বিএনপির চরিত্র বদলায়নি, মানুষের ওপর অত্যাচারই ওদের আন্দোলন: প্রধানমন্ত্রী

Loading

জাতির পিতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে হানাদারদেরর দোসররা ক্ষমতা দখল করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির চরিত্র বদলায়নি। মানুষের ওপর অত্যাচারই হলো ওদের আন্দোলন। নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল তারা, সেটা পারেনি৷ কেননা, জনগণ আমাদের পাশে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও প্রতিহতের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি কবলেন, ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপি দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেছে। ভোটে জিতবে না জেনেই তারা নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।

ভোট চুরির জন্য খালেদা জিয়াকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশবাসীর এটা মনে রাখা উচিত। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। দেশবাসী তাদের বিশ্বাস করে না। এদের চরিত্র কখনোই বদলাবে না। তারা নিজেদেরটা বোঝে, জনগণের কল্যাণ তাদের মাথায় নেই।

নির্বাচনে কারচুপি করে জিয়াউর রহমান অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করেছিল বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে আসতে হবে। ওদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড আর চলতে দেয়া যায় না। নিজেদের হরতাল-অবরোধে নিজেরাই অবরুদ্ধ হয়ে যায় তারা।’

এ সময় বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ সংসদে কথা বলার সুযোগ পায়নি বলেও অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, তারা পার্লামেন্টে কথা বলার সুযোগ দিত না। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রের চর্চা করি বলেই, একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির প্রতিনিধিরা ইচ্ছামতো কথা বলেছেন। তাদেরতো আমরা বাধা দিইনি!

কিছু বুদ্ধিজীবী দেশের কল্যাণ বোঝে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন বিদেশের মানুষ বুঝলেও, সাধারণ মানুষ বুঝলেও, কিছু বুদ্ধিজীবী সেটি বুঝতে চান না, বা স্বীকার করেন না। তবে দেশের মানুষ বোঝে কিসে তাদের ভালো হবে।

অগ্নিসন্ত্রাসী ও খুনিদের ১৯ ডিসেম্বরের বিজয় র‌্যালি থেকে জবাব দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।