27.6 C
Dhaka, BD
শুক্রবার, মে ১৬, ২০২৫

বড় ভাইকে হত্যা” যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ৩০ বছর পর গ্রেফতার

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় বাবার সম্পত্তি বণ্টনের দ্বন্দ্বে আপন বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আবুল খায়েরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছর পর চট্টগ্রামে পটিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে র‍্যাব-৭ এর ফেনী ক্যাম্পে কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

র‍্যাব জানায়, ছাগলনাইয়ার দক্ষিণ বল্লভপুর গ্রামের মৃত অলি আহাম্মদের বড় ছেলে আবু তাহেরের সঙ্গে তার ছোট দুই ভাই আবুল খায়ের ও আব্দুল কাদেরের বাবার সম্পত্তি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ১৯৯৩ সালের ২৭ জুন আসামি আবুল খায়ের (মেজো ভাই) ও আব্দুল কাদের (ছোট ভাই) সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে দুজনে বড় ভাইকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথেই আবু তাহের মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত আবু তাহেরের বোন আমেনা বেগম বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় আবুল খায়েরকে প্রথম ও আব্দুল কাদেরকে দ্বিতীয় নাম্বার আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য শেষে আসামিদের অনুপস্থিতিতে অভিযুক্ত আবু তাহেরকে হত্যার দায়ে আসামি আবুল খায়ের ও আব্দুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

র‍্যাব-৭ আরও জানায়, হত্যা মামলার আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মনামে চট্টগ্রামের পটিয়ায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদে একটি আভিযানিক দল বুধবার (৩ মে ) রাতে অভিযান চালিয়ে একটি বাসা থেকে আসামি মো. আবুল খায়েরকে গ্রেফতার করেন। আবুল খায়েরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ছাগলনাইয়া থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।

রাশমিকা-বিজয়ের সম্পর্কে ফাটল

বিজয় দেবেরাকোন্ডা ও রাশমিকা মান্দানার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। খবর, বিজয়ের থেকে দূরে সরে নাকি অন্য এক নায়ককে মন দিয়েছেন ‘গুডবাই’ খ্যাত অভিনেত্রী।

দক্ষিণী অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডা ও রাশমিকা মান্দানার প্রেম নিয়ে গুঞ্জন ছিলই। যদিও তারা এখন পর্যন্ত বিষয়টা নিয়ে প্রকাশ্যে কখনো মুখ খোলেননি। জনসমক্ষে কখনও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুললেও প্রায় ‘ওপেন সিক্রেট’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিজয় দেবেরাকোন্ডা ও রাশমিকা মন্দনার প্রেম।

করণ জোহরের কফি কাউচ থেকে মলদ্বীপের রিসোর্ট— নিজেদের প্রেমের রঙে ভরিয়েছেন চর্চিত যুগল। অনুরাগীদের অন্যতম প্রিয় জুটি তাঁরা। তবে সাম্প্রতিক খবরে মন ভেঙেছে অনুরাগীদের। শোনা যাচ্ছে, সম্পর্কে চিড় ধরেছে বিজয় দেবেরাকোন্ডা ও রশ্মিকা মন্দনার। বিজয়কে ‘গুডবাই’ জানিয়ে অন্য এক জনকে মন দিয়েছেন অভিনেত্রী।

যদিও এখনও পর্যন্ত সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি রাশমিকা। তবে, বিজয় দেবেরাকোন্ডা যে আর তাঁর প্রথম পছন্দ নন, তা বেশ পরিষ্কার অভিনেত্রীর কথায়। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে রাশমিকাকে প্রশ্ন করা হয়, থালাপাতি বিজয় ও বিজয় দেবেরাকোন্ডার মধ্যে কাকে বেছে নেবেন তিনি? তাতে রাশমিকা উত্তর দেন, ‘‘থালাপতি বিজয়কে দেখে আমি বড় হয়েছি। তিনি আমার জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর বিজয় আমার বন্ধু।

এবার এই দু’জনের মধ্যে কাকে নির্বাচন করব বলুন!’’ রাশমিকার উত্তর থেকেই স্পষ্ট, বিজয়ের প্রতি সেই পুরনো টান তাঁর আর নেই।

অন্য দিকে শোনা যাচ্ছে, তেলুগু অভিনেতা বেল্লমকোন্ডা সাই শ্রীনিবাসের প্রেমে মজেছেন রাশমিকা। সম্প্রতি নাকি একাধিক বার একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তাদের। ঘনিষ্ঠদের ধারণা, একে অপরকে ‘ডেট’ করছেন তাঁরা। সম্প্রতি মুম্বাই বিমানবন্দরে একসঙ্গে দেখে পাওয়া গিয়েছিল তাদের। এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের লাল গালিচাতেও একসঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন রাশমিকা ও বেল্লমকোন্ডা সাই শ্রীনিবাস।

শ্রীনিবাস বলেন, ‘‘আমরা দু’জনে খুব ভালো বন্ধু। আমরা দু’জনেই যে হেতু হায়দরাবাদের বাসিন্দা, তাই মাঝেমধ্যেই এখানে-ওখানে দেখা হয়ে যায়। সেটাই ক্যামেরার ধরা পড়েছে!’’ রাশমিকা সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সাফাই গেয়ে শ্রীনিবাসের গলায় মজার সুর।

সম্প্রতি ‘বারিসু’ ছবিতে থালাপতি বিজয়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছে রাশমিকা মন্দনাকে। আপাতত ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী। অন্য দিকে, খুব শিগগিরই বলিউডে পা রাখতে চলেছেন শ্রীনিবাস বেল্লমকোন্ডা। ‘ছত্রপতি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন দক্ষিণী অভিনেতা।

জিটিভি’র ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি ভূট্টো’র বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে মানববন্ধন

হুমায়ুন কবির,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে জিটিভি’র জেলা প্রতিনিধি এমদাদুল হক ভূট্টো’র বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের চৌরাস্তা মৌড়ে মানববন্ধন করেছে জেলার সাংবাদিকবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. ইন্দ্রনাথ রায়, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এ্যাড. আবু তোরাব মানিক, সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক এটিএম সামসুজ্জোহা, সদস্য সচিব বদরুল ইসলাম বিপ্লব, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জাকির মোস্তাফিজ মিলু, জনকণ্ঠ প্রতিনিধি এম জসিম, রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোবারক আলী, সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম , পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সাংবাদিক মোকাদ্দেস হায়াত মিলন, বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান , অনলাইন সাধারণ সম্পাদক জহির খান, মমিনুর রহমান বিশাল , রেজাউল করিম, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের জেলা সভাপতি জ্যাকব খালকো, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লিটন , ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, পাহাড়ভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান , সাবেক ছাত্র নেতা বঙ্গবন্ধু পরিষদের পৌর সভাপতি নুরুল হুদা স্বপন, আদিবাসি নেতা সুবাস কজুর, জেসমিন কিসকু প্রমুখ।


এছাড়াও মানববন্ধনে জেলা-উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ , নাগরিক কমিটি, ঠাকুরগাঁও ইযুথ ক্লাব, আদিবাসী ও খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. ইন্দ্রনাথ রায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন সাংবাদ কর্মীদের সাথে আছি এবং থাকবো।

সেই সাথে সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক সকল মামলা বিনা পয়সায় পরিচালনার ঘোষনা দেন তিনি। এরপর সাংবাদিক নেতারা পরবর্তী করনীয় বিষয়ে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় মতবিনিময়ে মিলিত হন।

প্রসঙ্গত: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের সংবাদ জিটিভিতে প্রচার করার জেরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দীন চাঁদাবাজি ও মানহানির অভিযোগ এনে গত ২৮ এপ্রিল জিটিভি’র জেলা প্রতিনিধি এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

গলাচিপায় মায়ের কোলে শিশু বাচ্চাকে ফিরিয়ে দিলেন ইউএনও

(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় মায়ের কোলে শিশু বাচ্চাকে ফিরিয়ে দিলেন ইউএনও। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের দড়ি বাহেরচর গ্রামে শহিদ চৌকিদারের বাড়িতে। জানা যায় মো. জসিম চৌকিদারের মেয়ে কাকুলি বেগমের শিশু পুত্র মো. রাওফান ইসলাম রাব্বানি (৩ বছর ৪ মাস) কে ফিরে পেয়ে মা কাকুলি বেগম (২৭) আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। মো. রাওফান ইসলাম রাব্বানির বাবা হচ্ছেন মো. রাসেল বেপারী (৩০) হচ্ছেন একই ইউনিয়নের ভাংরা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দেলোয়ার বেপারীর ছেলে। কাকুলি বেগম বাদী হয়ে গলাচিপা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছেলে ফিরে পাওয়ার আশায় ১০০ ধারায় এম,পি ২৫০/২০২৩ নম্বর মোকদ্দমা দায়ের করেন। তারিখ- ১২/০৪/২০২৩ খ্রি.।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ২৫২/২৩ নম্বর স্মারকে মো. রাওফান ইসলাম রাব্বানিকে উদ্ধারের জন্য (৩০ এপ্রিল) রবিবার সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করে গলাচিপা থানাকে নির্দেশ দেন। গলাচিপা থানার এসআই আব্দুর রহমান (০১ মে) সোমবার সকালে রাসেল বেপারীর বাড়িতে গিয়ে মো. রাওফান ইসলাম রাব্বানিকে উদ্ধার করে গলাচিপা থানায় নিয়ে আসে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল শিশু বাচ্চা মো. রাওফান ইসলাম রাব্বানিকে তার মা কাকুলি বেগমের কাছে ফিরিয়ে দেন। বাচ্চাকে ফিরে পেয়ে কাকুলি বেগম বলেন, আমার ছেলেকে অনেক দিন পর্যন্ত আমি দেখতে পাই নাই। ওকে না দেখে আমার বুকটা এতদিন হাহাকার করেছে। আমি স্যারকে ধন্যবাদ জানাই আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।

এ বিষয়ে রাওফান ইসলাম রাব্বানির নানা মো. জসিম চৌকিদার বলেন, বিজ্ঞ আদালতে মামলার মাধ্যমে আমার নাতিকে আমার মেয়ের কাছে পেয়েছি। আমি অনেক খুশি হয়েছি। আমার মেয়ে কাকুলি তার ছেলেকে রাওফান ইসলামকে না প্রায় ৩ মাস পাগলের মত হয়ে গেছে। ওর মুখের দিকে এতদিন তাকানো যায়নি। আজ মো. রাওফান ইসলাম রাব্বানিকে ফিরে পেয়ে কাকুলির মুখে হাসি ফুটেছে। এ বিষয়ে রাওফান ইসলাম রাব্বানির নানি মাহমুদা বেগম বলেন, আমার মেয়ে কাকুলি বেগমকে ১০ বছর আগে ইসলামী শরাহ শরিয়ত মতে রাসেল বেপারীর সাথে বিবাহ দেই। বিবাহের পর ওদের ১টি ছেলে জন্ম নেয়। পারিবারিক কলহের কারণে কাকুলি ও রাসেলের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে রাসেল আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য আমার বাড়িতে ফেলে রেখে যৌতুক নিয়ে অরেকটি বিবাহ করে। আমার নাতি ছোট থাকায় আমার নাতি রাওফানকে আমার মেয়ের কাছ থেকে রাসেল জোর করে নিয়ে যায়।

পরে মামলার মাধ্যমে আমার নাতিকে আমরা ফিরে পেয়েছি। এ বিষয়ে রাসেলের কাছে জানতে চাইলে রাসেল বলেন, মামলা করে আমার কাছ থেকে রাওফান ইসলাম রাব্বানিকে নিয়ে গেছে। যৌতুক ও অপর বিবাহের কথা উল্লেখ করলে রাসেল বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এ বিষয়ে রাসেলের মা হাসিনা বেগম বলেন, আমার নাতিকে মামলা করে আমাদের কাছ থেকে কাকুলি নিয়ে গেছে। আমার ছেলে রাগের মাথায় মুদির হাট দর্জি বাড়িতে একটি বিবাহ করেছে।

এ বিষয়ে আমখোলা ইউনিয়নের ভাংরা গ্রামের ইউপি সদস্য মো. শাহ আলম ও দড়ি বাহেরচর গ্রামের ইউপি সদস্য মো. কাসেম দেওয়ান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। আমখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান মনির বলেন, আসলেই রাসেল দুশ্চরিত্রের লোক। এখানে সেখানে বিবাহ করে বেড়ায়। সে অটো রিক্সা চালায়। কাকুলিকে রাসেল প্রায়ই মারধর করত। এবিষয়ে একাধিকবার সালিশী করলেও রাসেলের কোন পরিবর্তন হয় নি। শুনেছি সে আবার নিকাহ করেছে। কাকুলির ভবিষ্যত এখন অন্ধকার হয়ে গেছে। আদালতের মাধ্যমে রাওফান ইসলাম রাব্বানিকে কাকুলি ফিরে পাওয়ায় ছেলেটা ভালভাবে বেড়ে উঠতে পারবে। এজন্য আমি আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল স্যারকে আমখোলা ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।

এ বিষয়ে সিনিয়র এ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আইনের ধারায় মা বাচ্চাকে পেয়েছে এবং ৭-৮ বছর না হলে মায়ের কাছেই এ শিশু থাকতে পারে। কেননা বাবা রাসেল বেপারী ২য় বিবাহ করেছে। তাই এ শিশুকে বাবার কাছে রাখাতে একটি প্রশ্ন থেকে যায়।

রাণীশংকৈলে মে দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যলি ও আলোচনা সভা

হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় সোমবার ১ মে, সাড়ম্বরে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, তথা মে দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে এদিন সকালে উপজেলার ১৪ টি শ্রমিক সংগঠন পৌর শহরে পৃথক পৃথক ব্যানারে র‍্যালি বের করে।

র‍্যালি শেষে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে ৩টি এবং উপজেলা গেটমার্কেট চত্বরে ১১টি সংগঠন পৃথকভাবে আলোচনা সভার আয়োজন করে। উপজেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে শ্রমিক নেতা আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ.লীগ সহ-সভাপতি সেলিনা জাহান লিটা, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, উপজেলা আ.লী সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, আ.লী সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমেদ, আ.লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হোসেন বিপ্লব, পৌর আ’লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক লীগ সভাপতি আইযুব আলী, জাপা নেতা আবু তাহের, এটিও রবিউল ইসলাম সবুজ ও কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেবনাথ।

এ ছাড়াও বক্তব্য দেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, শ্রমিক নেতা প্রদীপ বসাক, সাদ্দাম হোসেন, সুমন পাটোয়ারী, জাকারিয়া হাবিব ডন, আরথান আলী, প্রেসক্লাব(পুরাতন) সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী প্রমুখ।

অপরদিকে, ডিগ্রি কলেজ মাঠে শ্রমিক নেতা শামসুল হকের সভাপতিত্বে ৩ টি সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রমিক নেতা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের বক্তব্যে মে দিবসের ইতিহাস ও গুরুত্ব তুলে ধরেন। এইসাথে তারা শ্রমিকদের বিভাজন নিরসন করে সম্মিলিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা বলেন।

সিংগাইরে নিখোঁজ বৃষ্টি আক্তার কে ৫ দিন পর উদ্ধার করলেন পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বৃষ্টি আক্তার নিখোঁজের ৫ দিন পর উদ্ধার করলেন সিংগাইর থানা পুলিশ।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গেলো ২৪ এপ্রিল বৃষ্টি আক্তার হটাৎ করেই তাহার স্বামীর বাড়ি থেকে পারিবারিক কলহের জের ধরে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়।

এর পড় তার বাবা ‘শেখ সেলিম সিংগাইর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন,যাহার নাম্বার (১৩৩২)। তারই সূত্র ধরে সিংগাইর থানা পুলিশ,’ উন্নত প্রযুক্তির সহোযোগিতায় ২৮ এপ্রিল বিকেলে বগুড়ার সোনাতলা থানা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মিজানুর ইসলাম জানান, মানিকগঞ্জ জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব গোলাম আজাদ খান, পিপিএম(বার) মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় সিংগাইর থানার তত্ত্বাবধানে, ওসি তদন্ত মানবেন্দ্র বালোর নেত্রীতে তথ্যপ্রযুক্তি সহযোগিতায়,পায় ৩৬ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ,বগুড়ার জেলার সোনাতলা থানা এলাকা থেকে বৃষ্টি আক্তার কে উদ্ধার করা হয় ।

উদ্ধার কালে ওসি তদন্ত মানবেন্দ্র বালোর সাথে সহযোগিতায় ছিলেন ,এস,আই তারেক এস,আই জলিল, কন্সটেবল আমিনুল, কন্সটেবল খাদিজা ‌।

সিংগাইরে চুরি ও হারানো ৮টি ফোন উদ্ধার, খুশি মালিকরা

স্টাফ রিপোর্টার: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বিভিন্ন সময় হারিয়ে যাওয়া ও চুরি হওয়া ‘৮টি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মিজানুর ইসলাম এসব মোবাইল ফোনসেট গুলো প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দেন।

হারিয়ে ও চুরি যাওয়া ফোনের জন্য মালিকেরা সাধারণ ডায়েরি সূত্রে এসব মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। হারানো মুঠোফোন পেয়ে খুশি প্রকৃত মালিকেরা।

এসময় সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, মানিকগঞ্জ জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব গোলাম আজাদ খান, পিপিএম(বার) মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় সিংগাইর থানার তত্ত্বাবধানে এ,এস,আই আলমগীর হোসেনের অক্লান্ত পরিশ্রমে ,বিভিন্ন সময়ে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনের জিডির সূত্র ধরে ” বিভিন্ন এলাকা থেকে তথ্য, উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সহযোগিতায় এই মাসেই মোট ৮ টি ফোন উদ্ধারসহ অপরাধীদের শনাক্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এসব মোবাইল প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিংগাইর থানা পুলিশের এ ধরনের উদ্যোগ অব্যহত থাকবে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় মূল্যবান ফোনসেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে আরও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ওসি তদন্ত মানবেন্দ্র বালো, এ এস আই আলমগীর হোসেন, এস আই শেখ তারিকুল ইসলাম।

জাতীয় পার্টিতে কোন বিভক্তি নেই:মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ

স্টাফ রিপোর্টার : মহাজোটের শরিকদলের বিকল্প ধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সারোয়ার মিলন , বৃহস্পতিবার ( ২৭ এপ্রিল) সকালে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে তার নিজ বাসভবনে জাতীয় পার্টির এই নেতা গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভার এক বৈঠকি আড্ডায় যোগ দিয়ে প্রধান আলোচক হিসেবে জাতীয় পার্টির যুগ্ন আহবায়ক ও মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন,জাতীয় পার্টির আসন্ন দশম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ বলেছেন, বিভেদ নয়, ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় পার্টি গড়ে তুলতেই আমাদের প্রচেষ্টা। পল্লীমাতা বেগম রওশন এরশাদ লাখ লাখ মানুষের চাওয়া পাওয়া পুরণে পার্টির নতুন পুরাতন, অবহেলিত, অব্যাহতিপ্রাপ্ত, নিস্ক্রিয় ও অন্যদলে চলে যাওয়া সব নেতাকর্মীদের এক মঞ্চে একত্রিত করে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতেই দশম জাতীয় সম্মেলন ডাক দিয়েছেন ।

এরশাদের অবর্তমানে পল্লীবন্ধুর প্রকৃত উত্তরসূরি তাঁর পত্নী বেগম রওশন এরশাদ। সফলতা, উন্নয়ণমূলক কর্মকাণ্ড এবং রাজনৈতিক আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি লাঙ্গল এর গোলাম সারোয়ার মিলনের পক্ষে কাজ করার জন্য সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আহব্বান জানান।

এ সময় জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ ভার্চুয়াল অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে সকল নেতাকর্মীকে গোলাম সারোয়ার মিলনের পক্ষে কাজ করা আহ্বান জানান ।
গোলাম সারোয়ার মিলন জাতীয় পাটির শাসনামলে অধুনালুপ্ত মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন , এছাড়াও তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

এসময় সিংগাইর উপজেলার জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি আবুল বাশারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায় খন্দকার মনুরুজ্জামান টিটু সহ মানিকগঞ্জ সিংগাইরের অসংখ্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

জামালপুরে ভরণপোষণ না দেয়ায় ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মায়ের অভিযোগ

ভরণপোষণ না দেয়ায় ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মায়ের অভিযোগ
ভরণপোষণ না দেয়া ও প্রতারণা করে জমি লিখে নেয়ায় সন্তানের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মা কোকিলা বেগম (৬০)।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুরে মেলান্দহ থানায় হাজির হয়ে এ লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি মেলান্দহের পচাবহলা দরবারশাহী এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের স্ত্রী। অভিযুক্ত ছেলের নাম ইউনুছ আলী (২৫)।ভুক্তভোগী মা কোকিলা বেগম বলেন, ‘কয়েক মাস আগে তার চোখের সমস্যার সুযোগ নিয়ে তার ছোট ছেলে ভুল বুঝিয়ে প্রতারণা করে জমির দলিলে টিপসই নিয়ে তার অংশের জমি লিখে নেয়। এরপর থেকে সেও আমার খোঁজ খোঁজ নিচ্ছে না।’

তিনি আরও জানান, ছোট ছেলের জমি লিখে নেয়ার বিষয়টি অপর দুই ছেলে জানতে পারে। সেসময় থেকে তারাও ভরণপোষণ দেয়াসহ খোঁজ নেয়া বন্ধ করে দেয়।

এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকালে প্রতারণা করে লিখে নেয়া জমি ফেরত ও ভরণপোষণের কথা বলতে গেলে অভিযুক্ত ছেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এ সময় স্থানীয়রা গালমন্দ করতে বারণ করলে অভিযুক্ত আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণের চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছেলে ইউনূসের বক্তব্য নিতে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শ্রমিক সংকটে ছাত্রলীগকে নিয়ে এবার কৃষকের ধান কাটলেন এমপি

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের পশ্চিম কালিকান্দা গ্রামের বাচ্চু খান নামে এক কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের ২৫-৩০ জন সদস্যের একটি টিম ওই কৃষকের এক একর জমির ধান কেটে দেয়।

ধান কাটা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জুয়েল আরেং।

এ সময় কৃষক মো. আব্দুল করিম বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। ধান কাটার শ্রমিক সংকটে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে স্থানীয় সাংসদ জুয়েল আরেং আমার ধান কেটে মেশিনের সাহায্যে মাড়াই করে দিয়েছেন। আমি স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে কৃতজ্ঞ।’

ময়মনসিংহ-১ আসনের সাংসদ জুয়েল আরেং সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সারা দেশব্যাপী শ্রমিক সংকট থাকায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে কৃষকের জমির বোরো ধান কাটা হচ্ছে।

তার ধারাবাহিকতায় হালুয়াঘাটে খন্দকপাড়া গ্রামের এক কৃষকের বোরো ধান কেটে দিয়েছেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক নাহিদ হাসান, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. শাবজালুর রহমান হিল্লোল, শেখ মো. শাহিব হোসেন রাহুল, আশিকুর রহমান আশিকসহ উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সর্বশেষ আপডেট...