ধামরাই কালামপুর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন,ধামরাই(ঢাকা)প্রতিনিধিঃ-ঢাকার ধামরাই উপজেলার কালামপুর এলাকায় ভালুম আতাউর রহমান খান স্কুল এন্ড কলেজের জমি দখল করে নির্মাণ করা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে ভালুম আতাউর রহমান খান স্কুল এন্ড কলেজের জমিতে নির্মাণ করা তিনতলা একটি মার্কেট এস্কেভেটর বেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং অবৈধ আরোও বেশ কয়েকটি স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৭০ শতক জমি। পরে এসব জমি ভালুম আতাউর রহমান খান স্কুল এন্ড কলেজে হস্তান্তর করা হয়।ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মাদ হাই জকী বলেন, ভালুম আতাউর রহমান খান স্কুল এন্ড কলেজের আওতাভুক্ত খাসসহ প্রায় ৭০ শতক জমির উপর কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে আসছিল।
এদের অনেকবার সতর্ক করা হয়েছে কিন্তু তারা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেননি যে কারণে আজকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, ধামরাই থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) সুধন চন্দ্র, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মিলন শেখ, ধামরাই পল্লী বিদ্যুৎ ও ধামরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিভিন্ন কর্মকর্তা।
ভোটাধিকার রক্ষায় বাঁশের লাঠি নিয়ে পাহারা বসাবে জনগণ
নীলনকশার ফরমায়েশি তফসিল দেশব্যাপী জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে দাবি করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা বলেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নিশিরাতের ভোটের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর সুযোগ দেবে না জনগণ। প্রয়োজনে ভোটাধিকার রক্ষায় তারা বাঁশের লাঠি নিয়ে পাহারা বসাবে।
বুধবার ঘোষিত তফসিলকে নীলনকশার ফরমায়েশি তফসিল আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সারা দেশে জেলা ও মহানগরীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করে দলটি।
বিক্ষোভ সমাবেশে দরটির নেতারা বলেন, কোমরভাঙা নির্বাচন কমিশন জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে রাতের আঁধারে পুনরায় ক্ষমতায় বসাতে জনমতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফরমায়েশি তফসিল ঘোষণা করেছে। দেশব্যাপী জনগণ এই নীলনকশার তফসিল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তারা বলেন, বিরোধী দলকে বাইরে রেখে কোনোভাবেই দেশের জনগণ নির্বাচন হতে দেবে না। কমিশনকে অবশ্যই সমঝোতায় আসতে হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নিশিরাতের ভোটের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর সুযোগ দেবে না। প্রয়োজনে ভোটাধিকার রক্ষায় দেশের জনগণ বাঁশের লাঠি নিয়ে পাহারা বসাবে। তবুও ফরমায়েশি নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।
নেতারা বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও দেশের জনগণ ভোটাধিকারের জন্য মিছিল-মিটিং করছে, জাতি হিসেবে যা আমাদের জন্য লজ্জার। নির্বাচনী তফসিল বাতিল করে জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় সরকারের দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তারা।
কোথাও কোথাও জেলা প্রশাসনের বাধার মধ্যেও যেসব জেলায় একযুগে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজশাহী মহানগর, জয়পুরহাট, বগুড়া, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, কুমিল্লা প্রভৃতি।
বেড়ে গেছে আটা-ময়দার দাম
চাল-চিনির পর এবার বেড়েছে আটা ও ময়দার দাম। প্রতিকেজিতে বেড়েছে যথাক্রমে ১০ টাকা ও ৫ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর ও রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
দাম বাড়ার তালিকায় এবার যোগ হলো আটা ও ময়দা। সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়ে গেছে খোলা ও প্যাকেটজাত উভয় ধরনের আটা-ময়দার দাম।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজিতে ১০ টাকা বেড়ে খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়; আর প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। তবে গত সপ্তাহে খোলা আটা ৪২ থেকে ৪৫ এবং প্যাকেটজাত আটা ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়ে গেছে এ দাম। প্রতি বস্তায় বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। মূলত পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
ভুল করে এক হাজার কোটি টাকা পাঠাল ব্যাংক
ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ইউসিও’র গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ভুল করে ৮২০ কোটি রুপি ( বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ৯১ কোটি টাকা) দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছ থেকে এই অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমিডিয়েট পেমেন্ট সিস্টেম বা আইএমপিএসের মাধ্যমে অর্থগুলো গ্রাহকদের দিয়ে দেয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত ৬৪৯ কোটি রুপি ফিরিয়ে আনতে পেরেছে ইউসিও ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, বিভিন্ন গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে ৭৯ শতাংশ অর্থ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কী কারণে এতগুলো অর্থ গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে গেল তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
আইএমপিএস প্ল্যাটফর্মটি পরিচালনা করে ভারতের ন্যাশনাল পেমেন্টস করপোরেশন অব ইন্ডিয়া (এনপিসিআই)। এ প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে একটি ব্যাংকের থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে অনলাইনে টাকা পাঠানো সম্ভব।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্রাহকদের কাছে থাকা ১৭১ কোটি রুপি পুনরুদ্ধারের জন্য তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য , ইমিডিয়েট পেমেন্ট সিস্টেম বা আইএমপিএস হলো এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে একটি ব্যাংকের থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে অনলাইনে টাকা পাঠানো সম্ভব। সঙ্গে সঙ্গেই সেই টাকা একজন গ্রাহকের কাছ থেকে অন্য গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে চলে যায়। আইএমপিএস’র মাধ্যমে দৈনিক পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করা যায়।