31.8 C
Dhaka, BD
মঙ্গলবার, মে ১৩, ২০২৫

সুন্দরগঞ্জে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী রেজাউল আলম রেজার গণসংযোগ ।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক, ভালোবাসি সুন্দরগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রেজাউল আলম রেজা সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় ব্র্যাক মোড়স্থ নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।

এসময় উপজেলা, ইউনিয়নসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা শামীম পারভেজ সরদার, আবু নাসের মিরান, ফিরোজ কবীর মন্ডল, আব্দুল মালেক বাবলু, কামরুজ্জামান কামরুল, মুকুল মিয়া, আজমুল হোসেন পলাশ, সোহেল মিয়া, ডিউক, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান লিটু প্রমুখ।

এসময় তিনি বলেন, ১৯৯২ সালে সুন্দরগঞ্জ ডিডব্লিউ কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে তখন থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও বর্তমানে আ’লীগে যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছি। এলাকায় রাজনৈতিকভাবে বেশ পরিচিতি অর্জন করেছি।

জননেত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য আমাকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিলে সর্বস্তরের ভোটারের মন জয় করে নির্বাচিত হতে পারব-ইনশ্আল্লাহ। রেজাউল আলম রেজাকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ আওয়ামীলীগের রংপুর অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ মাদক ব্যবসায় সহায়তা করলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা – কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, মাদকমুক্ত মহানগরী গড়তে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

তিনি বলেন, কাউকে হুমকি ধামকি দেয়া পুলিশের কাজ নয়। তাদের কাজ সেবা করা। পুলিশ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে রমনা থানা আয়োজিত র‍্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি থানায় মানুষ যাতে ভালো সেবা, আইনি সহযোগিতা পায়।

হয়রানির শিকার না হয় বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার না হয়। পকেটে মাদক দিয়ে চালান এই ধরনের কাজ যদি কোনো পুলিশ করে, মাদক ব্যবসায় কোনো পুলিশ যদি সহায়তা করে তার বিরুদ্ধে এমন দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো, সারা দেশের মানুষ দেখবে পুলিশ নিজের লোকের বিরুদ্ধে কেমন ব্যবস্থা নেয়।

বেতন বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে ধর্মঘটে যোগ দেয়া প্রায় ৫০০০ শ্রমিক ছাটাই

বাংলাদেশে এ মাসে বেতন বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে ধর্মঘটে যোগ দেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে তা সহিংস হয়ে ওঠে। এ ধর্মঘটে যোগ দেয়ার কারণে নিম্ন বেতনভুক্ত এসব শ্রমিকের প্রায় ৫০০০ জনকে চাকরিচ্যুত করেছেন কারখানার মালিকরা। বিশ্বের বিভিন্ন ব্রান্ডের পোশাক সেলাই করতেন এসব শ্রমিক। মঙ্গলবার এসব তথ্য দিয়েছে পুলিশ। সারাদেশে গার্মেন্ট কারখানায় কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিক কয়েক দিনের এ ধর্মঘট, প্রতিবাদে কারখানা ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। এতে ৩০০০ কোটি ডলারের এ শিল্পে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ওই প্রতিবাদ বিক্ষোভে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।
ঢাকার উপকণ্ঠে আশুলিয়া হলো এ শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। সেখানে বড় বড় খুচরা ক্রেতাদের জন্য পোশাক সেলাই করা হয়। সেখানে সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ জন।
পুলিশ বলেছে, প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলাকালে লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগে কয়েক হাজার শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো অভিযোগ করেছে, এ শিল্পে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। দমনপীড়ন চালানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে এখন পর্যন্ত ৪৮৯৯ জন শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। একটি কারখানা থেকেই বরখাস্ত করা হয়েছে কমপক্ষে ১২০০ শ্রমিককে। তাদের বেতন মাসে ৯৫ ডলার থেকে শুরু হয়ে আরো উপরে। কিন্তু শ্রমিক ইউনিয়নগুলো বলছে, বরখাস্ত করা শ্রমিকের বাস্তব সংখ্যা আরো অনেক বেশি, যা ৭ হাজারের কাছাকাচিছ। এ ছাড়া আরো একশত শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন স্বপন বলেছেন, অনেক শ্রমিক কাজে ফিরতে ভয়ে আছেন। তিনি বলেন, অজ্ঞাত ৩০০০ শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এতে শ্রমিকদের মধ্যে পীড়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শ্রমিক কারখানায় না যাওয়াকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
বাংলাদেশে রয়েছে ৪৫০০ তৈরি পোশাক কারখানা। এতে কাজ করেন ৪১ লাখ শ্রমিক। চীনের পরেই এ দেশটি সারা বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ। বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগই আসে এই পোশাক বিক্রি থেকে। তাই এই শিল্প উল্লেখযোগ্য শক্তি রাখে।
শ্রমিকদের ধর্মঘট বন্ধ করতে মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশ। তবে ওই ধর্মঘট মাত্র তখনই শেষ হয় যখন সরকার বেতন সামান্য বৃদ্ধি করতে রাজি হয়। এই বৃদ্ধি এতটাই সামান্য যে, কোনো কোনো শ্রমিকের জন্য তা মাসে মাত্র কয়েক সেন্ট (১০০ সেন্ট সমান এক ডলার)। সোমবার আমস্টার্ডাম ভিত্তিক শ্রমিক অধিকার বিষয়ক সংগঠন ক্লিন ক্লোথস ক্যাম্পেইনের বেন ভ্যানপেপোরস্ট্রেইটি বলেছেন, প্রকৃত সত্য হলো সাম্প্রতিক সংশোধনীর পরও বাংলাদেশের এসব শ্রমিক এখনও খুবই কম মজুরি পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শনেেক বেছে নিয়েছে এবং তাদের যেকোনো সংগঠিত হওয়ার চেষ্টাকে দমন করছে। (সূত্রঃমানবজমিন)

সুন্দরগঞ্জে ৬ষ্ঠ বার্ষিকী তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কাটগড়া মাওলানা আব্দুল লতিফ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার হাফেজ ছাএদের দস্তরবন্দী উপলক্ষ্যে ৬ষ্ঠ বার্ষিকী এক বিশাল তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল ৩০ জানুয়ারি বুধবার বাদ আছর কাটগড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কাটগড়া জামে মসজিদের সভাপতি জনাব,মোঃ সাইদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, জনাব,মোঃ তৌফিকুর রহমান আয়েনী মুকুট

উক্ত কোরআন মাহফিলে অএ মাদ্রাসা ও এতিমখানার হাফেজ ছাত্রদের দস্তরবন্দী প্রদান করেন ও তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন,কাটগড়া মাওলানা আব্দুল লতিফ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি, প্রভাষক আবুল কাশেম, কাটগড়া দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জনাব,মোঃ একরামুল হক,জাপার উপজেলা দপ্তর সম্পাদক জনাব, রাকিব ।

উক্ত কোরআন মাহফিলে দস্তরবন্দী হাফেজ ছাএরা দলীয়ভাবে চমকপ্রদ ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন এবং উক্ত কোরআন মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, আলহাজ্ব হাফেজ হযরত মাওঃমোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিক(ধামরাই ঢাকা।খতিব,বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ফতুল্লাহ নারায়ণগঞ্জ, সহ সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয় মোফাচ্ছির পরিষদ,মানিকগঞ্জ ধর্মীয় আলোচক বিজয়টিভি ও বৈশাখী টিভি, ঢাকা।)২য় আলোচক হিসেবে উপঃ ছিলেন পরিচালক ইসলামিক ভয়েজ শিল্পগোষ্ঠী সিরাজগঞ্জ, জনাব,হযরত মাওলানা মাছউদ আহম্মেদ সিরাজী,তৃতীয় আলোচক ও বিশেষ আকর্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাটগড়া মাওলানা আব্দুল লতিফ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার অন্ধ হাফেজ মোঃমারুফ বিল্লাহ,ও আরো অন্যান্য ওলামায়েকেরামগণসহ তাফসীর পেশ করেন।কোরআন মাহফিলের পরিশেষে দেশ ও মুসলিমজাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দোয়া ও মঙ্গল কামনা করেন।

ধামরাইয়ে শিশু মনিরকে হত্যার প্রতিবাদে অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসির বিক্ষোভ।

ঢাকার ধামরাইয়ে ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ছোট আশুলিয়া গ্রামের মোঃ সোনামিয়ার ছোট ছেলে মনিরের হত্যার ঘটনায় তার পরিবার আজ এলোমেলো হয়ে গেছে। শিশু সন্তান মনিরকে হারিয়ে তাদের পরিবারের মাঝে চলছে শোকের মাতম । ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা-মা। এই সময় অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসির বিক্ষোভ। পরে বিক্ষোদ্ধ জনতা আসামী রাব্বির বাড়ী ভাঙচুর করলে পুলিশ গিয়ে বিক্ষুদ্ধ জনতাকে শান্ত করে।

আজ বুধবার (৩০জানুয়ারী) বেলা ১২ ঘটিকার সময় ধামরাই মির্জাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বিক্ষোদ্ধ জনতা শিশু মনির হত্যার অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করে।

গত শনিবার বিকাল বেলা খেলা করার সময় কৌশলে অপহরণ কারীর মুলহোতা মাজেদুল ইসলাম শিশু মনিরকে বিস্কুট এর কথা বলে ডেকে নিয়ে তার মুখে কষ্টটিব দিয়ে ঘরের ভিতর আটকে রেখে দশ লক্ষ টাকার দাবি করে সোনামিয়ার ফোনে কল দেয়। কিন্তু সোনামিয়া ওরফে কালা টাকা দিতে না পেরে ঘটনাটি ধামরাই থানা পুলিশকে জানান এবং একটি জিডি করেণ। এ দিকে অপহরণ কারীরা টাকা না পেয়ে শিশু মনিরকে হত্যা করে। পরে শিশু মনিরের লাশটি মাজেদুল, মানছুর ও রাব্বি মিলে রাব্বির বাড়ী ঘোয়াল ঘরের পিছনে বস্তায় ভরে মাটি চাপা দিয়ে দেয়।

এর পর পুলিশ তাদের তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহার করে মোবাইল ফোন নাম্বারটি টেকিং করে সোমবার দিনগত রাতে কুল্লা ইউনিয়নের কুল্লা গ্রামের মোঃ মানছুরকে গ্রেফতার করে। পরে মানছুরের তথ্য অনুযায়ী মাজেদুলকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বলে দেয় শিশু মনিরকে তারা তিনজনে মিলে রাব্বির বাড়ীর ঘোয়ার ঘরের পিছনে মাটি চাপা দিয়েছে। তখন পুলিশ মঙ্গলবার সকালে মানছুর ও মাজেদুলকে সাথে নিয়ে ছোট আশুলিয়া গ্রামের মোঃ রাব্বির বাড়ীতে থেকে ৫বছরের শিশু মনিরের লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহত শিশু মনির হোসেনের বাড়ী ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ছোট আশুলিয়া গ্রামের মোঃ সোনামিয়া (কালা) ছেলে। আটককৃত মাজেদুলের (২৫) বাড়ী ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ছোট আশুলিয়া গ্রামের মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে।, কুল্লা ইউনিয়নের কুল্লা গ্রামের মোঃ আব্দুল হামিদের ছেলে মোঃ মানছুর আলী।এই সময় রাব্বি হোসেন পলাতক ছিল। কিন্তু আজবেলা ২ঘটিকার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এই ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার সংবাদিকদেরকে জানান, আজ বেলা ১২ ঘটিকার সময় বিক্ষোদ্ধ জনতা শিশু মনিরের হত্যা কারীদের ফাঁসির দাবিতে ধামরাই-মির্জাপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এবং আসামী রাব্বির বাড়ী ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে আসামীদের সর্বচ্চো শান্তির আশ্বাস দিলে তারা চলে যায়।

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক বি এম তারিকুল কবীর বুধবার চার বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া আদালত তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমনা করেছে। জরিমানা না দিলে আরও ছয় মাস কারাগারে থাকতে হবে।

সাজাপ্রাপ্ত আকমাল হোসেন (৩৮) জেলার হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের জামুন মশালডাঙ্গী গ্রামের মোসলেম উদ্দীনের ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিতি ছিলেন।

২০১৪ সালের ৩ জানুয়ারি জামুন মাহিলাবস্তি গ্রামের ইসমাইল (১৮) হত্যা মামলায় আদালত এ রায় দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৪ সালের ৩ জানুয়ারি জামুন মাহিলাবস্তি গ্রামের কুমের আলীর ছেলে ইসমাইল জামুন বাজার থেকে বাইসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে আকমাল তাকে পূর্বশত্রুতার জেরে বেধড়ক লাঠিপেটা করেন। ইসমাইল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে খুর দিয়ে জখম করে পালিয়ে যান আকমাল হোসেন।

স্থানীয়রা তাকে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আইনজীবী হামিদ বলেন, ঘটনার দিনই নিহত ইসমাইলের বাবা কুমের আলী আকমালের বিরুদ্ধে হরিপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হরিপুর থানার এসআই নির্মলচন্দ্র দেব শর্মা তদন্ত শেষে একই বছর ৩০ এপ্রিল আকমালের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

মামলায় মোট ১৭ জনের সাক্ষী নিয়ে আদালত আকমালকে দোষী সাব্যস্থ করেছে বলে তিনি জানান।

কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ (পিপিএম)-২০১৮ পদক পেলেন কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ সাইদ আব্দুল্লাহ আল-মুরাদ ।

সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম)-২০১৮ পদকের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‌্যাবের সাহসী, সুদক্ষ ও চৌকস কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ সাইদ আব্দুল্লাহ আল-মুরাদ। আগামী ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ রাজধানী ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে এ সম্মানজনক পদক গ্রহণ করবেন তিনি।

স্কোয়াড্রন লীডার মুরাদ ২০১৭ সালের ১৭ই অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‌্যাবের কোম্পানী কমান্ডার হিসাবে যোগদান করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত স্বদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে দুই শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে সুদক্ষ নেতৃত্ব প্রদান করে বিপুল পরিমান অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য, চোরাচালান সামগ্রী, জালরুপি উদ্ধার করেছেন এবং তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য, অবৈধ ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী, হত্যা-ধর্ষণ-অপরহনসহ গুরুত্বপূর্ণ চাঞ্চল্যকর মামলার সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীসহ অসংখ্য অপরাধীদের গ্রেফতার করেন যা চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাবের ইতিহাসে বিরল।

এই অভাবনীয় ঈর্ষণীয় আভিযানিক সাফল্য তার সততা, নিরলস প্রচেষ্টা, সাহসিকতা ও চরম দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। র‌্যাবের চৌকস এ অফিসার এরই মধ্যে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য সারা বাংলাদেশের ২৫৫ জন র‌্যাব অফিসারের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন, যা র‌্যাব ফোর্সেস ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জন্য গর্বের বিষয়। স্কোয়াড্রন লীডার মুরাদ বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি থানায় এক সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ২০০৬ সালে ৫৫তম লং কোর্স ও ৫৪তম ফ্লাইট ক্যাডেট কোর্সে পাইলট অফিসার হিসাবে কমিশন লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমি এর এ্যাডজুটেন্ট এবং বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাটিতে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি ২০১৫-১৬ সালে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক এ মিলিটারি অবজারভার হিসেবেও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। র‌্যাবের সাহসী, দক্ষ, চৌকস এই অফিসার পিপিএম (সাহসিকতা) পদকে নির্বাচিত হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আপামর জনসাধারণ ও সূধীমহল তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সুন্দরগঞ্জে অসহায় নবীর হোসেনের পরিবারের পাশে জাতীয় ছাত্রসমাজ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের অসহায় নবীর হোসেনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা জাতীয় ছাত্রসমাজ।

জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর নির্দেশনায় বুধবার দুপুরে উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের বাজারপাড়া গ্রামের মৃত নছর উদ্দীনের পুত্র নবীর হোসেনের বসতবাড়িতে এসে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করে পরবর্তীতে আবাসন প্রকল্পের অধীনে বসতঘর নির্মাণের আশ্বাস দেন- উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর । এ সময় ছিলেন উপজেলা জাতীয় ছাত্রসমাজের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, শ্রীপুর ইউনিয়ন জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, রামজীবন ইউনিয়ন জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক সামিউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা ও বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি রেজাউল হক রেজা।

উল্লেখ্য, “সুন্দরগঞ্জে একটি অসহায় পরিবারের চরম দুর্দিন”-শীর্ষক শিরোনামে সুন্দরগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাব’র সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকের পরিবেশিত অনুসন্ধানী মূলক প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর দৃষ্টি গোঁচড় হয়। ফলে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে আবাসন প্রকল্পের অধীনে অসহায় নবীর হোসেনের পরিবারকে বসতঘর নির্মাণের আশ্বস্থ করেছেন। নবীর হোসেন ও তাঁর স্ত্রী রেজিয়া খাতুন দম্পত্তির জীবনে ২ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে রিয়াজুল হক বিএসএস (সম্মান) হাই স্কুল ও কলেজ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তি মোতাবেক দু’বার আবেদন করেও সুফল পাননি বলে জানা গেছে।

ধামরাই রিপোটার্স্ ক্লাবের নতুন অফিস শ্রীগ্রই শুভ উদ্ধোধন ।

সত্য উদঘাটনে আমরা বদ্বপরিকর এ শ্লোগানকে সামনে রেখে অচিরেই ধামরাই রিপোটার্স্ ক্লাবের নতুন অফিসে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সে লক্ষে পুরো দমে কাজ এগিয়ে চলছে।

উল্লেখ্য সত্য উদঘাটনে আমরা বদ্ধপরিকর এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ৯/১/২০১৫ তারিখে এর শুভ উদ্ধোধন করা হয় এর শুভ উদ্ধোধন করেছেন ঢাকা জেলা আত্তয়ামী লীগের সভাপতি ঢাকা ২০ ধামরাই এর এমপি বীর মুক্তি যোদ্ধা বেনজীর আহমদ,প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সাবেক এমপি আব্দুল মালেক।সন্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ধামরাইয়ের পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির।

আমরা এই ক্লাবে সৎ এবং যোগ্য সংবাদ কর্মীদের অগ্রাধিকার সব সময় দিয়ে থাকি –তবে কোন অপরাধি বা মামলায় জর্জ্ রিত কোন সংবাদ কর্মী নেয়া হয় না।

২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটিতে ৯ টি টিভি চ্যানেল ছিল আমাদের সর্ব্ সহযোগিতায় এখনো আছে আমরা এটিকে আরো পরিসর করে নতুন করে আধুনিকতার স্পর্শ্ আধুনিক রুপ নিয়ে জনগনের পাশে থাকবো সে লক্ষে আমাদের এই কাজ ত্বরাম্বিত করার লক্ষে আমরা এগিয়ে চলছি সকলের সার্ব ভালবাসাই এই সংগঠনের কাম্য।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর (UNHCR) সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মোহাম্মদ এনামুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে বর্জ্য শোধনাগার উদ্বোধন শেষে তিনি একথা বলেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম শাহ কামাল, শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও ত্রাণ কমিশনারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অক্সফাম ও ইউএনএইচসিআরের যৌথ উদ্যোগে বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। এর আগে, কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী।

ডাক্তার মোহাম্মদ এনামুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাসানচরে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা জড়িত রয়েছে। এসব সংস্থা এবং রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেট...