বেনাপোলে পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে আসামী হলেন বাড়ীওয়ালা ।

Loading

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবার বেড় গ্রামের বাসিন্দা বাড়ীওয়ালা মোছাঃ রিপা খাতুন(৩০) ও আলামিন(২৫) পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে ভাড়াটিয়া কর্তৃক মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়েছেন।

বেনাপোল পোর্ট থানা সুত্রে জানা গেছে যে, শার্শা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহানাজ খাতুন(৩৫)। শাহানাজ খাতুনের পেশা ছিল ভারত থেকে অবৈধ ভাবে ভারতীয় মালামাল এনে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বেচাকেনা করা। ভবারবেড় গ্রামটি সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় তিনি রিপা খাতুনের বাসা ভাড়া নেন এবং দীর্ঘ দিন যাবৎ সেখানে তিনি বসবাস করতে থাকেন।

চতুরাঙ্গ শাহানাজ খাতুন বাড়িওয়ালা রিপা খাতুন ও ভবারবেড় গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা আলামিন এর নিকট থেকে ব্যবসার কথা বলে নগদ ও ভাড়া বাবদ ৬৫ হাজার টাকা গ্রহন করে। দীর্ঘ দিন যাবৎ ব্যবসার ও বাড়ী ভাড়ার টাকা টাকা ফেরত না দিয়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে। বাড়ীওয়ালা রিপা খাতুন ও আলামিন বারবার শাহানাজ খাতুনকে চাওয়া সত্তে¡ও সে টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ছলচাতুরী করতে থাকে।

রিপা খাতুন বলেন,ঘটনার দিন শাহানাজ খাতুন ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে আসিলে তার সাথে আমার হঠাৎ দেখা হয়ে যায় তখন আমি পাওনা টাকা চাহিলে শাহানাজ খাতুন আমাকে বলে আমার বাসায় এসে কথা বলবে। তিনি আরো জানান, সেই মোতাবেক স্থানীয় বান্দিাদের সামনে শাহানাজ খাতুনের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে রান্না করা হাড়ি পাতিল দিয়ে নিজেই নিজের কপালে আঘাত করতে থাকে। এতে করে আমি ভয়ে বিহম্ব হয়ে পড়ি। তার শাহানাজ খাতুন(ভাড়াটিয়া)চিৎকার চেচামেচি করে সেখান থেকে চলে আসে। পরে আমি জানতে পারি শাহানাজ খাতুন মিথ্যা কার সাজি করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই ঘটনাকে মিথ্যা সাজিয়ে চালাক চতুর শাহানাজ খাতুন বেনাপোল পোর্ট থানায় আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করে।

এব্যাপারে শাহানাজ খাতুনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন রিপা খাতুন আমার নিকট পাওনা কিছু টাকা পাবে। সে আমাকে রাস্তা থেকে জোর করে ধরে নিয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন দিয়ে আমাকে মারধর করে। আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি আছি এখন আমি আর কোন কথা বলতে পারবো না বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়,ভাড়াটিয়া শাহানাজ খাতুন মিথ্যাবাদী, বাড়িওয়ালা রিপা খাতুনের বাড়িতে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।এমন কিছু আমরা চোখে দেখিনি, গ্রামবাসি এই মিথ্যা সাজানো নাটক বলে এই এলাকার সাধার মানুষ জানিয়েছেন।