ধামরাইয়ে সাবেক চেয়ারম্যানের লালসার স্বীকারে ৯ মাসের অস্তসত্তা এক নারী।

Loading

মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন(ধামরাই প্রতিনিধি)ঢাকার ধামরাইয়ে নান্নার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের লালসার স্বীকারে এক নারী ৯ মাসের অন্ত:সত্বা হয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে সাবেক ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

পরে ঐ নারী উপায়ন্তর না দেখে থানায় মামলা করেন সাবেক ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এখন সেই মামলা তুলেনিতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে চেয়ারম্যান। সাবেক এই চেয়ারম্যান নান্নার ইউনিয়নের নান্নার গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন দফাদারের ছেলে আবুল বাশার ওরফে বাদশা মিয়া।

ওই নারী সাবেক এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, বাদশা আমাকে পূর্বের স্বামীর কাছ থেকে ছাড়িয়ে এনে আমাকে মিথ্যা ও ভুয়া একটি কাবিন নামায় সাক্ষর করিয়ে আমাকে প্রথম বিয়ে করে। সেই কাবিনে মোহরানার টাকার পরিমান ছিল ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।

সেই কাবিনে বাদশার নাম ঠিকানা ভুল দেয়। বাদশা তখন আমাকে নিয়ে আশুলিয়া থানার বাদাইল এলাকায় থাকে আর আমি একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করি। পরে আমার পরিবার বিষয়টি জানতে পারলে বাদশা চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে পূণরায় শরিয়ত মোতাবেক ৫ লক্ষ টাকা কাবিন করে আমাকে বিয়ে করে।

এখন আমি ৯ মাসের অন্ত:সত্বা। কান্না জর্জরিত কন্ঠে আরো বলেন, আমার পেটের বাচ্চা এখন নড়াচড়া করছে না। তাকে গ্যাস দেওয়া দরকার।যাইতে পারছি না। কারন, বাদশা আমাকে ও আমার ভাইকে হুমকি দিচ্ছে।

মামলা তুলে না নিলে যেখানে পাবে সেখানে হাত পা কেটে ফেলার ভয় দেখাচ্ছে। বাদশা চেয়ারম্যান তার সন্ত্রাসী বাহিনীর একজন নান্নার ইউনিয়নের খালেকের ছেলে রফিক ও অপরজন একই ইউনিয়নের রহমানের ছেলে আলাল সব সময় আমাদের বাড়ির খেয়াল রাখছে ,কখন আমরা বাড়ির বাইরে যাই। সে খুব ভয়ঙ্কর লোক। এবার নান্নার ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারলণ সম্পাদক প্রার্থী আমার স্বামী সাবেক চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া।কিন্তু মেয়ের মামা আব্দুল খালেক বলেন, প্রথম বার আমার ভাগ্নীকে ভুয়া কাবিন নামা করে বিয়ে বাদশা চেয়ারম্যান।

পরে আমরা জানতে পেরে আবার তাকে ৫ লক্ষ টাকার কাবিন করে দ্বিতীয়বার তাকে বিয়ে দেই। এখন আমার ভাগ্নীর গর্ভে বাচ্চা । বাদশা সেই বাচ্চাকে অস্বীকার করছে এবং আমাদের সবাইকে হুমকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছি।

এ ব্যাপারে কাজী আমজাত হোসেন বলেন, আমি আবুল বাশার বাদশা ও লিপি আক্তারের বিয়ে পড়িয়েছি। বিবাহের ঘটনা সত্য। এ বিষয়ে সাবেক ঔই চেয়ারম্যান আবুল বাশার বাদশা ঘটনা অস্বাীকার করে বলে আমাকে যড়যন্ত্র করে ফাসানোর জন্য এমন অভিযোগ করছে লিপি আক্তার।

সে এক জন খারাপ মহিলা।এই ব্যাপারে মামলার আয়ু ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক(এসআ্ই) মোঃ রিপন হোসেন বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশার বাদশার বিরুদ্ধে লিপি আক্তার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে। মামলা নাম্বার -৯।

আমরা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দিপক চন্দ্র সাহা বলেন, সাবেক চেয়ারমান বাদশার বিরুদ্ধে মেয়েটি একটি অভিযোগ করেছে।তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।