২৭ মণ ওজনের যুবরাজ: বিক্রি নিয়ে অনিশ্চয়তায় খামারি বাদল

Loading

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ চিকচিকে কালো আর নজরকাড়া বিশাল আকৃতির যুবরাজ। সম্পূর্ণ দেশিয় পদ্ধতিতে বাড়িতে লালন পালন করা যুবরাজ এখন বিক্রির জন্য প্রস্তুত। বিশালাকৃতির এ যুবরাজকে পরম মমতায় বড় করে তুলেছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার সৌখিন খামারি বাদল খন্দকার।

যেমন নাম তার তেমনি আচরণ। অনেকটা রাজকীয় হালেই লালন-পালন করা হয়েছে এই যুবরাজকে। দিনের বেশিরভাগ সময় ফ্যানের নিচে শীতল হাওয়ায় রাখতে হয় তাকে। যুবরাজের খাওয়া-দাওয়ায়ও রুচির পরিচয় মেলে। প্রতিদিন স্বাভাবিক খাবারের সঙ্গে দিতে হয় কলা, ছোলা ও মুসুর ডাল। এটি গাইবান্ধা জেলার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশু। প্রায় চার বছরে গরুর ওজন হয়েছে ২৭ মণ।

স্থানীয়ভাবে ২৭ মন ওজনের কালো রঙের দৃষ্টিনন্দন এই যুবরাজের দাম হাঁকা হচ্ছে ৯ লাখ টাকা। বিশালাকৃতির যুবরাজকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে দূর-দূরান্তের ক্রেতারা। আর যুবরাজকে দেখতে স্থানীয় উৎসুক জনতার ভিড় তো লেগেই আছে। তবে স্থানীয়ভাবে কোনো ক্রেতাই কাঙ্খিত দাম না করায় যুবরাজকে বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন খামারী বাদল খন্দকার। করোনার বিপর্যয়ে স্বপ্নের যুবরাজকে বিক্রি করার সেই আশা এখন যেন হতাশায় পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে যুবরাজকে গোসল করানোর পর সাজিয়ে দিচ্ছেন মালিক বাদল খন্দকার। পরে তাকে খাবার হিসেবে দেয়া হচ্ছে কলা ও ভুষি। আর যুবরাজের ঘরে বৈদ্যুতিক পাখা লাগিয়ে শীতল হাওয়া দেয়া হচ্ছে। তার থাকার ঘরটি একদম পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন। একটু পরেই বেশকিছু দর্শনার্থী এলেন বিশালাকৃতির যুবরাজকে দেখতে। অনেকেই যুবরাজকে দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করে মালিকের প্রশংসা করেন।

আকাশ নামের এক দর্শনার্থী বলেন, এতবড় বিশাল গরু আমার জীবনে দেখিনি। নজরকাড়া সৌন্দর্যের এই গরু লালন-পালনকারী মালিকের ধৈর্য আছে।
সাইফুল নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, দেশিয় পদ্ধতিতে যে এত বড় গরু লালন-পালন করা যায়, জানতাম না। আমার জীবনে প্রথম চোখে দেখা বিশাল আকৃতির গরু। গরুর মালিকের চাহিদা আর ধৈর্য অনেক বেশি।

এ ব্যাপারে যুবরাজের মালিক বাদল খন্দকার জানান, বাড়িতে পালন করা ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী থেকে যুবরাজের জন্ম। জন্মের পর এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে সবার নজর কাড়ে যুবরাজ। যুবরাজের বয়স এখন প্রায় চার বছর। ওজনে ২৭ মণ। প্রতিদিন যুবরাজের পেছনে ব্যয় হয় সাড়ে তিনশ থেকে চারশ টাকা।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে যুবরাজকে বিক্রি করা নিয়ে চিন্তায় আছি। আশা করেছিলাম অন্তত ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করা যাবে। কিন্তু করোনাকালে কেউ কাঙ্খিত দাম বলেনি। সব হাটে যুবরাজকে নিয়ে যাওয়া কষ্টকর। একদিকে অর্থ ব্যয় হয় অন্যদিকে কেউ কাঙ্খিত দাম বলে না।