দেশে খেলা চলছে, নির্বাচনী খেলা ,সবাইকে নৌকা প্রতীক দিয়ে দিলেই হয়:নজরুল ইসলাম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশে খেলা চলছে, নির্বাচনী খেলা। সবাইকে নৌকা প্রতীক দিয়ে দিলেই হয়।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, আজ প্রতিদিন বিরোধী মতের ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রতিদিন আমরা দেখছি একের পর এক মামলায় শুধু পুলিশি সাক্ষীতে সাজা দেয়া হচ্ছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের অপরাধ কী? তারা শুধু গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন।
তিনি বলেন, বার বার প্রমাণ হয়েছে যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই করেছে বিএনপি। আরেকবার গণতন্ত্র খাদে পড়েছে, ফেলা হয়েছে। আমার বিশ্বাস আরেকবার আমরা গণতন্ত্র ফিরে পাব বিএনপির নেতৃত্বে।
বিএনপির চরিত্র বদলায়নি, মানুষের ওপর অত্যাচারই ওদের আন্দোলন: প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে হানাদারদেরর দোসররা ক্ষমতা দখল করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির চরিত্র বদলায়নি। মানুষের ওপর অত্যাচারই হলো ওদের আন্দোলন। নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল তারা, সেটা পারেনি৷ কেননা, জনগণ আমাদের পাশে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও প্রতিহতের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি কবলেন, ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছে। ভোটে জিতবে না জেনেই তারা নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
ভোট চুরির জন্য খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশবাসীর এটা মনে রাখা উচিত। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। দেশবাসী তাদের বিশ্বাস করে না। এদের চরিত্র কখনোই বদলাবে না। তারা নিজেদেরটা বোঝে, জনগণের কল্যাণ তাদের মাথায় নেই।
নির্বাচনে কারচুপি করে জিয়াউর রহমান অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করেছিল বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসতে হবে। ওদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড আর চলতে দেয়া যায় না। নিজেদের হরতাল-অবরোধে নিজেরাই অবরুদ্ধ হয়ে যায় তারা।’
এ সময় বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ সংসদে কথা বলার সুযোগ পায়নি বলেও অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তারা পার্লামেন্টে কথা বলার সুযোগ দিত না। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রের চর্চা করি বলেই, একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির প্রতিনিধিরা ইচ্ছামতো কথা বলেছেন। তাদেরতো আমরা বাধা দিইনি!
কিছু বুদ্ধিজীবী দেশের কল্যাণ বোঝে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন বিদেশের মানুষ বুঝলেও, সাধারণ মানুষ বুঝলেও, কিছু বুদ্ধিজীবী সেটি বুঝতে চান না, বা স্বীকার করেন না। তবে দেশের মানুষ বোঝে কিসে তাদের ভালো হবে।
অগ্নিসন্ত্রাসী ও খুনিদের ১৯ ডিসেম্বরের বিজয় র্যালি থেকে জবাব দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
সাভারে সেলফি পরিবহনের চাপায় এবার প্রাণ গেল শিশুর
সাভার প্রতিনিধি: সাভারে সেলফি পরিবহনের চাপায় তাওহীদ (১১) নামে এক শিশু ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। পরীক্ষার ছুটিতে সাভারে পোশাক শ্রমিক মা-বাবার কাছে বেড়াতে এসে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিশুটির।
শনিবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে লাঙ্গলের মোড়ে এমন ঘটনা ঘটে। পরে রোববার ভোরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
নিহত শিশুটির বাবা মোস্তফা কামাল জানান, তার স্ত্রী শাপলাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি পাবনা থেকে এসে সাভারের গেন্ডা এলাকায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে গ্রামে নানা-নানীর বাড়িতে থেকে সেখানে পড়াশোনা করত। বার্ষিক পরীক্ষার ছুটিতে গ্রামের বাড়ি পাবনা থেকে শনিবার রাতে মা বাবার কাছে সাভারে বেড়াতে আসে সন্তানরা।
তবে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থেকে নেমে তিন সন্তানকে নিয়ে মহাসড়ক পার হয়ে বিপরীত দিকে আসতেই দ্রুত গতিতে ছুটে আসা ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জগামী সেলফি পরিবহনের একটি বাস তাদের বড় সন্তান তাওহীদকে চাপা দেয়। এ সময় মা-বাবার সামনেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায় শিশু তাওহীদ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সেলফি পরিবহনের প্রায় ২০টি বাস আটকে রাখে এলাকাবাসী। এছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি বাস।
সাভার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় নিহত শিশুর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোস্তফা কামাল ও শাপলা দম্পতির বাড়ি পাবনা জেলার সাথিয়া থানার ফকিরপাড়া এলাকায়। জীবিকার প্রয়োজনে দু’বছর আগে সাভার চলে এসে আল মুসলিম গ্রুপের পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন এই দম্পতি।
উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ে সেলফি পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে পথচারী নিহত হন দুই পথচারী। এছাড়াও সেলফি পরিবহনের বেপরোয়া গতিতে বিভিন্ন সময় ঘটেছে বেশ কয়টি দুর্ঘটনা।
ধোঁয়াশা কাটছেই না আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির “আসন বণ্টনের
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুটি আসন ফাঁকা রেখে প্রথমে ২৯৮ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। পরে শরিক দলের জন্য আরও ছয়টি আসন ছাড়ার ঘোণা দেয় দলটি। এদিকে চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে নির্বাচনে ২৮৯ আসনে প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি। তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোট নিয়ে সমঝোতার গুঞ্জন উঠেছে। ২৬টি আসন ছাড়ের কথা শোনা গেলেও দুদলেরই দাবি, জোট নয়, নির্বাচনের কৌশল নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে।
জাতীয় পার্টির দাবি, কোনো আসনেই প্রার্থী প্রত্যাহার করা হবে না। মানুষ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে সরকার গঠন করবে দলটি। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরাও জানান, আসন নয় কথাবার্তা হচ্ছে কৌশলগত বিষয়ে। তবে এখনও সমঝোতার পথ উন্মুক্ত আছে।
ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচনে যাচ্ছে, নাকি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে জোটগতভাবে নির্বাচনে যাচ্ছে তা এখনও দোলাচালে।
ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে শুধু আসন ভাগাভাগির মতো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি জাতীয় পার্টির। তবে ইউরোপীয় সংসদের মতো বিরোধী দল হলেও সিনিয়রদের জন্য আসন ছাড়ের ব্যাপারে আলোচনা করেছে দলটি।
সর্বশেষ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
আওয়ামী লীগের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম। জাতীয় পার্টির পক্ষে ছিলেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ও সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
বৈঠকের বিষয়ে তাৎক্ষণিক দুদলই কিছু জানায়নি। তবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছিলেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। এ বিষয়ে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুদলের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে গণমাধ্যমে ব্রিফ করা হবে।
শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের চুন্নু বৈঠকের বিষয়ে খোলাসা করলেও এখনও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কিছু বলা হয়নি।
জোট নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, কৌশল নিয়ে আলোচনা চলছে দাবি করে জাপা মহাসচিব বলেন, চরম বিরোধী দল হলেও অনেক সময় আসনের জন্য ছাড় দেয়া হয়। সম্মানের জায়গা থেকে ছাড় চাওয়া হচ্ছে। আসন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহারের সব কৌশল তো সামনে আনা যায় না। তবে আগামীকাল আরও তথ্য খোলাসা করা হবে।
২৬ আসনের সমঝোতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চুন্নু বলেন, ‘যে সাংবাদিক সংখ্যাটা উল্লেখ করেছেন তার থেকে নিশ্চয়ই আমি সংখ্যাটা বেশি জানব। কিন্তু সেটা তো না। শুক্রবারের সভার সময় ভেতরে তো কোনো সাংবাদিক ছিলেন না। তবে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) আরও তথ্য খোলাসা করা হবে।’
নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে হুমকি দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে দলের মহাসচিব বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
রাণীশংকৈলে সাড়ম্বরে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালিত
হুমায়ুন কবির,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁয়ের রাণীংকৈলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় শনিবার(১৬ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।
এ উপলক্ষে এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক খুনিয়াদিঘী বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সকল শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল), আ.লীগ সভিপতি, পৌরমেয়র,দুই ভাইসচেয়ার ও ওসিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সকাল ৯ টায় ডিগ্রি কলেজ মাঠে পুলিশ, আনসার ও ছাত্রছাত্রীদের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়। পরে একই মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউএনও রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি ও জেলা আ.লীগ সহ সভাপতি সেলিনা জাহান লিটা, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি ইয়াসিন আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, আ.লীগ সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ সইদুল হক, পৌরমেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, ভাইস সোহেল রানা ও শেফালি বেগম, আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহম্মেদ ও ওসি সোহেল রানা।
আরও বক্তব্য দেন,পৌর আ.লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান,বিদেশী চন্দ্র রায়,রিয়াজুল ইসলাম,মুক্তিযুদ্ধ কালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, প্রেসক্লাব (পুরাতন) সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও কৃষি কর্মকর্তা সহীদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রাহিমউদ্দিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা স্যামুয়েল মার্ডিসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, সামাজিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক ও উপ সহকারী কৃষি অফিসার সাদেকুল ইসলাম। বিকেলে একই মাঠে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় একইমাঠে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত (ভিডিও)
নিজস্ব প্রতিবেদক: যথাযোগ্য মর্যাদায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক – সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেন।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পমাল্য অর্পন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু ,সিংগাইর সারকেল আল ইমরান, সিংগাইর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নুরুউদ্দিন,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল বাশার,সিংগাইর থানা অফিসার ইনচার্জ মোমো: জিয়ারুল ইসলাম ,উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও স্কুল কলেজের শিক্ষক মন্ডলী ও শিক্ষার্থী ।
পরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয় রেলি ও সিংগাইর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ দিবস উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ,শারীরিক কসরত প্রদর্শন,কোরিও গ্রাফি , মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগীতা, পুরুস্কার বিতরন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ আ:কাইয়ুম খান সহকারি কমিশনার(ভূমি) সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী,প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া হয় সংবর্ধনা। এ ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে সরকারি হাসপাতাল ও এতিম খানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন (ভিডিও)
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিবছরের ন্যায় ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নবাসীকে এবারও তাক লাগিয়ে দিলেন তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের “চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর”।
নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়বাসী তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলায়ে মহান বিজয় দিবস পালন করেন।
সকাল ১০.০০ ঘটিকায় তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাতীয় পতাকা উত্তোলন এর মধ্য দিয়ে কর্মসূচীর শুভ উদ্ভোধন করেন। তারপর সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ট বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবর রহমানের সৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান “মোহাম্মদ ফখরুল আলম সমর” এবং তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও অফিস স্টাফগন এবং গ্রাম পুলিশ সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন বঙ্গবন্ধুর সৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।
তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের সকল স্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যলায়ের ছাত্র/ছাত্রীদের নিয়ে কুচকাবাজের আয়োজন করা হয় । এ সময় সকলের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর থেকে একটি আনন্দ র্যালি বের করা হয় ।
শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কোরআন তেলোয়াত ও দোয়া শেষে
আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, স্বাধীনতা বিষয়ক বক্তব্য ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন তেঁতুলঝাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক , ফখরুল আলম সমর , ইউনিয়নের সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিভিন্ন ওয়ার্ড মেম্বার সহ ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম,
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ সুমন, এছাড়াও ইউনিয়ন হকার্স লীগ সহ আওয়ামী অঙ্গ গঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পেঁয়াজের বাজারে ভোক্তার অভিযান, ৮৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশের বাজারে অভিযান চালিয়ে ৮৫ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভোক্তা-অধিকার।
এতে বলা হয়, বুধবার ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এদিন ঢাকা মহানগরীতে অধিদফতরের ৩টি দল বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে। এছাড়াও অন্যান্য বিভাগীয় শহরসহ দেশের মোট ৪১টি জেলায় একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সারাদেশে ৪৩টি দলের অভিযানের মাধ্যমে ৮৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা-অধিকার রক্ষায় অধিদফরের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সারাদেশের বাজারে অভিযান চালিয়ে ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এছাড়া সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সারাদেশের বাজারে অভিযান চালিয়ে ১২২ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা করে সংস্থাটি। রোববার (১০ ডিসেম্বর) ৮০ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ১৩৩ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার।