আ.লীগের সাবেক সাংসদ রনি বিএনপিতে
আ.লীগের সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি বিএনপিতে যোগদান করেছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রনি বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে যোগদান করেন। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
রনি পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাংসদ নির্বাচিত হন। পরে তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি তাঁকে।
যোগদানের সময় গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত সজ্ঞানে ও সুস্থ শরীরে চিন্তাভাবনা করে আমার যে বর্তমান দল আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদান করলাম। আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলছি, আমার বোধ, বুদ্ধি, বিশ্বাস, শক্তি এবং সামর্থ্য দিয়ে সর্বোচ্চ এই দলের জন্য কাজ করব। এই দলের মাধ্যমে যাঁরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী এবং সমর্থক আছেন, তাঁদের সেবা করব। তার মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের সেবা করার জন্য আমি এখানে এসেছি।’
গোলাম মাওলা রনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশে রাজনীতির যে অবস্থা এখানে ক্ষমতাসীন একটা দল থেকে একজন সাবেক সংসদ সদস্য যেভাবে হোক আলোচিত ও সমালোচিত। তাঁর জন্য বাঙালি জাতীয়তাবাদ ত্যাগ করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে আসা শুধু সাধারণ ঘটনা নয়। এর সঙ্গে শুধু মনোনয়ন জড়িত নয়, আরও অনেক কিছু জড়িত। আমরা যারা রাজনীতি করি সকলের মন-মস্তিষ্কে নির্বাচন, মনোনয়ন পাওয়া এবং এমপি হওয়ার স্বপ্ন থাকে। আমি যদি বলি এই স্বপ্ন আমার নেই এবং এই স্বপ্ন ছাড়া এখানে এসেছি, তা হলে এটি ডাহা মিথ্যা কথা। আবার এই স্বপ্নের জন্য এখানে এসেছি তা ভঙ্গ হলে এখানে থাকব না, এটাও ঠিক না। আমি এখানে মৃত্যু পর্যন্ত থাকব।’
গোলাম মাওলা রনিকে পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। দলে যোগ দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের হৃদয় স্পন্দিত হয়েছে। জনগণের প্রিয় মানুষ, গণতন্ত্রের সংগ্রামের পেছনে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে তিনি (রনি) আজ গণমানুষের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আমি তাঁকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে স্বাগত জানাচ্ছি।’
গোলাম মাওলা রনিকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে কি না? জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সময় হলে জানতে পারবেন। দল তাঁকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের মধ্যে আসন নিয়ে বোঝাপড়া হচ্ছে। আসন বিন্যাস করা হচ্ছে। এই কারণে একটু সময় বেশি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক আসনে একাধিক প্রার্থী দিচ্ছি। কারণ কোনো কারণে একজনের প্রার্থিতা বাতিল হলে যেন সেটা খালি না থাকে।’