ঝালকাঠিতে অসহায় এক নারীকে ধর্ষনের অভিযোগ- থানায় মামলা

Loading

ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে আইনি সহায়তা গ্রহন করতে আশা এক অসহায় নারীকে মামলায় সহযোগীতা করার আশ্বাসে বাসায় নিয়ে ধর্ষন করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের।

সদর উপজেলার গাবখান এলাকার মৃত আয়নাল মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লা ওরফে সোহাগ (৩৫) এর বিরুদ্ধে মামলায় সহযোগীতা করার আশ্বাসে স্বামীর নির্যাতনে শিকার হয়ে লালমোহন গ্রাম থেকে আদালতে আইনের আশ্রয় নিতে আসা অসহায় এক নারীকে বাসায় নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে।

০৬/১০/২০১৯ইং তারিখ অসহায় ঐ নারী বাদী হয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় ধর্ষনের অভিযোগে ধর্ষকের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, বাদীনির বোনার বাসার নিকটে এজাহারে উল্লেখিত আসামী শাওন মোল্লা ঝালকাঠি শহরের কাঠপট্টি এলাকার রমজান মিয়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করে। সোহাগের বাসা বাদীনির বোনের নিকটে থাকায় তার বোনের পূর্ব পরিচিত ছিলো। সেই সুবাধে সোহাগ বাদীনিকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন সহ সকল প্রকার সহযোগীতার আশ্বাষ প্রদান করে তার ভারা বাসায় নিয়ে আসে। ২/৩ দিন পর সোহাগ তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়।

সোহাগ তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ী পাঠিয়ে দিলে আমি ঐ দিন বিকেলে শাওন মোল্লার কাছে ফোন দিয়ে ভাবী কখন আসবে জানতে চাইলে তারা সন্ধায় আসবে বলে জানায়। ঘটনা দিন গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ তারিখ সন্ধায় বাদীনি সোহাগের মুঠোফোনে কথা বলে সোহাগ ও তার স্ত্রীকে না নিয়ে সে একাই বাসায় চলে আসে। বাসায় এসে তুমি অসহায়, তোমার জন্য আমার মায়া হয় বলিয়া আমার হাত ধরে। বিষয়টি আমার সন্দেহ হলে আমি তার বাসা থেকে বাহির হয়ে যাইতে চাইলে, সে তার বাসার সকল দড়জা বন্ধ করে তার বাসায় থাকা বড় একটি ( তরকারি কাটার জন্য ব্যবহারিত) বটি নিয়ে এসে জোর করে আমার গলায় ধরে আমি যা বলবো তা তোর শুনতে হবে বলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সেই সাথে গলায় বটি ধরা অবস্থায় আমাকে আমার পরিধেয় বস্ত্র খুলতে বাধ্য করে আমাকে বিবস্ত্র করে আমার অনিচ্ছায় রাত ভর ধর্ষন করতে থাকে।

সকালে আমি আমার বাড়ী যাইতে চাইলে সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার জীবন সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার কথা বলে বিভিন্ন ছলচাতুরী অবলম্বনে আমাকে দীর্ঘদিন তার বাসায় আটকে রেখে ধর্ষন করে। আমি বাসা থেকে বাহির হইয়া যাওয়ার সম্ভাবনা মনে করে সে রাতে ছলচাতুরী করে কৌশলে আমাকে ঘুমের ঔষধ খাওয়াতো এবং প্রতিদিন সকালে সে বাসার দড়জা তালাবদ্ধ করে বাহিরে যেত। আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হইলে চিকিৎসা করার কথা বলে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা হাসপাতালে যাই। সেই ফাঁকে সোহাগ তার ভাড়া বাসা ছাড়িয়া অনত্র চলে যায়। আমি বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করতে গেলে সে মিথ্যা কাবিন নামা সহ বিভিন্ন কাগজে আমার স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে সান্তনা দেয়।

গত ০৪ /১০/২০১৯ইং তারিখ আমি তার ব্যবহারিত মুঠো ফোনে কল দিয়া দীর্ঘ ২০ মিনিটের অধিক কথা বলি। কথা বলার সময় সে আমাকে প্রান নাশের হুমকি প্রদর্শন করে কাহারো কাছে কিছু বলবো না বলে সব কিছু ভুলিয়া যাইতে বলায় আমি নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ করি।