বিপ্লব,সাভারঃ দশ বছর আগে কুড়িয়ে পাওয়া এক কন্যা শিশুর ভরণপোষণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা প্রদানের পর অবশেষ নিজের সন্তান পরিচয়ে বিয়ের আয়োজন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল আলম সমর।
এর আগে, করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত তার ইউনিয়নের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান, বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচী পালন, রমজানের প্রতি সন্ধ্যায় বিভিন্ন গ্রাম ভিত্তিক ইফতার বিতরণ, ইউনিয়নবাসীর জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন, বিনামূল্যে ঈদ বাজার, প্রতি সকালে বিনামূল্যে সবজির বাজারসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে ইতিমধ্যে ব্যাপক সুনাম কুঁড়িয়েছেন উপজেলা এই ব্যতিক্রমধর্মী ইউপি চেয়ারম্যান।
এলাকাবাসী জানায়, গত দশ বছর আগে সাভারের বলিয়ারপুরের টেকেরবাড়ি এলাকা থেকে নাসিমা নামের এই কন্যা শিশুকে কুড়িয়ে পেয়ে হেমায়েতপুরে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে শিশুটিকে লালন পালনের দায়িত্ব দেন তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ফখরুল আলম সমর। এরপর থেকেই ওই শিশুর লেখাপড়া ও ভরণপোষণের জন্য যাবতীয় অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছিলেন তিনি। পরে নাসিমার বিয়ের উপযুক্ত বয়স হলে নিজেই পাত্র খুঁজে গত শনিবার নিজের বাড়িতে তার বিয়ের আয়োজন করেন ইউপি চেয়ারম্যান সমর।
সাভার পৌরসভায় কর্মরত শাহাজালাল নামের এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ের আয়োজনে কনের অভিবাবক হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই উপস্থিত ছিলেন। নিজের সন্তান পরিচয়ে বিয়ের আয়োজনে নগদ অর্থ, গহনাসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেন নব দম্পতিকে।
এছাড়া বরপক্ষের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। নবদম্পতিকে সুখে থাকার জন্য দোয়া ও অর্শিবাদ করেন বিয়ের আসরে আমন্ত্রিত অতিথিরা।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে ভিন্নভর্মী এই বিয়ের আয়োজন দেখতে ভীড় করেন এলাকার স্থানীয় লোকজন।
এ বিষয়ে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল আলম সমর বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করতে চেষ্টা করছি। অসহায় এতিম নাসিমার মা-বাবার পরিচয় না থাকায় তাকে আমার নিজের সন্তান হিসেবে গ্রহণ করেছি। শুধুমাত্র বিয়ে দিয়েই দায়িত্ব শেষ না করে পরবর্তীতেও সবসময় নাসিমার পাশে থাকবো।