18 C
Dhaka, BD
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

আ.লীগের সাবেক সাংসদ রনি বিএনপিতে

আ.লীগের সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনি বিএনপিতে যোগদান করেছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রনি বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে যোগদান করেন। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

রনি পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাংসদ নির্বাচিত হন। পরে তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি তাঁকে।
যোগদানের সময় গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত সজ্ঞানে ও সুস্থ শরীরে চিন্তাভাবনা করে আমার যে বর্তমান দল আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদান করলাম। আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলছি, আমার বোধ, বুদ্ধি, বিশ্বাস, শক্তি এবং সামর্থ্য দিয়ে সর্বোচ্চ এই দলের জন্য কাজ করব। এই দলের মাধ্যমে যাঁরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী এবং সমর্থক আছেন, তাঁদের সেবা করব। তার মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের সেবা করার জন্য আমি এখানে এসেছি।’

গোলাম মাওলা রনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশে রাজনীতির যে অবস্থা এখানে ক্ষমতাসীন একটা দল থেকে একজন সাবেক সংসদ সদস্য যেভাবে হোক আলোচিত ও সমালোচিত। তাঁর জন্য বাঙালি জাতীয়তাবাদ ত্যাগ করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে আসা শুধু সাধারণ ঘটনা নয়। এর সঙ্গে শুধু মনোনয়ন জড়িত নয়, আরও অনেক কিছু জড়িত। আমরা যারা রাজনীতি করি সকলের মন-মস্তিষ্কে নির্বাচন, মনোনয়ন পাওয়া এবং এমপি হওয়ার স্বপ্ন থাকে। আমি যদি বলি এই স্বপ্ন আমার নেই এবং এই স্বপ্ন ছাড়া এখানে এসেছি, তা হলে এটি ডাহা মিথ্যা কথা। আবার এই স্বপ্নের জন্য এখানে এসেছি তা ভঙ্গ হলে এখানে থাকব না, এটাও ঠিক না। আমি এখানে মৃত্যু পর্যন্ত থাকব।’

গোলাম মাওলা রনিকে পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। দলে যোগ দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের হৃদয় স্পন্দিত হয়েছে। জনগণের প্রিয় মানুষ, গণতন্ত্রের সংগ্রামের পেছনে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে তিনি (রনি) আজ গণমানুষের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। আমি তাঁকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে স্বাগত জানাচ্ছি।’

গোলাম মাওলা রনিকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে কি না? জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সময় হলে জানতে পারবেন। দল তাঁকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের মধ্যে আসন নিয়ে বোঝাপড়া হচ্ছে। আসন বিন্যাস করা হচ্ছে। এই কারণে একটু সময় বেশি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক আসনে একাধিক প্রার্থী দিচ্ছি। কারণ কোনো কারণে একজনের প্রার্থিতা বাতিল হলে যেন সেটা খালি না থাকে।’

শরীর ঠিক রাখতে অ্যাপ

আপনার স্মার্টফোন অনেকভাবেই আপনাকে সুস্থ ও সতেজ থাকতে সাহায্য করবে। এ সময়ের স্মার্টফোনগুলোতে বিভিন্ন রকমের সেন্সর থাকে, সেগুলোকে ব্যবহার করে নানা অ্যাপ বানানো হয়েছে, যেগুলো শরীরচর্চা, স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে যেমন: ওজন কমানো, পেশি বৃদ্ধি, অথবা সুস্বাস্থ্য জীবনধারণে সাহায্য করে যাচ্ছে। অনেক অ্যাপ আবার দৈনিক রুটিন মাফিক কাজে সাহায্য করে। এমন কিছু কাজের অ্যাপ নিয়েই এই আলোচনা।

 গুগল ফিট

গুগল ফিট ওয়ার্কআউট অ্যাপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজের। এটা ব্যবহারকারীর বিভিন্ন কাজকর্ম অনুসরণ করে। মোবাইল ফোন থেকে সেন্সরের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে ফিটনেস অ্যাকটিভিটি রেকর্ড করে রাখে। এটা আপনার গতি, রুট, উচ্চতা, শক্তি খেয়াল করে এবং আপনার চলন্ত অবস্থা, হাঁটা–চলার বাস্তবিক চিত্র তুলে ধরে। চাইলেই আপনার পছন্দমতো কার্যক্রম সেট করে রাখতে পারবেন। আপনি কতক্ষণ হাঁটবেন, কোন সময়ে হাঁটবেন, সব সেট করে রাখা যাবে। গুগলের বানানো অ্যাপটি চাইলেই কোনো অ্যাড ছাড়া প্লে-স্টোর থেকে বিনা মূল্যে নামিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

 ম্যাপ মাই রান

আপনার কোনো অ্যাকটিভিটি ট্রাকার কিনতে হবে না, যদি না আপনি ম্যাপ মাই রান অ্যাপ ব্যবহার করেন সকালের জগিংয়ের সময়। বিনা মূল্যের এ অ্যাপটি ফোনের জিপিএসকে ব্যবহার করে আপনার অ্যাকটিভিটি ট্র্যাক করে। আপনার কর্মক্ষমতা, ওয়ার্কআউটের সব খবরাখবর পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন আপনার অ্যান্ড্রয়েড অথবা আইফোন থেকে।

 রানট্যাস্টিক রানিং ডিসটেন্স অ্যান্ড ফিটনেস

রানট্যাস্টিক ফিটনেস ট্র্যাকার অ্যাপগুলোর মধ্যে উপকারী যাঁরা প্রত্যহ শরীরচর্চা করে থাকেন। এটি আপনার চলমান হাঁটা, বাইকিং এবং জগিং রুটগুলো জিপিএসের মাধ্যমে ট্র্যাক করে। এই ট্র্যাকের তথ্য ব্যবহার করে রানট্যাস্টিক আপনার অগ্রগতি–সংক্রান্ত বিস্তারিত গ্রাফ এবং টেবিল তৈরি করে দেখায়। আপনি এই অ্যাপ্লিকেশনকে ট্রেডমিল বা অন্যান্য জিম সরঞ্জামের সঙ্গেও ব্যবহার করতে পারবেন। তা ছাড়া এতে থাকা ভয়েস কোচ, লাইভ ট্র্যাকিং বা চিয়ারিংকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। আপনার প্রত্যহ হাঁটার লক্ষ্যও সেট করে রাখতে পারবেন।

চাইলেই আপনি আপনার সফলতার গল্প ফেসবুক বা টুইটারে শেয়ার করতে পারবেন। অ্যাপটি বিনা মূল্যেই ব্যবহার করতে পারবেন আর ইন-অ্যাপের মাধ্যমে কিনলে বিজ্ঞাপন ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন।

 রানকিপার

রানকিপার অ্যান্ড্রয়েডে চলা যন্ত্রের জন্য সব বৈশিষ্ট্যযুক্ত ফিটনেস ট্র্যাকার অ্যাপ্লিকেশন। এর আছে প্রায় পাঁচ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী।

ফিটনেস ক্রিয়াকলাপগুলো ট্র্যাক করতে এবং তুলনামূলক ফলাফল দেওয়ার জন্য এটিও ফোনের জিপিএস থেকে ডাটা নেয়।

রানকিপার চলমান গতি, সাইক্লিং গতি, রুট দূরত্ব, উচ্চতা, এবং উচ্চ নির্ভুলতার সঙ্গে ক্যালরি কমানো ও গণনা করতে পারে।

আর ব্যবহারকারী তাঁর সব কার্যক্রমের বিস্তারিত ইতিহাস এতে দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও আপনি প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা বা নানান ধরনের ওয়ার্কআউট পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারবেন এই অ্যাপে। আবার অডিও কোচিং দিয়ে নিজেই তৈরি করতে পারেন।

অ্যাপটি বিনা মূল্যেও ব্যবহার করা যাবে। তা না হলে বিজ্ঞাপনমুক্ত ব্যবহার করতে চাইলে কিনে ব্যবহার করতে হবে। আপনি আপনার সব পরিসংখ্যানকে ট্র্যাক করতে পারবেন, স্মার্টওয়াচ বা অন্যান্য ফিটনেস ট্রাকার যন্ত্রকে এর সঙ্গে সংযোগ করে ব্যবহার করতে পারবেন। এটি সব ধরনের উইজেট সমর্থন করে।

এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনের জন্য আছে বেশ কিছু ওয়ার্কআউট অ্যাপ; ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ, ওয়ার্কআউট টাইমার, ১০০ পুশআপ অ্যাপগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনের জন্য আছে বেশ কিছু ওয়ার্কআউট অ্যাপ; রানট্যাস্টিক রানিং ডিসটেন্স অ্যান্ড ফিটনেস, ৭ মিনিট ওয়ার্কআউট চ্যালেঞ্জ, ওয়ার্কআউট টাইমার, ১০০ পুশআপ, রানকিপার অ্যাপ ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

শৈলীর শৈলী

ধূপের হালকা ধোঁয়া থেকে অবয়বটা হঠাৎ স্পষ্ট হয়ে আসে। তাহমিনা খান। কাছের মানুষদের কাছে তিনি শৈলী নামেই পরিচিত। দেখা দিলেন যেন ঠিক নিজের ক্যারিয়ারের মতো। এরপর শৈলীর বারান্দায় বসে সন্ধ্যার চায়ের আড্ডায় জানা গেল তাঁর স্পষ্ট হয়ে ওঠার গল্প।
অবশ্য স্পষ্ট তিনি প্রথম থেকেই ছিলেন, যখন থেকে ‘শৈলী’ শুরু করেছেন। শৈলী মানে তাঁর গয়নার স্টুডিও। তিনি বলেন ‘শৈলী ক্রিয়েটিভ স্টুডিও।’ অবশ্য শুধু গয়না নয়, মায়ের তৈরি আচার আর নিজের নকশার শাড়িও রেখেছেন শৈলীতে। আরও আছে ছোটদের মজার সব বই। পাওয়া যাবে রূপচর্চার কিছু ভেষজ পণ্য। এ উদ্যোগের শুরু অনলাইনে। নির্দিষ্ট করে বললে ফেসবুকে।

স্কুলে পড়ার সময় কিশোর বয়সে ঘরে বসে বানালেন একটা পুঁতির গয়না। যখন সবার প্রশংসার বন্যায় ভেসে গেলেন, ভালোবেসে ফেললেন নিজের এই গুণটাকে। এরপর দাদির জন্য একটা শাড়িতে সুই-সুতার কাজ করে তাক লাগিয়ে দিলেন। পরে সাংবাদিক আর কথাবন্ধু হয়ে কাজ করলেও মন পড়ে ছিল গয়না নকশা করার জন্য। যেই ভাবা সেই কাজ। চাকরিচুকরি ছেড়ে দিয়ে লেগে গেলেন স্বপ্নপূরণে।

২০০৬ সাল। তখন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা খুব কম, বিশেষ করে বাংলাদেশে। আর অনলাইন ব্যবসার কথা কয়জনই-বা ভেবেছেন তখন? তাহমিনা খান ভেবেছিলেন। শখের ভালোবাসাটাকে পুঁজি করে উপার্জনের উপায় বের করলেন। গয়না বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করা শুরু করলেন। ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষদের গয়নার প্রতি খুব ঝোঁক তাঁর। তাই পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে তাদের সঙ্গে মিশে তাদের গয়না সম্পর্কে জেনেছেন, শিখেছেন। এরপর নিজের নকশায় গড়তে শুরু করেছেন ওই সব গয়নাও। মাটি, পুঁতির পরে ধীরে ধীরে যোগ করেছেন সোনা ও রুপার গয়না।
জের ডিজাইন স্টুডিওতে তাহমিনা খান, এ উদ্যোগের শুরু হয়েছিল অনলাইনে। ছবি: খালেদ সরকার ২০০৯ সালে অনলাইনের পাশাপাশি প্রথমবার শৈলীর স্টুডিও উদ্বোধন করেন। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এখন তাঁর মোট পাঁচটি স্টুডিও আছে। সম্প্রতি লালমাটিয়ায় খুলেছেন সর্বশেষটি।

তাহমিনা খানের স্টুডিওগুলোতে কাজ করছেন মোট ৩৭ জন কর্মী। বেশির ভাগই নারী। কেন? তাহমিনা খান নিজেকে সব সময় মানুষ ভেবেছেন, নারী নয়। কিন্তু উপলব্ধি করেছেন, নারীরা পিছিয়ে আছেন। তাই নিজের ভিত শক্ত করে সুযোগ করে দিচ্ছেন আরও নারীদের।

নারীরা উদ্যোক্তা হতে গেলে অনেক বাঁধার সম্মুখীন হন। এ কথা মেনে নিলেও তাহমিনা খান বলেন, ‘সমস্যাকে সমস্যা মনে করা যাবে না। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে যে যত বেশি পড়বে, তত বেশি আত্মবিশ্বাসী হবে বলে মনে করি।’ ফেসবুক পেজ দিয়ে ছোট ব্যবসায় উদ্যোগ শুরু করা বেশ কার্যকর বলে মনে করেন তাহমিনা খান। তিনি বলেন, ফেসবুকে বন্ধুদের মাধ্যমে পণ্য ছড়িয়ে দেওয়া যায়। তবে পণ্যের মান আর সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো আপস করা যাবে না।
তাহমিনা মনে করেন, দেশ যখন একজন মানুষের কাজের স্বীকৃতি দেয়, তখন উৎসাহ আরও বেড়ে যায়।

উত্তরাধিকারের পটভূমি

এখনকার প্রতিটি গেম আধুনিক চিত্রকলার মতো। প্রত্যেকে তার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে। ‘অ্যাসাসিন্স ক্রিড ওডিসি’ সে রকম একটি গেম। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৩১ সালের দিকে অ্যাথেন্স ও স্পার্টার মধ্যে পেলোপোনেসিয়ান যুদ্ধের কাল্পনিক ইতিহাস নিয়ে এটি এই গেম সিরিজের একাদশতম কিস্তি। যেখানে খেলোয়াড়েরা একজন পুরুষ বা নারী ভাড়াটে সৈন্যকে নিয়ন্ত্রণ করে। যারা উভয় পক্ষের জন্য লড়াই করে, কারণ তাদের কাছে তাদের পরিবারকে একত্র করাই একটা মুখ্য কাজ। এবার আগের গেমগুলোর চেয়ে মূল ভূমিকা পালনকারীর উপাদান আরও বেশি উন্নত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি খেলাটিতে কথোপকথনের বিকল্প, অনুসন্ধান শাখা এবং একাধিক সমাপ্তি রয়েছে, যা গেমটিকে ভিন্নমাত্রার নান্দনিকতার ছোঁয়া দিয়েছে।

গেমার চাইলেই খেলার প্রধান চরিত্রের লিঙ্গ বেছে নিতে পারবে, অ্যালেক্সিয়াস বা ক্যাসদ্রার ভূমিকায় গ্রহণ করে গেমটি খেলা যাবে। আর দুজনেই ভাড়াটে সৈনিক এবং স্পার্টান রাজা লিওনিদাস আইয়ের বংশধর। একই সঙ্গে তারা রাজার ভাঙা বর্শার উত্তরাধিকারী, যার ব্লেডের তৈরি করা অস্ত্রের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য। এর পাশাপাশি দক্ষতা বাড়ানোর জন্য তাদের বেশ কিছু নতুন ক্ষমতা উন্মুক্ত করতে হবে। যার সাহায্যে অ্যালেক্সিয়াস বা ক্যাসদ্রা নিজেকে একজন দক্ষ ও উন্নত যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। যে হবে আগের সিরিজের থেকে আর দ্রুতগতিসম্পন্ন ও কৌশলী। এর পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতার বারটি পূরণ হলে চারটি বিশেষ বিশেষ দক্ষতা অর্জন করে ফেলতে পারেব। এই দক্ষতাগুলোর মধ্যে একটি বৃষ্টির মতো তির নিক্ষেপ এবং প্রতিপক্ষের বন্ধন ঠেকাতে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা, আর সেই সঙ্গে ওভারপায়ার গেমারকে যুদ্ধে অদ্ভুত কিছু শক্তিশালী ক্ষমতা ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এই গেমটি একটি গিয়ার সিস্টেমও রয়েছে, যা গেমারকে বিভিন্ন ধরনের বর্ম এবং সুবিধা সরবরাহ করে। অ্যাসাসিনের ক্রিড ওডিসিতে এবার নৌবাহিনীর যুদ্ধের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার সাহায্যে গেমার হিলেনস্টিক যুগের যুদ্ধাপরাধীদের খোলা অ্যাক্সিয়ান সাগরে খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে।

পর্যালোচনাকারী, সংগ্রাহক সবার কাছে অ্যাসাসিন ক্রিড ওডিসি সব প্ল্যাটফর্মে বেশ প্রশংসা পেয়েছে। ৮.৫/১০ রেটিং পেয়ে, অ্যাসাসিন্স ক্রিড ওডিসি আগের সাফল্যকে ধরে রেখেছে। তবে এটি উন্মুক্ত বিশ্বের দৃশ্যমান যুদ্ধ, গল্প সবকিছুর জন্য কিছুটা সমালোচনার মুখোমুখিও হয়েছে। গেমটি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, প্লেস্টেশন ৪, এক্সবক্স ১, এবং ৫ অক্টোবর ২০১৮-এ নিনটেন্ডো সুইচের জন্য বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায়। কিন্তু ২০১৮ সালের মে মাসে ফ্রান্সের সাইট জুইসভিডিওতে অ্যাসাসিন ক্রিড ওডিসি গেমের চোরাই সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছিল। এর ফলে গেমটির প্রকৃত প্রকাশক ইউবি সফট গেমটির আসল চেহারা দ্রুত প্রকাশ করে। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এত কিছু করেও গেম চোরদের আটকানো যায়নি, গেমের ওয়েবসাইট জেমৎসুতে গেমটির স্ক্রিনশটগুলো ফাঁস হয়ে যায় তার আগেই। কিন্তু এর কোনো কিছুই গেমটির ব্যাপক ব্যবসায়িক সফলতায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

রনি বিএনপিতে, তৃণমূলে নানা আলোচনা

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলা নিয়ে গঠিত) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনির বিএনপিতে যোগদান  নিয়ে এলাকায় নানা ধরনের আলোচনা চলছে।

২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেন। ওই নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মাওলা। সাবেক এ সাংসদ রনি নামেই পরিচিত। নানা কারণে শুধু নিজ এলাকায় নন, জেলা, বিভাগীয় শহর বরিশাল থেকে শুরু করে দেশব্যাপী তিনি আলোচিত।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু পাননি। গতকাল রোববার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে আভাস দিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘মানুষের কান্নায় গলাচিপা-দশমিনার আকাশ বাতাস ভারী হয়ে গিয়েছে…উপরোক্ত অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মহান আল্লাহর ওপর নির্ভর করে নির্বাচনের মাঠে নামব। দেখা হবে সবার সঙ্গে এবং দেখা হবে বিজয়ে।’

আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রনি বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গিয়ে ওই দলে যোগদান করেন। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর চলছে নানা আলোচনা।

দশমিনা উপজেলা যুবদলের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রনি আওয়ামী লীগের সাংসদ থাকাকালীন আমাদের নেতা–কর্মীদের নামে ১৯টি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছিল। এখন তিনিই বিএনপিতে যোগ দিয়ে মনোনয়ন পেলেন।’ তবে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আ. মোমিন তালুকদার বলেন, ‘আসলে রনির যোগদান কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত। কেন্দ্র যাঁকে মনোনয়ন দেবে, তাঁর পক্ষেই আমরা কাজ করব।’

এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী আশফাকুর রহমান বলেন, ‘গোলাম মাওলা রনি বিএনপিতে যোগদান করেছেন, তবে এখনো তাঁকে পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। আমরা চাই যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা, তাঁরাই মনোনয়ন পাক।’

তবে জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে রনি বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে মনোনয়নের বিষয় যে সিদ্ধান্ত আসবে, আমরা তার পক্ষে কাজ করব।’

এক মঞ্চে নানক-সাদেক

ন্দ্ব-সংঘাত ও ভেদাভেদ ভুলে নৌকার পক্ষে এক হয়ে কাজ করতে এক হলেন ঢাকা-১৩ আসনের বর্তমান সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাদেক খান।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক মতবিনিময় সভায় সাদেক খানকে সমর্থন জানান। এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন নানক।

মতবিনিময় সভার শুরুতে ১০ বছরে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগরের উন্নয়নের প্রামাণ্য চিত্র তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঢাকা-১৩ আসনের বর্তমান সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক। কান্নাজড়িত কণ্ঠে নানক বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এবার নৌকা তুলে দিয়েছেন সাদেক খানের হাতে। তাই সব ভেদাভেদ ভুলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ দেশকে রক্ষার স্বার্থে, নৌকার স্বার্থে আমাদের এক হতে হবে। কারণ নৌকার বিজয় ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।’

সাদেক খানের বিষয়ে নানক বলেন, ‘সাদেক খান এই এলাকার মাটি ও মানুষের নেতা, আমার ভাই। তিনি দীর্ঘদিন এই এলাকায় আমাদের দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার সাদেক খানের হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছেন, এ জন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’ তিনি বলেন, নৌকার পক্ষে, শেখ হাসিনার পক্ষে এই এলাকায় নির্বাচনে কাজ করে যেতে হবে। সাদেক খানের পক্ষে কাজ করে যেতে হবে।

সাদেক খানের উদ্দেশে নানক বলেন, ‘ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির, নেতার সঙ্গে নেতার নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা হতেই পারে। কিন্তু সকলকে আপনার বুকে তুলে নিতে হবে।

’অনুষ্ঠানে সাদেক খান বলেন, ‘আমার বড় ভাই (নানক) যে বক্তব্য সবার সামনে দিয়েছেন, আমাকে বুকে তুলে নিয়েছেন, এর জন্য আমি তাঁকে স্যালুট জানাই।’ তিনি বলেন, ‘কেউ বলতে পারবে না আমি তাঁর (নানক) সঙ্গে কোনো দিন বেয়াদবি করেছি। আমার বড় ভাই যে বক্তব্য আজকে রেখেছেন, আমি তাঁকে সবার সামনে স্যালুট জানাই।’

মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়ার মনোনয়ন পত্র কারাগারে পৌঁছেছে

প্রতিদিন নিউজ ডেক্স : নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়পত্র বাহক মারফত কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজকালের মধ্যে তার সই নিয়ে পুনরায় সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানোর কথা রয়েছে।

সুত্রে জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে একাধিক আসনে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী কারাবন্দী কোন আসামীর মনোনয়নপত্রে সই নিতে হলে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাধ্যমে কাগজপত্র কারাগারে পাঠাতে হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর ঢাকার জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্রের যাবতীয় কাগজপত্র ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা সংশ্লিষ্ট দফতরে বাহকের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কারা কর্তৃপক্ষ সেই কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে দেখবেন। তারপর সই নেয়ার জন্য খালেদা জিয়ার কাছে পাঠানো হবে। তার কাছ থেকে সই নেয়া হলে এরপরই সেটি কারাকর্তৃপক্ষ আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেবে।

বৃহস্পতিবার কারা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, খালেদা জিয়ার নামে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্রের কাগজপত্র আনতে একজন বাহক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গেছে। এখন আমি অফিসে নেই। বিকেলের মধ্যে কারাগারে চলে আসার কথা রয়েছে। সেটি আসলে আমরা আগে তা যাচাই বাছাই করে দেখবো। নিয়ম মোতাবেক ঠিক থাকলে উনার (খালেদা জিয়া) কাছে সই নিতে যাবো। শুধু কারা কর্মকর্তারা তার স্বাক্ষর নিতে পারবেন। সই হওয়ার পর কারা প্রশাসন থেকে সত্যায়িত সিল, সই দিয়ে আবার আমরা মনোনয়নপত্র ঢাকা জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেবো। এক প্রশ্নের উত্তরে ওই কর্মকর্তা বলেন, খালেদা জিয়ার কাছ থেকে মনোনয়নপত্রে কাল অথবা পরশু সই নেয়া হতে পারে।

বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের দায়িত্বশীল এক নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক যুগ্ন সচিব বিজন কান্তি সরকার বুধবার ঢাকা জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাত করে ৩টি মনোনয়নপত্র ও আনুষাঙ্গিক কাগজপত্রাদি দিয়ে এসেছেন।

চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

প্রতিদিন নিউজ ডেক্স :সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নিত করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে তারা মিছিল সহকারে শাহবাগে এসে অবস্থান নেয়। ফলে শাহবাগ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করে। কিন্তু ৪০তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে সেটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাকরিতে প্রবেশের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।

এদিকে শাহবাগে সড়ক অবরোধের ফলে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে বাংলামোটর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়গামী যান চলাচল। একই সাথে শাহবাগ শিশুপার্ক থেকে কাঁটাবনগামী যান চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে শাহবাগকে ঘিরে আশপাশের সড়কগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। আর হঠাৎ অবরোধের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

সর্বশেষ আপডেট...