শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে : কৃষিসচিব

Loading

কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিগগিরই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে।

রোববার (১৪ মে) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষিসচিব বলেন, দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার সবসময় মনিটর করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি। কয়েক দিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হবে।

এ সময় পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। চলতি বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুত আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন।
র আগে বৃহস্পতিবার (১১ মে) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছিলেন, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় আমদানি কমিয়ে দেয়া হয়েছিল, এখন প্রয়োজনে তা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী থাকা পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে থাকলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ বাড়ানো হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ঢাকার বাজারে চলতি সপ্তাহে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিন সপ্তাহ আগেও যা ছিল ৩৫ টাকা। এ ছাড়া পেঁয়াজের পাশাপাশি বাজারে ঊর্ধ্বমুখী আলু ও অন্যান্য সবজির দামও।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্ৰ বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অধিশাখার উপসচিব মুনসুর আলম খান প্রমুখ।