বেনাপোলে নিরাপত্তা প্রহরীর হাতে ব্যাটারি চোর আটক ।
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: দেশের আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর বেনাপোল নিরাপত্তা প্রহরীর হাতে ধরা পড়লো সুমন হোসেন (২০) নামের এক গাড়ির যন্ত্রাংশ চোর গত (২০/৮/২০১৯ইং) তারিখ রাত ৮টার দিকে সুমন নামের ওই চোর টার্মিনাল সংলগ্ন বাইপাস সড়কে অবস্থান রত ভারতীয় মোট ৫টি গাড়ি থেকে ১৭টি গাড়ির ব্যাটারি এবং দুইটি লোড জগ চুরি করে।
যানজট নিরসনে কমিউনিটি পুলিশের নিরাপত্তা প্রহরীর প্রধান আকবর আলী সিকদার জানান,ঘটনার দিন রাত ৮ টার দিকে প্রহরীদের ডিউটি পরিবর্তনের সময় সুমন এই কাজটি করে।
গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে এমন একটি সংবাদ আমাদের কাছে পৌঁছানোর সাথে সাথে আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে সুমনকে ধরে ফেলি। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক বেনাপোল বাজারে ঝংকার মাইক সার্ভিস থেকে ২ ব্যাটারি, ২ টি লোড জগ, রহমত ইলেকট্রিক ওয়ার্কসপ থেকে ১ টি ব্যাটারি, এবং বেনাপোল মিলনের থেকে ২টি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়। বাকি ১২টি ব্যাটারির সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। স্বীকারোক্তির জন্য সুমনকে বন্দরের নিরাপত্তা বাহিনী আনসারদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বেনাপোল বন্দরে চুরি রোধে নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেনাপোল ট্রাক মালিক সমিতির উদ্যোগে “যানজট নিরসনে কমিউনিটি পুলিশ” গঠন করে।
বন্দরে বাইপাস সড়ক গুলোই আমদানি-রফতানির পণ্য বোঝাই গাড়ী গুলোর নিরাপত্তার দায় -দায়িত্ব এই কমিউনিটি পুলিশ রায় নিয়ে থাকে। গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির ব্যাপারে বেনাপোল ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমদানী-রপ্তানী কারকগন তাদের পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। বেনাপোল ট্রাক মালিক সমিতি তাদের নিজস্ব উদ্যোগে এই কমিউনিটি পুলিশ গঠন করে। যে কারণে বন্দরে চুরির ঘটনা অনেকাংশে কমে এসেছে।
চুরির বিষয়ে সুমন নিরাপত্তা প্রহরীদের কাছে স্বীকার করেন সে নিজেই এই চুরির ঘটনাটি ঘটিয়াছে। এদিকে বন্দরে নিরাপত্তা বাহিনী (আনসার), এর প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) দেলোয়ার হোসেন বাকি মালামাল উদ্ধারে চোর সুমনকে নিজেদের কাস্টডিতে রেখেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।