31 C
Dhaka, BD
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

আজ মহান বিজয় দিবস

আজ মহান বিজয় দিবস। অনেক যুদ্ধ,অনেক সংগ্রামের দ্বারা অর্জিত বাঙালি জাতির মুক্তির স্বীকৃতি আমাদের আজকের “বিজয় দিবস”।১৯৭১ সালের আজকের দিনে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি হানাদার মুক্ত হয়েছিল। বাঙালি জাতি প্রথমবারের মত পেয়েছিল মুক্তির স্বাদ। এটা আমাদের নিকট অনেক বর প্রাপ্তি।১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বিকেলে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন তাঁর মন্ত্রমুগ্ধকর ভাষণে। সেই ময়দানেই একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লে. জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি আত্মসমর্পণ দলিলে সই করেছিলেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রায় ৯১ হাজার ৬৩৪ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছিল বাংলাদেশ বাহিনীর কাছে। তখন উত্সবে মেতে উঠেছিল বাঙালি জাতি।
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস আজ। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তে রাঙিয়ে রাতের অন্ধকার ভেদ করে বাংলার দামাল ছেলেরা কেড়ে এনেছিল ফুটন্ত সকাল। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন এটি। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখ-ের নাম জানান দেওয়ার দিন। জাতির আনন্দদিন এই জাতীয় দিবস। ৪৭ বছরেও সেই আনন্দের এতটুকু কমতি নেই। কারণ দিনটি হলো বাংলাদেশের এগিয়ে চলার অনন্ত উত্স। অন্ধকার দুরে ঠেলে আলোর দিকে এগিয়ে চলার প্রেরণা।
১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে ১৬ ডিসেম্বরকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ সাজানো হবে জাতীয় পতাকায়। রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় থাকবে আলোকসজ্জা। দেশবাসী অসীম শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে স্বাধীনতাযুদ্ধে প্রাণ উত্সর্গকারী শহীদদের, নির্যাতিত মা-বোনদের। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষের ঢল নামবে। সারা দেশেই মানুষ অংশ নেবে বিজয় দিবস উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে।
১৬ই ডিসেম্বর ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা ঘটে। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারেঅনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন দেশটির প্রধান মাননীয় রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী। এই কুচকাওয়াজ দেখার জন্য প্রচুরসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে থাকে

এমন কাজ করেই ইউটিউবে ৩ লাখ সাবস্ক্রাইবার!

রান্না নিয়ে ইউটিউবে চ্যানেলের অভাব নেই। কিন্তু দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরির রেসিপি-ই রয়েছে বা কয়টি চ্যানেলে?

প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে ২০১৬ সালে ইউটিউব চ্যানেল খোলেন ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের দুই বন্ধু লক্ষ্মণ কারে ও শ্রীনাথ রেড্ডি।

খুব সহজ উপায়ে কিছু রান্না করে পেট ভরানোর রেসিপির ভিডিও দিয়ে শুরু করেন ‘কান্ট্রি ফুড’ নামে এই চ্যানেল।কয়েক মাস পর লক্ষ্মণ কারে ও শ্রীনাথ রেড্ডি প্রথম বার আপলোড করেন মস্তনাম্মার একটি ভিডিও। বর্তমানে তাঁর বয়স প্রায় ১০৭ বছর। কিন্তু এখনও তিনি নিজে হাতে রান্না করেন নানা দেশীয় খাবার।

গ্রামের খেতের মাঝে বসেই মস্তনাম্মা এক্সপেরিমেন্ট করেন খাবারের নানা সরঞ্জাম দিয়ে। কখনও তরমুজের মধ্যে চিকেন, কখনও বা টমেটোর ভিতরে অমলেট কারি। আবার কখনও একেবার সাদামাটা বেগুনের তরকারি, বাঁধাকপির তরকারি। পিৎজা, ব্রেড ওমলেট, সামুচাও রয়েছে মস্তনাম্মার রান্নার তালিকায়। ফ্রায়েড চিলি চিকেন বা চিকেন ড্রামস্টিকের পাশাপাশি, মাছ বা চিকেন বা কাঁঠালের বিরিয়ানিও তৈরি করেছেন মস্তনাম্মা।

রান্নার আগে প্রয়োজনীয় সব উপকরণ তাঁর হাতের কাছে গুছিয়ে দেন মস্তনাম্মার পরিবারের লোকজন। তারপর তিনি আসরে নামেন বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মণ কারে। যিনি আবার মস্তনাম্মার নাতিও বটে।

‘কান্ট্রি ফুড’ চ্যানেলের দুই পার্টনার লক্ষ্মণ কারে ও শ্রীনাথ রেড্ডি জানান, মস্তনাম্মার রেসিপি ভিডিও আপলোড হওয়ার পরে তাঁদের চ্যানেলের সাবস্ক্রিপশন বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। একা মস্তনাম্মারই নাকি সেই সংখ্যা নিয়ে গিয়েছেন ৩ লাখে। মস্তনাম্মার নানা ডিশের মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় ডিশটি হলো ব্রিঞ্জল কারি।

দাঁত পরিষ্কার ছাড়াও টুথপেস্ট আরো যেসব কাজে লাগে

টুথপেস্টের কাজ এবং ব্যবহার সবারই জানা। দাঁত পরিষ্কারের কাজে টুথপেস্টের চেয়ে বেশি ব্যবহৃত অন্য কোনো উপাদান নেই। কিন্তু এই টুথপেস্ট শুধু দাঁত পরিষ্কারের কাজেই নয়, ব্যবহার করা যায় আরো অনেক কাজে। চলুন জেনে নেই

ব্রাশে পেস্ট লাগাতে গিয়ে অনেক সময় পেস্ট সিঙ্কে পড়ে যায়। এমন হলে সঙ্গে সঙ্গে পানি ঢেলে দেবেন না। একটা স্ক্রাবার দিয়ে ঘষে ঘষে পুরো সিঙ্কটা ভালো করে পরিষ্কার করুন। পানির দাগ থেকে আরম্ভ করে সব ময়লা দূর হয়ে যাবে।

স্নিকার্স বা সাদা কেডসে যে রবারের ট্রিম থাকে, সে জায়গাটা কয়েকবার ব্যবহার করার পর থেকেই রং হারাতে আরম্ভ করে। একটা কাপড়ে এক দলা টুথপেস্ট নিয়ে এই ট্রিমে ভালো করে ঘষুন, তারপর ভেজা ন্যাকড়ায় মুছে দেখুন জুতো কেমন ঝকমকিয়ে ওঠে!

পেঁয়াজ, রসুন কুচি করলে বা মাছ পরিষ্কার করলে হাতে নাছোড় গন্ধ জড়িয়ে যায়, খুব কড়া সাবান ব্যবহার না করলে তা যেতে চায় না। হাতে একটু টুথপেস্ট নিন, সঙ্গে চিপে দিন কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। ভালো করে রগড়ে নিয়ে এক মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, যাবতীয় দুর্গন্ধ নিমেষে দূর হয়েছে, সেই সঙ্গে মুছে গিয়েছে।

রান্নাঘরে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে কড়া বা গরম টোস্টারে হাতের ছোঁয়া লেগে পুড়ে গিয়েছে? সঙ্গে সঙ্গে টুথপেস্ট লাগান, জ্বালা কমবে।

গাড়ির হেডলাইট, শিশুর বোতল, ফ্লাক্স ইত্যাদি পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করুন টুথপেস্ট আর পানির মিশ্রণ।

জেনে নিন গর্ভপাত প্রতিরোধের উপায়

গর্ভপাতের কারণে শুধু হবু মায়েরই নয়, নষ্ট হয় একটি পরিবারেরও অনেক স্বপ্ন। নতুন অতিথিকে ঘিরে অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা গড়ে ওঠে যা গর্ভপাতের কারণে আলোর মুখ দেখতে পায় না। তাই গর্ভপাত প্রতিরোধে মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়। এই নিয়মগুলো মেনে চললে গর্ভপাত প্রতিরোধ করা সম্ভব .

গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এসময় যেকোনো মাকে একটু সাবধানে থাকতে হবে। ভারী কাজ করা ও সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। পূর্বে কোনো রোগের ইতিহাস থাকলে ডাক্তারকে জানাতে হবে। পূর্বে একাধিকবার গর্ভপাত হয়ে থাকলে পুনরায় গর্ভধারণের আগে ফিজিক্যাল চেকআপ করিয়ে নিন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। পূর্বের গর্ভপাতের কারণ জানতে চেষ্টা করুন। পরবর্তীতে যাতে একই কারণের পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া দীর্ঘ ভ্রমণ করা যাবে না।

প্রচুর পানি পান করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলিক এসিড, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। এটি বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি হওয়ার প্রবণতাকে কমিয়ে দেয় এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া ধূমপান, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যেমন চা, কফি বা চকলেট এবং মানসিক চাপের সাথে গর্ভপাতের সর্ম্পক রয়েছে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

গর্ভাবস্থায় বেশি সতর্ক থাকতে হয় ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে। কারণ অনেক ওষুধ এমন আছে যার ফলে গর্ভের সন্তানের সরাসরি ক্ষতি সাধিত হয়। শিশু বিকলাঙ্গ, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হতে পারে। অনেক সময় ওষুধ সেবনের ফলে মৃত সন্তানের জন্মও হতে পারে। তাই ওষুধ সেবনের আগে সতর্ক থাকতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না।

গর্ভকালীন সময়ে হরমোনজনিত কারণে বা পারিপার্শিক কারণেও মা অনেক সময় বিষণ্ণ বোধ করেন। এর সাথে যদি থাকে পূর্বের গর্ভপাত বা মৃত সন্তান প্রসবের ইতিহাস তাহলে তো কথাই নেই, অনাগত সন্তানের সুরক্ষার দুঃশ্চিন্তায় ঘটে যেতে পারে যেকোনো দুর্ঘটনা। তাই এসময় পরিবারের সকল সদস্যদের উচিত মাকে সবসময় সাহস দেয়া এবং মায়ের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। মায়ের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পূর্ণ বিশ্রামের ব্যাবস্থা করা।

সাভারে গণ সংযোগ ও পথসভা করেছেন, খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাভারে পথ সভা ও গণ সংযোগ করেছেন ঢাকা ২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত হেবীওয়েট প্রার্থী খাদ্য মন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
শনিবার বিকেলে সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নে হেমায়েতপুর বাস ষ্টান্ড এলাকায় সাভার উপজেলা আ’মী লীগের যুগ্ন সাধার সম্পাদক মোঃ মঞ্জরুল আলম রাজীবের সভাপতিত্বে পথ সভা করেন খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম।

এসময় তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি হাজী আব্দুল কাইয়ুম হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় দুই সহ¯্রাধীক যুব লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হাতি বহর নিয়ে পথ সভায় যোগদান করেন।
এসময় খাদ্য মন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাধারন ভোটারদের কাছে বর্তমান সরকারের গত দশ বছরে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের কথা তুলে ধরে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নরে ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় নৌকা মার্কায় ভোট চান তিনি।
এর আগে মাননীয় মন্ত্রী তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ও পাড়া মহল্লায় গণ সংযোগ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাভার উপজেলা আ’ লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ মঞ্জুরুল আলম রাজীব, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফখরুল আলম সমর,ঢাকা জেলা উত্তরের ¯ে^চ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ সায়েম মোল্লা, সাভার উপজেলা ¯ে^চ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ লিয়াকত হোসেন, ইউপি সদস্য হাজী মোঃ আইয়ুব আলী, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের যুব লীগের সভাপতি হাজী মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, সাভার উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মোঃ আতিক হোসেন, পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান অভি, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন ¯ে^চ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি শেখ মোঃ আলতাফ হোসেন, উপজেলা ¯ে^চ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জুয়েলসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন

ফুলকপির পাকোড়া তৈরি করবেন যেভাবে

শীতকালীন সবজি ফুলকপি দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু পাকোড়া। বিকেলের নাস্তায় এটি হতে পারে আদর্শ একটি খাবার। সেজন্য খুব একটা কষ্টও করতে হবে না আপনাকে। খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন মজাদার ফুলকপির পাকোড়া

উপকরণ:১টি ফুলকপি, চালের গুঁড়া বা বেসন বা কর্নফ্লাওয়ার ৫-৬ টেবিল-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনিয়াগুঁড়া ১ চা-চামচ, ব্রেড ক্রাম্ব বা বিস্কুটের গুঁড়া পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো, তেল প্রয়োজনমতো।

প্রণালি:ফুলকপি হাত দিয়ে টুকরা করে নিন। তারপর পানি আর লবণ দিয়ে সেদ্ধ করুন। খুব বেশি সিদ্ধ করবেন না, আধা সিদ্ধ থাকবে। এখন একটা চালনিতে ফুলকপির টুকরাগুলো ঢেলে পানি ঝরতে দিন। একটা পাত্রে সব মসলা আর চালের গুঁড়া দিয়ে পানি মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। ফুলকপিগুলো চালের মিশ্রণ দিয়ে ভালো করে মেখে বিস্কুটের গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে নিন। ননস্টিক প্যানে তেল দিয়ে ভালো করে গরম করে ডুবো তেলে ফুলকপি ভাজুন। বাদামি রং হলে তুলে নিন।

দাঁতের ইনফেকশন থেকে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক

দাঁতের বিষয়ে অনেক মানুষেই সচেতন নন। দাঁতের রোগের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্বন্ধেও জানেন না বেশিরভাগ মানুষ। চিকিৎসকদের মতে, দাঁতের ইনফেকশন কিংবা ব্যথাকে কখনোই হালকাভাবে না নেয়া উচিত নয়। কারণ গবেষণা বলছে- দাঁতে জীবাণুর সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হলে তা থেকে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, ডায়বেটিস বা ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে দেখা দিতে পারে জটিল সমস্যা।

ডায়বেটিস :

দাঁতে ইনফেকশন আর ডায়বেটিসের যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। ডায়বেটিস রোগীদের দাঁতের ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে একজন সুস্থ মানুষের চেয়ে শতকরা সাড়ে তিন ভাগ বেশি। তেমনি এর উল্টোটাও হয়ে থাকে। তাছাড়া ডায়বেটিস রোগীদের দাঁতের সংক্রমণ হলে তাদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় :

দাঁতে ইনফেকশন বা পেরিওডেন্টাইটিস রোগ যদি জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা নিঃসন্দেহে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। একথা বেশ স্পষ্টভাবেই জানান জার্মানির দন্তবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ক্রিস্টফ ড্যরফার।

আক্রান্ত হতে পারে ফুসফুস :

দাঁতে বাসা বাঁধা জীবাণু নিঃশ্বাসের মধ্য দিয়ে ফুসফুসেকে আক্রান্ত করতে পারে। তবে এটা সাধারণত হয়ে থাকে যাঁরা বেশি সময় ধরে বিছানায় শুয়ে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে হাসপাতালের বিছানায় বেশিদিন শুয়ে থাকলে এমনটা হতে পারে।

Teeth

হার্টে সমস্যা হতে পারে :

দাঁতের ইনফেকশন বা পেরিওডেন্টাইটিস এবং হৃদরোগ দু’টো একে-অপরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত। এ বিষয়ে করা বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে জানান বিশেষজ্ঞ ড্যরফার।

মুখ :

পেরিওডেন্টাইটিস বা দাঁতের ইনফেকশন রোগ দীর্ঘস্থায়ী হলে দাঁতের চোয়ালের হাড়ের ক্ষয় হয় এবং তখন দাঁত নড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত দাঁতটিকে হারাতেও হয়।

জীবাণু ঢোকার রাস্তা :

মুখের ভেতর নানা ধরনের ৭০০টি জীবাণুর বাস, যা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় অনেক বেশি। এ সব জীবাণু ঢোক গেলা এবং নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে। তাছাড়া রক্ত চলাচলে মধ্য দিয়েও জীবাণু মুখে ঢুকতে পারে। অর্থাৎ দাঁতে জীবাণু ঢোকার প্রবেশ পথ অনেক। তাই সকলেরই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

একথা সত্য যে দাঁতের কোনো সমস্যা হলে অনেকেই প্রথমদিকে তেমন গুরুত্ব দেন না। আবার অনেক ক্ষেত্রে ব্যথা উপশমের জন্য ‘পেইন কিলারের’ আশ্রয় নিয়ে থাকেন অনেকে। অথচ দাঁতের সমস্যা সম্পর্কে আগে থেকে জানা থাকলে সমস্যার শুরুতেই সমাধান সম্ভব, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

শরীরের যে কোনো অঙ্গের মতো দাঁতের যত্নও অত্যন্ত জরুরি। তাই দাঁতকে ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে নিয়মিত যত্ন ছাড়াও ডাক্তারি চেকআপ প্রয়োজন। তাছাড়া দাঁতে ইনফেকশন থাকা অবস্থায় কোনো রোগীর চোখ, কান, মস্তিষ্ক বা হার্টের মতো অঙ্গে অপারেশন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে পাঁচ টাকা।

রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে পাঁচ টাকা। এনিয়ে গত দেড় মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। পেঁয়াজের পাশাপাশি স্বস্তি দেখা দিয়েছে সবজির দামে। তবে হঠাৎ করেই বেড়েছে ফার্মের মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ, হাজীপাড়া, খিলগাঁও বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে এখন পুরাতন দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি নতুন দেশি পেঁয়াজও ভরপুর। যে কারণে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে গেছে। তবে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

কারওয়ান বাজারে পুরাতন দেশি পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর নতুন দেশি পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে বাজারটিতে পুরাতন দেশি পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হয় ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। আর নতুন দেশি পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।

ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া বলেন, ‘গত বছর এক কেজি পেঁয়াজের যে দাম ছিল এখন সে টাকা দিয়ে এক পাল্লা পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে। নতুন পেঁয়াজের পাশাপাশি পুরাতন পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় এবার দাম কম। সরবরাহে ঘাটতি না হলে সহসা দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।’

রামপুরা ও খিলগাঁও অঞ্চলের বাজারগুলোতে পুরাতন দেশি পেঁয়াজের কেজি ২৫ টাকা এবং নতুন দেশি পেঁয়াজ ২০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়।

মালিবাগ হাজীপাড়া বউ বাজারের ব্যবসায়ী মো. সাইদুর বলেন, ‘গত সপ্তাহে যে দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি এখন তা ২৫ টাকায় বিক্রি করছি। নতুন পেঁয়াজের দামও কমে গেছে। গত সপ্তাহে ৩০ টাকায় বিক্রি হাওয়া নতুন পেঁয়াজ এখন ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

পেঁয়াজের দাম কমলেও গত সপ্তাহের তুলনায় ফার্মের মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। বাজারভেদে সাদা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি।

রামপুরার ব্যবসায়ী কাউসার আলী বলেন, ‘গত তিনদিন ধরে মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। গত শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এখন সে মুরগি ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। আড়ত থেকে বেশি নামে কিনে আনার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

মুরগির দামে উত্তাপ ছড়ালেও সবজির দামে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলছে। বাজারগুলোতে ভরপুর শাক-সবজি থাকায় দামও তুলনামূলক কিছুটা কম। শীতের সব ধরনের সবজির পাশাপাশি বাজারে ভরপুর রয়েছে নতুন আলু, গাজর, কাঁচা ও পাকা টমেটো। ফলে অনেক সবজি এখন মাত্র ১০ টাকা কেজিতেও পাওয়া যাচ্ছে।

বাজারে এখন সব থেকে সস্তা সবজি তালিকায় রয়েছে বেগুন। বাজার ও মানভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি। একই দামে পাওয়া যাচ্ছে শালগম। শিম পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজি।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে নতুন আসা পাকা টমেটোর দাম কিছুটা কমেছে। এ সবজিটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। আর আর মজুদ করা নিম্নমানের পাকা টমেটো আগের মতোই ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

দাম অপরিবর্তিত রয়েছে নতুন আলুর। আগের সপ্তাহের মতোই নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। গাজর আগের সপ্তাহের মতোই ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে শীতের সবজি হিসেবে পরিচিত ফুলকপি বাজার ও মানভেদে পাওয়া যাচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকায়। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা পিস। কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা কেজি। মুলা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি।

পালং শাক বিক্রি হচ্ছে ৫-১৫ টাকা আঁটি। লাল ও সবুজ শাকও বিক্রি হচ্ছে একই টাকায়। লাউ শাক পাওয়া যাচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। ১০-২০ টাকা আঁটি পাওয়া যাচ্ছে পুঁইশাক।

দাম অপরিবর্তিত থাকা কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। আর এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) হিসাবে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আগের মতোই গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজার থেকে বাজার করা মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন, ‘এক পাল্লা (৫ কেজি) শিম কিনলাম ৪০ টাকা দিয়ে। বেগুন এক পাল্লা চাইল ৩০ টাকা। পাকা টমেটোর পাল্লা নিয়েছে ১৮০ টাকা।’ তিনি বলেন, ‘শিম, বেগুন, টমেটোর মতো এখন সব সবজির দাম তুলনামূলক কম। দাম এমন থাকলে সাধারণ মানুষ ইচ্ছামতো সবজি খাওয়ার সুযোগ পাবে।’

ঋণ দিলে খেলাপি হবেই : এবিবি

আমানত গ্রহণ করে ঋণ প্রদান করে এটাই ব্যাংকের কাজ। আর ঋণ দিলে কিছু খেলাপি হবে এটা স্বাভাবিক। কারণ আমরা ঋণ পরিশোধ না করার সংস্কৃতিতে আছি। তাই যাচাই-বাছাই করে ঋণ দিতে হবে। কারণ আমানতের অর্থ ব্যাংকের নিজের নয় এটা জনগণের টাকা।

বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক মিট দ্যা প্রেসে এসব কথা বলেন দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা। মিট দ্যা প্রেস আয়োজন করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)।

এবিবির সভাপতি ঢাকা ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি ) সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ব্যাংক এশিয়ার এমডি মোহাম্মদ আরফান আলী, সোনালী ব্যাংকের এমডি ও সিইও ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, সিটি ব্যাংকের এমডি সোহেল আর কে হোসাইন, এবিবির সাবেক সভাপতি মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি আনিস এ খান, ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখারসহ বিভিন্ন ব্যাংকের এমডি ও প্রধান নির্বাহীরা।

ব্যাংকের নির্বাহীরা বলেন, দেশের অর্থনীতি অনেক বড় হয়েছে। জিডিপি, মাথাপিছু আয়সহ বেশিরভাগ সূচকেই আমরা উন্নতি করছি। এসব উন্নয়নের মূল ভূমিকা পালন করছে ব্যাংকিং খাত। তাই অর্থের জোগানের প্রধান এ খাতকে শক্তিশালী করতে শতভাগ কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে হবে। দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে হবে। আমাদের ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ করতে হবে। ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া ও সিকিউরিটি বাড়াতে হবে। ঝুঁকির ধরন বিভিন্ন সময় চেঞ্জ হয়। এটি সমন্বয় করতে হবে।

abb-1

এ সময় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের কম মূল্য ও বিদ্যুৎ গ্যাসসহ অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে সম্প্রতি সময়ে ঋণ খেলাপি বাড়ছে বলে জানান তারা।

এবিবির সভাপতি ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে। এটি মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের যত বাধাই আসুক আমরা এগিয়ে যাব। সিডর, আইলার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে এসেছি। তাই কোনো কোনো বাধা আমাদের পিছনে টেনে ধরে রাখতে পারবে না।

গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে এবিবির সভাপতি বলেন, গণমাধ্যম ব্যাংক খাতের সমালোচনা যেমন করে, তেমনি উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে। কিন্তু সংবাদকর্মীদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা আপনারা আমাদের সমালোচনা করবেন কিন্তু শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে একটু খেয়াল রাখবেন। কারণ পত্রিকার নেগিটিভ হেডলাইন দেখেই অনেকে আতঙ্কিত হয়। এ বিষয়ে একটু সচেতন হওয়া দরকার।

সোনালী ব্যাংকের এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ভাত খেলে যেমন দুই একটা বাদ পড়ে। তেমনে ঋণ দিলে খেলাপি হবেই। দেশে এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং সব ক্ষেত্রেই আমরা এগিয়ে গেছি। কৃষি থেকে আমরা এখন শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এ অর্জন পরিবর্তনের প্রধান ভূমিকা পালন করছে ব্যাংকিং খাত। সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার অনেক কথা বলা হচ্ছে কিন্তু আমাদের অর্জনের কথা কেউ বলছে না।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি তথ্য অনুযায়ী বিগত প্রায় ১০ বছরে দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি আনিস এ খান বলেন, ব্যাংকিং খাতের মধ্যে ৮ লাখ কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা খারাপ হতেই পারে। এখন ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমাদের কাজ হবে ভুল যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেই দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ ব্যাংকের টাকা কোনো ব্যক্তির নয় এটি জনগণের টাকা।

abb-1

তিনি বলেন, ফ্যাক্টরি স্থাপন করে সঠিক সময়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ না পাওয়ায় উৎপাদনে যেতে পারে না অনেক প্রতিষ্ঠান। খেলাপি বাড়ার এটাও একটি অন্যতম কারণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ব্যাংকিং খাতে ঋণ বিতরণের ঝুঁকি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের সক্ষমতা কতটুকু আছে এটাই দেখার বিষয়। আমরা যদি ঝুঁকিপূর্ণ ঋণকে (ছোট, মাঝারি ও বড়) তিন ভাগে ভাগ করি তাহলে দেখা যাবে। বর্তমানে ছোট আকারের ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ মোকাবেলায় দেশের সবগুলো ব্যাংকের সক্ষমতা রয়েছে। আর মাঝারি আকারের ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষম ৭০ শতাংশ ব্যাংক। তবে বড় ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবাই সক্ষম নয়।

খেলাপি ঋণ হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকারদের চেয়ে ঋণ গ্রহীতারা বেশি দোষী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সব কিছু দেখে ঋণ দেয় তারা ফেরত দেয় না। তাহলে দোষ কাদের? আর ব্যাংক খাতের খোয়া যাওয়া ২২ হাজার কোটি টাকার সম্প্রতি সিপিডি তথ্য পুরো সত্য নয় বলেন জানান তিনি।

ব্যাংক এশিয়ার এমডি মোহাম্মদ আরফান আলী বলেন, এক সময় ব্যাংকিং খাতে ৯ দশমকি ৬১ শতাংশ সেবা বিনামূল্যে দেয়া হত। বর্তমানে ৬৬ শতাংশ সেবা বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। বর্তমানে স্কুল ব্যাংকিং, ১০ টাকার হিসাব খোলা সব ক্ষেত্রের আমরা সফল। যার কারণে অর্থনীতি উন্নয়নে ব্যাংকের রোল মডেল পালন করছে।

মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বরে জিটিভি আয়োজন

মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বরে জিটিভি আয়োজন করেছে দিনব্যপী বিশেষ অনুষ্ঠানের। সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে প্রচারিত হবে বিশেষ বাংলা ছায়াছবি ‘রাবেয়া’। তানভীর মোকাম্মেলের পরিচালনায় এ ছবিতে অভিনয় করেছেন তৌকির আহমেদ, বন্যা মীর্জা, আলী যাকের, জোতিকা জ্যোতি প্রমুখ।

বেলা ৩টায় প্রচার হবে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠা ‘বিজয়ের গান’। সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ ‘এই সন্ধ্যায়’ (বিজয় সারথীরা)। সোহেল রানার প্রযোজনায় এবং সৈয়দ হাসান ইমামের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে আলোচনা করবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ সেলিম এবং নৃত্যশিল্পী লুবনা মরিয়ম।

সর্বশেষ আপডেট...