রাণীশংকৈল পৌরসভাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠনের অভিযোগে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ।

Loading

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ- ঠাকুরগাওঁয়ের রাণীশংকৈল আসন্ন উপজেলা আ’লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে পৌরসভাসহ ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্বে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মোসাররফ হোসেন বুলুসহ উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ।

২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি সেলিনা জাহান লিটা ,উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আব্বাস আলী, যুগ্ন-সম্পাদক আনিসুর রহমান বাকী, সদস্য বাবর আলী,নন্দুয়ার ইউপি আ’লীগ যুগ্ন সম্পাদক আল্লামা ইকবাল, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ সদস্য এখলাসুর রহমান লিটন,আ’লীগ সদস্য ও সাবেক ভিপি কামাল হোসেন , আ’লীগ নেতা কুমমত আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া হাবিব ডন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, যুবলীগ নেতা শাহনেওয়াজ, পদ বঞ্চিত ওয়ার্ড নেতা কৃষ্ণ বসাক, আব্দুল মতিন ও মানিক প্রমূখ।

smart

লিখিত সংবাদ সম্মেলনে মোসাররফ হোসেন বুলু বলেন, উপজেলা আ’লীগের আসন্ন কাউন্সিলকে ঘিরে জেলার নির্দেশে ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড কমিটি গঠন প্রক্রিয়া চলছে। এ সম্মেলন প্রক্রিয়ায় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহম্মেদ হস্তক্ষেপ করছেন। তারা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বিএনপি-জামায়াত ও জাতীয় পাটির লোকদের দিয়ে অনুগত কমিটি গঠন করছেন এবং তাদের আজ্ঞাবহ লোকদের দিয়ে রাতের আঁধারে তাদের একক মতের ভিত্তিতে অনিয়মের মধ্যদিয়ে পৌরসভাসহ বিভিন্ন উনিয়নের ওয়ার্ড সভাপতি-সম্পাদকের নাম ঘোষনা করে যাচ্ছেন।

এদের অনেকেই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি এমনকি জুয়া ও দাদন ব্যবসায়ী হিসেবে এ উপজেলায় পরিচিত মুখ। তাদেরকে অনেকেই চিনে এবং জানে। এসব কমিটি করে আ’লীগের অনুপ্রবেশ কারীদের বিস্তার ঘটাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন-সম্পাদক আনিসুর রহমান বাকী বলেন,২০১২ সালের পর উপজেলা আ’লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে বিভিন্ন অনুপ্রবেশকারী বিএনপি-জামায়াত ও জাতীয় পার্টির লোকদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে ।

তিনি আরো বলেন, উপজেলা কমিটির আহম্মেদ হোসেন বিপ্লবের বাবা ছিলেন ওয়াকার্স পার্টির নেতা এবং বিপ্লব নিজেও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক হওয়ার পূর্বে আ’লীগের রাজনীতিতে কোনভাবেই জড়িত ছিলেন না, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু শাহীন করতেন ছাত্র ইউনিয়ন, দপ্তর সম্পাদক রবিউল ইসলাম পূর্বে ছিলেন জাপা নেতা , উপজেলা আ’লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকার, আবুল কাশেম, রেজাউল করিম মুকুল, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক এম এ মমিন , সদস্য মোকসেদুর রহমান পূর্বে করতেন কমিউনিষ্ট পার্টি, যুব ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান করতেন ছাত্র সমাজ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম ছিলেন শিবির নেতা ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য আব্দুর রশিদ ছিলেন ছাত্র সমিতির নেতা। একই কায়দায় এবারো উপজেলা আ’লীগের কমিটি নিজের আজ্ঞাবহ লোকদের দিয়ে করার উদ্দেশ্যে এবং নিজে পূনরায় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি হওয়ার আশায় অধ্যাপক সইদুল হক অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বাড়িতে ও পার্টি অফিসে বসে ওয়ার্ড কমিটি গুলোর সভাপতি সম্পাদক মনোনীনত করে পৌরসভাসহ ইউনিয়ন নেতাদের দিয়ে, তা ঘোষনা করাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। কেন্দ্রের এবং জেলার নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নে বর্ধিত সভার পর ঐ ইউনিয়নের সভাপতি-সম্পাদকের মাধ্যমে ত্যাগী কর্মিদের নিয়ে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হচ্ছে।