ডাকসু নির্বাচন বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

Loading

ডাকসু নির্বাচন বাতিলের দাবিতে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

ডাকসু নির্বাচন বাতিলের দাবিতে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সকাল থেকেই নির্বাচন বর্জনকারী পাঁচ প্যানেল রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেয়। দাবি মেনে নেয়ার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

বুধবার দুপুরে (১৩ মার্চ) উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুরসহ পাঁচ প্যানেলের ১০ প্রতিনিধি।

এদিকে কোনো বিশৃঙ্খলা মেনে নেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপাচার্য।

পরে পাঁচ প্যানেলের দু’জন করে প্রতিনিধি উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যান।  তাদের সঙ্গে যোগ দেন নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর।

স্বতন্ত্র জোট ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অরনি সেমন্তি খান বলেন, শনিবারের মধ্যে পুনঃতফসিল ঘোষণা না হয়, যারা এই কারচুপির সাথে জড়িত তাদের পদত্যাগ এবং যত মিথ্যা মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।

প্রগতিশীল ছাত্রজোট ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী লিটন নন্দী বলেন, নির্বাচন পরিচালনার সাঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের পদত্যাগ করে নতুন করে তফসিল ঘোষণা এবং মামলা প্রত্যাহার না করলে, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দিবো।

মুহসীন হলে সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলেন নূর। এসময় তিনি পুনঃনির্বাচনের আন্দোলনের সাথে থাকার কথা বললে ।

তিনি বলেন, কারচুপির মধ্যেও আমি ভিপি নির্বাচিত হয়েছি। ফেয়ার ভোট হলে আমি আরো ৫ হাজার ভোট বেশি পেতাম। আমার পদকে আমি বড় মনে করিনা, যেহেতু শিক্ষার্থীদের চাওয়া সকল পদে পুনঃনির্বাচন, আমি তাদের দাবির সাথে সহজমত পোষণ করে বলছি সকল পদেই পুনঃনির্বাচন দিতে হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুনর্নির্বাচনের আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে, ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক শোভনের পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করে ভোটারদের রায় মেনে নেবার আহ্বান জানিয়েছেন ডাকসুর নতুন এজিএস এস সাদ্দাম হোসাইন।

তিনি বলেন, যে শতভাগ ভোট পাবার কথা ছিল প্রোপাগান্ডাভিত্তিক রাজনীতি এবং কুয়েত মৈত্রী হলে ব্যালট পেপার উদ্ধার করে মিডিয়া ট্রায়ালসহ কয়েকটি কারণে ডাকসু ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক শোভনের পরাজয় হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্থিতিশীল, শৃঙ্খলাপূর্ণ, ভালো একটি সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ বিরাজ করছে। এখানে কেউ কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে সেগুলো কোনো ক্রমেই বিশ্ববিদ্যালয় সহ্য করবে না। অপরাধমূলক কোনো কাজ সংগঠিত হলে সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন উপাচার্য।

আবার ভোটের দাবিও নাকচ করে দেন উপাচার্য।