সাভারে অপহরণের ১৭ দিন পরে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।

Loading

বিপ্লব,সাভার ঃ অপহরণের ১৭ দিন পরে সাভারে এক গার্মেন্টস শ্রমিকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।

রবিবার বিকেলে সাভারের হেমায়েতপুর হযরতপুর সড়কের আলগীরচড়ের বুড়িগঙ্গা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি জানায়,সাভারের হেমায়েতপুরের নিজ ভাড়া বাড়ি থেকে চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক রাব্বী হোসেনকে (২১) মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে অপহরণ করেন তারেই ভাড়া বাড়ির প্রতিবেশী যুবক রাসেল ও মামুন। পরে মুঠোফোনে ওইদিনেই গার্মেন্টস শ্রমিক রাব্বীর বাবার কাছে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারী রাসেল ও মামুন।

এসময় মুক্তিপণ না পেয়ে ওই দিনেই দুই অপহরণকারী রাব্বীকে হেমায়েতপুরের একটি বাড়িতে নিয়ে ছয়টি ঘুমের ঔষধ সেবন করান। পরে রাব্বী কয়েক ঘন্টা পরে জ্ঞান ফিরে ফেলে চিকৎকার ও চেঁচামেচি শুরু করলে দুই অপহরণকারী রাব্বীকে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গভীর রাতে লাশ বস্তায় ভরে মোটরসাইকেলে করে হেমায়েতপুর হযরতপুর সড়কের আলগীরচড়ের বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়।

এর পর আবারও অপহরণকারীরা নিহতের বাবার কাছে মুঠোফোনে তিন লক্ষ টাকা দাবি করেন। পরে নিহতের বাবা নুর হোসেন ২৭ নভেম্বর অপহরণকারী রাসেল ও মামুনকে আসামী করে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে গতকাল গভীর রাতে ময়মনসিংহ জেলার কাউনিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে মুল অপহরণকারী রাসেল ও রাসেলের বাবা শাহাজানকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আটক করে।

আজ অপহরণকারী রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে ডিবি পুলিশ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহত ওই গার্মেন্টস শ্রমিকের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন থানার গনেশপুর গ্রামে।

অন্যদিকে সাভার বাজার বাসষ্ট্যান্ডের সিটি সেন্টারের সামনে থেকে মোস্তাক হোসেন মুন্না (২৫) এক কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ। নিহত ওই কলেজ ছাত্র দুরপাল্লার যাত্রীবাহী হানিফ পরিবহনের চাপায় মারা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এবিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির ওসি নাজমুল হাসান বলেন,এঘটনায় অন্যজন অপহরণকারী মামুনকেও আটক করতে তারা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।