মামলা ছাড়াই হয়রানি হচ্ছে মিন্টু-বেদখলে বৈশাখী এন্টারপ্রাইজ।

Loading

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর আলুর বাজারের বৈশাখী এন্টারপ্রাইজের দায়িত্ব হস্তান্তর নিয়ে চলছে নানান অনিয়ম ও জটিলতা।

প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মৃত শাহ জালাল দুলাল ও স্ত্রী ডালিয়া জালালের মৃত্যুর পর গত ৩বছর যাবত মালিকা নিয়ে চলছে জটিলতা ও দেনদরবার। সমাধান মিলেনি এখনো-বাড়ছে একের পর এক অভিযোগ। তবে পৈত্রিক সুত্রে সম্পত্তির বর্তমান মালিকানায় একমাত্র কন্যা সেবুন নাজমী (৩১) বাবা-মার আকস্মিক মৃত্যুতে তিনি এখন দিশেহারা। বাবার বিদ্যমান সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে পিতৃকূলের অন্যান্য অংশীদারদের অব্যাহত মানসিক নির্যাতনে এখন তিনি বিপর্যস্ত। বুঝে পায়নি বাবার রেখে যাওয়া স্থাবর ও অস্থাবর। একদিকে কাকা ফুফুদের প্রোচনা অন্যদিকে মামাদের দায়িত্ব পালন ও মালিকানা হস্তান্তর নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা।

এ ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বৈশাখী এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার মৃত শাহ জালাল দুলালের ভাই ও বোনেরা।

এদিকে সেবুন নাজমী মালিকানা ফেরত পেতে ও মামাদের হয়রানী ও নির্যাতন থেকে বাচাতে চাচা লেঃ কর্ণেল নুরুল কবির বাবু ও ফরহাদ কবির কচির বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক সংগঠনসহ স্থানীয় থানা ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেবুন নাজমীর বড় মামা কাজী রিয়াজুল ইসলাম মিন্টু ও কাজী ইফতেখারুল ইসলাম রিন্টু কে র‌্যাব দিয়ে হয়রানীসহ ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে সেবুন নাজমীর চাচা লেঃ কর্নেল নুরুল কবির বাবুর বিরুদ্ধে। অভিযোগটি করেন মতিঝিল থানার আরামবাগ এলাকার মৃত গাজী শামসুল ইসলামের ছেলে ভুক্তভোগী কাজী রিয়াজুল ইসলাম মিন্টু । তিনি বংশাল থানাধীন আলুবাজার এলাকার একজন ব্যবসায়িক এবং মৃত ডালিয়া জালালের বড় ভাই সেবুন নাজমীর মামা।

শেষ বয়সে অপমান লাঞ্ছিত হওয়ায় বিচারের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে-বেড়াচ্ছেন তিনি। এ ঘটনায় কাজী রিয়াজুল ইসলাম মিন্টু ও সেবুন নাজমী প্রধানমন্ত্রীর বরাবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাবর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ মহা-পরিদর্শকসহ বংশাল ও মতিঝিল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী কাজী রিয়াজুল ইসলাম বলেন আমার ভগ্নিপতি মৃত শাহ জালাল দুলাল ও আমার বোন ডালিয়া জালাল গত ২৫-০৪-২১ ইং আকস্মিক মৃত্যুর পর থেকে আমার ভাগ্নী সেবুন নাজমী গত ৩ বছর যাবত আমাদের কাছে বসবাস করেন, এসময়কালে আমার ভগ্নিপতি বোনের সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জেরে সেবুনের চাচা ফরহাদ কবির কচি ও লেঃ কর্ণেল নুরুল কবির বাবু তার ক্ষমতা প্রভাব খাটিয়ে র‍্যাব-২ এর সদস্য দিয়ে গত ১৯-৫-২২ ইং আমাকে ও আমার ভাই কাজী ইফতেখারুল ইসলাম রিন্টুকে তুলে আনেন র‍্যাব-২ এর কার্যালয় মোহাম্মদপুরে। তখন নুরুল কবির বাবুর ইন্দনে মানসিকভাবে নির্যাতন করেন ও অকথ্য ভাষায় আমাদের গালিগালাজ করেন।

এসময় র‍্যাব-২ সিইও আবু নাঈম তালাত আমাকে একটি কক্ষে নিয়ে অপমান লাঞ্ছিত করেন। তিনি বলেন আমার এক ছেলেকে ইয়াবা দিয়ে ধরিয়ে দিবেন অপর ছেলেকে জঙ্গি বলে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসাবেন বলে হুমকী দেয় এতে আমরা আতংকে থাকি এবং ভয়ভীতির মধ্যদিয়ে জীবন যাপন করছি।

পরবর্তী গত ২৪-০৫-২২ ইং সমঝোতার কথা বলে র‍্যাব-২ এর অফিস থেকে পূণরায় কল দিয়ে যেতে বল্লে ভাগ্নি সেবুন নাজমীসহ আমরা দুইভাই ঐদিনেই বিকাল ৬.১৫ মিনিটে র‍্যাব-২ যাই। গিয়ে দেখি সেবুনের চাচা লেঃ কর্নেল নুরুল কবির বাবু, ও ফরহাদ কবির কচি, র‌্যাব-২ সিইও আবু নাঈম তালাত, র‍্যাব-২ এর ল’অফিসার উত্তম কুমার, এ্যাডভোকেট সেলিম রেজা চৌধুরী, ব্যারিষ্টার তাইছির মাহমুদ সেখানে উপস্থিত। এসময় র‌্যাব-২ এর ২য় তলায় একটা রুমে আমাদের আটকিয়ে রাখে বিকাল ৬.১৫ মিঃ থেকে রাত ১.২৫ মিনিট পর্যন্ত এবং চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। র‍্যাব-২ এর ল’অফিসার উত্তম কুমার বিশ্বাস হুমকি দিয়ে বলেন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর না করলে কাউকেই বের হতে দিবেনা এদিকে প্রায় ৮ ঘন্টা আটকিয়ে রেখেছে তাই স্বাক্ষর করতে বাধ্য করি। তিনি আরো বলেন এ বয়সে এসে তুই তুকারীসহ এত জঘন্যতম হুমকী ধমকি শুনতে হবে কখনো আশাকরিনি। আমি বৈশাখী এন্টারপ্রাইজের মালি অথবা কর্মচারীও না তাহলে আমাকে কেনো এ নির্যাতন হয়রানী করলো? আমি এর সঠিক বিচার চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন এটাই প্রশাসনের লোক হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে আমাদের উপর এর দৃস্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

অপর দিকে ভুক্তভোগী কাজী ইফতেখারুল ইসলাম রিন্টু বলেন বড় ভাইয়ের মত করে র‍্যাব-২ এর সিইও দিয়ে সেবুনের চাচা লেঃ কর্ণেল নুরুল কবির বাবু আমাকে হুমকি দিয়েছে। আমাকে ইয়াবা দিয়ে ধরিয়ে দিবে আমার উপর খবর নিচ্ছে আমার বউ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে বিভিন্ন ধরনের বাজে কথাবার্তা বলেছে তারা। আমি সঠিক বিচারের জন্য দারে দারে ঘুরছি ভেনো কোন সুরাহা পাইনি।

এ বিষয়ে র‍্যাবের মহাপরিচালক সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন আমাদের কণ্ঠকে বলেন, ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ে কথা বলুন। লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উয়ংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এর নম্বর বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।