ঝালকাঠি জেলা যুব মহিলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা শরীফের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী

Loading

ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি: ঝালকাঠি জেলা যুব মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা শরীফকে জড়িয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে জনৈক পারভিন বেগম (৩০) বাদী হয়ে দায়েরকৃত কথিত ‘মধ্যযুগীয় নির্যাতনের’ মিথ্যা মামলা করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি ।

সাংবাদিকদের সাথে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি ঘটনার দিন ও সময়ে ঢাকা এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ে একটি কাজের জন্য অবস্থান করছিল যাহা প্রমান রয়েছে জানিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানিয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় আলাপকালে তিনি বলেন, শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি এক ব্যবসায়ীর পরিবারে দুই স্ত্রীর মধ্যে সংগটিত ঘটনার আমি সংবাদ মাধ্যম ও ফেজবুক মারফত জানতে পারলেও ঘটনার দিন ও সময়ে আমি ঝালকাঠিতে ছিলামই না। আমি একটি ঠিকাদারী কাজের বিষয়ে ৩০ আগষ্ট বিমানের টিকিট কেটে বরিশাল অবস্থান করি ও পরের দিন সকালে ঢাকা যাই। সেখানে এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ে একটি কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট পিডির সাথে সাক্ষাৎ করি ও কয়েকদিন পর ঝালকাঠি আসি।

কিন্তু অজ্ঞাত কারনে মামলার বাদী ও তার সহযোগী একটি কুচক্রি মহল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক ভাবে আমাকে দায়েরকৃত মামলার ৫নং আসামী তালিকাভূক্ত করে। এমন কি মামলায় উল্লেখ করে ২নং আসামী আমাকে কেচি আনতে নির্দেশ দিলে আমি একটি কেচি সংগ্রহ করে তার হাতে দিলে সেটা দিয়ে বাদীর চুল কেটে দেয়া হয়। যাহা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।

তিনি আরো বলেন, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র মূলক উক্ত মামলায় বাদীর ওয়ারড্রপ থেকে আমি তিন ভরি স্বর্নালংকার লুটে নিয়ে শাড়ীর আচলে বেধে রাখি বলে মনগড়া কাহিনীর অবতারন করে আমাকে অন্যায় ভাবে রাজনৈতিক ও আইনীভাবে হয়রানির নোংরা ষড়যন্ত্র চালায় বলে দাবী করেন তিনি ।

সেই সাথে ঝালকাঠি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের অনুরোধ করেন। তাছাড়া জেলা যুব মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা শরীফকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়েরের নেপথ্যে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

তিনি আরো জানান, ঘটনার বিষয় কিছুই জানেন না এবং ঘটনার সময় তিনি ঝালকাঠি জেলায়ও ছিলেন না এ বিষয় তার প্রমান আছে। বিমানের টিকিট ও ঢাকায় অবস্থান সহ সকল প্রমান থাকা সত্তেও তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দাবী করেন।

অপরদিকে মামলার বাদী ঘটনার পর দেওয়া সাক্ষৎকারে ফাতেমার নাম বলেননি হঠাৎ মামলায় উর্দেশ্যমুলকভাবে ফাতেমা শরীফকে আসামী করা হয় বলে জানান তিনি ।