29 C
Dhaka, BD
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫

চলনবিলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অতিরিক্ত চাপ

কালের বিবর্তনে ক্রমশ পানিশূন্য হয়ে পড়ছে চলনবিল। এক সময়ে বিলের পানি দিয়েই ফসলের খেতে বিশেষ করে বোরো খেতে সেচ দিতেন চাষি। এখন বিল থেকে বন্যার পানি নামার পরেই প্রাকৃতিক জলাধারগুলো শুকিয়ে যায়। ফলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হচ্ছে। বর্তমানে ১০ ফুট অবদি গর্ত খুরে মেশিন বসিয়ে বোরো খেতে সেচ দেওয়ার প্রাণান্তর চেষ্টা করছেন চলনবিলের চাষিরা।

তাড়াশ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. ওহীদুজ্জামান বলেন, ক্রমাগত ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনে প্রতিবছর পানির স্তর নিচে নামছে। চলনবিলের মধ্যেকার নদী, খাল ও নালাগুলো নতুন করে গভীরভাবে খনন করা হলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমে আসবে। শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চলনবিলের বুকজুড়ে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ বোরো খেত। অধিকাংশ চাষিরা মাটি খুরে তার মধ্যে ডিজেলচালিত ও বিদ্যুতচালিত মেশিন বসিয়ে বোরো খেতে সেচ দিচ্ছেন। যাদের খেত বিলের খালের ধারে তারা খালের মধ্যে মেশিন বসিয়ে পানি সেচ দিচ্ছেন।

চলনবিল অধ্যূষিত তাড়াশ উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের ঘরগ্রামের ভুক্তভোগী বোরো চাষি রুবেল হোসেন, গোলাম হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, সোহরাব প্রামানিক ও জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বোরো খেতগুলো চলনবিলের সাইট খালের ধারে। সমতল থেকে প্রায় ৫ ফুট নিচে খালের মধ্যে মেশিন বসিয়ে খেতে সেচ দিচ্ছি। তারপরও বেশি পানি পাচ্ছিনা। ধান পাকতে আরো দুই মাসের মত সময় লাগবে। এর মধ্যে পানির সংকট বাড়তে থাকবে। তখন খালের মাটি ৪ থেকে ৫ খুরে মেশিন বসিয়ে পানি তুলতে হবে।

তারা আরো বলেন, ১৩০ ফুট গভীরে পাইপ দিয়েও বোরো খেতের জন্য পানি অপ্রতুল। এ জন্য ধান চাষে খরচ বেড়ে গেছে। পানি সংকটে শান্তি নেই চলনবিল অঞ্চলের গ্রামের পরিবারগুলোয়। তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল গ্রামের মুদি দোকানদার জাকার হোসেন ও ভেটুয়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম নামে একজন কৃষক বলেন, আমরা বাড়ির আঙিনার উচ্চতার ১৫ থেকে ২০ ফুট নিচে গভীর নলকূপ বসিয়ে পানির ব্যবস্থা করেছি।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুননাহার লুনা বলেন, বোরো মৌসুমের শুরুতেই চলনবিলের নদী, খাল ও নালা থেকে পানি শুকিয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমের আগে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর উপরে ওঠার কোন সম্ভাবনা নাই।

দেশের উন্নয়ন না করে এতিমের টাকাসহ লুটেপুটে খেয়েছে মা-ছেলে ,মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ খালেদা জিয়া যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন, তখন দেশের উন্নয়ন না করে এতিমের সম্পদসহ মা -ছেলে মিলে লুটেপুটে খেয়েছে ।

এতিমের টাকা তারা মা-ছেলে চুরি করে খেয়েছে আদালতে প্রমাণিত হওয়াই সেজন্য তারা আদালতে দণ্ডিত হয়েছে বললেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক ।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নে রশিদপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে (৭ এপ্রিল) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পরে বড় গোবিন্দপুর এলাকায় ফালোপালোয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ।
কালিয়কৈর উপজেলায় আরো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন ভবন উদ্বোধন করেন ।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কালিয়াকৈর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, কালিয়াকৈর থানার ওসি আকবর আলি খান, কালিয়াৈকর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবির , উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শিকদার মোশারফ হোসেন,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবুল কাশেম, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদিকা নারগিস আক্তার, উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলামসহ আরো অনেকইে ।

অর্ধ শতাধিক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লাইকির ভাইরাল সুজন

স্টাফ রিপোর্টার: স্বামীর প্রায় অর্ধ শতাধিক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক। স্ত্রী এর প্রতিবাদ করায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার ও প্রাণ নাশের হুমকির শিকার হয়েছে।

জানা গেছে, পারিবারিক ভাবে ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র ৬ মাসের মাথায় স্ত্রী জারা হায়াত (২৯) এর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ব্যবসা বা চাকরির নামে অর্থ আত্মসাৎ করেছে স্বামী সুজন সরকার (২৬)। তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জানার পর থেকে স্ত্রী কোনো টাকা পয়সা দিতে রাজি না হলে তাকে দিন রাত মারধর করা হতো।

জারা হায়াত জানান, স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কের কারণে সংসারে আশান্তি নেমে আসে। প্রতিবাদ করলেই তার উপর থেকে শুরু হয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। সম্প্রতি সুজনের মোবাইল ফোনে প্রায় অর্ধ শতাধিক নারীর সাথে তার খোলামেলা ছবি ও ভিডিও দেখে প্রতিবাদ করে জারা। তারপর থেকে জারা হায়াতের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন সুজন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করলেও সুজন সরকার আবারও অবৈধ সম্পর্ক ও স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে যায়।

জারা হায়াত বলেন, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একটা সময় আমি আইনের আশ্রয় নেয় তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করি। তিনি উক্ত মামলা তুলে নিতে বলে তার প্রস্তাবে রাজি না হলে গত ২২ মার্চ সকাল ৯ ঘটিকায় ঘরের দরজা বন্ধ করে আমাকে বেধড়ক চড়-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করতে থাকে এবং আমার প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি আমাকে কল করে বলে মামলা তুলে না নিলে আমার বড় ধরনের ক্ষতি করবে।

অভিযুক্ত সুজন সরকার কুমিল্লা দেবিদ্বার থানার মরিচকান্দা গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে ।

অভিযুক্ত সুজন সরকারের মুঠোফোনটি বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সানলা কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

গাজীপুরে কালিয়াকৈরে সানলা (কোনাবাড়ী) হাইওয়ে থানার উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সালনা (কোনাবাড়ী) হাইওয়ে থানার উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি হাইস্কুলের মাঠে মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সালনা (কোনাবাড়ী) হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন, সালনা হাইওয়ে থানার (এসআই) আশরাফুল ইসলাম, এএসআই শাহ আলম, গাজীপুর জেলার সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ইউনিয়ন চন্দ্রা শাখা সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, গাজীপুর জেলার সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ইউনিয়ন চন্দ্রা শাখা দপ্তর সম্পাদক আসলাম সিকদার, মেহেদী হাসান, সজিব হোসেনসহ গাড়ীর মালিক, চালক, হেলপার ও ভাসমান দোকানদারকে নিয়ে মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সালনা হাইওয়ে থানার ওসি ফিরোজ হোসেন জানান, মহাসড়কের পাশে ফুটপাত ইজারাদার দেওয়া হয়নি।

রাস্তার উপর ও ফুটপাতে কোন দোকানপাট বসানো যাবে না।মানুষ চলাচলের জন্য রাস্তা দখলমুক্ত রাখতে হবে।

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি আটক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় সোমবার (৪ এপ্রিল) মাসুমউজ্জামান (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করেছে হরিপুর থানা পুলিশ।

মাসুমউজ্জামান পাশের উপজেলা পীরগঞ্জের খামার সেনুয়া এলাকার সুলতান আলী তালুকদারের ছেলে।

জানাগেছে, ঘটনার দিন এস আই আবু ইসা, এস আই রাকিবুল ইসলাম,এ এস আই তৌহিদুল ইসলাম সংগীয় ফোস সহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গেদূরা ইউনিয়নের হাটপুকুর এলাকার একটি দোকানের সামনে হতে আাসামী মাসুমউজ্জামান কে ফেন্সডিল বিক্রয় কালে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করেন।

হরিপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আটককৃত মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মাদক আইনে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের গড়েয়া হাটে ড্রেন সংস্কারের অভাবে চরম জনদূর্ভোগ

হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের অন্যতম বড় গড়েয়া হাটটি প্রতি বছর এক কোটি টাকার উপরে সরকারি ভাবে ডাক হয় তার পরেও গড়েয়া হাটের ড্রেন গুলো সংস্কারের অভাবে জনদূর্ভোগ কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও হাট ব্যবসায়ীরা।

সোমবার ৪ এপ্রিল সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে।

সদর উপজেলা এই হাটের পানি নিস্কাসনের জন্য হাটের অর্থায়নে হাটের পূর্ব পার্শ্বে একটি বড় ড্রেন নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয়দের দাবী ড্রেনটি কালভর্টসহ কাজ টি করার কথা থাকলেও তা করেনি, সেই ড্রেনের কাজে অনিয়ম করায় স্থানীয় লোকজন ও স্থানীয় ওয়াড আওয়ামী লীগের নেতা এবং ব্যবসায়ীরা কাজটি বন্ধ করে দেয়।

বর্তমানে সামান্য বৃষ্টিতে হাটের রাস্তা গুলোতে এক হাটু পানি জমে থাকে। বিশেষ করে হাট কমিটির পক্ষ থেকে বছরে এক বারও হাটের ড্রেন গুলো পরিস্কার করা হয়না বলে জানান হাটের ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা আরও জানান যারা গড়েয়া হাট ইজারা নিয়ে থাকেন তার শুধু নিজের স্বার্থে হাটটি ইজারা নেন, হাটের সরকারি জায়গায় তাদের এক এক জনের ২৫/৩০টি দোকান ঘর রয়েছে। তাদের দোকান পাটে যেন কোন রকমের উপরী চাপ না আসে তাই সরকার দলীয় নেতাদের নাম ব্যবহার করে হাটের ডাক নেওয়া হয়। তারপরে হাটের সরকারি পতিত জায়গা দখল করে একাধিক দোকান ঘর নির্মাণ বানিজ্য চলে। হাটের ড্রেন পরিস্কার ও সংস্কারের জন্য সরকারি ভাবে টাকা বরাদ্দ থাকলেও কথাকার টাকা কোথায় যায় কেউ জানেনা।

ব্যবসায়ীরা বলেন,গড়েয়া হাটের ড্রেনের বিষয়ে হাট কমিটির লোকজন কে জানালে তারা এবিষয়ে কোনরকমে কর্ণপাত করেন না।

ড্রেনের বিষয়ে গড়েয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হাট কমিটির সভাপতি রইছ উদ্দিন সাজুর কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন আমি নতুন চেয়ারম্যান। এখনো কোন বরাদ্দ আসেনি কোন বরাদ্দ আসলে আগে হাটের ড্রেন গুলো পরিস্কার ও সংস্কারের কাজ করা হবে।

এ ব্যপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, সংশ্লিষ্ঠ প্রকৌশলীকে বিষয়টি তদন্তের জন্য বলা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালিয়াকৈরে সরকারী বরাদ্দ ১০ টাকা কেজি চাউল টয়লেট থেকে উদ্ধার

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভাস্থ  পূর্ব চান্দরা রেললাইন রমেশের টেক এলাকার মন্দিরের পাশে  পাবলিক টয়লেট থেকে ৭ বস্তা চাউল উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে (৪ এপ্রিল) উপজেলা প্রশাসন হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ১০ টাকা কেজি দরে ৭ বস্তা চাউল চাউল উদ্ধার করেছে।

১০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করার জন্য সরকারী গোডাউন থেকে উত্তোলন কৃত চাল বেশি দামে স্থানীয় ডিলার একজন দোকানদারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন এমন সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে এই চাউল উদ্ধার করেন।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পল্লীউন্নয়ন কর্ম কর্তা আব্দুস সাত্তার, উপজেলা খাদ্য উন্নয়ন কর্ম কর্তা এমদাদ হোসেন।

উদ্ধারকৃত জব্দ চাউল খাদ্য উন্নয়ন কর্ম কর্তা কে বুঝিয়ে দেয়া দেন। এলাকাবাসী জানান, ওই এলাকায় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী রনির ১০ টাকা কেজি চাউল বিক্রয় করার মাহফুজ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ডিলার নিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে চাউল বিক্রি করে আসছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, সরকারি বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি দরে চাউল লোকিয়ে রেখেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চাউল উদ্ধার করে খাদ্য উন্নয়ন কর্ম কর্তা কে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনার সাথে জড়িত কারা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালিয়াকৈরে ৫৬ গজারি বল্লী উদ্ধার

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ৫৬ গজারি বললি উদ্ধার করেছে।

শুক্রবার রাতে উপজেলার জামালপুর চার সড়ক এলাকা থেকে ৫৬ টি গজারি বল্লী উদ্ধার করা হয়।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম দোলনের নেতৃত্বে চন্দ্রা সদর বিট কর্মকর্তা শরিফুর রহমান চৌধুরী উপজেলার জামালপুর চার সড়ক এলাকা থেকে ৫৬ টি গজারি বল্লী উদ্ধার করেন।

বিট অফিসার জানায়, শুক্রবার রাত ১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে উপজেলা জামালপুর চার সড়ক এলাকায় বসুন্ধরা থেকে ৫৬ টি গজারি বল্লী উদ্ধার করা হয়।

এ সময় একটি গর্ত থেকে এসব গজারি উদ্ধার করা হয়।

রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রী কলেজে ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপনী

হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল মহিলা ডিগ্রী কলেজের সপ্তাহব্যাপী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিরতার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে শনিবার ২ এপ্রিল সকাল ১১টায় ওই কলেজ মাঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

কলেজ অধ্যক্ষ মহাদেব বসাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক
মাহবুবুর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম ও পৌর আ’লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারি, ছাত্রী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিরা ছাড়াও অধ্যক্ষসহ কলেজের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সিংগাইরের বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাছ বিক্রির অভিযোগ

সিঙ্গাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

কোন ধরনের দরপত্র ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই একের পর এক গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই। গত তিন মাসে বিদ্যালয়ের প্রায় ৪০/৫০টি গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে শিক্ষকদের দাবি গাছ কেটে বিদ্যালয়ের দড়জা-জানালা তৈরি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ে শতাধিক মেহগনির গাছ রোপন করা হয় প্রায় ৩০ বছর আগে। গাছগুলো বেশ বড় আকৃতি হওয়ায় নজরে আসে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বিল্লাহ হোসেনের। বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই প্রতি নিয়ত গাছগুলো কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।

গত তিন মাস ধরে ৫/৭টি করে প্রায় ৪০/৫০টি মেহগনি গাছ কাটার সত্যাত্য পাওয়া গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। কয়েকটি গাছ দিয়ে বিদ্যালয়ের কিছু দড়জা-জানালা বানালেও বাকি গাছগুলো অন্যত্রে বিক্রি করা অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র রুবেল খান বলেন, প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ম্যানেস করে দড়জা-জনালা বানানোর নাম করে প্রায় ১০ লাখ টাকার গাছ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। বিদ্যালয়ের মাটি ভরাট ও কর্মচারি নিয়োগের ক্ষেত্রেও মোটা অঙ্কের টাকা বানিজ্য করেন বিল্লাল হোসেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান হিরু বলেন, পরিবেশ, বনবিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই গাছগুলো কেটে বিক্রি করা বেআইনি। এবিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ বিল্লাল হোসেনের অফিসে দুই দিন গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম বলেন, ভালো কাজ করলে কিছুটা অনিয়ম করতেই হয়। বনবিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি নিতে গেলে বছরের পর বছর ঘুরতে হতো। তাই একটি রেজুলেশন করে গাছগুলো কেটে বিদ্যালয়ের ভাঙ্গা দরজা-জানালা মেরামত করা হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির আহ্বায়ক (ইউপ চেয়ারম্যান) দেওয়ান জিন্নাহ লাঠু বলেন, এবিষয় আমি মোবাইলে কথা বলতে চাইনা। আমার অফিসে এসে সরাসরি কথা বলুন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ বলেন, বায়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছি। অফিসিয়াল অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটা ঠিক হয়নি। এবিষয়ে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেট...