ধামরাইয়ে বেতন- ভাতার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ।

Loading

মোঃ সম্রাট আলাউদ্দিন(ধামরাই প্রতিনিধি) ঢাকার ধামরাইয়ে বেতন ভাতার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন দি ইমাকুলেট টেক্সটাইল লি: কারখানার পোশাক শ্রমিকরা।

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে তালতলা সাদা মাঠ এলাকায় ইমাকুলেট কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা- আরিচা মহাসড়কে এ বিক্ষোভ প্রতিবাদ করেছেন শ্রমিকরা।

কারখানার শ্রমিকরা বলেন, আমাদের গত ৩ মাসের বেতন পরিশোধ করে নাই। আমরা খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি। তাই শ্রমিকরা তাদের বেতন এবং অনেক শ্রমিক আছে যাঁরা ৬ বা ৭ মাসের বেতন বাকি রয়েছে। কারখানার শ্রমিকরা দির্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও নির্যাতিত হয়েছি।

শ্রমিকরা আরও বলেন, আমরা বাড়ি ভাড়া দিতে পারি না। অনেক বাড়িওয়ালা আমাদের বলে দিয়েছে যদি ভাড়া দিতে না পারেন তবে বকেয়া বাড়ি ভাড়া দিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান।বাড়ি ভাড়া না দিতে পারলে, আমার বাড়িতে থাকার কোন দরকার নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক কেঁদে বলেন, গত ৩ মাস ধরে কোন বেতন পাইনি। ধার দেনা করে চলিতেছ। মালিক পক্ষ বলেছে আজ বুধবার আমাদের কিছু বেতন দিবে। বাড়িতে ছোট মেয়েকে বলে এসেছি একটি পাঙ্গাশ মাছ ও চাল কিনে নিয়ে আসব। ছোট মেয়ে অনেক দিন ধরে মাছ খাওয়ার কথা বলছে। কিন্তু বেতন না পাওয়ায় অন্যের কাছ থেকে ধার করে এতো দিন চলছি। আজও কোন বেতন পেলাম না। বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে কি উত্তর দিবো জানি না। হয়তোবা বাড়িতে আজ নাও যেতে পারি।

সাধারণ শ্রমিকরা দির্ঘদিন তাদের বেতন না পাওয়ায় আজ বিকালে ঢাকা – আরিচা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ১০ কি. মি. পর্যন্ত দির্ঘ যানজটের কবলে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। এতে দূর- দূরান্তের যাত্রীদের অবস্থা নাকাল হয়ে পড়ে। সঠিক সময়ে ঘরে ফিরতে না পাড়ার আশন্কা করছে যাত্রীরা।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বাটার গেইট এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময়ে অবস্থা নাকাল হয়ে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীরা। পরে ধামরাই থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

ইমাকুলেট কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাবিব বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার ২৬/০৯/১৯ তারিখে শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করবো।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দিপক চন্দ্র সাহা বলেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ৩ মাসের বেতন পরিশোধ করে দিবে কারখানা কর্তৃপক্খ। যদি ৩ মাসের বেতন পরিশোধ করতে না পারে অন্তত ২ মাসের বেতন পরিশোধ করবে কারখানার মালিক। পরে শ্রমিকরা আস্থস্ত হওয়ার পর সকলেই চলে যান।