27 C
Dhaka, BD
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

গাজীপুরের শ্রীপুরে বিএনপির ২ নেতাকে আটক করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ভোরে নিজবাড়ি পৌর এলাকার ভাংনাহাটি গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক বিএনপি নেতা হুমায়ূন কবির সরকার গাজীপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও আব্দুল মোতালেব শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তারা দুজনই গাজীপুর-৩ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক,

নেতাদের আটকের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালেই তাদের ছাড়িয়ে আনতে থানায় হাজির হন গাজীপুর-৩ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী।

সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকারি দল আমার নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির জন্যই কোনো প্রকার মামলা অভিযোগ ছাড়াই দুই নেতাকে আটক করেছে। তারা (সরকারি দল) আমার প্রার্থিতাকে ভয় পেয়েছে। তারা জনগণের ভোটের উপর আস্থা না রাখতে পেরে প্রশাসনকে ব্যবহার করে এখন ধরপাকড় শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মামলা না থাকার পরও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির শীর্ষ ২ নেতাকে আটক করেছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম জানান, আটক নেতাদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ ছিল, তাই তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

২০১৪ সালের নির্বাচনের অবস্থা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না (সিইসি)

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের অবস্থা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। ওই নির্বাচনে ভয়ঙ্কর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই নির্বাচনের অবস্থা আলোকে বুঝে এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতি ও রূপরেখা তৈরি ও কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন, যাতে করে এবার ভয়ঙ্কর অবস্থা, তাণ্ডব না ঘটে।’

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সমন্বয় সভায়’ সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার করণীয় নির্ধারণে সশস্ত্র বাহিনীসহ সব বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে চলমান বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে উপস্থিত রয়েছেন চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, র্যাব, আনসার, গ্রাম পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসার বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কোন বাহিনীর কত সংখ্যক ফোর্স, কতদিনের জন্য নিয়োজিত করা হবে, কবে নামানো হবে, সেটাই নির্ধারণ হবে এ বৈঠকে।

ইসি বলেন, তখন (২০১৪ সালের নির্বাচনকালে) মাঠে সব বাহিনী ছিল- স্বশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাব। বিজিবিও ছিল। তবুও আমরা তখন কী দেখেছি! তখন তাদের উপস্থিতিতে পুলিশ সদস্য, প্রিজাইডিং অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেট নিহত হয়েছেন। শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন। শতশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে।

‘তখন সেটার কী পরিপ্রেক্ষিত ছিল, কেন আমরা সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি তা আলোচনা করার প্রয়োজন আজ আমি মনে করছি না। তবে সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না। সেই অবস্থা থেকে কী করে আমাদের উত্তোরণ করা যায়, সে রকম কোনো পায়তারা যেন না হয়, আবার যেন সেই রকম পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি যেন না হয়, ওই অবস্থার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে, সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’

নূরুল হুদা বলেন, আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা সভায় মিলিত হয়েছি, যখন জাতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন উপলক্ষে উচ্চপর্যায়ের এই মতবিনিময় সভা। আর মাত্র ১৬ দিন পর ৩০ ডিসেম্বর। অত্যন্ত প্রত্যাশিত একটি দিন, জাতীয় নির্বাচনের দিন। ওই নির্বাচনে নতুন সরকার সংসদ গঠন করবে। সে কারণে আজকে আমাদের এই অনুষ্ঠান। আনুষ্ঠানিক বৈঠক আমাদের আজকেই শেষ। এরপর আর কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে না। এর আগে প্রত্যেকটি বাহিনী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবপর্যায়ের সবার সঙ্গে বৈঠক করেছি। বিভিন্ন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। নির্বাচনী দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই আমরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে মতবিনিময় করেছি। আমরা আজ চূড়ান্ত পর্যায়ে।

তিনি জানান, নির্বাচনের সামগ্রিক প্রস্তুতি, যেমন ক্রয়যোগ্য মালামাল সংগ্রহ শতকরা ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ব্যালটপেপার, ভোটকেন্দ্র, ভোটারতালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

‘এবারের নির্বাচনে আপনাদের দায়িত্ব জনগণের জীবন রক্ষা, মালামাল রক্ষা, দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত রাখা। আমি প্রত্যাশা করব, পেশাদারি দায়িত্ব পালনে আপনাদের যে অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও মানসিকতা তা কাজে লাগাবেন। গত নির্বাচনের মতো যেন এবার তাণ্ড না ঘটে, সেরকম যেন সুযোগ সৃষ্টি না হয়, এখন থেকে সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে’,- বলেন সিইসি।

তিনি বলেন, আমরা কিন্তু একেবারেই আশঙ্কাগুলো (নাশকতার, তাণ্ডব) অবহেলা করতে পারি না। এবার প্রতীক বরাদ্দের পরদিনই যে ঘটনা, সে ঘটনা যতো তুচ্ছ কারণেই ঘটুক না কেন, দুটি জীবন চলে গেলো। কিন্তু কেন গেলো জীবন। এখানে-ওখানে ভাঙচুর, প্রতিহত করার ঘটনা। এগুলো কি শুধুই সামান্য রাজনৈতিক কারণ? নাকি ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন প্রতিহত করার মতো ভয়াবহতা সৃষ্টির প্রস্তুতি ও পাঁয়তারা চলছে কি না, তা দেখতে হবে। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে।

‘একটা ঘটনা ঘটে যাবার পর দোষ যার ওপরই চাপানোর চেষ্টা করা হোক না কেন আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি যেন না ঘটে, সেজন্য হালকা করে দেখার কিছু নেই। এসব ঘটনায় একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে দেবার সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দদেরও সতর্ক অবস্থান নেবার প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে তৃতীয় শক্তির ষড়যন্ত্র আছে কি না তাও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে খতিয়ে দেখতে হবে। বিশেষ নজরদারি বাড়াতে হবে। নির্বাচন নিয়ে যখন মানুষের মধ্যে স্বর্তঃস্ফূর্ত ভাব ও পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তখন কোনো হামলার ঘটনা বিচলিত করার মতো ঘটনাগুলো সামান্য বলে মনে করার মতো কারণ নেই।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাভাবিক অবস্থা সৃষ্টি হোক তা না চাওয়ার দলের প্রভাবকরাও সক্রিয় থাকতে পারে। তাই সকলের বিশেষ করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফের বিরুদ্ধে থানায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি) ও কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট মেহমুদের মুঠোফোনে কথোপকথনকে নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বুধবার রাতে দাউদকান্দি মডেল থানায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার এই অভিযোগ করেন একই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে ও দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন।

তিনি অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে একটি গণমাধ্যমে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে আইএসআইয়ের এজেন্ট মেহমুদের যে কথোপকথন প্রকাশিত হয়েছে তাতে বোঝা যায় তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ করেছেন।
ড. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন।

তিনি জানান, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ড. খন্দকার মোশাররফের ওই কথোপকথন এরই মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। তবে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও এ বিষয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য জানা যায়ানি।

তবে ড. মোশাররফের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহ মো. আক্তারুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, ‘স্যারের এই মোবাইল আলাপ নিয়ে যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে এবং কথিত রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে সে বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই তিনি (ড. মোশাররফ) লিখিত বক্তব্য দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করবেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠিত হাটসভা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের হাটসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সভা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের নৌকার প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন। গড়েয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইউনুস আলীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহা: সাদেক কুরাইশী, সহ সভাপতি অ্যাড. মকবুল হোসেন বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম গোলাম ফারুক রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নজমুল হুদা শাহ এ্যাপোলো, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুব হোসেন রনি সহ গড়েয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে পুনরায় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। পাশাপাশি ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নের জন্য রমেশ চন্দ্র সেনকেও এমপি নির্বাচিত করতে হবে। তাই জনগণকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান নেতা-কর্মীরা।

ঢাকা ২০ ধামরাই আসনে আটকে গেল বিএনপি প্রার্থী আলহাজ্ব তমিজ উদ্দিনের নির্বাচন

ঢাক ২০ ধামরাই একাদশ জাতীয় সংসদ  নির্বাচনে বিএনপি পাথী তমিজ উদ্দিন কে বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান পদ থেকে ২৮ নভেম্বর পদত্যাগপত্র জমা দেন।তবে তা গৃহীত হওয়ার আগেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেত্তয়ার ফলে
হাইকোর্ট এ স্থগিত”
ইসির এই সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করায় তমিজ উদ্দিন এখন নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেনজির আহমেদের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে  মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর)বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন বলেন, তমিজ উদ্দিন ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে ২৮ নভেম্বর পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে তা গৃহীত হওয়ার আগেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ২ ডিসেম্বর তা বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে ইসি ৬ ডিসেম্বর আপিল মঞ্জুর করে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করে। ইসির এই সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করায় তমিজ উদ্দিন এখন নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।
পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে তাঁদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে ইসি আবেদন করে।  বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ইসির আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন।
ইসির আইনজীবী কামরুন নাহার মাহমুদ বলেন, হাইকোর্টের আদেশ আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্থগিত করে সেদিন আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন চেম্বার বিচারপতি। ফলে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।

টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকা: সাত কর্মসূচিতে যোগ দিবেন শেখ হাসিনা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ঢাকায় ফেরার পথে মোট  ছয়টি কর্মসূচিতে অংশ নিবেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনে ৫০টি বাড়ি দিল ভারত

উন্নয়ন প্রকল্প চুক্তির আওতায় রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য ২৫০টি বাড়ি করে দেবে ভারত। প্রথম দফায় ৫০টি বাড়ির স্মারক মিয়ানমারে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি মঙ্গলবার নেপিডোতে দেশটির সমাজকল্যাণমন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ের হাতে তুলে দেন। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য ৫০টি বাড়ি করে দিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের শিবির থেকে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পর প্রাথমিকভাবে এসব বাড়িতে থাকবে রোহিঙ্গারা। আজ মঙ্গলবার মিয়ানমারের কাছে এসব বাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দপ্তর মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় এসব তথ্য জানায়।

গতকাল সোমবার থেকে তিন দিনের জন্য মিয়ানমার সফর করছেন রামনাথ কোবিন্দ। এক যুগের মধ্যে এটাই ভারতের কোনো রাষ্ট্রপতির মিয়ানমার সফর।

প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ ফেরাতে গত বছর মিয়ানমারের সঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্প চুক্তি সই করেছিল ভারত। চুক্তির আওতায় রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য ২৫০টি বাড়ি করে দেবে ভারত। এর মধ্যে প্রথম দফায় ৫০টি বাড়ির স্মারক মিয়ানমারে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি মঙ্গলবার নেপিডোতে দেশটির সমাজকল্যাণমন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ের হাতে তুলে দেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ইইউর নতুন সহযোগিতা
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ৫ লাখ ইউরোর নতুন আর্থিক সহযোগিতা ছাড় করেছে ইউরোপীয় কমিশন। গত মে মাসে রোহিঙ্গাদের জন্য ঘোষিত ৪০ মিলিয়ন ইউরোর অতিরিক্ত এই সহায়তা দিল ইউরোপীয় কমিশন।

ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দূতাবাস গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সরবরাহের জন্য ইউরোপীয় কমিশনের অর্থ খরচ করা হবে।

ইউরোপীয় কমিশনের মানবিক সাহায্য ও সংকট মোকাবিলা-বিষয়ক কমিশনার ক্রিস্টস স্টাইলিয়ানিডেস বলেন, এই সাহায্য রোহিঙ্গাদের প্রতি ইইউর অঙ্গীকারের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। খাদ্য সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। রোহিঙ্গা শরণার্থী ও সেখানকার স্থানীয় জনগণের প্রতি ইউরোপীয় কমিশনের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

রাখাইন রাজ্যের সীমান্তে গত বছরের আগস্টে তল্লাশিচৌকিতে অস্ত্রধারীদের হামলায় পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় মিয়ানমার সরকার দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের দায়ী করে। সেই সময় থেকে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচুর সদস্য মোতায়েন করা হয়। গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় প্রাণে বাঁচতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ করেছে। এরপরই বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ শুরু করে

হোটেল ওশান প্যারাডাইজে সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ!

কক্সবাজারের এক অভিজাত আবাসিক হোটেলে বিনা কারণে পেশাগত কাজে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেয়ায় হোটেলটির এক কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার হোটেল-মোটেল জোনের আবাসিক হোটেল ওশান প্যারাডাইজে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেন।

আটক সিরাজুল ইসলাম (৪০) হোটেল ওশান প্যারাডাইজের ফ্রন্ট ডেস্ক ম্যানেজার।

এসপি মাসুদ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল ওশান প্যারাডাইজে জেলা পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে এবং ইউএনডিপি এর সহায়তায় ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় পুলিশ ও সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচীর আয়োজন ছিল। এতে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো কক্সবাজারের কর্মরত সাংবাদিকরা হোটেল এলাকায় সমবেত হন।

” এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা হোটেল অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে চাইলে হোটেলটিট দায়িত্বরত কর্মিরা বাধা দেন। এসময় হোটেলটির উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাও সেখানে এসে সাংবাদিকদের প্রবেশের কোন অনুমতি নেই জানিয়ে বাক-বিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়ে। ”

এ নিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে হোটেলটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠানের কথা অবহিত করলে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়ায় বলে জানান পুলিশ সুপার।

মাসুদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় হোটেলটির দায়িত্বরত অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে আটক করে।

আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এসপি।

নির্বাচনী সহিংসতা রামু উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নৌকা সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগে রামু উপজেলা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনছারুল হকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। থানা মামলা নং-১১৫/১৮।
১১ ডিসেম্বর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. ইউনুছ ভুট্টো বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে আরো ৫ জন।
মামলায় এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামীরা হলো- বিএনপি নেতা মোহাম্মদ দিদার, জসিম উদ্দিন, মুজাহের মিয়া মেম্বার, আবদুর রহিম, মোহাম্মদ দানু, যুবদল নেতা মুফিদুল আলম, ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি সায়েদ হোসেন আকাশ ও সাধারণ সম্পাদক মনির আলম।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল মনসুর মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮ টার দিকে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পানেরছড়া স্টেশনে নির্বাচনী প্রচারণাকালে ধানের শীষ ও নৌকা সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া যায়।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবী করা হয়, তাদের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজলের ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালাতে গেলে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা হামলা করে। এসময় উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনচারুল হকসহ ৩ জন আহত হয়। ধানের শীষের গণজোয়ার ঠেকাতে পরিকল্পিত হামলা-মামলা করা হচ্ছে বলে বিএনপি দাবী করেছে।
আওয়ামী লীগের দাবী, রামু উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল আলম ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনছারুল হকের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন এ হামলা চালায়। তাতে নৌকা সমর্থিত অনেকে অাহত হয়েছে।

ফটিকছড়িতে আ.লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৭

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মহাজোট মনোনীত নৌকার প্রার্থী সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত সাতজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নানুপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ফটিকছড়ির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আক্তার।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল কুদ্দুস (৫০), কাকন (২৭), ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ সৌরভ হোসেন (২৫), আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ এমদাদ হোসেন (৫৬), ছাত্রলীগ নেতা রাসেদ আলম (২৫), যুবলীগ নেতা আজম (২৬) ও নুরুল আমিন(৩০)।

এরা সবাই মহাজোট প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর পক্ষের নৌকার সমর্থক বলে জানা গেছে। আহতদের প্রথমে নাজিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হককে মহাজোট প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সমর্থনকারী কয়েকজন যুবক হুমকি দেয়। খবর পেয়ে ওই আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে নানুপুর বাজারে পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।

একই সময় মহাজোট প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সমর্থকরা পাল্টা মিছিল শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও নাজিম উদ্দিন মুহুরীর গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় যুবলীগের এক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘নাজিরহাটে নৌকার সমর্থনে সংবাদ সম্মেলন শেষে নানুপুর বাজারে এসে মিছিল করছিলাম। এ সময় আমাদের মিছিলে বাধা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী ও তার সমর্থকরা। এতে সাত নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।’

তবে প্রতিপক্ষে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী বলেন, ‘গুলির প্রশ্নই আসে না। আমাদের প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামসহ আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী মাহমুদুল হকের বাড়ি থেকে ফেরার পথে নানুপুর বাজারে আসলে ভান্ডারীর সমর্থকরা আমাদের ওপর আক্রমণ করে।

সর্বশেষ আপডেট...