সাভারে বস্তাবন্দী নারীর লাশ উদ্ধারের ৭ দিন পর জড়িত ৩ জন গ্রেপ্তার

Loading

বিপ্লব , সাভার : গত ২৮ ডিসেম্বর সাভার পৌর এলাকার জামসিং মহল্লায় পরিত্যক্ত ভবন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বস্তাবান্দী লাশ উদ্ধারের এক সপ্তাহ পর উদঘাটন হয় হত্যাকান্ডের রহস্য। সপ্তাহব্যাপী পুলিশি তদন্তের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সাভার ও কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করা হয়। আটকৃতরা হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।শনিবার রাতে আটকের পর রোববার দুপুরের তাদের আদালতে পাঠায় সাভার মডেল থানা পুলিশ। আসামীরা হলো- সাভারের জামসিং এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে জনি ও একই এলাকার শুকুর আলীর ছেলে সেলিম। অপরজন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার লক্ষীবরদী গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে জুয়েল।

পুলিশ জানায়, গত ২৮শে ডিসেম্বর সকালে সাভারের জামসিং এলাকায় অজ্ঞাত পরিচয়ে এক নারীর বস্তাবন্দি অবস্থায় হাত ও মুখ বাধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের পর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। এরপর হাতের ছাপ সংগ্রহসহ বিভিন্ন চেষ্টার পর অবশেষে প্রযুক্তির সহায়তায় অজ্ঞাত নারীর পরিচয় মেলে এবং তাকে হত্যাকারীদের তথ্য আসে পুলিশের হাতে। পরে সাভার ও নারায়নগঞ্জ থেকে জড়িতদের আটক করা হয়।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মলয় কুমার সাহা জানান, কৌশলে ওই নারীকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে আসামীরা। ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে ফেলে যাওয়া হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে আলামত পাওয়া যাচ্ছে।

অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার হওয়া সেই নারীর নাম টুকটুকি বেগম। সাভার পৌর এলাকার জামসিং মহল্লায় পোশায় হাকার মিল্লাত মিয়ার স্ত্রী সে। তাদের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায়।