তালতলীতে কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছাকে কেন্দ্র দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ১৫

Loading

মৃধা শাহীন শাইরাজ,তালতলী বরগুনাঃ বরগুনার তালতলীতে ছাত্রদলের মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জনানোকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।মঙ্গলবার (২১জানুয়ারি) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার মালিপাড়া ছালেহিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার হল রুমে ছাত্র দলের মতবিনিময় সভায় এ ঘটনা ঘটে।

ছাত্রদল সূত্রে জানা যায়, জেলা ছাত্রদল ঘোষিত জেলার প্রতি উপজেলায় ছাত্রদলের এক মতবিনিময় সভার আয়োজন কর করা হয়। এ মতবিবিনিময় সভায় অংশ নেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম জাকির,যুগ্ন সম্পাদক শ্যামল,সহ সম্পাদক ইছামন্ড ইজাজ,সহ সাংগঠনিক মাহফুজুল আলম মিঠু প্রমুখ। আরও ছিলো জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ।এ মতবিনিময় সভা শুরুর প্রথম দিকে উপজেলা ছাত্রদলে সভাপতি আসিকুর রহমান অসিম ও ছাত্রদল নেতা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের দুই গ্রুপের প্রভাব বিস্তার করার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ফুলের শুভেচ্ছাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় এতে ছাত্রদলের ১৫ কর্মী আহত হয়।

আহতরা হলো উপজেলা ছাত্রদলের সিঃ সহ সভাপতি রাসেদুজ্জামান রাসেল হাং,মোঃ আরিফ রাজা, মোঃ সজিব,মোঃ বায়জিদ, মোঃ রাজ্জাক, মোঃ মাসুদ, মোঃ সোহাগ, মোঃ সাইফুল, মোঃ সাইদুল,মোঃ মামুন,মোঃ বেল্লাল, মোঃ ইমাম, মোঃ জাহিদ, সহ ১৫ জন ।

নাম প্রকাশ না করতে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান মতবিনিময় সভায় ছাত্রদল নেতা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থনকারীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রথমে শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে ছাত্রদল সভাপতি অসিম সমর্থনকারীদের সাথে কথার কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অসিম গ্রুপের উপর হামলা চালায় মোস্তাকের গ্রুপের লোকজন।

এদিকে বিভিন্ন মিডিয়ার কর্মী এই সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের সমর্থনকারী সেকান্দার কসাইয়ের ছেলে রাকিব কসাইসহ একাধিক ছাত্রদল সদস্যরা সাংবাদিকদের সাথে অশালীন ভাষায় আচারন করেন। এতে সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া এশিয়ান টেলিভিশনের তালতলী প্রতিনিধি জালিলুর রহমান এবং দৈনিক আমার সময় পত্রিকার প্রতিনিধি কে.এম রিয়াজুল ইসলাম রাজু বলেন ছাত্রদলের মতবিনিময় সভার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের নিজেদের দুই গ্রুপের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের ফুলের শুভেচ্ছা নিয়ে এক পর্যায় সংঘর্ষ হয় । এই সংঘর্ষের ছবি তুলতে গেলে ছাত্রদলের কর্মীরা সাংবাদিদের অশালীন ভাষায় গালাগালি করেন ও আমাদের ক্যামেরা ভাংচুরের চেষ্টা করেন তারা।

এ বিষয় তালতলী উপজেলা ছাত্র দলের সভাপতি আতিকুর রহমান ওয়াসিম বলেন ,গণমাধ্যম কর্মী দের সাথে যে আচরণ হয়েছে সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যারা সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচারন করছে তারা ভাইস চেয়ারম্যানের লোক। আর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতাদের ফুলের শুভেচ্ছাকে কেন্দ্র করে আমার কর্মীদের উপর হামলা চালায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের লোকজন। এতে আমার ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছে। তাদের বরগুনা ও আমতলী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এবিষয়ে ছাত্রদল নেতা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শাহিনুর রহমান বলেন তাদের মতবিনিময় সভার কোনো অনুমতি থানা থেকে দেওয়ে হয়নি। তবে পুলিশ সুপার মহদয়ের কাছ থেকে তারা মৌখিক অনুমতি নিয়েছে বলে জেনেছি। আর সংঘর্ষের বিষয়ে কিছু জানি না আমরা।