বেতন বৈষম্য দুর করার দাবীতে রাজশাহীতে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন ।

Loading

রাজশাহীর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতির দাবীতে মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর প্রাইমারী টিচার্স টেনিং ইনস্টিটিউটের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে রাজশাহী জেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সমিতির দাবি এতে প্রায় তিন হাজার শিক্ষক অংশ নেন।

শিক্ষক নেতারা জানান, বর্তমানে একজন প্রধান শিক্ষক যে স্কেলে চাকরী শুরু করেন, একজন সহকারী শিক্ষক সেই স্কেলের এক গ্রেড নিচে চাকরী শেষ করেন, যা সহকারী শিক্ষকদের জন্য চরম বৈষম্য। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে তাদের কোন বেতন বৈষম্য ছিল না। এখন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের থেকে সরকারী শিক্ষকদের গ্রেড ৩ ধাপ নিচে। এই বৈষম্য দুর করা জরুরী।

সহকারী শিক্ষক নেতারা আরো জানান, তারা ২০১৪ সাল থেকে বেতন বৈষম্য নিরসনের বিষয়ে আন্দোলন করে আসছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ২৩ ডিসেম্বর লক্ষাধিক সহকারী শিক্ষক ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে বসলে ২৫ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে শিক্ষকরা অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেন।
বেতন বৈষম্য দুর করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ও নির্বাচনের পূর্বে প্রদত্ত অডিও ভয়েস কলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বেতন বৈষম্য দুর করবেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চান তারা। স্কুলগুলোতে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করারও বিরোধীতা করেন শিক্ষকরা। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে শতভাগ পদোন্নতিসহ ১১তম গ্রেডে বেতন প্রদানের দাবী জানায় সহকারী শিক্ষকরা।

বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন শিক্ষক নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সমিতির পবা উপজেলা শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, তানোর উপজেলা শাখার সভাপতি শফিউর রহমান, দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন, শারমিন আকতার, সেলিনা বেগম, খালেদা নাজনীন।
আরো উপস্থিত ছিলেন, বাগমারা উপজেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ যুবায়ের মো. কিবরিয়া, পুঠিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী, শিক্ষক নেতা আমিনুল ইসলাম, ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, শাহাদৎ কবির, শাহাবুল, নুর হোসেন ডলার, হারুন-অর-রশিদ, সিহাব উদ্দিন, কবিরুল ইসলাম, সুমিত কুমার, এরশাদ আলী, তোফাজুল ইসলাম, আফারুল ইসলাম প্রমুখ।