ধামরাইয়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়।

Loading

মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন, ধামরাই ঢাকা থেকেঃ-নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বালিয়া ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকায় খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জমির উপরের অংশ অর্থাৎ টপ সয়েল ইটভাটায় যাওয়ায় জমির উর্বরতা হারাচ্ছে। এতে করে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। দ্রুত ইটভাটার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আগামীতে খাদ্য ঘাটতিসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন সচেতনরা।

ধামরাই উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার ১৬টি ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। যার অধিকাংশেরই পরিবেশ অধিদফতরের কোনো ছাড়পত্র নেই।ইট তৈরির প্রধান কাঁচামাল মাটি।

ফসলি জমির মাটি ইট তৈরিতেও সুবিধা। এছাড়া হাতের নাগালে হওয়ায় কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে এ মাটি কিনে নেয় একটি পক্ষ। এরপর তারা বেশি দামে ইটভাটায় সরবরাহ করে থাকেন। মাটি বিক্রি করায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটিতে যে জিপসাম বা দস্তা থাকে তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এছাড়া মাটিতে যে জীবানু থাকে এবং অনুজীবের কার্যাবলি আছে তা সীমিত হয়ে যাচ্ছে। এতে করে দিন দিন ফসলি জমিতে উৎপাদন ক্ষমতা কমছে। মাটির জৈব শক্তি কমে গিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়বে। আর এভাবে ফসলি জমির মাটি ইট ভাটায় যেতে থাকলে আস্তে আস্তে ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে,খননযন্ত্র দিয়ে চার-পাচ ফুট গভীরতায় ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রাকে বোঝাই করা হচ্ছে। খননযন্ত্রের চালক জানান, পাশের এলাকায় অবস্থিত’এসএমজে’ এবং ‘এমএবি’ ব্রিকস নামে ইটভাটায় মাটি নেওয়া হচ্ছে।

ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃআরিফুল হাসান জানান, ‘ফসলি জমির উপরিস্তরের ছয় ইঞ্চি গভীরতায় মাটি কেটে নিলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। এর পর যে মাটি থাকে, তাতে ফলন ভালো হয় না। প্রতিবছর এই কারনে অনেক আবাদযোগ্য জমি কমে যাচ্ছে ।