সাভারে সেলফি পরিবহনের চাপায় এবার প্রাণ গেল শিশুর

Loading

সাভার প্রতিনিধি: সাভারে সেলফি পরিবহনের চাপায় তাওহীদ (১১) নামে এক শিশু ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। পরীক্ষার ছুটিতে সাভারে পোশাক শ্রমিক মা-বাবার কাছে বেড়াতে এসে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শিশুটির।

শনিবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে লাঙ্গলের মোড়ে এমন ঘটনা ঘটে। পরে রোববার ভোরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

নিহত শিশুটির বাবা মোস্তফা কামাল জানান, তার স্ত্রী শাপলাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি পাবনা থেকে এসে সাভারের গেন্ডা এলাকায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে গ্রামে নানা-নানীর বাড়িতে থেকে সেখানে পড়াশোনা করত। বার্ষিক পরীক্ষার ছুটিতে গ্রামের বাড়ি পাবনা থেকে শনিবার রাতে মা বাবার কাছে সাভারে বেড়াতে আসে সন্তানরা।

তবে সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি থেকে নেমে তিন সন্তানকে নিয়ে মহাসড়ক পার হয়ে বিপরীত দিকে আসতেই দ্রুত গতিতে ছুটে আসা ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জগামী সেলফি পরিবহনের একটি বাস তাদের বড় সন্তান তাওহীদকে চাপা দেয়। এ সময় মা-বাবার সামনেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায় শিশু তাওহীদ।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সেলফি পরিবহনের প্রায় ২০টি বাস আটকে রাখে এলাকাবাসী। এছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি বাস।

সাভার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় নিহত শিশুর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মোস্তফা কামাল ও শাপলা দম্পতির বাড়ি পাবনা জেলার সাথিয়া থানার ফকিরপাড়া এলাকায়। জীবিকার প্রয়োজনে দু’বছর আগে সাভার চলে এসে আল মুসলিম গ্রুপের পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন এই দম্পতি।

উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ে সেলফি পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে পথচারী নিহত হন দুই পথচারী। এছাড়াও সেলফি পরিবহনের বেপরোয়া গতিতে বিভিন্ন সময় ঘটেছে বেশ কয়টি দুর্ঘটনা।