রাণীশংকৈলে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা ।

Loading

হুমায়ুন কবির, (ঠাকুরগাঁও) রাণীশংকৈল প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদ হলরুমে ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আসন্ন বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালি বেগম। আরো উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, এসআই রনি, অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ, মহিলা আ’লীগ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান প্রমুখ।

এছাড়াও বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপজেলা র্কমকর্তাবৃন্দ , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা পরিষদ ও নির্বাহী অফিসার আসন্ন বিজয় দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটির সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

আলোচনার সভার এক পর্যায়ে বক্তারা বলেন ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানী বর্বর বাহিনীর নির্মম গণহত্যার এক নিষ্ঠুরতম ইতিহাস আজও ধারণ করে রেখেছে রাণীশংকৈলের ঐতিহ্যবাহী স্মৃতিবিজড়িত খুনিয়া দিঘী। অথচ দিঘীর পাড়ের মাটি কেঁটে বধ্য ভূমিরটির বর্তমান অবস্থা এমন করেছে যে, এটি যেকোন সময় ধঁসে পড়ে যেতে পারে। অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, পাক হানাদারদের নির্মমতা এবং হাজারো বাঙালির রক্তে রাঙ্গানো খুনিয়া দিঘীর স্মৃতি ধরে রাখার তাগিদে ১৯৭২ সালে এ দিঘীর পাড়ে একটি স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করা হয়। এ সময় অন্যান্য বক্তারাও খুনিয়াদিঘির লিজকৃত জলকরটি বাতিলের দাবী জানান।

ইউএনও বলেন আমরা ইতোমধ্যে কাগজপত্র বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যান মুন্না বলেন, ‘লীজ বাতিলের জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত: উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের ভান্ডারা গ্রামের স্মৃতিবিজড়িত খুনিয়া দীঘি বধ্যভূমির জলকরটির মালিক দাবি করেন জৈনেক ব্যক্তি।

জানা গেছে তাঁর বাবা তৎকালীন দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে পরে দুই ছেলে হামাদুর রহমান ও বজলুর রহমানের নামে খুনিয়া দিঘির জলকরের দলিল করে দেয় পরে হামিদুর রহমান উপজেলার আবুল কাশেমের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের কাছে ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় জলকরটি বিক্রি করেন।