লকডাউনে যোগ হলো বৃষ্টি প্রশাসন কঠোর অবস্থানে

Loading

সৌমেন মন্ডল,রাজশাহী ব্যুরোঃ করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে জারি করা সর্বাত্মক লকডাউনের অষ্টম দিনে সকাল থেকে রাস্তাঘাট ছিল একেবারেই ফাঁকা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার সঙ্গে ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি থাকায় লোকজন ঘর থেকে বের হয়নি। রাজশাহীতে অনেকটাই ঘরবন্দী ছিল মানুষ।

ফুটপাথে মানুষের চলাচল ছিল একেবারেই কম। কাঁচা বাজারেও ছিল না বাড়তি ভিড়। জিনিসপত্রের দামও ছিল নাগালের মধ্যেই। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চেকপোস্টে কড়াকড়িও ছিল আগের দিনের মতোই।

কঠোর লকডাউনে রাস্তায় যাত্রী না থাকলেও বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা নিয়ে বের হতে দেখা যায় অনেক রিকশাওয়ালাকে। বৃষ্টিতে ভিজে তারা রাস্তায় বেরিয়েছেন পেটের দায়ে।

লকডাউনের ৮ম দিনে কোট, সিএনবি, লক্ষীপুর, মনিচত্ত্বর, জিরোপয়েন্ট, তালাইমারি, ভদ্ররা, শিরোইল বাস স্ট্রান্ড ও নিউমার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট আছে, ব্যারিকেড আছে। যানবাহনে তল্লাশি আগের দিনের তুলনায় কম ছিল। সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সারা দেশেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

উপজেলা থেকে ৩০-৪০ জন দিনমজুর কে রাজশাহীর বহরমপুর মোরে বসে থাকতে দেখা গেছে।তারা সময় সংবাদ.কম কে বলেছে আমরা প্রতিদিন আয় করে তারপর ভাত খাই।কয়েকদিন থেকে কাজ নাই লকডাউন চলছে আজ আবার বেঠা বৃষ্টি কনে যাবো বল দেখি।তোরা তো সুখে আছোস।গোদাগাড়ি থেকে আসা মৃদুল নামের এক দিনমজুর বলে আমার বাড়িতে চারজন সদস্য, আমিই কাজ করি কয়েকদিন তেমন কাজ ছিল না আজ আবার বৃষ্টি, তারউপর লকডাউন কোন দিকে যাবো আমরা।আমরা কাজও চাই করোনা থেকে বাঁচতেও চাই।

রাজশাহীতে আগের দিনের মতই বিভিন্ন মোড়ে দেখা গেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে।পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি আরএমপি ডিবি পুলিশের গাড়িও টহল দিচ্ছে রাস্তাই।