটি বিশাল ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির সামনের দিকে রয়েছেন ছোট্ট একটি মসজিদ।
স্থানীয়রা বলেন, প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো জনবসতি নাই তাহলে এই মসজিদে নামাজ পরে কে। এসময় তারা আরো বলেন, আমরা এই মসজিদে কখুনো আযান শুনিনি বা কোনো নামাজের জামায়েত ও অনুষ্ঠিত হতে দেখিনি।
এলাকার প্রভাবশালী ভুমি সদস্যুরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদকে পুজি করে জমি দখল করছে বলে জানান তারা।
এছারাও সরেজমিনে গিয়ে এই মসজিদের ইমাম বা, মোয়াজ্জেম কাউকেই খুজে পাওয়া যায়নি।
কারখানার ভিতরে গিয়ে মোঃ রফিক হোসেন নামে এক জন কেয়ারটেকার কে পাওয়া যায়। এব্যপারে তার কাছে জান্তে চাইলে, সে ক্যামেরার দেখে পালিয়ে যায়।

এর পর একটু সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল আকারে তুরাগ নদীর খালটি ড্রেজার দিয়ে বালি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। সড়কের পাশ দিয়ে টিন দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। সড়কের সাথে এর ভিতরে যাওয়ার জন্য একটি বিশাল গেইট ও রয়েছে। ভিতরে ইট বালি দিয়ে পাকা বাউন্ডারী নির্মান করে বিভিন্ন আকারে ছোট বড় প্লট তৈরী করা হয়েছে।
এখানেও গিয়ে দেখা যায় ভিতরে গেইটের পাশে ছোট্ট একটি মসজিদ ও রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে মসজিদের ইমাম সাহেব মোঃ আসাদ ও মোয়াজ্জেম মোঃ বাদল মিয়াকে পাওয়া যায়।
মসজিদের ইমাম সাহেব মোঃ আসাদ এর কাছে মসজিদের নাম জান্তে চাইলে তিনি বলেন, এটা বাইতুল আকসে জামে মসজিদ। মোয়াজ্জেম সাহেবের কাছে মসজিদের নাম জান্তে চাইলে তিনি বলেন এই মুহুর্তে মসজিদের নাম আমার মনে নাই।
তুরাগ নদীর খাল দখল করে কারা স্থাপনা গুলি তৈরী করেছে মোয়াজ্জেম বাদল মিয়ার কাছে জান্তে চাইলে তিনি বলেন, আমিন বাজার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন ও মোঃ মাহফুজ সাহেব এটা করেছেন। এসময় মোয়াজ্জেম বাদল মিয়া মোঃ মাহফুজ

সাহেবের একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে তার সাথে কথা বলতে বলেন।

পরে মোঃ মাহফুজ সাহেবের ০১৭১২-০৩২৬৩৫ মুঠোফনে যোগাযোগ করে তুরাগ নদী ভরাটের ব্যপারে জান্তে চাইলে তিনি বলেন, ওখানে আমার কোনো জমি নাই, ওরা ভুল নাম্বার দিছে আপনাকে আমি নির্বাচনের কাজে আমি ফেনীতে ব্যাস্ত আছি।
সরেজমিনে দখল কৃত জমির বাউন্ডারীর ভিতরে মসজিদের সামনে একটি ত্রুয় সুত্রে মালিকানার সাইন বোর্ড দেখা যায়।

সাইন বোর্ডে লেখা আছে, ত্রæয় সুত্রে এই জমির মালিক, ১/ মোঃ মাহফুজুর রহমান, ২/ শাহ মোস্তফা আলমগীর, ৩/ মোঃ আমিনুল ইসলাম, ৪/ মোঃ আনোয়ার হোসাইন, চেয়ারম্যান আমিন বাজার ইউনিয়ন পরিষদ, ৫/ মাওলানা শফিকুর রহমান, ৬/ মোঃ ইয়াকুব।
এব্যপারে মুগরাকান্দা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দার মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, আমরা দেখেছি আমিন বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন তুরাগ নদীর এই সরকারী খাল দখল করে অবৈধ ভাবে বালু ফেলে ভরাট করছে।
প্রথম প্রথম যখন ভরাট করে আমাগো এলাকার অনেক মানুষই এসে বাধা দিছিলো, পরে চেয়ারম্যান কি করলো জানিনা। এখনতো দেখছি ভরাট করেই ফেলেছে।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের মুগড়াকান্দা এলাকাসহ প্রায় ১০/১২ টি গ্রামের পানি সব এই তুরাগ নদীর খাল দিয়ে নেমে যায়।
সরকারী খাল গুলি এ ভাবে যদি ভরাট হয়ে যায় তাহলে আমাদের এলাকায় তো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে।
এলাকাবাসিরা জানান, আমিন বাজার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অবৈধ্য ভাবে তুরাগ নদীর সরকারী খাল দখল করে ড্রেজার দিয়ে বালি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। তৈরী করা হয়েছে বিভিন্ন আকারে ছোট বড় প্লট ।
ওই এলাকার স্থানীয় আরেক জন বাসিন্দার মোঃ মোকলেছ মিয়া বলেন, আমিন বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা প্রথমে দেখছি ট্রাক দিয়ে বালি ফেলাতে পরে, দেখছি ড্রেজার দিয়ে ভরাট করতে।

তুরাগ নদীতে আমাদের এলাকার কিছু গরীব মানুষ মাছ ধরে সংসার চালায়, তাছারাও আমাদের মুগড়াকান্দা বিলের পানি নামে এই খাল দিয়ে, এখানের বেশির ভাগই খাস জাইগা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যপারে ভাকুর্তা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হোসেন বলেন,
আমাদের ভাকুর্তা ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডের তুরাগ লোহার ব্রীজ থেকে মোগড়াকান্দা প্রর্যন্ত রাস্তার পাশ দিয়ে অনেক সরকারী খাস জমি আছে, তো এই খাস জাইগা গুলি কারা কি ভাবে ভরাট করছে এই ব্যপারে আমি কিছু জানিনা। হয়তো ওরা প্রভাবশালী ভুমিদস্যু তাই কেউ কিছু বলেনা।

এই খাস জমি গুলি যারা ভরাট করছে এ ব্যপারে সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন এটা বন্ধ করা হোক তা না হলে ভবিস্যতে আমাদের এলাকার পানি নেমে যাওয়ার আর কোনো ব্যবস্থা থাকবেনা।
এলাকা বাসিরা আরো বলেন, ভুমি দস্যুরা  কৌশলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে পুজি করে তুরাগ নদীর সরকারী খাল দখল করে প্রতিটি স্থাপনার সামনের দিকে ছোট্ট একটি মসজিদ বানিয়েছে। এর পেছনের দিকে বিশাল আকারে জমি দখল করছে। যাতে করে যে কোনো ঝামেলা বা, উচ্ছেদ অভিযান এলে মসজিদ বাচানোর ছলে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা যায়।
এ ব্যপারে আমিন বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন এর মুঠোফনে ০১৮৩১-৫৫৮৫৮৫ যোগাযোগ করলে তার কাছে তুরাগ নদীর খাল ভরাটের বিষয়ে জান্তে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা  স্বীকার করে বলেন, ওরা একটা সমিতি করছিলো কিছু জাইগা কিনে বালি দিয়ে ভরাট করছে, আমারে রাখছিলো এক এক জনের টাকা ধরছিলো দশ লাখ কইরা।

আমি আর টাকা পয়সা দিতে পারিনি, আগে কিছু টাকা দিছিলাম পরে আর দিতে পারিনি। তাছারা এ ব্যপারে আমারও ওখানের কাজ কাম সুবিধা জনক মনে হচ্ছেনা।
আমাদের পিছনে মেঘনা গ্রæফ জাইগা কিনেছে পরে চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম বেশি দুর আগানো যাবেনা। পরে আমি আর টাকা পয়সা দিতে পারি নাই এই জন্য আমি আর ওই দিকে যাই না।
এসময় তিনি আরো বলেন, সরকারী খাল খননের জন্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে, সরকারী খাল ভরাটের জন্য না। সুতরং খাল ভরাটের কোনো কাজের পক্ষে আমি নাই। আমার ইউনিয়নে সরকারী খাল খননের ব্যপারে মাসিক সভায় মিটিং এ ইউএনও আমাকে বলছিলো খাল খননের দিন থাকতে, কিন্ত আমি বলেছিলাম যামুনা কারন খাল কাটতে যামু মানুষ মনে করবে কত টাকা যেনো কামাইতাছে, আমি গরিব মানুষ ডাল ভাত পছন্দ করি।


তো খাল যদি ভরাট করে থাকে তাহলে সেকেন্টের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে, আমি এখনি ফোন দিয়ে জিগাইতাছি । তিনি আরো বলেন, আমি পরে আর টাকা পয়সা দিতে পারিনিত তাই ওই খানে আর লজ্জায় যাইনা, আমি এখনই ওগোরে ফোন দিয়ে জিগাইতাছি ওরা কোন জাইগা ভরাট করতাছে এখনই বন্ধ করে দিচ্ছি।
যদি ওরা সরকারী খাল ভরাট করে তাহলে কাজ বন্ধ, সত্য কথা বলতে কি আমি প্রথমে কিছু টাকা দিয়ে ছিলাম, পরে আর টাকা পয়সা দিতে পারিনি এই জন্যই ওই দিকে আর যাইনা। এই কাজে আমি আর থাকতে পারুম না মনে হয়।
খাল তো ওরা ভরবার পারবইনা সরকারী নিষেধ আছে। তুরাগ নদীর সরকারী খাল ভরাটের ব্যপারে তিনি আরো বলেন, এটা একদম অন্যায় সরকারী নিষেধ আছে খাল ভরাট করা যাবেনা।
এই নিউজের স্থানীয়দের বক্তব্য, মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেম এর বক্তব্য ভিডিও রেকর্ড আছে এবং আমিন বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেনের কল রেকর্ড আছে।

হৈ-হুল্লোড় করে ভালো ফল অর্জনের আনন্দে মেতে ওঠে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা

সকাল থেকেই শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের উৎকণ্ঠা। কখন তারা পাবে পরীক্ষার ফল। অবশেষে দুপুরের দিকেই মিলল সেই ফল। ফলাফল প্রকাশের পরপরই উল্লাস আর উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। স্কুল প্রাঙ্গণেই নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের আনন্দে স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাকরাও ব্যাপক খুশি। নেচে-গেয়ে ও হৈ-হুল্লোড় করে ভালো ফল অর্জনের আনন্দে মেতে ওঠে সবাই।

পিইসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া তাসফিয়া মুসিরা বলেন, খুবই আনন্দ লাগছে। বলে প্রকাশ করতে পারবো না। সারাদিন পড়েছি এর ফল পেয়েছি। আমার এ রেজাল্টের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান আমার মায়ের। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা আছে জানান মুসিরা।

জেএসসিতে শিক্ষার্থী সায়মা রহমান জানায়, এ প্লাস পেয়েছি। কী বলবো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। ভালো ফলাফলের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন আব্বু-আম্মু আর শিক্ষকরা। আমার ইচ্ছা শিক্ষক হবো।

জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক পিইসি শিক্ষার্থী মা জানান, মেয়ের পড়ালেখা নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয়। আমার কষ্ট সফল হয়েছে। মেয়ে এ প্লাস পেয়েছে। দোয়া করবেন আগামীতেও যেন এ ফলাফলের দ্বারা অব্যাহত থাকে।

এর আগে সোমবার সকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ২০১৮ সালের অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসিতে), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি), প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ির ফলাফল হস্তান্তর করেন।

এবার জেএসসিতে পরীক্ষায় ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং জুনিয়র জেডিসি পরীক্ষায় ৮৯ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। আর জেএসসি ও জেডিসি মিলে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

অন্যদিকে পিইসি পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর ইবতেদায়িতে এ হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। দুই পরীক্ষা মিলিয়ে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।

গত ১ নভেম্বর শুরু হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় সারাদেশ থেকে ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ২২ লাখ ৩০ হাজার ৮২৯ জন বা ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৮ হাজার ৯৫ জন।

গত বছর জেএসসি ও জেডিসিতে সম্মিলিতভাবে ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এর মধ্যে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। সে হিসাবে এবার পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা।

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় মোট ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। গত ১৮ থেকে ২৬ নভেম্বর দেশজুড়ে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

চাঁদপুরে বিএনপি নেতা আটক, নেতাকর্মীদের থানা ঘেরাও

চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সলিম উল্যাহ সেলিমকে পুলিশ আটক করলে তাকে ছাড়াতে থানায় যান একই আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।

কিছুক্ষণ পর বিএনপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিককে আটক করা হয়েছে বলে সর্বত্র খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ খবরে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী চাঁদপুর মডেল থানা ঘেরাও করেন। সেই সঙ্গে থানার ভেতরে-বাইরে অবস্থান নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

দুই ঘণ্টা থানায় অবস্থান শেষে সোমবার বেলা ২টার দিকে শেখ ফরিদ উদ্দিন মানিক নেতাকর্মীদের থানা এলাকা ছাড়তে বললে মিছিল নিয়ে চলে যান নেতাকর্মীরা।

পথিমধ্যে শহরের বেগম মসজিদ এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির মিছিলে হামলা করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ নেতাকর্মী আহত হন। পরে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ নেতাকর্মী নিয়ে প্রচারণায় নামলে পুলিশ ও বিজিবি ঘেরাও করে সেখান থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উল্লাহ সেলিমকে আটক করে। এ আটককে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, থানা ঘেরাও শেষে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে শহরের বেগম মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি প্রার্থী মানিকের বাসার গেট ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিএনপির প্রার্থী শেখ ফরিদ উদ্দিন মানিক বলেন, নির্বাচন যাতে না করতে পারি সেজন্য একের পর এক আমার নেতাকর্মীদের আটক করছে পুলিশ। প্রচারণা থেকে আমার নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উল্লাহ সেলিমকে আটক করে পুলিশ। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ নিয়ে থানায় অবস্থান নেয় আমাদের নেতাকর্মীরা। আমার নির্দেশে নেতাকর্মীরা থানা থেকে যখন ফিরে আসছিল তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর পুলিশের সহযোগিতায় হামলা চালায়। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি জানিয়েছেন আটক বিএনপি নেতা সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।

সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপালনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নাটোর ও চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের টহল দিতে দেখা যায়।

ঢাকা: সোমবার আজ সকালে ঢাকা ২ ও ঢাকা ১৯ এর ভিবিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়।

চট্টগ্রাম: সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের কলেজ রোডসহ বিভিন্ন সংসদীয় এলাকায় টহল দেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন তারা।

নাটোর: বগুড়ার মাঝিড়া সেনানিবাস থেকে ১৭ প্যারা পদাতিক ব্যাটালিয়নের সদস্যরা নাটোরের টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেন তারা।

এছাড়া, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় টহল দেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

ভবিষ্যতে আমরা লাঙ্গল নৌকায় তুলে নেব : শেখ হাসিনা

ভবিষ্যতে লাঙ্গল নৌকায় তুলে নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) কামরাঙ্গীরচর হাসপাতাল মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা-৬ আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশীদকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে আমরা দিয়েছি (মনোনয়ন) অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদকে। যদিও তিনি ছাত্রলীগ করেছিলেন, এখন করেন জাতীয় পার্টি। চলে গেছেন এরশাদ সাহেবের সাথে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবেই লাঙ্গল মার্কা নিয়ে তিনি এখন নির্বাচন করছেন। ছিলেন নৌকা মার্কায়, গেছেন লাঙ্গল মার্কায়। কোনো অসুবিধা নাই, ভবিষ্যতে আমরা লাঙ্গল নৌকায় তুলে নেব। তবে এখন লাঙ্গল মার্কায় ঢাকা-৬ আসনে কাজী ফিরোজ রশীদের জন্য আমরা ভোট চাচ্ছি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে জনসভা সঞ্চালন করেন সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত ৮টি সংসদীয় আসনে মহাজোট ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৮টি আসনের প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন।

অন্যান্য প্রার্থীদের মাঝে ঢাকা-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী নসরুল হামিদ বিপু ও ঢাকা-১০ আসনের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নির্বাচনী প্রচারণায় থাকায় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন না।

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকার মানুষ যাতে নাগরিক সেবাটা ভালোভাবে পায়, যেহেতু জনসংখ্যা বেড়ে গেছে এবং প্রত্যেকেটা ইউনিয়নকে আমরা এই মহানগরের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দিয়েছি। ১৭টি ইউনিয়ন, ঢাকাকে আমরা উত্তর এবং দক্ষিণ -এভাবে ভাগ করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যেকোনো মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে। আপনাদের কাছে আমরা ভোট চাই। আমাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করব, ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী পালন করব। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ। আর ২১০০ সালে এই বাংলাদেশ বিশ্বে একটা সম্মানীত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে, বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হবে। সেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই।

উপস্থিত জনতার কাছে শেখ হাসিনা জানতে চান, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন তো? এ সময় উপস্থিত জনতা হাত তুলে সমর্থন জানান।

সেক্স ভিডিও নিয়ে বিপাকে পড়েন দেশের ১২ তারকা

স্ক্যান্ডালের মতো ভয়াবহ বদনাম থেকে এড়াতে পারেননি বাংলাদেশের বিনোদন জগতের কোনো কোনো তারকা। সেক্স স্ক্যান্ডালের কারণে ধস নেমেছে তাদের ক্যারিয়ারে। এর মধ্যে বেশি আলোচিত হন ১২ নায়িকা-গায়িকা।

ইভা রহমান: সঙ্গীতশিল্পী ইভা রহমানের নামে একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ভিডিও-চিত্র ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। এতে দেখা যায়, একটি হোটেল কক্ষে এক বিদেশীর সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে আছেন ইভা রহমানের মতো দেখতে এক নারী। পরে এটি গুজব বলে প্রতিষ্ঠিত হয়।

তিন্নি: একটি সেক্স স্ক্যান্ডাল নিয়ে মডেল অভিনেতা তিন্নি-হিল্লোল দেশজুড়ে সমালোচিত। একটি হোটেল কক্ষে তরুণ-তরুণীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজ দুজনের নামে ছেড়ে দেয়া হয় বাজারে। এই ভিডিওটির সত্যতা মেলেনি।

প্রভা: ২০১০ সালের সবচেয়ে আলোচিত নাম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। প্রভার বয়ফ্রেন্ড রাজীব একটি ভিডিও ফুটেজ বাজারে ছাড়েন। এরপর এই অভিনেত্রী ক্যারিয়ার থেকে সরে পড়তে বাধ্য হন। রাজীব ও প্রভার বিয়ে পারিবারিকভাবেই চূড়ান্ত হয়েছিল। এর মাঝে প্রভা পালিয়ে অপূর্বকে বিয়ে করেন। প্রতিহিংসার বশে রাজীব প্রভার একান্ত কিছু ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন।

চৈতি: ২০১১ সালে মডেল ও উপস্থাপিকা চৈতির একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ হয়। নির্মাতা এনামুল কবির নির্ঝরের সাথে এই ভিডিওতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় চৈতিকে। এরপর অনেক দিন মিডিয়ায় দেখা যায়নি এই তারকাকে।

মেহজাবিন: বছরকয়েক আগে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে মেহজাবিনের নামে এক পর্নো ক্লিপ। মেহজাবিন জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে শত্রুতা করে কে বা কারা এই অপপ্রচার চালিয়েছে।

সারিকা: ইন্টারনেটে বেশ কয়েকটি ওয়েব সাইটে সারিকার নামে একটি পর্নো ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রকাশিত ভিডিওর নারী চরিত্রটি সারিকার নয় বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানান।

আনিকা কবির শখ: জনপ্রিয় মডেল আনিকা কবির শখের নামে একটি ভিডিও ফুটেজ বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে। ভিডিওতে বিবসনা নারীটি শখ ছিল না বলে জানা গেছে।

বিদ্যা সিনহা মীম: গত বছর এক বিদেশি ক্রিকেটারের সাথে লাক্স সুপারস্টার জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীমের আপত্তিকর দৃশ্যের ফুটেজ প্রকাশ হয়। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে এটা আসলেই তারকা বিদ্যা সিনহা মীম কিনা তা নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেন।

পড়শী: হালের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী পড়শীও রেহাই পায়নি এই সাইবার ক্রাইম থেকে। পড়শীর নাম ব্যবহার করে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। যদিও ভিডিওর মেয়েটি যে পড়শীই তা নিশ্চিত হতে পারেনি কেউ।

বিন্দু: নাট্যকার-সাংবাদিক অরুণ চৌধুরীকে জড়িয়ে একটি ভিডিও স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ে। আর এর সাথে যুক্ত হয় জনপ্রিয় টেলিভিশন তারকা বিন্দুর নাম। পরে জানা যায়, ভিডিও-চিত্রের তরুণী অভিনেত্রী বিন্দু ছিলেন না।

মিলা: ইন্টারনেটে ‘মিলা’ নামে একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ৩৩ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওটিতে মাতাল অবস্থায় থাকা তরুণীর চিত্র রয়েছে। এ ঘটনার কয়েকমাস পর মিলা মুখ খোলেন। তিনি দাবি করেন, প্রকাশিত ভিডিওচিত্রের মেয়েটি তিনি নন।

নোভা: মডেল অভিনেত্রী নোভাকে ক্যারিয়ারের উঠতি সময়ে বিপাকে ফেলে দেয় একটি ভিডিও ফুটেজ। ২০১০ সালে তার নামে একটি অর্ধ বিবসনা ফুটেজ ছড়িয়ে পরে। তবে ফুটেজটি নোভার কিনা তার সত্যতা মেলেনি।

সেনাবাহিনী সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে : সিইসি

সেনাবাহিনী নামায় ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নূরুল হুদা।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন সিইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে সেনাবাহিনী।

এর আগে এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে মাঠে নেমেছেন সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) সদস্যরা। আজ থেকে আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

আইএসপিআর-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলমগীর কবির স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরে আইন ও শান্তি-শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতে (২৪ ডিসেম্বর) থেকে আগামী ২ জানুয়ারি, ২০১৯ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী স্ব স্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নির্বাচন কমিশন বা অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা, মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট (Nodal Point) ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে। উপকূলীয় ১৮টি উপজেলা ও সীমান্তবর্তী ৮৭টি উপজেলা ছাড়া অন্য সব এলাকায় (৩৮৯টি উপজেলায়) সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় ১৮টি উপজেলায় নৌবাহিনী এবং সীমান্তবর্তী ৮৭টি উপজেলায় বিজিবি (অন্যান্য দায়িত্বপূর্ণ এলাকার পাশাপাশি) কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, জরুরি প্রয়োজনে বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানকে নির্বাচনি কাজে সহায়তার জন্য প্রস্তুত রাখা হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী বা নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা মহাসড়গুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জয়েন্ট কো-অপারেশন সেল (Joint Co-ordination Cell) স্থাপন করা হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ, প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের ৬টি আসনের (২১. রংপুর-৩, ১০০. খুলনা-২, ১০৬. সাতক্ষীরা-২, ১৭৯. ঢাকা-৬, ১৮৬. ঢাকা-১৩ এবং ২৮৬. চট্টগ্রাম-৯) ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে দুই পর্যায়ে ইভিএমের ওপর সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করা হয়েছে এবং তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের জনসচেতনতা ও প্রচারণা কার্যক্রমে ইভিএম-এর ওপর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যতা কারিগরি দক্ষ (Technical Expert) হিসেবে অংশগ্রহণ করছে।

উল্লেখিত ৬টি নির্বাচনি আসনে ইভিএম ব্যবহার করে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া, এসব আসনের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের ইভিএম সংক্রান্ত কারিগরি সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য প্রস্তুত থাকবে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সোমবার দেশে ফিরছেন না।

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ শেষে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশে ফেরার কথা ছিল। রোববার এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রথমে এমনটিই জানানো হয়। কিন্তু রাতে জালালী স্বাক্ষরিত আরেকটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরশাদ সোমবার ফিরছেন না।

এতে বলা হয়, এরশাদের মেডিকেল চেকাআপ শেষ না হওয়ায় তিনি সোমবার দেশে ফিরছেন না। পরবর্তীতে এরশাদের দেশে ফেরার তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে।

যদিও আগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, এরশাদের মেডিকেল চেকআপ শেষ হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার সঙ্গে সিঙ্গাপুর যান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু,এরশাদের এপিএস মো.মনজুরুল ইসলাম ও সাবেক রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহাব।

সর্বশেষ আপডেট...